নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বধ্যভূমি

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

সবুজ ঘাসে ছাওয়া এই মাঠ
আজ উদাস,নির্লিপ্ত।

মার্চের মাঝামাঝি যখন চলে যাই
প্রিয় খেলার মাঠকে একা ফেলে
তখন সবুজ ঘাস বিদায় জানিয়েছিল
বলেছিল-
ফিরে এসো বন্ধু বিজয়ীর বেশে।
আর, নি:সঙ্গ নারিকেল গাছটি
হেসে,পাতা নেড়ে বলেছিল-
বন্ধু,মুক্ত কর বাংলার মাটিকে
শ্বাপদের হাত হতে;
লড়ে যেও শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে।

দীর্ঘ নয় মাস
দীর্ঘ নয় মাস কাটালাম রণাঙ্গনে
-আহত সহযোদ্ধার আর্তনাদ
বন্ধুর মৃত মুখ
আর,খান সেনাদের উর্ধশ্বাস পলায়ন
দেখতে দেখতে
কখন নয়টি মাস কেটে গেলো
জানাই হলোনা।
ডিসেম্বর মাসের হিমেল হাওয়া সংবাদ বয়ে আনে
-আমরা স্বাধীন
-আমরা স্বাধীন।

সবুজ ঘাসে ছাওয়া সেই মাঠ
আর নেই,
না;মাঠ আছে,তবে সবুজের বুক কারা যেন
করেছে ক্ষতবিক্ষত।
নারিকেল গাছটি দাঁড়িয়ে আছে একা
তবে পোড়া।
মাঠের মাঝ দিয়ে,স্বজন হারানো মানুষেরা ঘুরছে
উদভ্রান্ত হয়ে
নাকে কাপড় চেপে-
পচা মাংসের উৎকট গন্ধে
বাতাস হয়েছে ভারী।
মাঠের পাশে যে বাড়ি
তাতে রাজাকাররা ক্যাম্প গড়েছিল
আর যুদ্ধের নয় মাস
তারা একে একে ধরে এনেছিল
আমার শিক্ষককে-সত্যেন স্যার
আর তার দুই কলেজ পড়ুয়া মেয়ে
মীনা এবং শীলাদিকে,
ধরে এনেছিল-রহমত চাচা আর তার ভাইদের
তারা ছিল শহরের সবচাইতে বড় কাপড়
ব্যাবসায়ী।
তাদের একমাত্র অপরাধ ছিল,তারা জয় বাংলার
সমর্থক।
আরও ধরে এনেছিল কলেজের ছাত্রদের,
মাঠের কৃষাণদের,
রেলওয়ের কর্মচারীদের
মুদীর দোকানদার
আরও, আরও অনেককে।
ওদের হত্যা করার জন্য কোন গুলি তারা
খরচ করেনি,
শান দেওয়া ছুরি দিয়ে,শুধুমাত্র জবাই করেছে
তাদের
আর একসাথে পুঁতে ফেলেছে মাটির নীচে।
১১/১২/২০১৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

সুদীপ কুমার বলেছেন: সতত ভালবাসা শহীদুল ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.