নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনোহারী চলা

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১২



অনেক দিন ধরে একটা পোষ্ট দিতে চাই কেন যেন দেয়া হয় না। ভ্যাকসিন নিতে অনেকটা পথ পেরিয়ে যাওয়ার কথাটা লেখেছিলাম তখন ডাঃ এম এ আলী বলেছিলেন সেই অভিজ্ঞতা এবং ছবি শেয়ার করার জন্য। প্রতিদিন ভাবলেও কেন যে লেখাটা হয়ে উঠছিল না। আজ লিখেই ফেললাম। কিছু ছবি দুবছর আগের তলানীতে ঢুকে গেছে তাদের খুঁজে বের করে জুড়ে দিলাম।

আসলে পোষ্টটা হবে ছবির পোষ্ট। আমার একটু আলসেমী আছে অনেক ছবির ভীড় থেকে ছবি খুঁজে বের করার। আর ছবি দিতে গেলে উল্টা পাল্টা হয়ে পোষ্ট হয়ে যায় সব মিলিয়ে আমার ছবি দেওয়ার খুব বেশি ইচ্ছা করে না।
এ জন্যই পোষ্ট দেয়া পিছিয়ে যায়। অথচ যত দিন যাচ্ছে তত ছবির ভীড় বাড়ছে আরো।

দু হাজার বিশ সাল আমাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায় ছিল। পৃথিবীর মানুষ জেনেছিল কত ভয়াবহ হতে পারে মহামারী। যা আমরা শুনেছিলাম মা বাবা ,দাদা নানা পূর্ব পুরুষের মুখে। তাঁরা দেখেছিলেন, গিয়েছিলেন ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে। কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া এমন সব ভায়াবহ রোগ হতো তখন বছর বছর গায়ের মানুষ উজাড় হয়ে যেত। মড়ক লাগত মানুষের জীবনে।
আমরা তার ভিতর দিয়ে গেলাম দু হাজার বিশ সালে। রোগটা ছিল কোভিড ১৯। আরো একটা নতুন মহামারী সংযোগ হলো মানব ইতিহাসে। পরে আমরা সহজ করোনা নামেই ডাকতে শুরু করি।
সারা পৃথিবীর মানুষের জীবন যাত্রা থমকে গিয়েছিল অদ্ভুত ভাবে। মানুষ ঘরে বসে দিন কাটাবে এমনটা কল্পনা করারও সুযোগ ছিল না। তাও করে ছিল বিশ্বের মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে । কাজ কাম বাদ দিয়ে এই ব্যাস্ত জীবনে ঘরে বসে দিন কাটাবে মানুষ। রাজপথ অলিগলি মানুষ যানবাহন শূন্য। বাজার , শপিং মল, অফিস, উপাসনালয়, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ, কি ভয়াবহ একটা অবস্থা ছিল।
এমন ভয়াবহ অবস্থায় পরে আমরা তখন নির্ভর করেছিলাম বিজ্ঞানের উপর। ভ্যাকসিন আবিস্কার হবে এবং আমরা নিস্কৃতি পাবো মহামারীর হাত থেকে। বেরিয়ে পরব আবার পথে, কাজে সহজ জীবনে।
বিজ্ঞানই তখন আমাদের ঘরে বসে কাজ করার সুবিধাও দিয়েছিল, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। অনেক সংস্থা সেই অবস্থা ঘরে বসে কাজ করার ব্যবস্থা এখনও রেখে দিয়েছে।
বাচ্চাদের পড়া লেখার ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল ঘরে বসে অন লাইনে । মানুষ জীবনের প্রয়োজনে শিখে নিয়েছিল নতুন করে বাঁচতে।
অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে ভ্যাকসিন এসেছিল বাজারে। আমরা আনন্দের সাথে অপেক্ষা করেছিলাম ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে সুরক্ষা করার। কিন্তু সেটাও সহজ ছিল না।
প্রথমত যারা বয়োবৃদ্ধ যারা বেশি অসুস্থ এবং যারা চিকিৎসা ও রোগীর সাথে সরাসরি কাজে জড়িত তাদের জন্য বরাদ্দ হলো ভ্যাকসিন নেয়া।
অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হতে থাকল ভ্যাকসিন নেয়ার তারিখ পাওয়ার। একটা সময় অনলাইনে বসে নানা কেন্দ্রে নিজের নাম দিয়ে রাখতাম যেখান থেকে তাড়াতাড়ি ডাকবে সেখানে চলে যাবো ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক কেন্দ্রে যখন সময় হলো তখনই ডাকল ভ্যাকসিন নিতে যাওয়ার জন্য। ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হওয়ার পর আমার সিরিয়াল আসার অপেক্ষার পালা ছিল দীর্ঘ পাঁচ মাসের।
আমাকে যেতে হয়েছিল একটি ইউনিভার্সিটিতে। যেটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে খ্যাত। যত রকম গবেষণা গাছপালা নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়। বেশ কয়েক বছর আগে তাদের কৃষি ব্যবস্থা দেখার জন্য একবার গিয়েছিলাম। আবার গেলাম ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য সেখানে। আমার বাড়ি থেকে দূরত্ব প্রায় পঁচাশি কিলোমিটার।
ঘন্টাখানেক সময় লাগে সেখানে যেতে। অনেকে বলবেন এত সময় লাগার কথা না এতটুকু পথ যেতে। খুব জোড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। গতি বেঁধে দেয়া আছে চলার কখনো পঞ্চাশ কখনো আশি, সত্তর এমন। খানিকটা জোড়ে গেলেও খুব একটা সময় বাঁচানো যায় না তাই তাড়াহুড়ো করে লাভ হয় না। এখন জিপি এস সময় দেখিয়ে দেয় কতটা লাগবে যেতে। আবার রাস্তায় কোন সমস্যা থাকলে সেটাও হিসাব করে দেয়।

যা হোক এ্যাপয়নমেন্টের সময় হিসাব করে হাতে একটু সময় বেশি নিয়েই রওনা দিলাম। অনেকদিন পরে মানুষের মধ্যে যাবো ভেবে কেমন উৎসব আনন্দ হচ্ছিল।
যদিও গ্রোসারী দোকানে যেতাম এই এক বছর কিন্তু মাক্সে মুখ ঢেকে কেমন বিষাদগ্রস্ত হয়ে থাকতাম। সব মানুষের থেকে দূরে কারো দিকে তাকিয়ে কেউ হাসে না পর্যন্ত। কথা বলা তো দূরের ব্যাপার। বাজার নিয়ে এসেই সব পরিস্কার করে নিজেকে পরিস্কার করতে শুরু করতাম। পরিবারের লোকজনের সাথেও কথা বলা এবং কাছে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা ছিল পরিচ্ছন্ন হতে হবে আগে।




মে মাসের শুরুতে বসন্ত আসেনি তবে বসন্তের আবহাওয়া। দারুণ রোদের ঝলমলো দিন ছিল বেরিয়ে পরার শুরুতে। নিরব পথের দুপাশে মাঠ গুলোতে কেবল সবুজের আভাস লেগেছে। কিছু কৃষক মাঠে নেমে চাষের উপযোগী করে ফেলেছেন ক্ষেত। কখনো পথে দেখা হয়ে গেলো কিছু ট্রাক্টার এবং ভাড়ি মেশিনের সাথে। আঁকাবাঁকা উঁচু নীচু পথ বেয়ে ছোট ছোট শহর আর বিস্তৃর্ণি ফসলী ক্ষেত কিছু আঁকাবাঁকা নদীর সাথে পথ চলে সময়ের কিছু আগে পৌঁছে গেলাম। সব পার্কিং ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন নেতে আসা মানুষের জন্য। অথচ রেগুলার ইউনিভার্সটি এলাকায় পার্কিং অনেক বেশি থাকে।
কেন্দ্রে পৌঁছে দেখলাম অনেক মানুষের ভীড় লম্বা লাইন। সেচ্ছাসেবক যারা ভার্সিটির স্টুডেন্ট মনে হলো, তাদের নতুন মাক্স দিলেন পরতে। হাত স্যানেটাইজ করতে হলো সাথে।
তারপর নাম ঠিকানা বলে লাইনে অপেক্ষা করতে হলো অনেকটা লম্বা লাইনের পিছনে।
অনেকগুলো বুথ একটার পরে একটা। অনেক নার্স ডাক্তার কাজ করছেন।
ইংজেকশন নেয়ার পর অপেক্ষা করতে হবে পনের মিনিট যদি কোন সমস্যা হয় সে জন্য। পনের মিনিট পর কোন সমস্যা না হলে বাড়ি যাওয়া।
এক সময় আমি লাইনের প্রথমে আসলাম। কোন বুথে যাবো দেখিয়ে দিলেন একজন বয়স্ক সেচ্ছাসেবক। যারা সারাক্ষণ সবার দিকে নজর রাখছেন এবং সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করছেন এত মানুষের লাইনকে।
একজন ডাক্তার আমাকে ভ্যাকসিন দিবেন। তিনি আমাকে দেখালেন নতুন এম্পুল বের করে। প্যাকেট থেকে নতুন সিরিঞ্জ বের করলেন। সাথে আমার নাম ঠিকানা জেনে ঠিক করে নিলেন আমিই সঠিক মানুষ। তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম আমার সাথের মানুষ কি ছবি তুলতে পারবেন ভ্যাকসিন নেয়ার। বললেন হ্যাঁ অবশ্যই। আমরা টুকটাক কিছু কথা বললাম। হাসলাম এই মহামারী থেকে বেরিয়ে আসব আমরা আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করব এসব বিষয়ে। ধন্যবাদ দিলাম তাদের এই মানবিক কাজে নিজের জীবনের রিক্স নিয়ে কাজ করাকে।
দুই সেকেন্ড আমার ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হলো। তারপর পনের মিনিট অপেক্ষা করে রেজিস্ট্রেশন করে চলে এলাম। আবার আরেকটা ভ্যাকসিনের সময় হলে জানানো হবে আমাকে।
বাইরে বেরিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসম্ভব সুন্দর গাছ এবং ফুলের বাগান দেখে তার প্রেমে পরে গেলাম আমি। এত সুন্দর ফুল। ফুটে আছে চারপাশে । এখানের ফুলগুলো যেন অনেক বেশি সতেজ এবং সুন্দর। কারণ তারা গাছের পুষ্টি বিষয়ে খুব ভালো জানে।
বসন্তের প্রথম ফুলগুলো সেবার ওখানে প্রথম দেখলাম।


গাছে পাতা হওয়ার আগে ফুলে ছেয়ে যায়। একেই মনে হয় বলে ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে ।

গোলাপী ফুলের এই গাছটার নাম উইলো। উইলো গাছ অনেক দেখেছি ক্রন্দনরত উইল বলা হয়, ডাল থেকে পাতা নিচের দিকে ঝুলে পরে গাছ ঢেকে দেয় যেন মুখ লুকিয়ে কাঁদছে।
কিন্তু গোলাপী ফুলের এই উইলো আগে কখনো দেখিনি। প্রায় ঘন্টা ধরে আমি এই গাছের নিচে বসে তার সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।



মাটি ঘিরে থাকা ফুলগুলোও আরো ঘন হবে কেবল জাগছিল তারা তখন। কত ভিন্ন প্রজাতির পাতা ফুল থোকা থোকা লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি নিতে নিতে অনেক গাছের ছবি নেওয়া হয়নি। আবার এখানেও দিতে পারলাম না অনেক ছবি।
ছবি নেওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না। ভ্যাকসিনের সময়ের ছবি ছাড়া। তাই সব ছবিই তোলা হয়েছে মোবাইলে।



ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে ফুলের সাথে একটা সুন্দর পরিবেশে থাকার সুযোগ পাওয়াটা ছিল বাড়তি পাওয়া।
ফল, সবজী হওয়ার সময় তখনও হয়নি।
অনেকটা সময় সুন্দর বাগানে বসে থেকে পাখি কাঠবেড়ালী, খরগোসের পদচারণায় মুখর ক্যাম্পাস দেখে অতপর বাড়ির পথ ধরলাম তবে সরাসরি বাড়ি ফিরে গেলাম না। আরো কয়েকটা শহর ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করলাম প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটারের মতন। মাঝে মাঝে বৃষ্টি আসছিল। আকাশ অন্ধকার কালো মেঘের ভেলা তার ভিতর থেকে সূর্যের আলো রঙধনুর খেলাও দেখতে পেলাম। এমন পথ চলা সব সময়ই চলি তবে সেদিনের পথচলাটা ব্যাতিক্রমী ছিল। নতুন একটা পদক্ষেপ জীবনের ভয় থেকে বের হয়ে আসার।



মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর জীবনযাপন।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ
নিয়ম সুন্দর করে দেয় অনেক কিছু ।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন রোকসানা লেইস,

লেখার শুরুতে চমতকার সবুজে ছাওয়া ছবির সাথে যাত্রা শুরু করে ফুলে ফুলে সুশোভিত পথ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের মাঝে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য একরাশ শুভেচছা :P

তার সাথে সাথে ভ্যাকসিনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য । তয় একটা কতা জানবার মুনচায়, :( ভ্যাকসিন দেবার পরের পরিস্থিতি বা অবস্থা কেমন ছিল আপনার?

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মোহামমদ কামরুজজামান । যেমনটা ছিল সেদিনের পরিস্থিতি তেমনটাই বর্ণনা করলাম।
মেঘ রোদ বৃষ্টির খেলা ছিল দারুণ সুন্দর।

ভ্যাকসিন দেবার পরের পরিস্থিতি বা অবস্থা কেমন ছিল আপনার?

আমি ভ্যাকসিন নেয়ার পরে বড় কোন সমস্যা হয় নাই। সেদিনই প্রায় দেড়শ কিলোমিটার ড্রাইভ করে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম বাড়ি আসার আগে।
দুদিন পরে হালকা জ্বর হয়েছিল আমার সাথে অল্প গায়ে ব্যাথা। সাধারন জ্বরের মতন উপসর্গ । তবে পরিবারে বিভিন্ন সদ্যস্যদের দেখেছি আরেকটু বেশি সাফার করতে অনেক মাথা ব্যাথা গা ব্যাথা তুমুল জ্বর এমন হয়ে ছিল কারো কারো। পরের ডোজ নেয়ার পরও একই রকম ছিল আমার অভিজ্ঞতা। ।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

শায়মা বলেছেন: এ যেন গাছের পাতায় ফুলের ঝিকিমিকি!

উইলো গাছ আর ফুল এত সুন্দর! জানতামই না আমি হয়ত ভাবতাম এটাও চেরি ফুল।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমিও ভেবেছিলাম চেরি কিন্তু জাপানীজ পিংক চেরি গোলাপের মতন দেখতে। আর গাছের ডাল ফুল এমন নিচের দিকে ঝুলে থাকে না।
আমিও অনলাইনে গবেষণা করে খুঁজে বের করলাম এর নাম। সে বছরই আরো কিছু পার্কে এই গাছের সাথে দেখা হয়েছিল। কিছু ডাল নিয়ে এসে গাছ বানানোর চেষ্টা করে ছিলাম কিন্তু সফল হইনি।
আবার কোন নার্সারিতেও গাছটা খুঁজে পাচ্ছি না। যদিও ফুলগুলো অল্প কিছুদিনের জন্য থাকে তারপর নিজের বাড়িতে থাকলে অদ্ভুত সুন্দর এই ফুল অল্প দিনের জন্য হলেও চোখের সামনে দেখতে পেতাম।
কত বিচিত্র রকমের ফুল পৃথিবীতে অর্ধেকের সাথেও পরিচয় হয়নি এখনও।


৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা ছাড়া বাকিগুলি সোজা এসেছে।

এই গাছ আর লতাপাতাগুলি বাংলাদেশে হবে। নদীর ছবিটা অনেকটা বাংলাদেশের মত।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা প্রথম আপলোডে সব উল্টে পরে থাকল তারপর।
আপনার শিখানো ট্রিক্স মতন ডানে বামে কাত করে দুবার দিলাম । কিছুতেই কিছু হয় না। সব বাঁকা হয়ে থাকে। অথচ মোবাইলে ছবি সোজা এবং আর যেখানেই আপলোড করি সোজা হয়ে আসে শুধু সামুতে মাথা ঘুরে পরে যায়।
পরে ফেসবুকে আপলোড করে আবার সেভ করলাম । তারপর সামুতে দিলাম পুরো নতুন করে করতে হলো আগের লেকার পাতাটা ডিলিট করে নতুন করে লিখলাম। ডিলিট করা ছবিকেও মনে হয় কোটা ফিল হয়ে গেছে এমন ভাবছিল, তাই বেশি ছবি দেয়া যাচ্ছিল না।
সামুতে আগে যে কোন ছবি অটোমেটিক রি সাইজ এবং কারেক্ট করে ফেলত অনেক বেশি ছবি দেওয়া যেত। সেই সিস্টেমটা আবার যোগ করার দাবী জানাই।
এখন ছবি দিতে অনেক সমস্যা হয় কেন কে জানে।
আমার আগের সব ছবি ছিল বড় বড় ফাইলের ডিএসএলআর ক্যামেরার এখন তো বেশির ভাগ মোবাইলে ছবি তোলা হয় ছোট ফাইল ছোট পিকসেল। তাও বেশি ছবি দেয়া যায় না কেন যেন।
বাংলাদেশের মানুষ আমরা সব কিছুতে বাংলাদেশ দেখি। তবে বিদেশের অনেক জায়গায় আমি এত সবুজ দেখি বাংলাদেশকেও হার মানাবে মনে হয় পার্থক্য শুধু এই সবুজ ক্ষণ স্থায়ী বাংলাদেশের মতন চির সবুজের দেশ নয়।
দীর্ঘ সময় ন্যাড়া থাকার পর মাত্র গজিয়েছে পাতা তাই একদম তরতাজা সবুজ বাংলাদেশ হা হা হা।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: যা বলার আপনিই বলে দিয়েছেন- আমি আর কথা খুঁজে পাচ্ছিনা

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার উপস্থিতিতে আনন্দ পেলাম। পড়েছেন তাতে মন ভরে গেলো।
আপনার অভিজ্ঞতাও লিখতে পারেন ভিন্ন কিছু হবে অবশ্যই।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ছবি লেখা দুটোই ভালো লাগল

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক

অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগল।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: পুরনো ঘটনা।যখন মনে পড়ে গা শিউরে উঠে।ছবি সুন্দর।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: কি কঠিন সময় ছিল তাই না। এখন যেন ভুলেই গেছি আমরা খুব তাড়াতাড়ি সহজ জীবনে মেতেছি আবার।
জীবন থেমে থাকে না কখনও।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের মন্তব্যে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। :) আমি জানতে চেয়েছিলাম এই গাছ, লতাপাতাগুলি কি আমাদের দেশের মাটিতে জন্মাবে? মানে আমাদের দেশের পরিবেশে এগুলি বাচবে কি না জানতে চেয়েছিলাম। কিছু কিছু বড় গাছ আমাদের দেশে দেখা যায় না।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আচ্ছা. কিছু হয় তো জন্মাতে পারে। আমাদের দেশের মাটি ভালো এবং আবহাওয়া মনোরম । যদি খুব শীত গাছের জন্য প্রয়োজন না হয় তা হলে জন্মাবে আমার সাধারন ধারনায় মনে হয় বাকিটা কৃষিবিদরা ভালো বলতে পারবেন।
বড় গাছ আপেল, ম্যালবেরী, ওক, ইউলো, ম্যাপেল হয় তো জন্মাবে।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেষের ছবিটার অন্য রকম এক আবেদন আছে। +++

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: মেঘ কালো করা আকাশ অন্য রকম সুন্দর।
ধন্যবাদ

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উইলো , সুন্দর নাম । গাছটা খুব সুন্দর । করোনার ভ্যাকসিনের মতো

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: উইল শুধু এক রকম গাছ হয় এটাই জানা ছিল কিন্তু এখন দেখছি এর অনেক রকম ভেরাইটিস।
করোনার ভ্যাকসিনের মতো হা হা হা

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ব্যস্ততার কারণে এত সুন্দর লেখা ও ছবিমালা সমৃদ্ধ পোষ্টটি দেখতে
বিলম্ব হয়ে গেল । অমিরিকা হতে নিকট আত্মিয় এসেছেন বেড়াতে
তাদেরকে নিয়ে পোরাটা হাইল্যন্ড( স্কটল্যল্ড চষে বেরিয়েছি )। তারা
আজ চলে যাওয়ায় সামুতে ডু মেরে লেখাটি দেখতে পাই । সেদিনকার
একটি অনুরোধ এর সফল প্রয়োগ দেখে আপ্লুত হলাম ।
সবগুলি ছবিই খুবই সুন্দর হয়েছে । কভিড এর ভ্যক্সিন পর্বের পরতে
পরতে এত যে শৈল্পিক ছবির অবতারনা হল তা সত্যিই আপুর্ব ।
ইউরোপে মহামারী ব্ল্যাক ডেথের সময়ে কেমন করে শিল্পের চর্চা হতো
তা আমার ব্লগে
ভয়ঙ্কর মহামারী ব্ল্যাক ডেথের গর্ভ হতে জন্ম নেয়া কিছু শিল্প কর্ম নিয়ে একটি পর্যালোচনায় তুলে ধরেছিলাম ।

এই পোষ্টে থাকা ফুল ফোটা উইলুর ছবি খুবই ভাল লেগেছে ।
জগতের প্রায় সব গাছই হয় উর্দধ মুখী , কিন্ত সবজাতের উইলো গাছের শাখা প্রশাখা ও শিখা হয় নিন্মমুখী ।
পাতা ভরা শাখাগুলী নিন্মমুখী হওয়ার কারণে তৃণভোজী প্রাণীরা এর পাতা সহজেই খেয়ে ফেলে বলেই এরা
থাকে ক্রন্দনরত , তাই হয়ত এদেরকে ক্রন্দনরত উইলো বলা হয় ।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় ক্রন্দনরত উইলো ও হরিণের পাতা খাওয়ার দুটি ছবি সংযুক্ত করে গেলাম ।


শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ব্যাস্ততা যেন দিন দিন বেড়ে চলেছে। আগে অনেকটা সময় অন লাইনে কাটাতাম। লেখার সুযোগ এবং সময় বেশি পেতাম। ইদানিং কেবল ছুটছি যেন। কখনো লেখা দিয়েই পালিয়ে যাই এক মুহুর্তের জন্য এসে প্রতি উত্তর দিয়ে যাই।
অনেক লেখা পড়া এবং মন্তব্য দেয়ার সুযোগই হচ্ছে না। নিজের কাছেই খারাপ লাগে। কিন্তু জীবন আগে।
আপনার ব্যস্ততাও তেমনই। দেরী হোক তবু এসেছেন খুব ভালোলাগল সুন্দর মন্তব্য। লেখাটা আপনার উৎসাহেই হয়েছে।
ক্রন্দসী উইলোর যেমন বর্ণনা দিয়েছেন জানা ছিল না । তাই তো বলি আমার বাড়ির আসে পাশে এমন হরিণ ঘুরে ফিরে বেড়ায় কেন। সুন্দর ছবি ধন্যবাদ।
বড় বড় ইউলো গাছ ছিল দুটো আমার এরা আবার খুব নরম প্রকৃতির একটু হালকা বাতাসে উল্টে পড়ে যায়। একটা ভেঙ্গে গেলো কয়েকবছর আগে। অন্যটার অর্ধেক ভেঙ্গে পরল ঝড়ে। তবে এরা আবার তাড়াতাড়ি বংশ বৃদ্ধি করে। একটুকরো ডাল থেকে গাছ হয়ে যায়। বাগান থেকে প্রায় সময় গজিয়ে যাওয়া গাছ সরাতে হয় আমার।
উল্টে পরা গাছটা সরিয়ে ফেলার আগে সময় লেগেছিল সুন্দর ভাবে পুরো গাছ জুড়ে গাছ বাড়ছিল তখন। আর ভাঙ্গা গাছ তো নতুন করে গজিয়েছে আবার। তবে খুঁজে ফিরছি ফুলের ইউলো গাছের চারা। এত্ত সুন্দর গাছ সেটা আবার ডাল থেকে হচ্ছে না চেষ্টা করলাম কয়েকবার গজানোর।
স্কটল্যান্ড যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম এবার ট্রেনের ভ্রমণ লন্ডন থেকে হলো না তবে অপেক্ষায় আছি আমিও চষে বেড়ানোর। আপনার অভিজ্ঞতা জানলে ভালো লাগবে।
লণ্ডনে বই মেলা হবে দশ সেপ্টেম্বর। আমন্ত্রণ আছে কিন্তু দ্যোদুল্যমান আছি যেতে পারব কিনা ঠিক জানি না।
ব্যাস্ততা পিছু ছাড়ছে না।
ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার আবার ফিরে আসার জন্য আবারো ধন্যবাদ

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবিগুলো অপূর্ব!
নাম জানা নেই কিন্তু ছবির ফুলগুলো এখানেও দেখেছি, অনেক সুন্দর।

করোনার সময়টা যদিও বিভীষিকাময় কিন্তু তারপরও আমার অনেক সুন্দর মেমরিজ আছে সেই সময়ের।
অনেক প্রিয় মুখ ছিলো, যারা এখন আর নেই।

তাদেরকে মিস করি।


১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক দিন আসা হয়নি ব্লগে। কিছু কাজে এমন জড়িয়ে পরেছিলাম। লেখা হচ্ছে না দেখাও হচ্ছিল না।
কতদিন আগের মন্তব্য আজ দেখলাম।
ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য ছবিগুলো।

করোনা সময়টা আমারও ভালো কেটেছে। আর কাছের কাউকে চলে যেতে দেখিনি। এটাই সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয়।
তোমার প্রিয় যারা হারিয়ে গেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।

আমার মনে হয় করোনা আমাদের অনেকটা সংযত হতে শিখিয়েছে আবার যুদ্ধ করে বাঁচতেও শিখিয়েছে।

শুভেচ্ছা মিরোরডডল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.