নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত বাতাসে

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৬






আর একদিন পর বসন্ত বাংলাদেশে। কত ফুল ফুটবে, পাখির গান ভালোবাসা, কেকিলের গান আহা। এখানে বসন্ত আসার অপেক্ষা আরো দুমাস চলবে। কিন্তু প্রকৃতি আনন্দ বিতরণ করছে এবার। গত কয়েকদিন ধরে বসন্তের হাওয়া বইছে। গত সপ্তাহ পুরো দুই ডিজিটের ঘরে থাকল উত্তাপ। গাছ গুলো ভুল করে পাতা মেলে দেয়ার চিন্তা করছে যেন। বসন্তের আগে আগে কিছু গাছের ডাল লাল টুকটুকে রঙ ধারন করে। কিছু হয় অসম্ভব সবুজ, হলুদ। তাদের সেই সুন্দর রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠতে দেখছি।
সাধারনত এই সময়ে ডুবে থাকি দুই ডিজিটের ফ্রিজিং ঠান্ডায়। এবছর তেমন শীতল আবহাওয়ার সাথে দেখাই হলো না। হলো না মন মতন বরফে গড়াগড়ি করা।
বরফ গলা নদীতে উঠানে এখন অনেক নদীর প্রবাহ বইছে। হাঁটতে গেলে সতর্ক থাকতে হয় চোরা গুপ্তা বরফ শুয়ে থাকে জলের নিচে পিছলে পরে হাত পা ভাঙ্গার সম্ভাবনা। আবার কোথাও কাদায় পা আটকে যায়।
নভেম্বর থেকে গুমড়ো মুখো হয়ে থাকা আকাশও হাসছে তুমুল রোদের আলো ঝরিয়ে। মনে হয় যেন চৈত্রের খরা পরবে কদিনের মধ্যেই। ফালগুনের মিষ্টি বাতাস। শীত নেই। খুব উপভোগ করছি।
যদিও বাতাসে ভাসছে নানা রকম ভাইরাস। মানুষের মাঝে গেলেই নানা ভাবে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে তিনবার এ বছরের মধ্যে ঠান্ডায় গলা বসে ঘরঘর শব্দ করছে। অথচ আমি চাইছিলাম কিছু কবিতা আবৃত্তি করতে। অথচ এমন হয়েছে গলার অবস্থা কথা বললেই লোকে হাসবে। (যে কোন অন্য রকম কিছুতে হাসাটাই তো আবার আমাদের জাতিয় স্বভাব।)
পরিবারের ছোট বড় সবাই আক্রান্ত। কিছুদিন হাসপাতাল জরুরী বিভাগ থেকে অবস্থান সব কিছু করতে হলো। এ অবস্থা শুধু আমার নয়, বন্ধু আত্মিয় পরিজন যাদের সাথে কথা হচ্ছে সবার পরিবারে এই অবস্থা চলছে।
একজন ভালো হচ্ছে আরেকজন অসুস্থ হচ্ছে। আবার ঘুরে প্রথমজন অসুস্থ্য হচ্ছে। অনেকের এখন আবার কোভিডও হচ্ছে। কেন যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতির বদলে যাওয়ার সাথে সাথে কোভিডের বদলে যাওয়া নানা ভাইরাস প্রখর নয় কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমাদের ক্ষয় করার চেষ্টা করছে।
আমি আবার ঔষধ নয় প্রাকিতিক নিরাময় পছন্দ করি তাই কি পুরো সারছেনা কে জানে। প্রকৃতিই বলতে পারে এসব কারসাজির কথা।
যেহেতু শীত কম এবছর তাই আশংকা করছি কীট পতঙ্গ ভয়াবহ রকম হবে এবার। এই শীতের মধ্যেও দু একদিন মশা এবং নানা পতঙ্গ উড়তে দেখেছি জানালার বাইরে। ওরা নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিচ্ছে। তাপ মাত্রা বেশি থাকার জন্য বেঁচে আছে পোকামাকড়ের বাবা মা, লার্ভ থেকে নতুন করে জন্ম নেয়ার অপেক্ষা করতে হবে না দু মাস বসন্ত আসার পরে।
আগে ক্ষেতি জমিতে কৃষকরা কীটনাশাক ব্যবহার করত। আমরা খুব সুন্দর দাগ এবং পোকা ছাড়া টসটসে সবজী, ফল পেতাম আর বড় খুশি হয়ে খেতাম। কিন্তু কীটনাশকের বিষ ঢুকে যেত আমাদের শরীরে সেটা জানতাম না। এখন কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ। । ফসলে থাকে পোকা বা নানা রকম দাগ কালো। যা দেখতে ভালোলাগে না আমাদের। কারন আমরা এখন মেকআপ দেয়া সাজানো চেহারা দেখে অভ্যস্থ। মেক আপের নিচে যে মেছতা বা ফ্রিকেল বা রিংকেল থাকে তা দেখতে পছন্দ করি না। যদিও বিষুদ্ধতায় কীটনাশক ব্যবহার করা ছাড়া সবজি, ফল অতুলনীয় একটু দাগ থাকার পরও কিন্তু তাদের অবহেলা করি, মনের আনন্দে। যেমন বাতিল করি সাজবিহীন সাধারন দেখতে মানুষকেও। কিন্তু সাজানো রঙ করা মুখের মতন খাবার টসটসে দাগবিহীন ফল ফসলও ফ্রেস নয় দোষ ছাড়া নয়। ভিতরের এই বিষয়গুলো ভেবেই দেখি না।
ঘরঘরে গলায় কবিতা আবৃত্তি করতে পারছি না। কিন্তু বসন্ত বাতাসে সই গো বলে গান গাইছি খোলা মাঠে বাতাসকে শুনিয়ে, রোদের আলোয় নেচে। ফুল ফুটুক বা না ফুটুক বসন্ত আবহাওয়া যখন পেয়েছি তাকে উপভোগ না করি কি ভাবে। যখন বসন্ত আসবে তখন আরো উপভোগ করব, অনন্দে।
আর যখন ঘরে আসছি, তখন শুনছি, এখানে ওখানে আক্রমণ, শুটিং, চুড়ি, ডাকাতি অপহরনের খবর। বিশ্ব জুড়ে নানারকম যুদ্ধের খবর। ঘরোয়া থেকে আর্ন্তজাতিক সবখানেই চলছে নানারকম মারামারি। টিভি চালিয়ে সুখের কোন নাটক সিনেমা, গান শুনতে, দেখতে চাইলেও নিচের ব্রেকিং নিউজে দেখাতেই থাকে কতরকম ভয়াবহ ঘটনা মানুষ ঘটাচ্ছে প্রতিদিন। এই দুইহাজার চব্বিশ সালেও মানুষ মারামারি করতেই পছন্দ করে।
রোহিংগাদের মেরে তাড়িয়ে দেয়া সেনারা এখন মুক্তিকামী রোহিঙ্গার আক্রমণে বাংলাদেশেই এসে আশ্রয় নিচ্ছে। সাথে গোলা পরছে বাংলাদেশে যা ভালোলাগছে না শুনতে।
হামাস কি করতে চেয়েছিল আর কি হচ্ছে এতগুলো মানুষের মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে আছে রক্তে হাত রাঙিয়ে। আর কতকাল চলবে এই যুদ্ধ। উসকে দেয়া নেতানিয়াহুও নিজের বিজয় না দেখে থামবে না এই গো ধরে আছে।
টেনশন চলছে তাইওয়ান চীনের মধ্যে। আর ইউক্রেন দখল করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া তিন বছর হয়ে গেল। কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। শুধু বাস্তুহারা উদবাস্ত সাজানো সংসারের মানুষ। যাদের এই যুদ্ধের সাথে কোন লেনদেন নাই। যারা নিজেদের নিয়ে সুখি ছিল তাদের হারাতে হচ্ছে প্রিয় জন, যুদ্ধের কারণে।
এক সময় ভাবতাম এখন আমরা সভ্য সমাজে বাস করি। এইসব যুদ্ধ দেখে এখন আর তা ভাবার সুযোগ পাই না। নেতারাই যখন নিজেদের যুদ্ধবাজ প্রমাণ করায় ব্যস্ত তখন আমরা আর সুসভ্য নাগরিক হবো কিভাবে।
আমেরিকার ভোট প্রস্তুতি চলছে, এত অপরাধে অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প টপাটপ জয় পেয়ে যাচ্ছে । এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে রাখতে পারছেন না সব ঠিকঠাক এমন একটা খবর জোড় চলছে। তাতেও কিছু যায় আসে না উনি সেটা মেনে নিবেন না বরং তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আমি ভালো আছি এই প্রমাণেই ব্যস্ত। একবার প্রেসিডেন্ট হয়েছে বয়সের কারণে হলেও অবসরে গেলে সমস্যা নাই কিন্তু শখ বড় আবারো লিডার হওয়ার।
আমেরিকার জনসংখ্যা প্রায় তেত্রিশ কোটি। তারমধ্যে এই দুইজন ছাড়া প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতন যোগ্য প্রার্থী নাই ভাবতে অবাক লাগে। থাকলে নিশ্চয়ই তাদের নাম আসত সবার আগে ।
এই সব শোনা দেখার চেয়ে টিভি বন্ধ থাক। বাইরের আলোক উজ্জ্বল দিন দেখি। আর গান গাই বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে তোমার বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সখি বসন্ত বাতাসে।..........
আপনাদের কার কেমন বসন্ত আবহাওয়া এখন

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




লেইস আপু, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠো, নতুন আবৃতি শুনবো।

ঠান্ডায় যখন কারো গলা বসে যায়, তার হয়তো কষ্ট হয় কিন্তু আমার সেই ভাঙা গলার স্বর শুনতে ভালো লাগে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল
আসলে গলায় একটু অস্বস্থি অনুভব হওয়া ছাড়া এবার আর কোন সমস্যা নেই। প্রথমবার একদিন জ্বর ছিল।
এমনিতে গত কয়েক বছর ধরে আমার জ্বর টর হয় না।
প্রতিদিনের সব কাজ চলছে সমান তালে।
বসন্তের শুভেচ্ছা।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



শুভ বসন্ত।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ বসন্ত

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বসন্ত বন্দনা করতে গিয়ে বাইডেন পর্যন্ত এসে গেছে । বেশ ভালই লাগল ।
পোষ্টের টাইটেল বসন্ত বাতাসে দেখে প্রথমেই মনে পড়ে গেল বিখ্যাত বসন্ত বাতাসে গান ও এর রচয়িতার কথা ।
বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ, আমার বাড়ি আসে সই গো বসন্ত বাতাসে।এমনিই
এক বসন্তে জন্ম নিয়েছিলেন অসাম্প্রদায়িক, বাঙালী সংস্কৃতিতে চির বসন্তধারা তৈরির কারিগর বাউল শাহ আব্দুল
করিম। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল ফাল্গুন মাসের দ্বিতীয় দিন। এইদিনে তৎকালীন অসম রাজ্যের
শ্রীহট্ট জেলার সুনামগঞ্জ মহকুমার দিরাই থানার উজানধলন গ্রামে শাহ আব্দুর করিম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বহন
করে এনেছিলেন ফুলের গন্ধ, যা বাঙালী সংস্কৃতিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সুবাসিত করেছে। সুনামগঞ্জকে বলা
হয় ভাটি এলাকা।এই অঞ্চলটিতে সারা বছরই থাকে পানি।আগেকার দিনে বছরে একটি ফসল ফলত ভাটি এলাকায়।
তাই অভাব আর দারিদ্র্য ছিলএই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত এই সময়টা ভাটি
এলাকায় কোন কাজ থাকত না। কর্মহীন মানুষগুলো মেতে থাকতো নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে। সেখানকার
মানুষ ছিল ধর্মভীরু। তাই মহাজন, গ্রাম্য মাতব্বর, মৌলবাদী নেতারা ধর্মীয় প্রলেপে সাধারণ মানুষকে শোষণ করত।
শাহ আব্দুল করিম তার সঙ্গীতচর্চার মাধ্যমে এই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। শাহ আব্দুল করিমের জন্ম হয় এক
অভাবের সংসারে। অভাবী সংসারে জন্ম নেয়া শাহ আব্দুল করিম হাওড়ে আর্থ-সামাজিক অবস্থাটি উপলব্ধি করতে
পেরেছিলেন। তাই তার প্রতিটি গানের মূল বাণীতে রয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সাম্যের কথা। তিনি পারস্পারিক
সম্প্রীতির বন্ধন গড়ার লক্ষ্যে বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আরেক বন্ধুর বাড়িতে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। গানটির মূল
উদ্দেশ্য হলো জাগতিক সম্পদ যেন ফুলের গন্ধের মতো সবার কাছে পৌঁছায় সমানভাবে।

এই পোষ্টেও দেখি বসন্ত বাতাস সকলের গায়ে লাগিয়ে দেযার এক প্রয়াস।এই বসন্তে সকলেই আন্দোলিত হোক
এ কামনাই রইল ।

পোষ্টে সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।



১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: বসন্ত বাতাস লাগুক আপনার গায়েও পোষ্ট থেকে।

পোষ্টের নাম তো শাহ আব্দুল করিম থেকে ধার করে নিয়েছি, উনার গান গাইতে গাইতেই এই লেখা।
কি তাঁর কথা, সহজ সরল হৃদয়ে দোলা লাগনো।

মন নিল তার বাঁশির গানে, রূপে নিল আঁখি
তাই তো পাগল আবদুল করিম আশায় চেয়ে থাকি

সরলার জন্য উদাস হয়ে এই গান তিনি গাইতেন। কথাগুলো শুনে আমিও পাগল হয়ে থাকি।
এক সময় সিলেটের মানুষের মুখে মুখে এ্ইসব গান ধ্বনীত হতো। সিলেটের মানুষ অনেক বেশি বিলাত থাকে। আপনাদের লণ্ডনের এক ছেলে কায়ার মুখে, সুনামগঞ্জের গানের সম্রাট আবদুল করিমের গান শুনে আধুনিক জগতের গানের গায়ক হাবীব সেই গানগুলোকে আঞ্চলিক থেকে ফিউসন বানিয়ে ফেলে। ছড়িয়ে পরে সারা দেশে তবে সুর, তাল আর কথা উচ্চারণে বিকৃত হয় অনেক।
বসন্ত বাতাস নিয়া আমরা যত আনন্দ করি, পৃথিবীতে সেই সময় কত মানুষ ভোগ করছে নরক যন্ত্রনা। দু, চারজন মানুষের একগুয়েমির ফলে। তাই পাশাপাশি যন্ত্রনার কথাও বলে দিলাম।
শিশুদের রক্তাক্ত ছবি যে আর নিতে পারি না।
কিন্তু আপনি আমি আর কি করতে পারি বলেন।
বসন্ত শুভেচ্ছা

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: তবু ভালো,বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ বসন্ত বাতাসে ভেসে আসে।এমন সৌভাগ্য কয়জনের হয়।আদা দিয়ে গ্রীন টি খান,গলা ভালো হবে।মনোমুগ্ধকর লেখা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনি উপভোগ করছেন না। এবার তো বসন্ত লেগে গেছে। পনের ডিগ্রী ভাবা যায় এই শীতে।
ঐ যে বললাম ঘরোয়া রেমিডি, আদা চা মধু কমলা লেবু, স্যুপ এসব চলছে।

ধন্যবাদ লেখা মনোমুগ্ধকর লেগেছে জেনে ভালোলাগছে।
বসন্ত শুভেচ্ছা

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

এম ডি মুসা বলেছেন: বস্তুত শুধু গাছের ডগায় মনের ডগায় নয়... যদি বসন্ত দেখবেন পৃথিবীর বুকে ষা তাকিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখতে হবে। নানা সমস্যার উপরে উল্লেখিত। তবে বসন্ত তো তখন আসে,, যখন নিজের স্বার্থে - জয় হয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমি চেষ্টা করি নিজের মতন সবকিছু উপভোগ করতে, যা উপরে লেখায় উল্লেখ করেছি।
কেউ বসন্ত উপভোগ করে, কেউ দুর্দশায় কাটিয়ে যায় জীবন । কিন্তু বসন্ত আসে কারো উপভোগ করার সুযোগ হয় কেউ উপভোগ করার সময়ও পায় না ।
ধন্যবাদ শুভ বসন্ত

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
শুভ বসন্ত আপা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন বড়ুয়া। এখন গলায় একটু খুসখুসে কাশি ছাড়া আর কোন সমস্যা নেই আশা করছি ঠিক হয়ে যাব এবং সেই সুস্থতা থাকব
আপনারাও ভালো থাকবেন শুভ বসন্ত

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আ্পনি হলেন ব্লগের বরফ কন্যা। আপনার লেখা জুড়ে হিমকাহিনী । এতো ঠান্ডার মধ্যে থেকেও অবিরাম লিখে চলেছেন ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বুঝলাম না হিম কন্যা, বরফ কন্যা এসব। আমি তো সব সময় থাকি মহা আনন্দে, উত্তাপে হিম হলাম কখন?
হিম কাহিনী কখনো লিখি যখন প্রয়োজন পড়ে এবং যা বাস্তবতা।
আমি নিজে কিন্তু উত্তাপে, ফাগুনে ভরপুর।
ঠান্ডা গরম সব অবস্থায়, লেখা অবিরাম চলে এবং চলবে বিরামহীন
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য শুভ বসন্ত

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ লেখার সাথে ছবি বোনাস। দারুন ঝরঝরে লেখনী। দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সুস্থতা কামানোর জন্য । লাইলী আরজুমান খানম লায়লা
লেখা ভালো লাগার জন্য বোনাস পাওনা হলো আমার ।
ছবি দেশে তুলেছিলাম বিভিন্ন সময়ে কয়েক বছর আগে ছবি।
শুভ বসন্ত

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বসন্ত উপলক্ষে একটি পোস্ট করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা আর হলো কই!
সবার হ্রদয়ে বসন্তের ছোঁয়া লাগুক সে প্রত্যাশাই করছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ
লেখা হয়নি তাতে কি লিখে ফেলেন,
বসন্ত থাকবে দুমাস পর্যন্ত তাড়াহুড়া করে প্রথম দিনে লিখতে হবে তার কোন কারণ নেই আর মানুষের মনে বসন্ত থাকে সারা সময় ঋতুর বসন্ত আসে কেবল দুই মাসের জন্য ।
সময়টা উপভোগ্য উপভোগ করা ভালো বসন্তের ছোঁয়া লাগুক সবার প্রাণে ।
বসন্ত শুভেচ্ছা ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের বয়স হয়ে গেলে, বারবার এবং অবধারিত ভাবে মানুষ সৃতিচারন করে।
সৃতিচারনে উঠে আসে অতীত।
শীত কালের চেয়ে বসন্ত কালটা আমার বিশেষ প্রিয়। এই ঋতুতে না শীত না গরম?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: স্মৃতিচারণ ছাড়াও মানুষ অনেক কিছু লিখে ।
ঋতু আমাদের নানারকম সময় উপভোগ করার সুযোগ করে দেয় । যে জানে সে উপভোগ করতে পারে ।
শুভ বসন্ত

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

প্রামানিক বলেছেন: ছবি লেখা দুটোই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক

অন্য একটা কথা বলি, ফেসবুকে আপনার ৫০০০ বন্ধু ফেসবুক তাই আমাকে যোগ করবে না।
আপনি হয়তো ভাবছেন আমি আপনাকে এ্যাড করছি না।

বসন্ত শুভেচ্ছা

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বসন্ত নিয়ে চিন্তা করার সময় নাই, সকালে অফিস রাতে ফেরা, কি আসলো কি গেল, বুঝি না! দিন শেষ টাকা লাগে, সেটা যোগাড়েই টাইট অবস্থা! কারো কমতি সয় না!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: জীবন যাপনের গেরাকলে নিজেকে আটকে ফেললে কিছু উপভোগ করা যায় না কিন্তু সময় চলে যায় তাই মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশের রং দেখলেও ভালো লাগে । বসন্ত নিজের আনন্দে আসবে যাবে, কেউ উপভোগ করবে কেউ করবে না ।
শুভ বসন্ত ।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: পরিবারের ছোট বড় সবাই আক্রান্ত। কিছুদিন হাসপাতাল জরুরী বিভাগ থেকে অবস্থান সব কিছু করতে হলো। এ অবস্থা শুধু আমার নয়, বন্ধু আত্মিয় পরিজন যাদের সাথে কথা হচ্ছে সবার পরিবারে এই অবস্থা চলছেএকজন ভালো হচ্ছে আরেকজন অসুস্থ হচ্ছে। আবার ঘুরে প্রথমজন অসুস্থ্য হচ্ছে। অনেকের এখন আবার কোভিডও হচ্ছে। কেন যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতির বদলে যাওয়ার সাথে সাথে কোভিডের বদলে যাওয়া নানা ভাইরাস প্রখর নয় কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমাদের ক্ষয় করার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশে আমাদের অবস্থা একই রকম। কোনভাবেই সর্দিকাশি গলাব্যাথা পুরোপুরি যাচ্ছে না। পুরো সারার আগেই ফিরে আসছে। প্রাকৃতিক চিকিৎসায় পুরো নিরাময় হচ্ছে না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: গবেষক নই, বিজ্ঞানীয় নই । তবে নিজের ভাবনায় অনেক সময় মনে হয় বাতাসে কিছু একটা আছে । অক্টোবরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে ফ্লু সিজন
একবার ফ্লু হলে মোটামুটি সারা সিজন ভালো থাকা যায়। কিন্তু এবার সেটা হচ্ছে না আমার ধারণা, কোভিটের প্রভাব ফ্লুতে রয়েছে ফুসফুসে গলায় আক্রান্ত করছে মানুষ কে বেশি।
দেশে অসুস্থ হচ্ছে সেটাও খবর জেনেছি, আপনারা ভালো থাকুন । আমার একটা কঠিন সময় গিয়েছে তবে এখন ভালো সুস্থ আছে সবাই ।
প্রাকৃতিক নিরাময় আশা করি কাজ দিবে একটু ভালো হলে বন্ধ করে দিন সেটাও একটা সমস্যা তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক অথবা অন্য কোন ঔষধ নিতে হবে না ।
ধন্যবাদ শুভ বসন্ত

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফাল্গুনী শুভেচ্ছা আপু !
লেখায় ভালোলাগা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা
কেমন আছো? অনেকদিন পর দেখলাম
বসন্ত শুভেচ্ছা

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখা প্রাসঙ্গিক মন্তব্য হলে উত্তর না দেয়ার কোন কারণ নাই।
স্মৃতি কাতর মানুষ অনেক কিছু করতে পারে না। এক বৃত্তে ঘুরতে থাকে।
শুভেচ্ছা

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: উপভোগ্য লেখা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: প্রকৃতির সবচেয়ে প্রিয় সন্তান মানুষকে তৃপ্ত রাখতে, প্রকৃতির চেষ্টার কোন অন্ত নাই। প্রকৃতি নিজেকে নানা রং, বৈচিত্র, রুপ দিয়ে মানব মনকে রাঙ্গিয়ে দিতে নিত্য-নতুন রুপে নিজেকে সাজিয়ে উপস্থাপন করে মানুষের ইন্দ্রিয় সমীপে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক শুধু মানুষ সে বৈচিত্র ধরতে পারে না। দেখেও না বেশির ভাগ মানুষ।
বর্তমান সময়ে প্রকৃতির মাঝে গিয়ে মানুষ মোবাইল নিয়ে বসে থাকে।
অপথ প্রকৃতির মাঝে পাওয়া যায় আনন্দ কোন কিছু ছাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.