নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নব নব সৃষ্টি

সোলায়মান সুমন

সৃষ্টির আনন্দে ঈশ্বর এ মন

সোলায়মান সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজ রাজাদের গল্প

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৭





এক দেশে ছিল এক রাজা। নাম তার বীরেন সিংহ। হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। পুকুরভরা মাছ, বাগানে নানা জাতের ফল, ফুল। কিন্তু তারপরও রাজার মনে সুখ নাই। রাতের বেলা যখর সবাই ঘুমিয়ে থাকে এক রাক্ষস এসে প্রজাদের জমির ধান, পুকুরের মাছ, লাঙলের গরু সব খেয়ে ফেরছে। রাজদরবারে রাজা চিন্তিত অবস্থায় বসে আছে। রাজন্যদের সাথে বসে পরামর্শ করছে। প্রাসাদে পাহার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই হয়ত সে রাক্ষস এখনো প্রাসাদে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু সারা দেশ এভাবে পাহারা বাড়ানো তো সম্ভব নয়। নীরিহ জনগণ মাঝে মাঝে রাক্ষসের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিদিন। রাক্ষসের ক্ষুধার গ্রাস থেকে সাদারণ জনগণও রেহাই পাচ্ছে না। যেখানে ধান, গরু, মাছ, ছাগল পাচ্ছে না সেখানে মানুষ দরে পটাপট গিলে ফেলছে রাক্ষসটি। শুধু নিজে আরাম আয়েশে থাকলে কি চলবে- সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তাদানের দায়িত্ব তো তারই। তবে এও সত্য তার ব্যর্থতার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে আঙুল তুলবে না। চিন্তিত রাজা দিনের পর দিন আমত্যবর্গের সাথে পরামর্শ করে চলল। প্রতিদিন রাজদরবারে সভা বসে আলোচনা হয়। সমাধান কিছুই হয় না।

এভাবে দিনের পর দিন কেটে যেতে থাকল। রাজা বীরেন সিংহ ভীষণ চিন্তিত। গোপাগপ প্রজাদের খেয়ে ফেলছে রাক্ষস একসময় তো আমার রাজ্যে মানুষই থাকবে না। কার শাসন করবে সে? একদিন তার রাজদরবারে এক সন্ন্যাসী ঈস্খবেশের অনুমোতি চাইল। প্রহরি এসে সে কথা জানাল রাজাকে। রাজা বলে, আমি আছি মহা চিন্তায়। সন্নাসীর সাথে দেখা করার সময় আমার আছে। এই নাও, রাজা একটা সোনার মহোর* বের করে প্রহরির হাতে দাও। এটা দিয়ে ওকে বিদেয় করো।

মহোরের দিকে তাকিয়ে প্রহরির চোখ জোড়া ছানাবড়া হয়ে যায়। সন্নাসী যে ঐ রাক্ষসের ব্যাপারে কথা বলতে চাইছে সে কথা প্রহরি চেপে যায়। প্রহরি নিজের আচকানের* গোপন পকেটে সোনার মহোরটি চালান করে দিয়ে সিংহদারে এসে সন্ন্যাসীকে বলে, চলে যান সন্নাসী বাবা। রাজা ভীষণ ব্যস্ত। আজ আর দেখা হবে না।

ঠিক হে। জো মর্জি তোমার বাদশাহের। এই বলে সন্ন্যাসি চলে গেল।

সেদিন রাতে রাজা বীরেন সিংহ স্বপ্নে দেখলেন, গভীর কুয়াশার মধ্য থেকে এক সন্ন্যাসি বেরিয়ে এসে বলল, তোর দরবারে এসেছিলাম কিন্তু তোর প্রহরি বলল তুই ব্যস্ত তোর সাথে দেখা হবে না। তোর দুশ্চিন্তার সমাধান দিতেই আমি এসেছিলাম। তোর রাজ্যের প্রকৃত মালিক তোর প্রজারা তাদের উপেক্ষা করে রাজ্যে সুখ ফিরাতে পারবি না।

সন্ন্যাাসি বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে। দয়া করে আমাকে বাতলে দিন কীভাবে ঐ রাক্ষসটাকে হত্যা করে প্রজাদের জীবন রক্ষা করতে পারব।

শোন রাক্ষস বাইরে নেই তোর মদ্যেই আছে।

মানে? কী বলেন বাবা?

সন্ন্যাসি অট্টহাসি হেসে ওঠে। এমন কোনো নিষ্পাপ যুবকের সন্ধান করো যে কোনো দিন কোনো পাপ করেনি। মিথ্যা কথা বলেনি। সবাই তাকে ভালবাসে- বিশ্বাস করে।

এমন মানুষ এ যুগে কোথায় পাবো?

পেতেই হবে। সেই ঐ রাক্ষসকে হত্যা করার ক্ষমতা রাখে।

আপনি বাতলে দিন। কোথায় তাকে পাবো?

শোনো যে কথা বলি, তোমার দেশে হুদ্রিশ নামে এক ছোট্ট গ্রাম আছে। সেখানে এক রাখাল বালক আছে। নাম তার আইজান। তাকে গ্রামের সবাই ভীষণ ভালবাসে ও বিশ্বাস করে। এখনো সে নিষ্পাপ। তার কাছে সাহায্য চাও।

আরো অগের কিছু জানার ছিল রাজার কিন্তু হঠাৎ সন্ন্যাসী স্বপ্নের কুয়াশায় উধাও হয়ে গেল।



পরের দিন রাজা ঘোষণা দিলেন, হুদ্রিশ গ্রাম কোথায় আছে যত শিঘ্র সম্ভব সন্ধান করা হোক।

একদিন যাই, দুদিন যাই, তিন দিন যাই হুদিস পাওয়া যায় না হুদ্রিশ নামক গ্রামের। রাজন্যবর্গ বলে, স্বপ্নে দেখা গ্রামের সন্ধান বাস্তবে কি পাওয়া সম্ভব। কন্তু সাহস করে রাজা বীরেন সিংহকে কেউ বলতে পারে না। সবাই কানাঘুসা করে, দুশ্চিতায় রাজার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

কিন্তু রাজা বীরেন সিংহের বিশ্বাস তার স্বপ্ন শতভাগ সত্য- সেদিন যে এক সন্ন্যাসি তার সাথে দেখা করতে দরবারে আসতে চেয়েছিল সেটা তো সত্য। সে দেখা করেনি।

যাক সে কথা। সাত দিনের দিন হুদ্রিশ গ্রামের সন্ধান পায় গোয়েন্দা বিভাগ। রাজা নিজে সে গ্রামে যায়। এক গ্রামবাসীকে আইজানের কথা জিজ্ঞেস করতেই রস বলে দেয়, আইজান দূরের ঐ পাহাড়ে একটি বৃদ্ধ বরাহ গাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। সেনাপতি সৈন্যদের তাকে ধরে আনার নির্দেশ দিতে গেলে রাজা তাদের থামিয়ে দেয়। সে বলে, না আমি নিজে যাবো।

রাজা বীরেন সিংহ পাহাড়ে উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু পাহাড়ের চুড়ায়* ওঠার পর চারিদিকের মনোরম দৃশ্য দেখে রাজা ভীষণ মুগ্ধ হয়। সমস্ত ক্লান্তি যেন তার নিমেষেই দূর হয়ে যায়। সমস্ত পাহাড়ের চুড়া জুড়ে মখমলের গালিচার মত সবুজ ঘাস। সেই ঘাসের বুকে নানা রঙের ছোট্ট ছোট্ট ফুল ফুটে আছে। দূর থেকে মিষ্টি ঠা- বাতাস এসে রাজার প্রাণ জুড়িরয়ে দিল। চুড়া থেকে নিচের গ্রামটিকে মনে হচ্ছে শিল্পীর আঁকা স্বর্গের ছবি।

দূর থেকে বাঁশির মধুর সুর ভেসে এলো। রাজা ভাবল এ নিশ্চয় রাখাল বালক আইজানÑ হ্যাঁ ঐ তো দূরে একটা বিশাল বরেহ গাছ দেখা যাচ্ছে। সে গাছটার কাছে এগিয়ে গেল। সে গাছের আড়ালে রাখাল বালককে বসে বাঁশি বাজাতে দেখল।

সে বালকের কাছে গেলে বালকটি বাঁশি বাজানো বন্ধ করে কৌতূহলী জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে রাজার দিকে তাকাল, আপনি আমাকে কিছু বলবেন?

হুম। রাজা গম্ভীর মুখে বলল, তোমার নাম আইজান?

জ্বি।

তুমি নিশ্চিয় জানো দেশে একটা রাক্ষসের উপদ্রব শুরু হয়েছে। সে রাতের আঁধারে বেরিয়ে আসে প্রজাদের জান-মাল ধ্বংস করে আবার কোথায় হারিয়ে যায়।

শুনেছি কিন্তু আমি কী করতে পারি। আপনার পোষাক দেখে মনে হচ্ছে আপনি এদেশের রাজা?

ঠিক অনুমানটাই করেছ। আমিই রাজা কিন্তু আমি ঐ রাক্ষসকে মারতে আমি পুরোই ব্যর্থ হয়েছি। এভাবে যদি দিন দিনে আমার প্রজারা শেষ হয়ে যায় আমি শাসন করব কাদের? আমাকে রাজা বলে মান্য করবে কারা। কারা আমাকে খাজনা দিবে? রাজ্য শাসনের সুখ কি তখন আমার থাকবে? থাকবে না।

সে তো ভাল কথা কিন্তু আমি আপনার জন্য কী করতে পারি?

তুমিই সব পারো। এক সন্ন্যাসি বাবা স্বপ্ন যোগে আমাকে বলেছে তুমি পারো ঐ রাক্ষসটারে হত্যা করতে।

তা না হয় বুঝলাম। আমার দ্বারা একি সম্ভব?

তোমার দ্বারাই সম্ভব। ওকে মারার জন্য যে শক্তি দরকার তা তোমার মধ্যে আছে। সন্ন্যাসি বাবা স্বপ্নে আমাকে যা যা বলেছে সব সঠিক মনে হচ্ছে। তুমিই পারবে। বিনিময়ে তুমি যত সম্পদ চাও তাই পাবে।

আমার সম্পদের উপর লোভ নাই। কিন্তু আমার দ্বারা যদি দেশের মানুষের উপকার হয় আমি তা করব। তাতে আমার জীবন যাক না কেন।

তাহলে চলো রাজপ্রাসাদে।

জ্বি। চলেন। এবার ছেলেটি এক ভিন্ন সুরে বাঁশি বাজাতে শুরু করল। পালে পালে গরু, মহিষ, ভেড়া উপতক্যার জোপ-ঝাড় থেকে বেরিয়ে এসে সারি বেঁধে দাঁড়াতে লাগল। ওরা আইজানকে অনুসরন করে পাহাড়ের উপতক্যা বেয়ে নিচে নামতে লাগল।

রাজা অবাক হল আইজানের তেলেশমাতি দেখে।



আজ রাতে রাক্ষস বধ করবে রাখাল যুবক আইজান। রাজা তাকে বর্ম পরে নিতে বলল। সে অস্বীকার করে বলল, তার দরকার হবে না।

অন্তত তুমি একটা তরবারি নাও।

না আমি তাকে তো শারীরিক শক্তি দিয়ে বধ করব না। আমি আমার সততা, আত্মবিশ্বাস, পবিত্র আত্মার কারিশমা দিয়ে ওকে শেষ করব।

রাজা আর কিছু বলল না। রাখাল যুবক নিশ্চয় কোনো সাধারণ মানুষ না। নিশ্চয় তার নিজস্ব কোনো পরি কল্পনা আছে। তারমতোই শেষ এগোক। তার কাজ হলেই তো হল।

সেদিন সারা রাত আইজান জেগে থেকে রাক্ষসের অপেক্ষা করতে লাগল। রাজা বীরেন সিংহ তার পাশে পাশেই থাকল। সমস্ত রাজ্যে প্রহরিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাক্ষসের কোনো খবর পেলেই তারা ছুটে এসে আইজানকে জানাবে। কিন্তু কোথাও থেকে কোনো খবর এলো না।

এভাবে সাতটি দিন কেটে গেল। রাক্ষসের কোনো খবর নাই। সবাই ভাবল, রাক্ষস আইজানের খবর শুনে ভেগেছে। এদিকে সাত জেগে থেকে রাজা ভীষণ ক্লান্ত। আইজান বলল, রাজা সাহেব আপনি ঘুমানগে যান। আমি আছে জেগে। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না।

আষ্টম রাতে আইজান একাই শহর পাহারা দিতে লাগল। ঠিক মাঝ রাত আইজানের চোখ দুটো ঘুমে ভারি হয়ে এসেছিল। হঠাৎ বুপ বুপ একটা আওয়াজ শুনল। ডাহুক পাখি আতঙ্কিত হলে এমনি আওয়াজ করে। টেপঁচারা ফড়ফড় করে উড়ে পালাল। নিশ্চয় মন্দ কিছু একটা ঘটেছে। সামান্য দূরের বাঁশ ঝাড়টাকে অস্বাভাবিকভাবে নড়ে উঠতে দেখল আইজান। সে দিকে এগিয়ে গেল। বাঁশ ঝাড় থেকে একঝাঁক* সাদা বক উড়ে গেল আকাশে। কিন্তু একটা বিশাল হাত বাঁশ ঝাড়ের আড়াল থেকে উড়ন্ত বকগুলোকে ধর ফেলল। আইজান দৌঁড়ে গেল সেদিকে। ওহ! কী ভয়ানক দৃশ্য। বকগুলোকে গপাগপ মুখে পুরে চিবিয়ে খাচ্ছে এক বিশাল রাক্ষস। আইজানকে দেখে তেড়ে এলো রাক্ষসটি। আইজান পিছিয়ে গেল।

রাক্ষসটি সাদা ফেনার মত থুতু ছিটালো আইজানকে লক্ষ করে। আইজান সরে গেল। থুতু যেখানে যেখানে পড়ল সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল।

এবার আইজান তার কোমরের ভাঁজ থেকে বাঁশি বের করল। বাঁশিতে এক ভিন্ন অদ্ভুত* সুর তুলল সে। রাক্ষসের সমস্ত শরীর থরথর করে কেঁপ উঠল। সে এক বিভৎস চিৎকার দিল। সমস্ত প্রজাদের ঘুম ভেঙে গেল সবাই বাইরে বেরিয়ে এলো। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল সেই রাক্ষসের ভয়ানক সব কিত্তি। রাক্ষসটি শলীরের আড়মোড় ভেঙে তার দু’কানে হাত দিয়ে চিৎকার করে চলল। খী ভয়ানক সে চিৎকার! গাছ-পালা দালান- কোঠা সব কেঁপে কেঁপে উঠছিল। আইজান তার বাঁশির সুর আরো উপরে চড়িয়ে তীব্র করে তুলল। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর রাক্ষসটির চোখ-মুখ-কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে লাগল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। ধীরে ধীরে তার আকৃতি ছোট হতে থাকল। তার চেহারাও পরিবর্তন হতে লাগল। প্রজারা অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, এত আমাদের রাজা মশাই, বীরেন সিংহ। রাক্ষসরূপী রাজা মারা গেল।

হঠাৎ সেখানে সেই সন্ন্যাসির অবির্ভাব ঘটল। তিনি সবাইকে বুঝিয়ে বললেন, তোমাদের রাজার উপর এক রাক্ষসের প্রেতাত্মা ভর করেছিল। মাঝে মাঝে রাতে সেই রাক্ষসের প্রেতাত্মা তোমাদের রাজার উপর ভর করত আর সূর্য উঠার আগেই সে চলেযেত। তোমাদের রাজা সেটা জানতো না। সেই প্রেতাত্মার হাত থেকে তোমাদের বাঁচাতে হলে তোমাদের রাজাকে হত্যা করা ছাড়া অন্য কোনো পথ ছিল না। কারণ রাক্ষসের সেই প্রেতাত্মা একমাত্র মানুষের ইপর ভর করলেই দৃশ্যমান হয়।

সবাই বলল, তাহলে এবার আমাদের নতুন রাজা কে হবে? রাজা ছাড়া তো রাজ্য াচল।

প্রজাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলে উঠল, রাখাল যুবক আইজান হবে আমাদের নতুন রাজা। স আমাদের বাঁচিয়েছে। তাছাড়া তার মত সৎ, আর্দশবান মানুষ এই রাজ্যে তো আর একটিও নাই।

হ্যাঁ হ্যাঁ এটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। প্রজারা এক সাথে বলে উঠল। এরই মধ্যে রাজন্যবর্গ সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তারাও সকল প্রজার ইচ্ছের বিরুদ্ধে দ্বিমত করার সাহস পেলেন না।

সন্ন্যাসি চুপচাপ সবার কথা শুনছেন আর হাসছেন।

রাখাল যুবক আইজান বলল, পাহাড়, আর বনের সৌন্দর্যের মধ্যে বসাবাসেই তার আনন্দ। এসব পাথরের দালানে তার জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়বে।

কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রজারা চিৎকার করে শ্লোগান দিতে থাকে, আইজান, আইজান, আইজান।

বৃদ্ধ মন্ত্রী হারুন জানা এবার হাত তুলে সবাইকে চুপ করতে বলে, তামুন, আপনারা থামুন। আমি আইজানের সাথে কথা বলছি। সে আইজানকে বলে দেখ, প্রজারা যখন আপনাকে চাইছে। আপনার তাদের মতামতের উপর সম্মান করা উচিত।

আইজান প্রায় বাধ্য হয়ে রাজ্যভার নিজ কাঁধে তুলে নেয়। দিন দিন যায় রাত যায় রাজ্যের প্রজারা রাজা আইজানের শাসনে সুখে দিন গুজরান করতে থাকে। দেশ দিন দিন সমৃদ্ধির দিক এগিয়ে চলে।

কিন্তু একদিনের কথা; মধ্যবয়সি রাজা আইজান ঘুমিয়ে আছে। মধ্য রাতে হঠাৎ রাক্ষসের প্রেতাত্মা জানালা দিয়ে বাতাসের সাথে রাজার শয়ন কক্ষে ঢুকে পড়ে। অতপর সে রাজার মধ্যে ভর করে। ঠিক যেভাবে সে রাজা বীরেন সিংহকে ভর করত।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

ডি মুন বলেছেন: বাহ, বেশ ভালো লাগলো।

ছোটবেলায় রাক্ষস খোক্ষসের গল্প পড়ে খুব আনন্দ পেতাম।

আজকেও মনে হলো যেন সেই শৈশব থেকে ঘুরে আসলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো লিখে চলুন নিরন্তর।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

সোলায়মান সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.