নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ফেসবুক লিংক:-https://www.facebook.com/SyedAlFahad.BD

সৈয়দ আল ফাহাদ

টুকটাক লেখালিখি করি!

সৈয়দ আল ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহা পুরোপুরি কাল্পনিক ঘটনা অবলম্বনে কাল্পনিক একটা পোষ্ট

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বেরোতেই দেখি রিকশা নেই। ব্যাপার কী? আজ কি তাহলে রিকশা ধর্মঘট? তা হতেই পারে! দেশের যা অবস্থা! অস্বাভাবিক কিছুই নয়। কী আর করা, অগত্যা হাঁটা শুরু করাই ভালো। দুই কিলোমিটার পথ। কম কথা? গ্রামের লোকেরা যে কেমনে পাঁচ-সাত কিলোমিটার হাঁটে, শুনলেও গায়ে ব্যথা হয় আমার। নাহ্, রাস্তাগুলো কেমন যেন নতুন নতুন মনে হচ্ছে আজ। রাস্তায় কোনো ময়লা নেই। কয়েকজন বলাবলি করছে, দোকানমালিক সমিতি নাকি বলেছে, যার দোকান সে তার সামনেটার পরিষ্কার রাখবে! তা না রাখলে জরিমানা! এমনকি রাস্তায়ও ময়লা ফেলতে পারবে না দোকানিরা! ধরা পড়বে প্রতি দোকানের সামনে সেট করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়। দোকান বা বাড়ির সামনের ফুটপাত সংরক্ষণ ও মেরামত করবে দোকানের বা বাড়ির মালিকেরা। দোকানমালিক সমিতির কড়াকড়ি নির্দেশ। দোকানের সামনে ইট, খোয়া রাখলে পুলিশি জরিমানা।
.
কী ব্যাপার, কোনো দেয়ালে আজ কোনো পোস্টার নেই কেন? এত দিনে বিজ্ঞাপনওয়ালারা কি বুঝেছে, বাড়ির মালিক টাকা খরচ করে বাড়িতে রং করেন? তা আর আঠা মেরে নষ্ট করবে না! সৌন্দর্য নষ্ট করবে না! ওহ্, বুঝেছি! বিজ্ঞাপনের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান করা হয়েছে। খুব ভালো উদ্যোগ। এ মা! এটা আবার কী! প্রতি দোকানের সামনে মধ্যম সারির একটি করে ডাস্টবিন! এটা আবার কবে বসাল? বোধহয় অনেক দিন! রিকশার হুডের নিচে বসে যাতায়াত তো! ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া।’ সবাই উচ্ছিষ্ট রাখছে ডাস্টবিনে। ব্যাপারখানা কী? আজ যানজট খুব কম কেন? বিষয়টা কী? কোনো বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় পার্কিং নেই। লোকেরা বলাবলি করছে, আন্ডারগ্রাউন্ড নাকি গাড়িতে পূর্ণ হয়ে যায় প্রতিদিন। গাড়ি রাখার জন্য আরও জায়গা প্রয়োজন। তাই তো গ্রাউন্ড ফ্লোরে কোনো ব্যবসা নয়। মালিকের নির্দেশ। ওখানে তৈরি করতে হবে পার্কিং প্লেস। ব্যস! রাতারাতি নির্দেশ আর পালন। এ কারণে বোধহয় যানজট অনেক কম। অনেক দিন পর হলেও মালিকদের বোধোদয় হয়েছে। খুব ভালো, খুব ভালো। একি! রাস্তায় লাল, হলুদ, সবুজ বাতি জ্বলছে! এটা আবার কবে লাগাল। এসব বাতি তো রাস্তায় কোনো দিন দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কী ব্যাপার ঘটছে আজ সকাল থেকে? আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি? নাহ্! আমি তো রাস্তা ধরেই হাঁটছি। কী তাজ্জব! লাল বাতি জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেমে গেল কেন? নাহ্! আশপাশে কোনো ট্রাফিক পুলিশও তো নেই! নিশ্চিত কোথাও না কোথাও ঘুষ নিতে ব্যস্ত তারা। যাক গে! আদার ব্যাপারির কি জাহাজের খবর নিয়ে লাভ আছে? এত লম্বা লাইন কিসের? মহিলাদের আবার আলাদা! তাদের জন্য আলাদা বাস যে! চালক, সুপারভাইজার সবাই মহিলা! বাহ্! খুব ভালো তো! কোনো তাড়াহুড়ো নেই। রাস্তায় ভিড় থাকলেও যে যার মতো হাঁটছে নিজের সুবিধামতো। ভালোই! একটু আগে বের হলে মর্নিং ওয়াকটা হয়ে যেত। হায় হায়, অফিস টাইম হয়ে গেছে? বড় কষ্ট ওভারব্রিজ পার হওয়া। দরকার নেই কষ্ট করার। জেব্রা ক্রসিং! সেটা আবার কী? এখান দিয়েই পার হই। ওহ্, মাগো! দৈত্যমার্কা বড় ট্রাক কাছে এসেই জোরে হর্ন দিল। ট্রাকের হর্ন নয়, বালিশের নিচে রাখা ঘড়িটি প্যাকপ্যাক করছে। তাকিয়ে দেখি, আটটা। হায় হায়, অফিসে যেতে হবে যে........
বিঃদ্রঃ ইহা পুরোপুরি কাল্পনিক ঘটনা অবলম্বনে কাল্পনিক একটা পোষ্ট।
-ধন্যবাদ
ফেসবুকে আমি

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: হ্যাঁ কল্পনায় ভাবি এবার এই দল কে ভোট দিব তাদের ওয়াদা গুল বেশ ভাল কিন্তু ভোটের পর দেখি যেই মাথা সেই কপাল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.