নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্রসন্ন

সপ্রসন্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বগালেকের বমকন্যা ও চন্দ্রাস্ত

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৫

বগালেকের নির্দেশফলক

রাত আটটা। বগালেকের রাত। এই রাতেও চাঁদের রাজ্যে সোলার বাতির দাপট। তাই একটুকরো উঠানজুড়ে সপ্তমীর চাঁদের আলো তেমন বোঝা যায় না। আশেপাশে বেশ কয়েকটা ভ্রমণ টিম আছে আমাদের মত। একদল তরুণের মাঝে গিটারের বাজনায় গান চলতে থাকে। তারা সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বারবিকিউ করে। ঠিক একটু দূরেই কিছু মানুষ গোল হয়ে আগুন পোহায়, হলুদ ফুলকি বিন্দু বিন্দু হয়ে মিশে যায় রাতের আঁধারে। আর আমাদের লোকজন আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। রাতের খাবারের ডাক আরেকটু পরে।

বগালেকপাড়ায় মূলত বম উপজাতিরাই থাকে। সিয়াম দিদির মূল কটেজের পাশে একই সারিতে অনেকগুলো কটেজ। এগুলো প্রত্যেকটাই দোকান কাম বাড়ি। বাড়িগুলোর তিনটা পার্ট- বাইরে বারান্দা, এরপরে ভেতরে দোকান, আরো ভেতরে শোবারঘর ও রান্নাঘর। সেরকম একটা দোকানে চা খেতে আসি। কারণ এর আগে বাংলালিংক দামে পাওয়া চিনি দিয়ে বানানো ঠান্ডা চা খেয়ে তেমন ভালো লাগেনি।
ঐ দেখা যায় বম বাড়ি, বগালেকের পূর্বপ্রান্তে।

আমরা বসি বাইরের দিকে, বারান্দায় রাখা বেঞ্চিতে। মুখোমুখি দুই সারি বেঞ্চ। ওপাশের বেঞ্চের সাথে লাগোয়া টেবিলও আছে। দোকানে সাজানো নানা রকম বিস্কুট, চিনি দুধের কৌটা, চিপ্স ইত্যাদির প্যাকেট। দোকানের প্রধানরূপে এক তরুণিকে দেখা যায়। তার পিঠে এখানকার কায়দায় ঝুলানো এক পিচ্চি মেয়ে।
ছবিটি প্রতীকী, মানে এই লেখার কন্যাটি নন। কিন্তু বগালেকের আরেক বমকন্যা বটে।

তাকে বলি, রঙ চা হবে? সে প্রথমটায় যেন শোনে নি, তারপর আবার জিগ্যেস করায় বলে, হবে তো। দিতে বলি। সে ফ্লাস্কে রাখা গরম চা ঢেলে দেয় মগে, তারপর চিনি দেয়। আসে গাঢ় লিকারের মসলাবিহিন রঙ চা।

আমি এবং আবদুল্লা তার সাথে তেমন আলাপ শুরু করতে পারি না। কি বিষয়ে শুরু করব তা বুঝি না বলেই হয়তো। তবে জিনাপাড়ায় পাহাড়িদের সাথে সেই ইন্টারএকশনের কথা বেশ মনে পড়ে। চা শুরু করি। এবারের চা গরম, মিষ্টতাও আগের চেয়ে কম। বাড়ির ভেতরের রান্নাঘরে দেখা যায় এক লোক রান্না করে। তারপর তরুণিটিও ঐ লোককে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়, লাকড়ি নেড়েচেড়ে দেয়। সুবিধার জন্যে সে তার পিঠে রাখা পিচ্চি মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। আর পিচ্চি মেয়েটা তার মাতৃভাষায় সামনের দোকানঘরে হেঁটে হেঁটে খেলে বেড়াতে থাকে। তারপর হঠাৎ ভেতরে যায়, অসতর্কতায় লাকড়ি টেনে ধরে আর এরপরেই কান্না জুড়ে দেয়। হয়তো আগুনের আঁচ পেয়ে থাকবে। তা দেখে তাদের ভাষায় মৃদু বকা দেয় তরুণি মা-টি। একটুপর এক বৃদ্ধা এসে কোলে নিয়ে শান্ত করতে থাকে পিচ্চি মেয়েটিকে। তাদের সম্পর্ক অনুমান করতে চেষ্টা করি। বাবা রান্না করছে, মা এসে নাতনিকে নিয়েছে, মেয়ে বাবাকে হেল্প করছে।

আমাদের চা আর আড্ডা চলে। একসময় বাড়ির কর্তা অর্থাৎ মেয়ের বাবা কিংবা নাতনির দাদা এসে আমাদের বেঞ্চির সামনে এসে দাঁড়ায়। তার পরনে শার্ট, হাফপ্যান্ট। বলে, মামা, আপনারা আসছেন কোথা থেকে? বলি, ঢাকা।
-আচ্ছা মামা, আপনারা চা খান। আমি ব্যস্ত মামা, রান্না করছি তো। এক পার্টি আসছে। আবার এসে কথা বলব।
আপনার নামটা?
-মামা, আমার নাম আরপি।
আচ্ছা আরপি বোম।
উনি আবার ভেতরে যান। তার প্রতি বাক্যে মামা সম্বোধন শ্রুতিকটু লাগে।
বগালেকের পাশ ঘেঁষে বমকন্যার দল

আরপি বোম ভেতরে যাবার অল্পক্ষণ পরেই দুজন মধ্যবয়স্ক মানুষ আসেন। একজনের কালো গোঁফ আরেকজন কিছুটা স্থুলকায়। তারা বসেন আমাদের মুখোমুখি অন্য বেঞ্চিতে। তাদের মনে অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতূহল। দোকানের সবকিছুই তারা চেখে দেখে। এত কিছু দেখার পর তারা চা না কফি খাবে, তা নিয়ে তাদের সীমাহীন সিদ্ধান্তহীনতা।

তরুণি মেয়েটি সমাধান দেয়, এটা ক্যালসিয়াম, খেয়ে দেখেন। তাই তারা সেটাই অর্ডার করে। আমাদের পেছনেই প্যাকেট ঝুলানো। দেখি ক্যালসিয়াম বলে কিছু নয়, নাম হল ক্যালসোম, এটা আসলে বার্লি আর গমের মিশ্রণ, অনেকটা হরলিক্সের মতন হতে পারে। তবে ক্যালসিয়ামের অস্তিত্ব আছে। মেয়েটি একদম ভুল নয়।

মেয়েটা দু মগ 'ক্যালসিয়াম' বানাতে থাকে। আর ঐ দুটি লোক তাকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন মেলে দেয়। প্রশ্নের ধরণ নিরীহ থেকে ধীরে ধীরে অফেন্সিভে যেতে থাকে। কথাবার্তায় স্থুলকায় ব্যক্তি সিরিয়াস আর কালোগুফো হাসে বেশি। দুই বিপরীত মেরুর মানুষ একসাথে এল কেন কে জানে।

সিরিয়াস লোকটি বলে,
আপনাদের বগা লেকে মাছ পাওয়া যায়?
- হুম যায় তো। ছোট ছোট মাছ।
তাহলে বড়শি নিয়ে গেলে মাছ ধরা যাবে, তাই না?
-হুম যাবে। তবে আমরা মাছ বেশি খাই না, পাহাড়ে মাছ পাওয়া যায় না।
আপনি মাছ ধরেন?
- না।
শুনে গোফওয়ালা লোকটা বলে, আরে মাছ ধরলে তো জাইল্লা বিয়া করত! হা হা।
আচ্ছা আপনি কি বাংলাদেশি না বাঙালি?
-আমি? আমি হলাম ইন্ডিয়ান। মেয়েটি কৌতুক করে বলে।

মোটা সিরিয়াস লোকটার প্রশ্ন শুনে যতটা না হাসি পেল, মেয়েটির রসিক উত্তর শুনে হাসি পেল আরো বেশি! আমি যোগ করে দেই, না আপনি আসলে বার্মা থেকে আসছেন। শুনে মেয়েটি তাদেরকে উত্তরে বলে, আমি আসলে বার্মিজ, বার্মা থেকে আসছি। এটা বাংলাদেশ না, এটা বার্মা। এখানে আপনি আসলে বার্মায় ঘুরতে আসছেন।
গোফওয়ালা লোকটি হাসতে থাকে। সাথে আমরাও। কিন্তু সিরিয়াস লোকটি হাসে না।
ঠিক এ মুহূর্তে, আরপি বোম আসে। সিরিয়াস লোকটি তাকে বলে, এই মেয়েটি কে?
-এ আমার মেয়ে।
আমি ভাবি, আমার অনুমান সঠিক।
বাপরে আপনার মেয়ে তো ডেঞ্জারাস। সে নাকি বাংলাদেশের না, বার্মার! শুনে আরপি হাসে। হাসি যেন বলে, আমার মেয়ে তো এমন মশকরা করেই থাকে!
-হুম আমি তো বার্মারই। আপনি কোন দেশের? মেয়েটি আবার বলে।
আমিও বার্মার। উত্তর দিয়ে লোকটি নিশ্চয় ভাবে, এবার সে মজা নেবে, কারণ আরপি বমের কন্যার মত সেও বুদ্ধি করে উত্তর দিয়েছে। কিন্তু মেয়েটি বলে,
-ও তাই নাকি। আপনি বার্মার হলে বলেন তো বার্মার ভাষা। একটু শুনি।
লোকটা থতমত খায়। এমনটা সে আশা করেনি!
-আচ্ছা বার্মা ভাষা বলতে হবে না। বলেন তো, পং চিং পং এর অর্থ কি?
লোকটা তবু হাসে না। যাকে নিয়ে মজা করা হয়, সে হাসতে পারে না।
কট খেয়ে সিরিয়াস লোকটি কথা পরিবর্তন করে। টেবিলের পাশে বসা আরপি বমকে বলে, আপনার মেয়ে এগুলা কি খেতে দিয়েছে, কোন টেস্টই নাই!
মেয়েটা বিরক্ত হয়। বলে, আপনিই তো বললেন, এটা খাবেন।
তাও খেয়ে ভালো তো লাগবে। কি দানা দানা জিনিস, এগুলো জিহবায় লেগে থাকে!
মেয়েটা বিড়বিড় করে বলে, বেশি কথা বলে লোকগুলা।
বগালেকের এক চিলতে উঠোন

ক্যালসিয়াম শরবত ভালো না লাগায় দুই আগত অন্য কিছু খেতে মনোযোগী হয়। টেবিলে রাখা কলা নিয়ে বলে,
এগুলা পাহাড়ি কলা?
-হুম। পাহাড়ি এখানে যা আছে সব পাহাড়ি। আপনি যে বেঞ্চে বসে আছেন, পাহাড়ি বেঞ্চ। মেয়েটি বলে।
এবারো সিরিয়াস লোকটি হাসে না। তবে গোফওয়ালা হাসতে থাকে।
জাতীয়তা ছেড়ে এবার বয়সে নামে সিরিয়াস লোকটি। প্রশ্ন করে, আপনার বয়স কত?
-বয়স জেনে কি করবেন? বিয়ে করবেন?
হুম বিয়ে করব।
-হা হা। আপনাকে কে বিয়ে করবে। আপনার চুল নাই। পেট মোটা। বুড়ো মানুষ।
লোকটা হাত দিয়ে টাকার গোনার ইশারা করে। বলে আমার এটা আছে।
-কি? টাকা। টাকা দেখে কি হবে। আপনার টাকা দেখেও মেয়ে আসবে না!
তারপর লোকটি মেয়েটিকে পাত্র খুঁজে দেবার অনুরোধ করে। বলে, আমাদের সামনে দুজন জোয়ান ভাই বসে আছেন। তাদের জন্য পাত্রি লাগবে!

এতক্ষণ তাদের দুজন আর বম মেয়েটির কথা শুনি। এবার আমাদের সাথে এই দুজনের আলাপ হয়। তাই হয় গতানুগতিক পরিচয়পর্ব। এতক্ষণ পর যেন আমাদের দেখেছেন তারা!
বাড়ির বারান্দা থেকে নিচে নামে তার স্ত্রী। উঠোনে ঘুরে পিঠের পিচ্চি মেয়েটিকে ঘুম পাড়ানোর কাজ করে। আরপি বম অনেকক্ষণ থেকেই টেবিলের পাশের বেঞ্চিতে এসে বসা। সম্ভবত তার রান্নার কাজ কিছুটা গোছানো হয়েছে। সে এতক্ষণ মেয়ে আর আগত দুই ব্যক্তির কথা শুনছিল। এখন বলে, আমার মেয়ের বয়স তেইশ। ওর নাম বান থুয়ান। আর আমার বয়স ষাটের ওপর।
আপনারা কত বছর ধরে এখানে আছেন? আরপিকে প্রশ্ন করে সিরিয়াস লোকটি।
- জন্ম থেকেই তো আছি। প্রায় ষাট বছর।
আপনার জন্ম কি এখানেই?
উনি কোন এক পাড়ার নাম করে বলেন, তার জন্ম বগালেকের কাছাকাছি কোন এক গ্রামে।
আগের চেয়ে আপনার জীবনযাপনে এখন কোন পরিবর্তন আসছে?
-হুম। অনেক পরিবর্তন। এক সময় রুমা হেটে যাওয়া লাগত। ভোরে রওনা দিলে সন্ধায় পৌছা যেত। এখন তো রাস্তা হয়ে গেছে।
হুম আপনার বেশ পেটানো শরীর। দেখে বুঝাই যায়, আপনি পরিশ্রমী।
- হ্যা। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, এই ৬০ বছরে আমার বড় কোন অসুখ হয় নাই!
বাবার সাথে আলাপ শুরু করে মেয়ে। আমার বাবা ছোটবেলায় হরিণ নিয়ে আসতো আমাদের জন্য।

আরপি বম কথা লুফে নেয়। বলে, আমি অনেক ভাল শিকারি। আগে প্রতিদিন দুই একটা হরিণ শিকার করতাম। আমরা অবাক হই। মেয়েটার বয়স তেইশ। মানে আজ থেকে পনের বছর আগেও এখানেও হরিণ পাওয়া যেত।
এখন পাওয়া যায়?
-না এখন তো পাওয়াই যায় না। আগে দাম ছিল ত্রিশ টাকা, এখন ছয়শ।
তার মানে আগের চেয়ে আপনাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে।
-অনেক সহজ। আগে কেরোসিনের তেলও ছিল না। এখন সোলার আছে। রাস্তা থাকায় যাওয়া সহজ। আপনারা আসেন বলে আমাদের ইনকাম হয়!

তাদের কথা গড়াতেই থাকে। রাত নটা পার হয়েছে অনেক আগে। আমাদের খাবারের ডাক আসে। আমরা বিদায় নিই।
যাবার আগে একটা রহস্য সমাধান করি। মেয়েটাকে বলি, আপনার বাবার নাম আরপি কেন? এটা কেমন জানি,
বম টাইপ লাগছে না!
-ট্যুরিস্ট এলে তাকে ঐ নামেই ডাকে। ডাকতে সহজ তো! তার আসল নাম একটু কঠিন। লিয়ান থুয়ান।
আচ্ছা তাই বলেন।

রাতের খাবার সেরে আমরা আসি বগালেকের পাড়ে। একটা বিশাল পাথরের গায়ে আমরা বসে থাকি। আমি বাদে বাকি চারজন গান ধরে। সেই গান রাতের স্তব্ধতা ভেঙে পৌঁছে যায় ওপারের আর্মিক্যাম্পে। প্রায়ই টর্চ জ্বেলে তারা পুরো লেকের চারপাশে আলো ফেলে। বসন্তের মৃদু বাতাস রাতের শীতলতায় তীব্র হয়েছে। লেকের পানিতে ছড়িয়ে আছে চাঁদেরকণা। আর পশ্চিমে হেলে পড়ছে চাঁদ।
হাজার বছরের মিথ মিশে আছে লেকের পানিতে। কখনো বাতাসে, কখনো পাহাড়ের ছায়ায় বদলে যায় রূপালি পানি। সেখানে আলোছায়ার মাঝে কল্পিত বগার প্রতিরূপ যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বগা মানে ড্রাগন, বমদের বগালেক মানে ড্রাগন লেক। অনেক, অনেক কাল আগে এখানেই এক বগা অর্থাৎ ড্রাগনকে হত্যা করেছিল বম শিকারিরা, হয়তো শিকারি আরপি বমের মত কোন পূর্বপুরুষ। হত্যার পর সেই ড্রাগনের মুখ থেকে বেরিয়ে আসা আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় আশেপাশের বম গ্রাম। আর ড্রাগনের মতন হা হয়ে থাকা এই গর্তে পানি জমে তৈরি হয়ে যায় এই অপূর্ব লেকটি। অতঃপর বান থু বমের মতন কন্যারা পায় স্নান করার লেক, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা কাটানোর মত সবুজ, সন্ধ্যা শেষে চাঁদ পায় তার আয়না।

চাঁদ ধীরে ধীরে পাহাড়টাকে ছোয়। রচিত হয় চন্দ্রাস্তের গান।

জোছনা এলে শেষে, বগালেকে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন।পড়ে অনেক ভাল লাগল।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রইল। ভাল থাকবেন!

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।

এত চমৎকার ঝরঝরে লেখা না পড়লে অাক্ষেপ থেকে যেত। বমদের নানাদিক সাথে জীবনযাত্রার স্থুল পরিবর্তন বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সপ্রসন্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনুপ্রাণিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.