নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবারে মেয়েদের কথা শেয়ার করার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ চাই

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

গত কয়েকদিন থেকে প্রাইভেট পড়ে আসার পথে একটা ছেলে বাইক নিয়ে আমাকে ফলো করে। আমাকে দাঁড়াতে বলে, আমার সাথে কথা বলতে চায়। আমি না থামলে আজে-বাজে মন্তব্য করে। বাইক নিয়ে আমার রিকশার পেছন পেছন যায়। আমি ভয়ে কুঁকড়ে থাকি। মাঝে দুই দিন প্রাইভেটে যাই নি। কিন্তু ভয়ে ভয়ে তৃতীয় দিন গিয়ে দেখি সেই রোমিও হাজির। আমি সব সময় আতঙ্কে থাকি। বাড়িতে বাবা অসুস্থ্য। বাবার হাই প্রেশারের সমস্যা। কিছু বললেই রেগে যান আর শরীর খারাপ করে। আমার এই কথা শুনলে বাবার কি হবে আমি জানি না। আমার মায়ের সাথে আমার সেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই যে, আমি মাকে জানাব। আর আমার ভাইয়া ভীষণ রাগী। সে যদি শোনে তাহলে আমাকে মেরেই ফেলবে। সে ভাববে আমিই দোষী কারণ আমি ছেলেটাকে একসেস দিয়েছি। বলুন আমি এখন কি করব! আমি যে প্রাইভেট ছেড়ে দিব সেটিও পারছি না, তাহলে বাড়ি থেকে সন্দেহ করবে। আমি দুপুর বেলা পড়তে যাই। তখন রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকে। আমার প্রচন্ড ভয় লাগে। আমি কোনো মতে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারছি না। এখন আমি কি করব! এভাবে চললে আমার জীবনটাই শেষ হয়ে যাবে। আমি কিছুই ভাবতে পারছি না। আসলে প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়ে এরকম ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে কিন্তু ভয়ে কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। কারণ অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এসব অল্প বয়সী মেয়েগুলোরে জন্য সেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেন নি। অথচ উল্টো টা হওয়ার কথা ছিল। মেয়েটি বাইরে থেকে যতই ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করে আসুক বাড়িতে এসে বাবা-মা-বড় ভাই-বোনকে নির্দ্বিধায় বলতে পারবে এরকম একটা পরিবেশ গড়ে তোলা খুব জরুরী। ও যেন বাড়িতে আসলে সেই প্রশান্তি পায়। বাবা যেন মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে পারেন দূর পাগলি কিছুই হয় নি, আমি দেখছি তোর ভয়ের কিছু নেই। মা বলবেন, আমিই তোকে কাল থেকে নিয়ে যাব। বড় ভাইয়া বলবেন, আমি দেখছি তোর কোনো টেনশান নেই, তুই পড়। বড় আপা রাতে পাশে গিয়ে বসবেন আর অভয় দিবেন। এরকম হলে কিন্তু মেয়েটি সাহস পাবে লড়াই করার। ওর কাছে তখন এসব রোমিওদের ভয়-ভীতি তুচ্ছ মনে হবে। ওর কাছে দুনিয়াটা হবে অন্যরকম লড়াইয়ের এক ক্ষেত্র। কারণ ও জানে ওর চারপাশে ছায়ার মতো জড়িয়ে আছেন বাবা-মা-ভাই-বোন!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০

মনসুররবি বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।
আমাদের সবার বাসার পরিবেশ এমন হ্ওয়া উচিত যাতে সবাই খোলামেলাভাবে সব শেয়ার করতে পারি।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

বিজন রয় বলেছেন: সহমত।
কিন্তু.......

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

বিজন রয় বলেছেন: ইসলামিক কান্ট্রিতে অনেক সময় সম্ভব না।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ তো ইসলামিক দেশ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

আমার ছানা পোনাদের কাছে আমি সেই ভরসার জায়গাটা তৈরি করছি...যেনো তারা নির্দ্বিধায় তাদের যে কোন সমস্যার কথা আমাকে জানাতে পারে ।

সম্ভব... বড়দের সদিচ্ছা, আন্তরিকতার প্রয়োজন।
ছোটদের জন্যে নিরাপদ আবাস আমাদেরই গড়তে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.