নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর জন্যে ভালোবাসা (দশ)

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৭




ওলিম্পাসের যত কাছাকাছি যাচ্ছে ততই অবাক হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র।এখানে যে বসতি ছিল তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।প্রকৃতিকে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।ওলিম্পাসের এক ঢালে ওরা ওদের উড়ন্ত যান নামায়।সামনে একটি টানেল নজরে পড়ে পুত্রের।

-লিও,চল টানেলের ভেতরে যাই।

রোবটের নাম দিয়েছে লিও।টানেলের দিকে হাঁটা শুরু করে পুত্র ও লিও।টানেলের যত ভেতরে যেতে থাকে আলো তত কমে আসতে থাকে।লিও ওর শরীর হতে আলো বের করে।আস্তে আস্তে টানেল বড় হতে থাকে।

-লিও,এখানে নিশ্চয়ই আলোর ব্যবস্থা ছিল?

-আমি সার্চ করছি।

পুত্রের চোখে একটা মেশিন ধরা পড়ে।দু’জনে মেশিনের কাছে যায়।পুত্র বুঝতে পারে দু’জন ব্যক্তি বহন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি যান।এই টানেলে চলার উপযুক্ত।

-লিও,এটি কি এখনও চলাচলের উপযুক্ত আছে?

-এই যানটির জন্যে কোন তথ্য আমার ডাটাবেসে নেই।

পুত্র সামনে এগিয়ে যেতে থাকে।আরও কিছুদূর যাওয়ার পর পুত্র লক্ষ্য করে ওরা বিশাল এক কক্ষে চলে এসেছে।আলো বেশীদূর যাচ্ছেনা।আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকে ওরা।

-পুত্র আমি একটি সুইচ প্যানেল পেয়েছি।

পুত্র লিওর কাছে যায়।ভালো করে পরীক্ষা করে বুঝতে পারে এটি এই টানেলের কন্ট্রোল প্যানেল এবং একটি কম্পিউটার।অনেক প্রাচীন।পুত্র বা লিও কেউ এই মডেলের সাথে পরিচিত নয়।দু’জনে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করে কন্ট্রোল প্যানেল।

-পুত্র,এই কম্পিউটার অত্যন্ত শক্তিশালী আর এটোমিক এনার্জির সাথে লিংক করা আছে।

পুত্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বাটন দেখতে থাকে তারপর একটা বড় বাটন ঠেসে ধরে।তীব্র উজ্জল আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়।পুত্র আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করে ওরা একটি প্লাটফর্মে ।আর নীচে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বিশাল কয়েকটি স্পেসশিপ।পুত্র বুঝতে পারে আসলে টানেলের পথে এই প্লাটফর্ম সংযুক্ত ছিল।

-লিও,এটির এনার্জি সোর্স এখনও সচল।এটোমিক রি-এক্টরটি কোথায় তা খুঁজে দেখা প্রয়োজন।

-পোর্টেবল স্ক্যানার আমরা নিয়ে আসিনি।

-তুমি গিয়ে নিয়ে এসো।

লিও চলে যায়।পুত্র বিভিন্নভাবে কম্পিউটার পুরো সচল করার চেষ্টা করে।লিও স্ক্যানার নিয়ে ফিরে আসে।

-পুত্র,আমরা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করতে পাড়ি।

-আমি এখন ব্যাস্ত।তুমি অপেক্ষা কর।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পুত্র সফল হয়।মেয়েলী কন্ঠ বেজে উঠে।

-আপনাকে স্বাগতম বাংলাদেশ মহাকাশ স্টেশনে।আপনি যদি এই স্টেশনের নিয়ন্ত্রক হন তবে আপনার ডিএনএ আমাকে সনাক্ত করার অনুমতি দিন।

-কিভাবে আমি অনুমতি প্রদান করবো? পুত্র বলে।

-আপনি এই পাশের কাঁচের কক্ষে প্রবেশ করুন।

পুত্র কাঁচের কক্ষে প্রবেশ করে। একটি ছোট্ট উড়ন্ত রোবট ওর চুলের নমুনা নেয়।ওর সারাদেহ স্ক্যান হয় কক্ষটিতে।সবশেষ হলে কাঁচের দরজা খুলে যায়।পুত্র কম্পিউটারের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।হঠাৎ হলোগ্রাফিক একটি মেয়ে পুত্রের সামনে এসে দাঁড়ায়।পুত্র হকচকিয়ে যায়।মেয়েটি একদম মাকারোভার মত।পুত্রের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়না।

-স্বাগতম তিতাস।তুমি কি পৃথিবীতে যাওয়ার জন্যে শিডিউল ঠিক করেছো?নীল সাগর আর লালমনি যাত্রার জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুত।পারাবতকে রিফুয়েলিং করতে হবে।আমাকে একমাস সময় দাও।

-আমাকে তিতাস বলছো কেন?আমি ব্রহ্মপুত্র।

-তুমি তিতাস।আমি কোন যান প্রস্তুত করবো তোমাদের যাত্রার জন্যে?

-না,আমি এখন যাবোনা।

-তুমি কি এনার্জি সেক্টরে যেতে চাও?

পুত্র কিছুক্ষণ ভাবে তারপর সম্মতি জানায়।

-ধন্যবাদ।একটু অপেক্ষা করো তোমাদের বহনকারী যান এখনই চলে আসবে।

পুত্র লক্ষ্য করে প্লাটফরমের দিকে একটি যান উড়ে আসছে।যানটি এসে প্লাটফরমের এক জায়গায় অবস্থান নেয়।

-তুমি এনার্জি সেক্টর হতে বাড়ি যেতে চাইলে আমাকে বলো।

লিও আর পুত্র যানে উঠে বসে। পুত্র গভীর চিন্তায় ডুবে যায়।কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ও খুঁজে পাচ্ছেনা।যানটি চলা শুরু করে।টানেলটি ওলিম্পাসের বিপরীত দিকে শেষ হয়েছে। যানটি ওলিম্পাস ছেড়ে কিছুক্ষণ উড়ে চলে।তারপর এক খাদের উপর এসে স্থির হয়ে থাকে।পরিশেষে দ্রুত নীচের দিকে নামতে থাকে।পুত্র নীচের দিকে তাকিয়ে দেখে যেটিকে খাদ মনে হচ্ছিল ওটি আসলে খাদ নয়।খাদের মুখ খুলে যায়।যানটি ভেতরে গিয়ে একটি প্লাটফরমে অবতরণ করে।ওরা যান থেকে নেমে আসলে হলোগ্রাফিক মাকারোভা ওদের পাশে আসে।

-তিতাস,তোমাকে স্বাগতম এনার্জি প্ল্যানটে।তুমি কি এনার্জি প্লানটে আজ কাজ করবে?

-না।আজ আমি দেখবো।

পুত্র আর লিও ঘুরে ঘুরে প্লানট দেখে বেড়ায়।দেখা শেষ হলে আবার যানে গিয়ে বসে।যানের ভেতরে মাকারোভার কন্ঠে বলে উঠে-তিতাস বাড়ি যেতে চাইলে সবুজ বোতামটি স্পর্শ করো।


পুত্র নীচে তাকিয়ে দেখে সারি সারি আইচ ডোম।যানটি একটি আইচ ডোমের সামনে আসে।ভেতর হতে যানটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করা হয়।বাড়ির একপাশ খুলে যায় আর যানটি ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে প্রবেশ করা মাত্র দরজাটি আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায়। পুত্ররা নেমে লবি ধরে হাঁটতে থাকে।লবির শেষ মাথায় দেয়ালে একজনের ছবি ঝুলানো ।ছবিটিতে যে ব্যক্তির ছবি সেই ব্যক্তি ওর গ্রহের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান।পুত্রের কাছে সবকিছুই ধাঁধার মত লাগছে।ওরা একটি সুজ্জিত কক্ষে প্রবেশ করে।পুত্র আর লিও একটি ছবির সামনে দাঁড়ায়।ছবিটি ওর আর মাকারোভার।একসাথে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে।

http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30202127

(চলবে)



মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর। চলুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.