নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠগী (শেষ অংশ)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬


আসুন আমরা আর একবার গল্প করি।আপনি বলতে পারেন এই “আমরা” কারা।আবার কারা?-আমি আর আপনি।আচ্ছা বলুন এই গল্পকে কতদূর নেওয়া যেতে পারে?আমি ভাবছি আর বেশীদূর নয়।আপনি বলতে পারেন,কিভাবে শামা আর নাদের এত অন্তরঙ্গ হলো?শামা গর্ভবতী হলো কিভাবে?দেখুন ভাই আমি আপনি যথেষ্ঠ বড়,আর এগুলি কিভাবে হয় দু’জনেই জানি তাই গা গরম করা বর্ণনা নাইবা দিলাম। আমরা না হয় নিজে নিজে কল্পনা করে নিই।তাই আসুন দেখি গর্ভ পরবর্তী অবস্থায় শামা আর নাদের কে কি ভূমিকা পালন করেছে।


প্রথম মাসে যখন শামার পিরিয়ড হলোনা তখন সে দুঃচিন্তায় পড়ে।কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বেশীদিন ভাবে না।আগের মতই উদ্যাম ভাবে নাদেরের সাথে মেলামেশা চালিয়ে যায়।নাদেরের সাথে শারীরিক মিলনের ক্ষণটি তার কাছে মুক্ত বিহঙ্গের মত মনে হত।আর এই সময়টুকু পরস্পর পরস্পরকে প্রচুর প্রেম নিবেদন করতো ওরা।ভালোবাসার কথা বলতো।আর মিলন শেষে নাদেরের পুত পুত মার্কা কথাগুলিকে বাসি গন্ধ ওঠা ভাতের মত লাগতো শামার।নাদেরও তেমন।শামার সাথ মিলনের পর হলে ফিরলে সোহেল কিভাবে যেন টের পেয়ে যেত।বলতো-কি ভায়া আজকে ব্যাটিং কেমন হলো? পরে বলতো যা করছো করো।কিন্তু সংসার করার স্বপ্ন দেখোনা।সে সংসার হবে অশান্তির সংসার।ওর কথা শুনে নাদের মনে মনে হাসতো।ভাবতো শামার মত মেয়েদের সাথে বিছানার সময় উপভোগ করা যায়।কিন্ত সারা জীবনের সময় ভাগ করে নেওয়া যায়না।

পরবর্তী মাসেও যখন পিরিয়ড হলোনা,তখন শামা নার্ভাস হয়ে পড়ে।প্রথম কয়েকটি দিন খুব এলোমেলো কাটে।নাদেরকে বলে।নাদের শুধু বলে, ও মনে হয় মেয়েলী সমস্যা,আর এক মাস দেখো।সব ঠিক হয়ে যাবে।শামা নাদেরের কথায় আস্থা রাখতে চায়,কিন্তু পারেনা।আস্তে আস্তে শামার মনে হতে থাকে,জীবনের সব চাইতে বড় ভুল সে করে ফেলেছে।যে ভুলের কোন ক্ষমা নেই।ক্রমেই সে নাদেরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে।

-পৃথ্বীলা,আমার না তোর হেল্প দরকার।
শামা পৃথ্বীলাকে বলে।
-কস কি মোমিন?শামারও হেল্প লাগে?
-হ্যাঁ রে পৃথ্বীলা।বান্ধবীদের মধ্যে তুই আমার সবচাইতে কাছের ও বিশ্বাসী।
কাতর স্বরে শামা পৃথ্বীলাকে বলে।
-তুই সিরিয়াস?
-হ্যাঁ।
-বল।
-গোপন রাখবি?
-রাখবো।
শামা পৃথ্বীলার দুই হাত নিজের হাতে নেয়।
-আমার না পিরিয়ড বন্ধ।
-তো?
-বুঝলি না?
-না বুঝলাম না?
পৃথ্বীলা বলে।
-দুই মাস হলো বন্ধ।
এই কথা বলে শামা করুণ চোখে পৃথ্বীলার দিকে তাকিয়ে থাকে।
ধীরে ধীরে পৃথ্বীলার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
-তুই তো আঙ্গুলে বিশ্বাসী ছিলি।মাংসের দন্ড কবে হাতে পেলি?
শামা ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলে।
-আমি এখন কি করবো বল?বড় ভাইয়া জানতে পারলে মেরেই ফেলবে।
কাঁদতে কাঁদতে শামা বলে।
-এখন কাঁদিস কেন?আগে চিন্তা করিসনি?আমি রাত্রে তোকে ফোন দেবো।ভাবী গাইনীর ডাক্তার।উনার সাথে পরামর্শ করে নিই আগে।


ছোট্ট একটা মানুষ।কত ছোট?খুবই ছোট।শামা মানুষটিকে দেখে নেয়।তারপর সাঁরাশী টেবিলের উপর রাখে।ঠক করে শব্দ হয়।মনে স্টিলের পাত্রে কেউ কিছু ফেললো।প্রচুর আলো ঘিরে ধরে শামাকে।মানুষটি নিঃশিন্তে ঘুমিয়ে আছে।শামা সাঁরাশী হাতে তুলে নেয়।মানুষটি চোখ বুঁজে চুপ করে আছে।শামা মানুষটির দুই পা টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলে।কোন বাধা ছাড়াই।গলগল করে রক্ত ঝরে।মানুষটি প্রতিবাদহীন।শামা মানুষটির দু’হাতও টেনে ছিঁড়ে ফেলে।তারপর শামা প্রস্তুতি নেয় মানুষটির ধর হতে মাথা ছিঁড়ে ফেলার।যেভাবে চিংড়ি মাছের দেহ হতে মাথা ছিঁড়ে ফেলা হয়।আচমকা মানুষটি চোখ মেলে।শামা ভয় পেয়ে যায়।মানুষটি বলে উঠে-মা,আমাকে মেরে ফেললে?শামা ধড়ফড় করে উঠে বসে।বুঝতে পারে স্বপ্ন দেখছিল।ইমরুলেরও ঘুম ভেঙ্গে যায়।শামাকে প্রশ্ন করে,-কি হলো?কিছুনা।তুমি ঘুমোও-শামা উত্তর করে।ইমরুল পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে।ভাবে বিয়ের দশ বছর হলো এখনও কোন সন্তান হলোনা।শামাকে দেখে ওর আজকাল বড্ড মায়া লাগে।শামাও শুয়ে পড়ে।আর ভাবে আজ সন্ধ্যায় টিভিতে একটা ফিচার দেখেছে ।সেখানে দেখানো হয়েছে ঠগীদের নিষ্ঠুরতা।এখন নিজেকেও ঠগী মনে হচ্ছে।

যোনীর পিচ্ছিল পথে লেখা রয় যত হত্যাকান্ডের ইতিহাস
প্রেম-ভালোবাসা সব যেন পরিহাস।।

২৮/০৮/২০১৮

ঠগী (১ম অংশ)(Click This Link)

ঠগী (২য় অংশ)(Click This Link)

ঠগী (৩য় অংশ)http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30251727

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখাটা খারাপ না। তবে কিছু বাক্যে আপত্তি আছে...


পুনশ্চঃ শামা নামের জন্য তীব্র প্রতিবাদ করছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

সুদীপ কুমার বলেছেন: কেন ভাই শামা নামটি কি দোষ করলো?

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কবি বলেছেন,
“ যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি,
আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি ”

নিজের কর্মফল নিজেকেই ভোগ করতে হবে। আমরা করিও।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২২

সুদীপ কুমার বলেছেন: সহমত।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

কেতন বলেছেন: শামার মত মেয়েদের সাথে বিছানার সময় উপভোগ করা যায় কিন্তু জীবনের সময় ভাগ করে নেয়া যায়না।

শামার মত মেয়েরা কি এতোই সস্তা? নাদের একটা-------!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৩

সুদীপ কুমার বলেছেন: নাদের একটা......?

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: কেন জানি আপনার এ পর্বটি ভালো লাগলো না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৪

সুদীপ কুমার বলেছেন: রাজীব ভাই আপনার এই মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.