নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ,আর কি কোন পরিচয় চাই?আমার তা মনে হয় না ....

জায়গীরদার

..I'm the world you’ll never see I'm the slave you’ll never free I'm the truth you’ll never know I'm the place you’ll never go I'm the sound you’ll never hear I'm the course you’ll never steer I'm the will you’ll not destroy I'm the mystery you'll never solve..

জায়গীরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনোবলটা যেন বেড়ে গেলো অতিমাত্রায়

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫২

আমাদের আশেপাশে হরেক রকমের ভিন্ন স্বাদের মনুষ্য রয়েছেন।
তাদেরকে আমরা খুব সহজে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
দরুন সেই সকল হরেক রকমের মানুষের মধ্যে একদল হলো যারা নিজের পরিবারের পাশাপাশি দেশ সমাজ ও জাতির জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছা রাখে,এবং কাজ করে যায়।
এইদলের পাশাপাশি আরেকটি দল হলো যারা প্রথম দলের মানুষের কাজ বা কাজ করার ইচ্ছাটাকে সম্মান দেয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম দলকে সাহায্য করে।
এরপর যে দল রয়েছে তারা হলো যারা প্রথম দলের মানুষগুলোর কাজকে উৎসাহ না করে চুপচাপ কোনপ্রকার কথা না বলে মহাত্মা গান্ধীর তিন বানরের মতো চোখ-মুখ-কান বন্ধ করে এককোণে দাঁড়িয়ে থাকা।
আর সর্বশেষ যে দলটি উনারাতো সবচেয়ে মহান ...
কোনকিছু বোঝার আগেই প্রথম দলটির মানুষদের উৎসাহ দেয়া বা না দেয়াতো অনেক দূরের বিশয়,উনারা সাথে সাথে ছাগলের তিন নাম্ববার বাচ্ছার মতো লাফাতে শুরু করে দেয়।
তাও যদি ছাগলের তিন নাম্ববার বাচ্ছার মতো লাফাতো থাতেও কোনরূপ দুঃখ ছিলোনা।
উনারা তার থেকেও এগিয়ে,প্রথমদলের মানুষদের ছোট করতে,অপমান করতে,তাদের মনোবল নষ্ট করার কোনরূপ ত্রুটি রাখেন না।
মনে হয় যেন প্রথমদলের মানুষদের একটা ভালো কাজের উদ্যোগকে বন্ধ করতে বা সেই কাজটা যাতে সঠিকভাবে সম্মন্ন না হয় সেই মহৎ কাজের জন্যই এনাদের জন্ম হয়েছে।
অবাক হওয়ার কিছুই নেই কারণ আমাদের বর্তমান সমাজে প্রথম ও দ্বিতীয় দলের থেকে তৃতীয় আর চতুর্থ দলের মানুষের অভাব নেই।
মনে হয় যে উনারা চুক্তি করেই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন যে আমরা কোনরূপ ভালো কাজ যে কাজে দেশ সমাজ ও জাতির উন্নতি হয় সেই কাজতো করবোই না বরং যারা করতে চাইবে তাঁদেরকেও করতে দিবও না।
এতে দেশ,সমাজ ও জাতির ক্ষতি হলে আমার বাপের কি আশে যায়।
আমিতো সকালে ঘুম থেকে উটার পর ভরপুর নাস্তা করছি,দুপুরে ও রাতে হরেক রকমের খাবার দিয়ে পেট পূজো করছি।
পাশের বস্তির সেই পিচ্ছি ছেলে/মেয়েটা একবেলা কিছু খেতে পারলো কি পারলোনা থাতে আমার কি আশে যায়।
তবে হ্যা আমার আসে যাবে অনেককিছুই যদি দেখি আমার পাশের বাসার ভদ্রলোকটি ঐ ছেলে/মেয়েকে খাবার কিনে খেতে দেয়।
পিত্তি জ্বলে যায়,কি করা যায়?
ভাবো ভাবো .........
হ্যা এইতো পেয়েছি কাল বাসার সামনের টঙ্গের দোকানে যখন চা আর বিঁড়ি ফুঁকতে যাবো তখন
আলোচনায় বসতে হবে।
এই ভদ্রলোক কেন খাবার কিনে নিয়ে যায় ঐ বাচ্ছাগুলোর জন্য ?
তার কি এতো দায় পরলো?
হুম আরে বুঝলেন না ঐ ভদ্রলোকটার নজর পরেছে ঐ বাচ্ছাদের মায়ের উপর আর তাইতো এতো কিছু...।
একটা অসহায় বাপ মরা বাচ্চারা যাদের মা সারাদিন অন্যের বাড়ি কাজ করে লাথি গালাগালি শুনে শুধু তার বাচ্চাদের দুমুঠো খাবার খাওয়ানোর জন্য,সেই পরিবারটিকে সাহায্য করতে গিয়ে এখনতো দেখি বেচারা ভদ্রলোকের চরিত্র নিয়ে এলাকায় কানাকানি শুরু হয়ে গেছে।
এটা আমাদের বর্তমান সমাজের অবস্থা।
আমরা কেউ যখন ভালো কোন কাজ করার উদ্যোগ নেই তখনই ঐ সকল ছাগলের বাচ্চারা লাফাতে শুরু করে দেয়।

কাল আমি আর আমার স্কুল জীবনের কিছু বন্ধুরা মিলে ইফতার করছিলাম।
একেকজনের সাথে ১২-১৩ বছর পর দেখা।যাইহোক ইফতার করার পর আমি আমার বন্ধুদের সামনে একটা প্রস্থাব উত্থাপন করলাম যে এবারের ঈদে আমরা আমাদের শহরের পথশিশুদের ঈদের কাপড় কিনে দিব,আর যদি বাজেটে হয় তাহলে কিছু মানুষকে ইফতার করাবো।
সাথে সাথে আমার সব বন্ধুরা তাঁদের সাধ্যমতো সাহায্য করলো।
প্রায় ১১০ পাউন্ডের মতো হয়ে গেলো।
তারপর বাসায় ফিরে ফেইসবুকে নিচের লেখাটি পোস্ট করে মেসেজ অপশনে একটা গ্রুপ করে আমার ফেইসবুক বন্ধুদের পাঠালাম।


প্রথমেই আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এভাবে হুট করে এই মেসেজ থ্রেডে এড করার জন্য। আর কয়েকদিন পরই ঈদ। ঈদ উপলক্ষে আমাদের সবার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। মহান আল্লাহ্‌তালার কাছে প্রার্থনা করি এবারের ঈদ যেন পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আপনাদের আনন্দে কাটে। আজ আপনাদের এই মেসেজ থ্রেডে এড করেছি সম্পূর্ণ এক ভিন্ন কারণে। এই সিয়াম সাধনার মাসে আমরা চেষ্টা করি যতটা সম্ভব সংযত হয়ে জীবন যাপনের। আমরা সারাদিন রোজা রেখে অভুক্ত অবস্থায় আল্লাহ্‌তালার ইবাদত করি। কিন্তু আমরা কি জানি, পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ আছে যারা অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে অভুক্ত জীবন যাপন করে। আসলে আমরা জানি। রমজান মাস আসলে আমরা চেষ্টা করি সেইসব দরিদ্র অভুক্ত মানুষদের কষ্টটা কিছুটা হলেও অনুভব করার। কিন্তু আমাদের এই অনুভব সেইসব হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের মুখে একবেলা খাবারের যোগান দিতে পারে না। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় ঠিকই আমরা নানা পদের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসি। আর ওইদিকে সামান্য পয়সার অভাবে সেইসব দরিদ্র অভুক্ত মানুষদের ঘরে হয়তো চুলাটা পর্যন্ত জ্বলে না। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু আমরা চাইলে অন্ততও কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি। আমাদের সামান্য সহায়তা আর কিছু হোক না হোক, অন্ততও কিছু পথশিশুর মুখে হাসি ফোটাতে পারবে। একটা নতুন জামা, একটা নতুন প্যান্ট, এক জোড়া নতুন জুতা! একটু চিন্তা করুন, এক পথশিশু যাকে একবেলা খাবার যোগার করতে সারাটা দিন পথে পথে ঘুরতে হয়, সেই শিশুটি যদি ঈদে নতুন জামা কাপড় পড়ে একবেলা পেট ভরে খেতে পারে, তাহলে তার কতটা আনন্দ হবে! নতুন জামা পড়া অবস্থায় তার হাসি মুখ কল্পনা করুন। এই হাসি পৃথিবীতে জন্ম নেয়া কোন হাসি না, এই হাসি স্বয়ং আল্লাহ্‌তালার কাছ থেকে প্রেরিত সোয়াব। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারের ঈদে কিছু পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর। বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। একটা নতুন জামা, একটা প্যান্ট, এক জোড়া জুতা আর ঈদের দিনে পেট ভরে একবেলা খাবার। ব্যাস, এটুকুই। আজ আপনাদের সবাইকে এই মেসেজ থ্রেডে এড করেছি আমাদের এই উদ্যোগটা আপনাদের সবাইকে জানানোর জন্য। আমি আমার একাউন্ট নাম্বার এখানে দিচ্ছি। আপনারা কেউ যদি আমাদের এই উদ্যোগে শরিক হতে চান, তাহলে সাধ্যমত সাহায্য করতে পারেন। কারো উপর কোন চাপ প্রয়োগ করছি না। সবার সামর্থ্যও এক না। আপনি যদি খুশি মনে ১ পাউন্ড ও সহায়তা করেন, সেটাও গ্রহন করা হবে। টাকা পয়সা এমন একটা জিনিস যেটা ছাড়া পৃথিবী অচল। আবার এই টাকা পয়সাই পৃথিবীর যত ঝামেলার কারণ হয়। যখনই কোন ভালো কাজে টাকা পয়সার ব্যাপারটা জড়িয়ে যায়, তখনই সেখানে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই আমি মুহিত ব্যাক্তিগতভাবে যাবতীয় হিসাবের দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের দেয়া প্রতিটি পয়সার হিসাব এই মেসেজ থ্রেডে প্রকাশ করা হবে। আবারও বলছি, কাউকে জোর করছি না। যেকোন ভালো কাজে অংশগ্রহন করতে হয় মন থেকে। তাছাড়া সবার অর্থনৈতিক অবস্থাও হয়তো এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো না। তাই যদি সাহায্য করার ক্ষমতা কারো না থাকে, তাহলে দয়াকরে দুঃখিত হবেন না। শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

যাইহোক কিছু বন্ধুরা উদ্যোগটাকে পজিটিবলি নিলেও ঐ যে আমাদের চিরচিরায়িত ছাগলের তিন নাম্ববার বাচ্চারা ওদের পিত্তে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।


যাইহোক কেও এগিয়ে আসুক আর নাই আসুক আমরা বন্ধুরা যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছি তা বাস্তবায়ন করবোই।
প্রখর মনোবল ও ভালো কিছু করার ইচ্ছাটা থাকলে কোন ছাগলের তিন নাম্ববার বাচ্চারা আমাদের রাস্তায় বাঁধা হতে বা বাঁধা তৈরি করতে পারবেনা এটা আমার দৃঢ়ও বিশ্বাস।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ। ধন্যবাদ

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: প্রামািনক বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ। ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

জায়গীরদার বলেছেন: দোয়া করবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.