নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সব প্রানী সুখি হোক

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবু যত বলে পারিষদ-দলে ......কোটার আন্দোলন, একজন মতিয়া এবং অন্যান্য |

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫১

বর্তমান অধিকাংশ মেধাহীন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভিড়ের মধ্যে ম্যাগ্নিফায়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজলে যে গুটিকয়েক মেধাসম্পন্ন নেতা পাওয়া যাবে ওবায়দুল কাদের তাদের মধ্যে একজন | ছাত্র জীবনে তিনি অনেক মেধাবী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন | তাই তিনি যখন কোটার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে আলোচনা করে একটা মোটামুটি সমঝোতা করে আসলেন তখন আমার মনে হচ্ছিলো সরকার এই রাজনৈতিক সংকটটিকে ম্যাচিউরডভাবে সমাধান করে ফেলবে | দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের নাড়ীর স্পন্দন বুঝে কোটার মতো একটি চরম বিতর্কিত বিষয়টির যুগোপযোগী সংস্কারের জন্য হয়তো একটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাবে |

কিন্তু বিধি বাম | সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের নিজ ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা এবং আশংকাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে মতিয়ার মতো ক্ষমতাসীনদের পদলেহী, অর্বাচীন চরম মেধাহীন এবং কান্ডজ্ঞানহীন কিছু সংখ্যক নেতা/নেত্রীর দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্ত্যব্যের কারণে আগুনে ঘি দেয়ার মতো ঘটনাই ঘটলো | একটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ছাত্রছাত্রীকে কিভাবে এবং কি কারণে "রাজাকারের বাচ্চা" বলা হতে পারে আমার কোনো ভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না |

শুধু আওয়ামী লীগই নয়, ইতোপূর্বে বিএনপি সরকারের পতনের পূর্ব মূহুর্তে তারেক জিয়া এবং বিএনপির কিছু অর্বাচীন নেতা/নেত্রী বিরোধী দলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এবং মতামতকে এই ভাবে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আবোল তাবোল বকে জনগণের মধ্যে চরম বিরক্তির উদ্রেক করেছিল | তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বল্পভাষী হিসাবে পরিচিত হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি এই সকল বাচাল নেতাদের মুখের লাগাম টেনে ধরতে পারেন নি | তার পরের ইতিহাস সবারই জানা |

আফসোস - ইতিহাস থেকে কেহই শিক্ষা নেয় না | দেশের তরুণ সমাজের আত্মমর্যাদায় আঘাত করে আবোল তাবোল বকে যাওয়া মগজহীন নেতা/নেত্রীদের মুখে লাগাম টেনে ধরতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও | তাইতো এখনো দেখা যাচ্ছে মতিয়া, এইচ টি ইমাম, হাসান মাহমুদ, তারানা, ইনুর মতো যত সব রাবিশ নেতা/নেত্রীদের চরম যুক্তিহীন ফালতু প্রলাপ| ক্ষমতার কেন্দ্রে আজীবন থাকার প্রাণপণ চেষ্টায় নিজ প্রভুকে তৈলমর্দনরত এই সকল চিজগুলোর চরম আস্ফালন দেখে মনে পড়ছে কবি গুরুর কবিতার সেই লাইনটি "বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুন..." |

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দেশটাই চালাচ্ছে এই সকল মেধাহীন বলদরা, আর জনগণ ঘুরেফিরে এই সকল বলদকে সারাজীবন পূজা করে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাচ্ছে |

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মতিয়া, মেনন, ইনু, তোফায়েল, এরা সবাই এখনো ছাত্র রাজনীতিবিদ; উহারা সবাই শেখ হাসিনার কলাগাছে

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অর্থ এবং ক্ষমতার গন্ধ পেলে এগুলো খেজুর গাছ, গাব গাছে উঠতেও ইতস্তত: করে না |

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: মতিয়া তো বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিল সে এখন বড় চেতনাধারী!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই (অ)ভদ্র মহিলা কখনোই মুখের লাগাম সংযত করতে পারেন নাই |

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

ক্স বলেছেন: আন্দোলনকারীরা তো এজন্য সরকারকে দায়ী করছেনা - মইত্যা রাজাকারকে একা দায়ি করছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা সব কিছুতেই সরকার পতনের আন্দোলন হিসাবে দেখে ! এমনকি সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে আশংকা এবং ক্ষোভকেও !

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লাখ টাকার বাগান খাইলো পাঁচ টাকার ছাগলে! কিছু করার নাই, সবই নিয়তি। বাঙালীর কপালে অনেক দুঃখ আছে সামনে। সবই নিয়তি...

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাঙালিদের কপালে সারা জীবনই দুঃখ থাকবে যতদিন না তারা ঘুরেফিরে দুই রাজনৈতিক জোটের কিছু সংখ্যক মেধাহীন নেতাকে দেশশাসনের জন্য মনোনীত করতে থাকবে |

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
মহান সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে করা অভব্য মতিয়া চৌধুরীর এ অশ্রাব্য গালিটা এ আন্দোলনের একটা টার্নিং পয়েন্ট।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ | মতিয়া চৌধুরীর এ অশ্রাব্য গালিটাই এই আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে | সহমত |

৭| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

পবন সরকার বলেছেন: ক্ষমতায় গেলে কারো হুস থাকে না।

১৫ ই জুন, ২০২১ ভোর ৫:৩৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জীবনে একসাথে এতো তাড়াতড়ি সম্পদ ও ক্ষমতা পাওয়ার আর কোনো সহজ পথ এদের কাছে নেই | তাই এরা মরিয়া হয়ে উঠে যেকোন প্রকার তোষামুদি করেই হোক না কেন একটি পদ পাওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.