নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ফেসবুক লিংক:-https://www.facebook.com/SyedAlFahad.BD

সৈয়দ আল ফাহাদ

টুকটাক লেখালিখি করি!

সৈয়দ আল ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সুইসাইড কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না, ধৈর্য ধরেন, সবুরে মেওয়া ফলে!"

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১০

"-ভাই,এইচ এস সি রেজাল্টের পর এতে গুলা পোলপান সুইসাইড করলো, পোষ্ট দিলেন না কোনো? আপনার মোটিভেশনাল স্পিচ দরকার একটা।
-কি বলবো ভাই? সুইসাইড করছে ওরা,দুয়া করি জাহান্নামি হোক। আর মোটিভেশনাল স্পিচ দিতে লাগে ভয়, কারণ এখন মানুষ মোটিভেশনাল স্পিচ যারা ফ্রীতে দেয় তাদের নিয়ে ট্রল করে। কিন্তু তারাই আবার টাকা খরচ করে মোটিভেশনাল স্পিচ শুনতে যায়। সেলুকাস!"
.
কুমিল্লার রেজাল্ট আর সেখানে সুইসাইড করাদের নিয়ে কিছু বলবো না, বললে কুমিল্লার জনগন আমাকে মেনে নিবে না, এবং দারুণ ভাবে পচাবে। তাই ঐ টপিক বাদে নরমালি সুইসাইড নিয়ে কিছু কথা বলবো! কিন্তু মোটিভেশনাল স্পিচ দিতে ভয় লাগে এখন। কারণ আগে যেসব ফেবু সেলেব রা মোটিভেশনাল স্পিচ দিতো তারা এখন এটা নিয়ে ট্রল করে, কারণ তারা জানে এখন মানুষ মোটিভেশনের বিরুদ্ধে কথা বললে খাবে বেশি। আমি দেখি আর হাসি। আসলে কাহিনী হলো ফ্রী জিনিস নেই না আমরা। যেমন কোনো দোকানে ৭০০ টাকা দামের শার্ট বিক্রি করলে কিনি না কিন্তু সেই শার্ট ই যদি ১০০০ টাকা লিখে রেখে ৩০% ছাড় বলে ৭০০ টাকায় বিক্রি করে তখন মানুষ সেটা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরে। আমরা বাঙালি রা ফ্রী জিনিস নেই না। তাও কিছু কথা বলা উচিৎ।
.
প্রতি বছর তামাম দুনিয়ায় ৮ লক্ষ বলদ সুইসাইড করে নিজের নাম টা জাহান্নামের খাতায় তুলে দেয়। যে নিজেকে ভালোবাসে না, দুনিয়াকে ভালোবাসে না তার স্থান জাহান্নামে, সকল ধর্মেই বলা আছে প্রায়। সুইসাইডের মেইন কারণ টা কি? পারিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, শিক্ষায় ব্যর্থতা, আরো অনেক কারণ। না, এগুলা কারণ না, মেইন কারণ হলো ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশন বলতে বুঝায় মানসিক অশান্তি। কিন্তু এখন যারা সুইসাইড করে,তারা বেশিরভাগ ই ডিপ্রেশন টাকে পেশন হিসেবে নেয়। চেষ্টার ৬-৭ বছর শারীরিক নির্যাতনের পরও বেঁচে থাকলো কতো বছর, কিন্তু এখনকার পোলাপান বাসায় বকা ঝকা করলেও সুইসাইড করে বসে। তারপর প্রেমে ব্যর্থ হলে সুইসাইড করে। সামান্য একটা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে সুইসাইড করে। বাহ রে বাহ। জীবনের মূল্য এতো কম? এখন অনেকে বলবেন ভাই রেজাল্ট খারাপের পর সবার কটু কথা শুনে বাচতে মন চায় না। আরে ভাই এক কান দিয়া ডুকান আরেকটা দিয়া বাহির করেন। যারা কটু কথা শোনায় তারা আপনাকে পৃথিবীতে পাঠায় না। একটা মানুষ বর্তমানে গড়ে ৬০ বছর বাচে। তার আগে যদি আপনি সুইসাইড করেন পৃথিবী দেখা হবে না ঠিকমতো। আর এখন সুইসাইডের জন্য ফেসবুক টা অনেক ভালো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারন পোলাপান সুইসাইডের আগে সুইসাইড নোট লিখে পোষ্ট করে, তা দেখে অন্যজন ইম্প্রেস হয়ে সুইসাইড করে। তাই বলবো যারা সুইসাইড যারা করবেন তারা দয়া করে বালের সুইসাইড নোট পোষ্ট করবেন না ফেসবুকে।
.
মনে রাখবেন "সুইসাইড কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না, ধৈর্য ধরেন, সবুরে মেওয়া ফলে!"
-ধন্যবাদ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার ধরণ সুবিধার হয়, ম্যাঁও প্যাঁও ধরণের; দরকারী বিষয়ের উপর ম্যাঁও প্যাঁও করা ঠিক নয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১১

সৈয়দ আল ফাহাদ বলেছেন: ম্যাঁও প্যাঁও মানে???

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩০

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: সুইসাইড কেউ শখের বশে করে না। নানা কারণে জীবনের প্রতি ঘৃণা চলে আসার কারণে করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবার আর বন্ধু আত্মীয় দায়ী হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.