নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর জন্যে ভালোবাসা (নয়)

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫



ব্রহ্মপুত্র কিছুক্ষণ চোখ বুঁজে বসে থাকে কন্ট্রোল রুমে।পরবর্তি করণীয় কি তা আগে ঠিক করতে হবে আগে।মঙ্গল সম্পর্কে ওর ধারণা সীমিত।তবে সর্ব প্রথম কাজ হলো টিকে থাকা।ওকে টিকে থাকতে হবে।কারণ ও প্রতিজ্ঞা করেছে যে একদিন সে প্ল্যানেট-এক্সে ঠিক ফিরে যাবে।স্পেসশিপ হতে বাহির হওয়ার আগে জেনে নেওয়া দরকার মঙ্গলের উপরিভাগের তথ্য।

-রোবট,মঙ্গলের আবহাওয়া ও পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ জানাও আমাকে।
-আমাকে স্পেসশিপের বাহিরে যেতে হবে তবে।
-যাও।

রোবট স্পেসশিপ থেকে বাহিরে বের হয়। পুত্র রোবটের চলে যাওয়া দেখে।প্রাণীটি ওর পাশেই বসে আছে। রোবট চলে গেলে উঠে দাঁড়ায়।লেজ নাড়ে।পুত্র ওর দিকে চেয়ে স্মিত হাসে।রোবট আর এই প্রাণীটি ওকে একাকীত্বের হাত হতে রক্ষা করেছে।প্রাণীটিকে সে কোলে তুলে নেয়।পুত্র জানে ওদের ওখানে প্রাণী ও বৃক্ষের জন্যে আলাদা গ্রহ।আর তা হলো প্ল্যানেট-এক্সের একটি চাঁদ –একিলিস।প্রাণী আর উদ্ভিদজাত খাবার আনা নেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে স্বয়ং সম্পূর্ণ বুদ্বিমান চৌকস রোবট বাহিনী।রোবট ফিরে আসে।পুত্র চেয়ে থাকে রোবটের দিকে।

-পুত্র বাহিরে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশী।যা তোমার নগ্ন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বলে চুপ করে থাকে রোবট।

-আর কি পেলে?

-আমাকে ল্যাবে যেতে হবে।কিছু নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

রোবট ল্যাবে যায় ওর নমুনাগুলি নিরীক্ষার জন্যে। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে।

-এই গ্রহের বায়ুমন্ডল বর্হিজাগতিক উচ্চমাত্রার এনার্জি রেডিয়েশন প্রতিরোধে পুরোপুরি সক্ষম নয়।যেমন বলা যায়-আলট্রা ভায়োলেট রেডিয়েশন,চার্জড পার্টিক্যাল রেডিয়েশন,এটোমিক অক্সিজেন,পারকোলেটস। তবে পৃষ্ঠ তলদেশে প্রচুর পরিমাণে ওয়াটার বেজড আইস রয়েছে।তুমি যে ডোম আকৃতির বিশাল বিশাল স্থাপনা দেখতে পাচ্ছো ওগুলি আইস ডোম।ওয়াটার বেজড। ফলে হাইড্রোজেন শিল্ডিং মেটেরিয়াল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে যা ওই স্থাপনার বাসিন্দাদের গ্যালাকটিক কসমিক রে এর হাত হতে রক্ষা করবে।

-বাসিন্দা?

-হ্যাঁ,তোমার পূর্বপুরুষগণ থাকতেন ঐসব স্থাপনায়।

পুত্র ভাবে কিছুক্ষণ।তারপর স্যুট রুমের দিকে যেতে যেতে রোবটকে প্রশ্ন করে

-কোন প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলে?

-আমি এখন পর্যন্ত কিছু পাইনি।

রোবটকে নিয়ে পুত্র মঙ্গলের মাটিতে রাখে।সারফেস ধুলোয় ভরা।কার্বন-ডাই-অক্সাইডের আস্তরণও আছে।পুত্র মনে মনে খুব খুশি হয়।প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য যে যে মলিকিউল দরকার তা প্রচুর পরিমাণে আছে।এখন শুধু কনভারশন প্রয়োজন।ওরা দুইজনে একটি স্থাপনার সামনে যায়।স্থাপনার সামনে কিছু লেখা আছে কিন্তু সে তা পড়তে পারেনা।রোবটের কাছে জানতে চায়।রোবট বলে ,অনেক প্রাচীন বিলুপ্ত একটি ভাষা।এই ভাষাটি হলো ইংরেজী।তবে অর্থ বলতে পারেনা রোবট।এরমধ্যে ধুলি ঝড় শুরু হয়।স্থাপনাটির দরজা রোবট চেষ্টা করে খুলে ফেলে।ভেতরে অন্ধকার।রোবটের হাত উজ্জল আলো বের হতে থাকে।পুত্র স্থাপনাটির ভেতরে বিভীন্ন ঘর ঘুরে দেখতে থাকে।একটি ঘরে গিয়ে পুত্র অবাক হয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে।একটা ছবি ঝুলছে। ছবিতে একজন পুরুষের কোলে একটি শিশু।পুরুষটি হুবহু ওর বন্ধু এডওয়ার্ডের মত দেখতে।পুত্র সম্মোহিতের মত ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।

http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30201685

(চলবে)


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.