আঁকাশ, বিকাশ, রিপন, ডন ও বাঁধনের (গাঁজাখুঁরি) গল্প

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩

গভীর শোক প্রকাশ করছি গুলশানে নিহতদের স্মরণে ! সেইসাথে শোক ও সম্মান জানাচ্ছি সেই দুই পুলিশ অফিসারের প্রতি যারা দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের জীবন দান করলেন !


এবার আসি বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম পরস্পরবিরোধী ভূমিকার কথায় | বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দেশবাসীকে কি আবুল মনে করে ? তানাহলে আকাশ, বিকাশ, ডন মার্কা অতি নিম্ন মানের চটিগল্প ফেঁদে এরা কার স্বার্থ রক্ষা করতে চায় ? প্রেসনোটে বলা হলো ঐ জঙ্গিদের নাম এবং এদেরকে নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকেই খুঁজছিলো ! অপারেশন থান্ডারবোল্টের পর এরা বুজতে পারলো যে ঐ মৃত জঙ্গিগুলোই আকাশ...বিকাশ..ইত্যাদি!!!! কিন্তু কিভাবে ? নিশ্চয় এদের কাছে ঐ জঙ্গিগুলোর ছবিসহ নামের ওয়ান্টেড লিস্ট ছিল ? তারা ঐ লিস্টের ছবি ও নামের সাথে মৃতদেহ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়েছে | আর তানাহলে আইএস নিজেই বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ছবি সহ লিস্ট দিয়েছিলো অনেক পূর্বেই !

আর কোনো সম্ভাবনা আমার মনে আসছে না | তবে এই দ্বিতীয় চিন্তাটি আমার মানতে ইচ্ছা করে না, কারণ বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং আইএস মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে একি কাতারে থাকলেও এরা একে ওপরের দোসর হওয়া অসম্ভব ! একি রাজ্যে যেমন দুই রাজা সহবস্থান করতে পারে না - আইএস ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রণয়ও তেমন অকল্পনীয় ব্যাপার ! সুতরাং প্রথম অপশনটাই বেশি গ্রহণযোগ্য - পুলিশের কাছে ঐ জঙ্গিগুলোর ছবিসহ নামের ওয়ান্টেড লিস্ট ছিল | তারা ঐ লিস্টের ছবি ও নামের সাথে মৃতদেহ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়েছে |

মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে ছবিসহ ওয়ান্টেড লিস্ট থাকলে পূর্বে এরা কেন এদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয় নাই ??? যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এক সপ্তাহেই তেরো সহস্রাধিক জঙ্গি (!!!) ,তাদের ছানাপোনা, নাতি পূতি গ্রেপ্তার করে ফেলতে পারে, সেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ওয়ান্টেড তালিকার অপরাধীদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজ খবর নিতে পারে নাই এর চেয়ে চরম ব্যর্থতা আর কি থাকতে পারে ? নাকি এই গল্পের ভিন্ন আরেকটি মাত্রা আছে যা আমরা পাবলিক আবুলরা দেখতে পাই না ????

৫ টি +২/-০