নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবল আবেগ আমার নিয়ন্তাসচেতন তবুও এক নি:শ্বাসে লিখে ফেলতে চাই একটি মহাকাব্যচোখের নিমেষেই মুছে ফেলতে চাই সকল অশুভ চরিত্র।কান্ডজ্ঞানহীনের মতোউন্মোচিত করতে চাই সত্যকে। মনে উচ্চাকাঙখা--শ্রেনী সংগ্রাম। আমাকে অনুসরণ করবেন না নাস্তিক, অপরিবাররিক, অসামজিক, দেশদ্র

আমি কি মানুষ

নামে মানুষ কামে নই, অগোচালো ভাবনা, নিজে কে মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতে আছে সংশয়

আমি কি মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বড় চোর?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

ব্যাংক ডাকাতির সময় এক ডাকাত সবাইকে বলল, 'কেউ নড়াচড়া করবেন না, মাটিতে শুয়ে পড়ুন। ব্যাঙ্কের টাকা আপনার নয়, কিন্তু আপনার জীবন আপনার, যা বলছি তাই চুপচাপ মেনে নিন'। এইটাকে বলে 'মাইন্ড চেঞ্জিং কনসেপ্ট'। সাধারণ চিন্তাকে বিপরীত দিকে ঠেলে দেয়া। হঠাত এক মহিলা টেবিলের উপর শুয়ে পড়ল। ডাকাত সর্দার বলল, 'এই যে মেডাম এখানে শুটিং হচ্ছে না, ডাকাতি হচ্ছে। আমার কথামতো মাটিতে শুয়ে পড়ুন, নইলে গুলি করে দিব'। এটাকে বলে 'প্রফেশনালিজম'। যে জন্য ট্রেইন করা হয়েছে সেটাতে মনোযোগ দেয়া।

ডাকাতির পর বাসায় ফিরে শিক্ষানবিশ ডাকাত বলল, বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি। সর্দার বলল, 'আরে গাধা এখানে অনেক টাকা গুনতে সময় লাগবে। রাতের খবর দেখ তাহলেই বুঝতে পারবি কয় টাকা চুরি হয়েছে'। এইটাকে বলে 'অভিজ্ঞতা'। বর্তমানে তাই শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক বেশি।

ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ব্যাংক অফিসার ম্যানেজারকে বলল, পুলিশকে খবর দেই। ম্যানেজার বলল, ওকে। যা টাকা আছে সেখান থেকে আমরা আগে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেই। তারপর যে টাকা চুরি হয়েছে সেটার সাথে এই টাকা যোগ করে পুলিশ রিপোর্ট করব। তারা দুজনে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা সরিয়ে রাখল। একে বলে 'স্রোতের সাথে তাল মেলানো'। প্রতিকূল অবস্থা নিজেদের অনুকূলে আনা। ম্যানেজার আফসোস করলো ইশ প্রতি মাসেই যদি ডাকাতি হত! এই অবস্থাকে বলে 'হতাশাকে আশায় রূপ দেয়া'। বাধ্যগত চাকুরীটাকে ব্যক্তিগত সুবিধাতে পরিণত করা।

রাতে নিউজ হলো ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকার ডাকাতি হয়েছে। দুই ডাকাত বারবার গুনেও দেখে মাত্র পঞ্চাশ লক্ষ টাকা তারা আনতে পেরেছে। একজন আরেকজনকে বলল, আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ইনকাম করলাম অথচ ম্যানেজার কোনো কিছু না করেই পঞ্চাশ লক্ষ টাকা রোজগার করে ফেলল। তাইলেতো ডাকাতি করার চেয়ে পড়াশোনা করাই ভালো। এজন্যই বলে 'শিক্ষা/জ্ঞান স্বর্ণের চয়েও দামী'।

ম্যানেজার মুচকি হেসে মাথা নাড়ল। ডাকাতির কারণে তাদের যে লস ছিল সেটা রিকভার হয়ে গেসে। একেই বলে 'ঝোপ বুঝে কোপ মারা'।

এখন প্রশ্ন হইল বড় চোর কে বা কারা? শিক্ষিত লোকেরা নাকি অশিক্ষিত লোকেরা? যারা এক দেড় হাজার টাকা ছিনতাই করে তারা নাকি যারা কলমের খোঁচায় কিংবা আইনের মারপ্যাঁচে এক দেড় হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়?

(বিদেশি গল্প অবলম্বনে) collected.

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাও ভাল, শিক্ষিতরা চুরি করুক। আমি তা চাই। অশিক্ষিতরা চুরি করলে সমস্যা। প্রাণহানির ভয় আছে। আরো অনেক সমস্যা আছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

আমি কি মানুষ বলেছেন: শিক্ষিত চোর এর কারণে তো বাংলাদেশের এ অবস্থা !! অশিক্ষিত চোরেরা নিজের প্রয়োজন মত চুরি করে । শিক্ষিত চোর অন্য ১০০ জনের অংশ পর্যন্ত চুরি করে।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ভালো লিখেছেন।
খারাপ কাজের আবার ছোট বড় কী, শিক্ষিত অশিক্ষিত কী? খারাপ কাজ তো খারাপ কাজই, সেটা যেই করুক।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: Click This Link
লিংকটা দেখো

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

আমি কি মানুষ বলেছেন: লিংকটা দেখা যাচ্ছে না।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শিক্ষিত চোরদের জাতীয় ডাকাত বলাই শ্রেয়

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

আমি কি মানুষ বলেছেন: আপনার কথায় সম্মত আছি। অামার মনে হয় ডাকাত শব্দটিকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.