নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পান্তা-ইলিশ হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

টিভিতে দেখলাম এক হালি ইলিশ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলো। আরেক মাছ ব্যবসায়ী জোরে জোরে বলছে, তাজা ইলিশ, ফুরফুরা ইলিশ, এক হালি মাত্র ৫০ হাজার টাকা, কিনে নিন, বাড়ি নিয়ে যান বাড়িতে তাজা ইলিশে সেই বৈশাখি উৎসব হবে। আমাদের কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আমাদের পূর্ব প্রজন্মের সবাই কম-বেশি কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর নতুন শিক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সমাজে অনেক ধরণের পেশার উদ্ভব হয়। আর এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষা বিস্তারের সাথে সাথে এখন দেশে একটা বড় অংশের শিক্ষিত মানুষ চাকরিজীবী। মজার ব্যাপার হলো এই চাকরিজীবীদের সবারই আগের প্রজন্ম কিংবা তার আগের প্রজন্ম কৃষক ছিলেন। এখন কৃষক পরিচয় দিলে কিংবা বাপ-দাদা কৃষক ছিলেন এটা ভাবতেই অনেকের শরীরে ঘাম চলে আসে। আর তাই বাপ-দাদার কৃষকের উত্তরসূরী তকমা ঝেড়ে ফেলতে ঢাকার অভিজাত শ্রেনির কিছু লোক গ্রামের কৃষকদের মশকরা করে চালু করলেন পান্তা-ইলিশ উৎসব। আরে গ্রামের কৃষক কি সাধে পান্তা খেত? ভোরবেলা উঠে মাঠে যাওয়া লাগে, মাঠ থেকে আবার বাড়িতে খেতে আসলে অনেক সময় নষ্ট হয়। আর পান্তা খাওয়া মানুষগুলো ছিলেন কৃষি শ্রমিক। মালিকের হাতে অত সময় নেই যে একজন কৃষি শ্রমিককে বাড়িতে সকালের নাস্তা খেতে যাওয়ার জন্য সময় দিবে। তাই অগত্যা মানুষগুলো ভোরে পান্তার সাতে পেয়াজ, কাঁচা মরিচ আর আলুভর্তা দিয়ে উদরপূর্তি সেরে চলে যেতেন মাঠে শ্রম দিতে। ইলিশ ছিল তাদের কাছে এক দূরের বস্তু। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তারা আবার সকালে সাধ করে ইলিশের সাথে খাবে পান্তা! আর এই অভিজাত শ্রেণির গা ঝাড়া দিয়ে কৃষক পরিরচয় মুছে ফেলতে সাথে যোগ হলো বেনিয়া মোবাইল কোম্পানি আর মিডিয়াগুলো। ব্যাস মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের অন্তরে গ্রোথিত হয়ে গেল, পহেলা বৈশাখ মানে পান্তা ইলিশ। এটাই আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য!!!!!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

অশ্রুত প্রহর বলেছেন: কেউ শখ করে পান্তা খায় আর কেউ অভাবে। পান্তা খেলেও ইলিশ আর জোটে না কপালে। হায়রে দুনিয়া !!

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আমার তো মনে হয় আমাদের বাঙালী সংস্কৃতিতে খুবই সুন্দর একটি দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দর এই অর্থে যে সংস্কৃতির নামে হুজুগ, মিথ্যাচার, লোক দেখানো চেতনা, অর্থের গরম যে কী রূপ নিতে পারে তার একটা প্রকটতম দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধন্যবাদ সুব্রত মল্লিক। দীর্ঘজীবী হোন।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

জাহিদ রুবেল বলেছেন: এসব ফাজলামো ছাড়া আর কিছু নয়

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫

অন্তু নীল বলেছেন: হা হা হা..........
দুই দিনের বাঙালি আমরা,
ইলিশ খাইয়া ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করি।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

নিরল হৃদয় বলেছেন: সত্যিকার বাঙালি সাজতে যদি একান্ত মন চেয়েই থাকে তবে কাঁধে লাঙ্গল জোঁয়াল নিয়ে মাঠে বসে পান্তা পেয়াজ, মরিচ দিয়ে খান। তখনই বুঝা যাবে সকলের মাঝে কতটুকু বাঙালিয়ানা কাজ করে।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা জিনিস চিন্তা করার মতো। একটা সময় বাংলাদেশে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। আমার বাবার মুখেই শুনেছি, তার ছোট বেলায় নাকি ইলিশ ছিল প্রচুর সস্তা, অন্যান্য মাছের মূল্য এর চেয়ে নাকি বেশি ছিল। আর ইলিশকে তো আর সাধে জাতীয় মাছ করা হয়নি। এটা সহজলভ্য ছিল বলেই করা হয়েছে।
তবে তারা পান্তার সাথে ইলিশ খেত বলে মনে হয় না, শুনিও নি। পান্তা ঐ পেঁয়াজ, সরিষার তেল, মাঝেমাঝে ভর্তা দিয়েই খেত। এখনো অনেকেই খায়। আমি দেখেছি।
পোস্টে প্লাস

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
এই অভিজাত শ্রেণির গা ঝাড়া দিয়ে কৃষক পরিরচয় মুছে ফেলতে সাথে যোগ হলো বেনিয়া মোবাইল কোম্পানি আর মিডিয়াগুলো। ব্যাস মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের অন্তরে গ্রোথিত হয়ে গেল, পহেলা বৈশাখ মানে পান্তা ইলিশ। !!!!!!!!!!!!!

কর্পোরেট প্রহসন!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কত্ত বড় গর্ধভ এক হালি ইলিশ ৪৫ হাজার টাকায় কিনে ফুটানি করে।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২০

বীরেশ রায় বলেছেন: বিবিসি নিউজে শুনলাম ৪ টা ১০০০০০/= । বিলাসিতা ও মূর্খামীর একটা মাত্রা থাকে!!!!

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আমিই মিসির আলী বলেছেন:
দুইটা ইলিশ বিশহাজার টাকা।
ভাবা যায়!!
বৈশাখ এখন ধনীদের।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: মাত্র ২০ হাজার টাকা শুনে ঘাবড়ে গেলেন, ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকায় এক খানা ইলিশ মাছ বিক্রয় হইয়াছে কিছুদিন আগে, বরগুনায়।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

আবুলের বাপ এগেইন বলেছেন:

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৩

শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23

অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।

ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: পহেলা বৈশাখে ১ দিনের জন্য আমাদের যদি বাঙালি হবার সাধ জাগেই এবং তার জন্য যদি পান্তা ভাতও খেতে হয় তবে নিত্য পান্তা খাওয়া বাংলার অধিকাংশ মানুষকে উপহাস করে তাদের অনুভূতিতে আঘাত না করে তাদের সাথে মিলেমিশে একাত্ব হয়ে পান্তা-ইলিশ এর পরিবর্তে আসুন সবাই পান্তা-পিয়া (পান্তা + তেলাপিয়া) খাই। তবে সাথে অবশ্যই আলু ভর্তা, কাচা মরিচ আর পিয়াজ থাকা চাই। কারণ এগুলোই হয়ত গ্রাম-বাংলার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন পান্তা বিলাস !!!

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.