নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ফেসবুক লিংক:-https://www.facebook.com/SyedAlFahad.BD

সৈয়দ আল ফাহাদ

টুকটাক লেখালিখি করি!

সৈয়দ আল ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মেয়েদের পক্ষে কিছু বললে যদি নারীবাদী হয়ে যায়,তাহলে আমি নারীবাদী হতেও রাজি।"

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

"ঘটনা ১: একটা মেয়ে ডাক্তারের দোকানে প্যাড কিনতে গেলো, তাকে প্রশ্ন করা হলো বেল্ট নাকি প্যান্টি সিস্টেম। মাজেমাজে সেটা জিগাস করা হয় দোকান ভর্তি মানুষের সামনে, আর তখন দোকানের মানুষগুলো তার দিকে আড়চোখে তাকায়"
"ঘটনা ২: একটা মেয়ে পাবলিক বাসে উঠলে বাসের সবগুলো জুয়ান বুড়া চোখ দিয়েই তাকে ধর্ষন শুরু করে দেয়। আর বাই চান্স মেয়েটা অন্য ছেলেদের সাথে বাসে দাড়িয়ে সফর করলে তো হইছেই, ফিজিক্যালি স্যাক্সুয়াল জেরেসমেন্ট শুরু করে দেয় পুরুষ রূপি পশু গুলো,আর মজা নেয় বাসে থাকা বাকি পশুগুলো। আর মেয়েটা চুপ করে সেগুলা সহ্য করে!"
.
আজকের পোষ্টটা মোটামুটি নারীবাদী পোষ্ট! কোনো নারী বিপক্ষে লোক থাকলে পোষ্ট পড়ার দরকার নাই। বাট পড়ে পোষ্ট বিরোধী কথা বললে খবর আছে, মাইন্ড ইট!
তো,শুরু করা যাক। প্রথমে বলি ঘটনা ১ নিয়ে! আচ্ছা প্যাড,মাসিক এগুলা কি খারাপ জিনিস? মোটেও না। সরি টু সে এই মাসিক না হলে আপনার নিজের জন্মই হতো না। হ্যা আপনাকেই বলছি! মানে আমাদের কারোর ই জন্ম হতো না। সো? কেন? প্যাড, মাসিক এগুলা শুনলা আড় চোখে তাকান কেন? লজ্জা লাগেনা?
এবার ঘটনা ২! পাবলিক বাস গুলোতে পুরুষ নামক সেই পশু গুলোর কথা চিন্তা করতেছি,তারা কি আসলেও কোনো মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে? আমার সন্দেহ আছে! কোনো মায়ের সন্তান হলে, কোনো বৌয়ের জামাি হলে,কোনো মেয়ের বাবা হলে পাবলিক বাসে অন্য মেয়েদের দিকে কু নজরে দেখতে পারতো না বা স্যাক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট করতে পারতো না।
আমি বুঝি না মানুষ কিভাবে এগুলা করে! কিন্তু আমার মনে হয় এসব ক্ষেত্রে মেয়েদেরই দোষ বেশি থাকে! হ্যা! মেয়েদেরই দোষ বেশি। কিভাবে তাদের দোষ জানেন? কারন মেয়েরা প্রতিবাদ করে না! এটাই তাদের সবথেকে বড় দোষ। তারা প্রতিবাদ করেনা,কিন্তু মনে মনে ক্ষোভ প্রকাশ করে, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়না। আমাদের সমাজ টাই এমন ভাবে তৈরি হয়ছে জেনো মেয়েরা প্রতিবাদ করতে না পারে! তাদের ছোটবেলা থেকেই শিখানো হয় প্রতিবাদ করা যাবেনা! যদি কোনো মেয়ে বাসে হ্যারেসম্যান্ট হওয়ার সময় কায়দা মতো ঐ সব পশুদের ঘষে দিতো তাইলে তারা এতো সাহস কোনো সময় ই পেতো না। ডাক্তারখানায় অপমান করার সময় যদি জুতা টা খুলে শালাদের গালে মেরে দিতো তাহলেও এসব হতো না! কিন্তু আমাদের মেয়েরা সে গুলা পারেনা! পারবেও না জীবনে জানি। বাট হওয়া উচিৎ প্রতিবাদী। তাহলেই মেয়েরা পারবে তাদের অধিকার আদায় করতে।
"মেয়েদের পক্ষে কিছু বললে যদি নারীবাদী হয়ে যায়,তাহলে আমি নারীবাদী হতেও রাজি।"
পোষ্টটা মোটামুটি খোলামেলাভাবেই বলেছি,তার জন্য দুঃখিত।
-ধন্যবাদ
ফেসবুকে আমি:- Syed Al Fahad

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

শার্লক_ বলেছেন: প্রতিবাদ করতে হবে।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৭

ইউনিয়ন বলেছেন: B-)) কিছু কু-মানুষ ছাড়া সকল মানুষ নারীবাদী। আপনি একটু দেরিতে দাবী করলেন এই যা। আমি বাসে প্রায়ই দেখি অনেক ছেলে পেলে সিটে না বসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বোনকে, মায়ের বয়সী মহিলাকে বসতে দিচ্ছে। এটা আমাদের দেশে বাস সার্ভিস দেয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে আজো চলমান। এবার আসি আসল কথায়:

দেশে যেমন নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন ঘটছে তেমনি পাব্লিক ট্রান্সপোর্রটের পর্যাপ্ত অভাব রয়েছে। কোন মেয়ে যদি দাঁড়িয়ে না যেয়ে বসে যেত তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী ধর্ষণের হার কমিয়ে আনা যেত। কিন্তু এখন যে হারে ট্রান্সপোর্ট বাড়ছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করছে। অর্থাৎ এর থেকে সহসা মুক্তি পাচ্ছি না।
এবার আসি নৈতিক চরিত্রের কথায়; পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সু-শিক্ষার অবাবে দেশের যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। যারা এহেন অপকর্মে লিপ্ত তারা কোন না কোনভাবে প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত। এই ডরে তাদের অপকর্ম অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে। ইন্টারনেটে XXX ভিডিও এর সহজ লভ্যতার কারণে যুবক রাত ভরে স্ক্রিনে চোখ লাগিয়ে রাখে। দিন হলে বাসে হাল্কা সুযোগ পেলে তার এপ্লাই বিভিন্ন আঙ্গিকে করার চেষ্টা করে। এর থেকে অবশ্য মুক্তি আছে যেটা বলতে চাই না, এর জন্য দেশে অনেকে গলা ফাটাচ্ছে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩০

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: সচেতনতা, পারিবারিক শিক্ষা, মূল্যবোধের জাগরণ এগুলোই সমাধানের পথ।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে পরিবার থেকেই নারীরা হরিণ হয়ে
বড় হয় ছেলেরা বাঘ। গন্ড মুর্খ পিতা মাতা
বেলায় সব চেয়ে বেশী দেখা যায়। খেতে
বসলে বলবে ছেলেটা বড় মাছটা দাও।
ছেলের জন্য প্রতিটা ফ্যমিলিতে আলাদা
সুন্দর ব্যবস্থা, অথচ মেয়ের বেলায় কমতি
হলেও চলে। ছেলেটা রাস্তায় বেড় হলে
হাজার রকম বাঁদমীতে দোশ নাই, মেয়ে
যদি বাড়িতেই একটু চন্চল হয় তাতে
অনেক দোশ। মা বাবা বড়ভাই বলবে
মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছ তাই চন্চল হওয়া
যাবেনা। ছেলেদের কোনও সতিত্ব্য নাই
সাত ঘরের মেয়ের সতিত্ব্য নষ্ঠ করলেও
ছেলেরা এটো হয়না। অথচ মেয়েদের
জোর পুর্বক ধর্ষন করলেও মেয়েটারই
দোশ। মেয়েরা পর্দা করেনা।
আসলে এর জন্য দায়ী আমরা আমাদের
পরিবার সমাজ। নারীদের প্রতি যত অন্যায়
হোক না কেন,ঘুরে ফিরে নারীর কাধেই
দোশ চাপান সহজ কারন নারী প্রতিবাদ
শিখেনা পরিবার থেকেই। এত বড় একটা
প্রাচীন দেশে ধর্মীয় শিক্ষাও শুধু নারীর
উপড় বর্তায়। সে ক্ষেত্রে ছেলেরা শিক্ষা
পেলেও যেন ভুলে যায়। ধন্যবাদ

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫

বর্ষন হোমস বলেছেন: এই পোষ্ট দেখার পর যেসকল নারী মূলত এইসব সমস্যার মুখোমুখি হয়না তাড়াও পক পক বক বক শুরু করে দেবে।
আর ইউনিয়ন এর কথা সহমত জানাচ্ছি।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সচেতনতা বাড়াতে হবে।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আহঃ ! এই জাতি যদি মেয়েদেরকে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে ঘরেই রাখতে পারতো, অথবা সম্মানের সাথে চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারতো অথবা অসম্মানের সাথে রুজি রোজগারের জন্য বাহিরে না পাঠাইতে পারতো !

হে আল্লাহ , সকল নারীবাদী পুরুষরে তসলিমা নাসরিন বানাইয়া দাও , সকল নারীবাদী নারীরে এরশাদ কাকু বানাইয়া দাও। আমিন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.