নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সব প্রানী সুখি হোক

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নপত্র ফাঁস, উল্লাহবাহিনীর কেচ্ছা এবং বেকুব পাবলিক !

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষকবাহিনীর মুখপাত্র এবং কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমের খবর পড়ে মনে হতে পারে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মূল হোতারা গ্রেপ্তার হয়ে পড়েছে | প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা বোর্ডের কারো সম্পৃক্ততা এখনো পাননি বলেও একজন সম্মানিত পুলিশ কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন | তথাকথিত দুর্ধর্ষ (!) উল্লাহ বাহিনীর পতনের পর এই সকল মহান সংবাদ মাধ্যম এবং সম্মানিত কর্মকর্তাদের অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী বাণী শুনে আমরা বেকুব পাবলিকরা খুবই আশ্বস্ত বোধ করা শুরু করতে পারি |

কিন্তু পরোক্ষনেই একটু ধাক্কা খেতে হয় যখন শুনি পরীক্ষার দিন ইন্টারনেট বন্ধের নতুন নাটকের পর্দা উন্মোচনের সংবাদে | উল্লাহবাহিনীর পতনের পর কি আবার নতুন কোনো বংশের শাসন শুরু হলো নাকি ? হোতাদের গ্রেপ্তারের পর এদের রক্ত থেকে আরো লক্ষাধিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতাদের জন্ম হয়ে গেলো নাকি - যে এদের প্রতিরোধে এখন সারা বাংলার আনাচে কানাচে ইন্টারনেটের মতো একটি মারাত্মক যোগাযোগ ভাইরাসকে স্বল্পসময়ের জন্য হলেও দমন করতে হবে ? আজকে তারানা আপা থাকলে হয়তো এই স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট বন্ধের বদলে অনেক দীর্ঘ মেয়াদি কোনো ব্যবস্থাও হয়ে যেতো | ;)

পরীক্ষার দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখলে ফাঁস করা প্রশ্ন একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত বিতরণ হয়তো কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে | কিন্তু যে সকল শিক্ষার্থীদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট আছে তাদের কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন পৌঁছানো বন্ধ করা যাবে কি ? আর যেগুলোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরা হচ্ছে বাহক বা হেন্ডলার - আসল শয়তানগুলো কিন্তু এখনো অধরাই রয়ে গেছে | হয়তো তারা এখনো অফিস কেন্টিনে ভুনা খিছুড়ি খেয়ে খিক খিক করে দাঁত কিলিয়ে হাসছে | প্রশ্ন একবার ফাঁস হয়ে গেলে তা সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেণীর কাছে পৌঁছানোটা তেমন সমস্যা হয় না - এজন্য ইন্টারনেট থাকা বা না থাকাটা কিন্তু মুখ্য নয় | প্রশ্নপত্র যেখান থেকে ফাঁস হচ্ছে, সেই মূল উৎস বন্ধের বিষয়ে কিন্তু এই সকল মহান সংস্থাসমূহের কোনো উচ্চবাচ্য নেই |

'উল্লাহ বাহিনী' কাহিনীর মতো ইতিপূর্বেও সময়ে সময়ে বিভিন্ন গাঁজাখুরি কাহিনী ফেঁদে জনগণকে বেকুব বানাবার ফাঁদে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে | কিন্তু এই সকল অপরাধের মূল উৎস বা হোতাদের গায়ে টোকা দেয়া বা .... পশম ফেলার মতো কোনো কাহিনী কিন্তু আজো পর্যন্ত বেকুব জনতার শোনার সৌভাগ্য কখনো হয় নাই -হয়তো কোনোদিন হবেও না |

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: যোগ্য লোক যোগ্য পদে না থাকলে এরকমই হবে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যোগ্য লোক যোগ্য পদে এরা ইচ্ছা করেই রাখে না

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: বেকুবের ভান করে থাকি- আসলে সবই বুঝি। সত্যি যদি কাউকে ধরে থাকে তাহলে মাস্টারমাইন্ডের কাছে পৌঁছানো কোন ব্যাপার না, যদি ইচ্ছা থাকে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বর্তমানে বেকুবের ভান করে থাকাটাই উত্তম | নাহলে কি সব ধারা-ফারা আছে ..... ফাঁসিয়ে দিতে পারে |

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই টেকনোলোজীর সময়ে, প্রশ্নফাঁস বন্দ্ধ করা খুবই সহজ

২০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয় | ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা আদৌ আছে কি চাঁদগাজী ভাই ?

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: বুঝেও বুঝি না।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: না বুজিবার ভান করে উত্তম প্রামানিক ভাই |

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমজনতাকে শিক্ষিত বানাতে চায় না। পরে না আবার তাদের ভন্ডামী জনতা ধরে ফেলে। জনতাকে ভোদাই বানিয়ে রেখে কাম সেরে ফালতে পারলে সেটাই করবে।

প্রশ্ন ফাসের শিক্ষা জাতিকে ভোদাই বানাবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জনতাকে ভোদাই অনেক আগেই এরা বানিয়ে ফেলেছে | নিজের ছেলেমেয়েদের এরা অন্য দেশে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দিয়ে ভোদাই পাবলিককে গিনিপিগ বানিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করে |

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: প্রশ্ন ফাঁসের চেয়ে ভয়াবহ সমস্যা পরীক্ষার হলেও রয়েছে। আপনি কী দেখেছেন কোন হল প্রত্যবেক্ষক কোন এক্সপেল্ট করতে? না, উনারা করেন না। ছাত্র বহিস্কার এ যাবৎ যত হয়েছে তার ৯০% স্পেশাল টিম তথা টিএনও, মেজিস্ট্রেট মহোদয়গণ করেন। হলের প্রত্যবেক্ষকগণ যদি বহিস্কার কার্যক্রম চালাতে পারেন তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ আসবে আর পড়ালেখা করেই আসবে। চোরাই প্রশ্ন সবার লাগে না। কিছু সংখ্যকের দরকার। সুতরাং কিছু সংখ্যকের দুর্ণিতি ঠেকাতে এতবড় যজ্ঞ চালানোর দরকার নেই।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাঁস এ জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এ শতাব্দীতে।
আপনার এর আগের পোস্ট "হাওরে হৃদরোগের সংক্রমণ !!!" পড়ে অনেক আগে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

১৫ ই জুন, ২০২১ ভোর ৫:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমরা জাতি হিসাবে অনেক অনেক পিছিয়ে পড়েছি এই দীর্ঘমেয়াদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্করে পড়ে। এই প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের ছাত্রছাত্রীরা কর্মজীবনেও ঠিক একই রকম সর্টকার্টের সন্ধান করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.