নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁদ(চতুর্থ পর্ব)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৫


আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে নিশ্চই-তারেক আজাদকে পেলো কিভাবে?কিম্বা আজাদ কিভাবে তারেকের কাছে পৌঁছালো?খুব স্বাভাবিক।কাঁহাতক হোঁচট খেতে খেতে পড়া যায়।আসলে লেখক হিসাবে আমি চেয়েছি প্রতিটি পাঠকই একজন লেখক হয়ে উঠুক।নিজেই গল্পটাকে নিজের মত সাজিয়ে নিক।এখন আজাদ আর তারেকের কথায় আসি।আজাদ বুঝে ফেলে সে চুড়ান্তভাবে রিতীকাদের পাতা ফাঁদে আটকে পড়েছে।দু’লক্ষসহ এ পর্যন্ত সে চার লক্ষ টাকা দিয়েছে।আর ক্রমেই ওদের ডিমান্ড বাড়ছে।রিতীকা স্রেফ বলে দিয়েছে টাকা না পেলে ওর ওয়াইফের কাছে ছবি পাঠিয়ে দেবে,ফেসবুকেও ছবি ছেড়ে দেবে।আজাদ মহাসংকটে পড়ে।অনেক চিন্তা ভাবনা করে ও ওর প্রফেশনাল বন্ধু রাজীবকে সব খুলে বলে আর সাহায্য চায়।সব শোনার পর রাজীব তারেককে ফোন দেয়।

-হ্যালো দোস্ত তারেক কেমন আছিস?
-ওই হালারপুত এমনি আজকে একটি লাশ নিয়ে সমস্যায় আছি,আর এর মধ্যে ফোন দিছোস।
-চুদানীর পো,তোরে ফোন দিতে হিসাব করে দিতে হবে নাকি?
-কি বলবি বল দোস্ত।একটু ব্যাস্ত আছি।
-আমার খুব কাছের একজন খুব বিপদে পড়েছ।
-কি বিপদ?
-আলুর দোষে ব্লাকমেইলের স্বীকার।
-কেমন?
রাজীব ডিটেইলস জানায়।তারেক সব মনোযোগ দিয়ে শুনে।
-আগামীকাল জুম্মার নামাজের পর শ্যামলীর প্রিন্স বাজারে নিয়ে আয়।
তারেককে আজাদের বেশ মনে ধরে।তারেক বিস্তারিত শোনার পর রিটু আর রিতীকার মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়।
-আচ্ছা,চিন্তা করবেননা রমনা থানার ওসিকে আমি সব জানিয়ে দেবো।সে ভাল ব্যবস্থা নেবে।

(৬)
রাজু রিমান্ডে সব স্বীকার করে।রাজু ওয়াইফকে দিয়ে বিভিন্ন উঠতি ব্যবসায়ীদের ট্র্যাপ করতো।পরে ব্ল্যাক মেইল করে কিম্বা মুক্তিপণ দাবী করে টাকা ইনকাম করতো।আর এই জন্যে ওরা এক এলাকায় বেশীদিন থাকতো না। ঘন ঘন বাসা বদলাতো।রাজুর ওয়াইফ লিমা অসম্ভব সুন্দরী আর সেই রুপ দিয়ে তারা প্রতারণার ফাঁদ পাততো।ঠিক এমন কাজটিই হয়েছে পাইকপাড়ার স্বল্প বয়সী ব্যবসায়ীর সাথে। একদিন মিসকলের সুযোগে ব্যবসায়ী মোকারমের সাথে লিমার পরিচয় হয়।ফোনে কথা হতো।লিমাই প্রথম যৌন উদ্দীপক ম্যাসেজ পাঠাতে শুরু করে।পরে যৌন উদ্দীপক চ্যাটিং শুরু করে।লিমা একদিন মোকারমকে বাসায় ডেকে পাঠায়। মোকারমকে জানায় যে ওর স্বামী কয়েকদিনের জন্যে চিটাগাং গিয়েছে।মোকারম এক দুপুরে লিমার কাছে যায়।দুপুরের খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে রেখেছিল লিমা।মোকারমের ঘুম ভাঙ্গলে রাজু ওর কাছে মুক্তিপণ দাবী করে।মোকারম টাকা দিতে অস্বীকার করে।ফলে রাজু আর লিমা মিলে মোকারমকে পিটাতে শুরু করে।মোকারম যে মরে যেতে পারে এটা ওরা ভাবেনি।

-স্যার,আপনি যে ফোন নম্বরগুলো দিয়েছিলেন তার কল লিস্ট,কল রেকর্ড সব চেক করা হয়েছে।
বাবর সাহেব এসে জনায়।
-ভালো।কিছু পাওয়া গেলো।
-রাজু আর লিমার সাথে রিতীকা,রিটু আরও কয়েকজনের কথাবার্তার রেকর্ডিং আছে আমাদের হাতে।
তারেক সোজা হয়ে বসে।বাবর রমনা থানায় তথ্য দেয়।ওইদিন বিকেলে আজাদ রমনা থানায় রিটুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়।

(৭)
একটা পরিপূর্ণ সঙ্গমের তৃপ্তিতে শুধু আনন্দ নয় কান্নাও বুঝি পায়।তাই কি সুলতানা এমন আকুল হয়ে কাঁদছে?আজাদ সুলতানাকে বুকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুছিয়ে দেয়।
-কাঁদছো কেন?
আজাদ প্রশ্ন করে।
-সুখে।কতদিন পর তুমি এমনভাবে আমাকে আদর করলে বলতো?
-আমি বুঝি আগে কম আদর করতাম?
-মাঝখানে তোমাকে কেমন অচেনা লাগতো।
-এ কেমন কথা?
সুলতানা আজাদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

আজ রাজীব একটু আগেই অফিসে চলে এসেছে।খবরের কাগজগুলি এখনো এমডি স্যারের রুমে দেওয়া হয়নি।প্রথম আলোর হেডিং এ রাজীবের চোখ আটকে যায়-প্রতারণার নতুন চক্র।রাজীব পেপার হাতে তুলে নেয়।

শেষ।
অক্টোবর,২০১৮

প্রথম পর্ব(Click This Link)
দ্বিতীয় পর্ব(Click This Link)
তৃতীয় পর্ব(Click This Link)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: অবশেষে আজাত-সুলতানার এমন মিলনে বড়ই তৃপ্তি পেলাম। :D :D

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভালবাসার মাঝে সেক্স এলেই যন্ত্রনার এক শেষ ।
............................................................. গল্পে প্রান আছে ++

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

সুদীপ কুমার বলেছেন: সহমত।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ফাঁদ হলো কর্পোরেট গল্প।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.