নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।লিখুন শীরোনাম সুন্দর একটি ব্লগের আপনার

সৈয়দ ইসলাম

আগত প্রজন্মের সাক্ষী!

সৈয়দ ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণ একটি জীবন্ত ইতিহাস (ভিডিওসহ)

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮


৭ই মার্চ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ। এদিন ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে(বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ১৮ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা (নিম্নের ভিডিওটি)। ১২টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়৷ নিউজউইক ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ ভাষণ একটি জীবন্ত ইতিহাস। ভাষণটি দর্শন ও শ্রবণের সাথে যদি আমরা নিজেদের ইতিহাস খোঁজি এবং ইতিহাস থেকে পাওয়া নিজেদের স্বপ্নের বাংলা গড়তে সকলে মিলে কাজ করি, তবেই সার্থকতা।



'ভায়েরা আমার,
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বৎসরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস-এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বছর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গনতন্ত্র দেবেন - আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো, নির্বাচন হলো। আপনারা জানেন। দোষ কী আমাদের? আজকে আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সাথে দেখা করেছি আপনারা জানেন - আলাপ আলোচনা করেছি। আমি শুধু বাংলা নয় - পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে তাকে অনুরোধ করলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না। তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। তিনি মাইনে (মেনে) নিলেন। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে বসবো। আমরা আলোচনা করব। আমি বললাম, বক্তৃতার মধ্যে, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। আপনারা আসুন,বসি। আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসে তাহলে কসাইখানা হবে এসেম্বলি। যদি কেউ এসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। তার পরেও যদি কেউ আসে তাকে ছান্নাছাড় করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলি চলবে। তারপরে হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো।

কী পেলাম আমরা? যা আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে- তার বুকের ওপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু- আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু - আমরা বাঙালীরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি যখনই এদেশের মালিক হবার চেষ্টা করেছি - তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা আমাদের ভাই। আমি বলেছি তাদের কাছে একথা। যে আপনারা কেন আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি মারবেন? আপনাদের রাখা হয়েছে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে তার থেকে দেশটাকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে উনি বললেন - যে আমার নামে উনি বলেছেন আমি নাকি বলে স্বীকার করেছি যে ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি উনাকে একথা বলে দিবার চাই - আমি তাকে তা বলি নাই। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান, ঢাকায় আসেন, কিভাবে আমার গরীবের ওপরে, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তার পরে আপনি ঠিক করুন - আমি এই কথা বলেছিলাম। হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে, বা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, ৫ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন এবং যে বক্তৃতা করে এসেম্বলি করেছেন- সমস্ত দোষ তিনি আমার উপরে দিয়েছেন - বাংলার মানুষের উপরে দিয়েছেন।

আমি পরিষ্কার মিটিংএ বলেছি যে এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ভায়েরা আমার, ২৫ তারিখে এসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি, যে ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথম, সামরিক আইন- মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত দিতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে এসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না। জনগণ সে অধিকার আমাকে দেয় নাই। ভায়েরা আমার, তোমরা আমার উপর বিশ্বাস আছে?
আমি, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই।

আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল - প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু - আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ভালো হবেনা। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবেনা।
যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়া হল, কেউ দেবেনা।

তবে আমি অনুরোধ করছি - আপনারা আমাদের ভাই - আপনারা দেশকে একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে দিয়েন না। জীবনে আর কোনোদিন আপনাদের মুখ দেখাদেখি হবেনা। যদি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ফয়সালা করতে পারি তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই হিসেবে বাস করার সম্ভবনা আছে। সেইজন্য আপনাদের অনুরোধ করছি আমার এই দেশে আপনারা মিলিটারি শাসন চালাবার চেষ্টা আর করবেন না। দ্বিতীয় কথা - প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় - প্রত্যেক ইউনিয়নে - প্রত্যেক সাবডিভিশনে - আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।'
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।


'আপনারা আমার উপরে বিশ্বাস নিশ্চই রাখেন - জীবনে আমার রক্তের বিনিময়েও আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করি নাই। প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে আমাকে নিতে পারেনাই। ফাঁসিকাষ্ঠে আসামী দিয়েও আমাকে নিতে পারেনাই। যে রক্ত দিয়ে আপনারা আমাকে একদিন জেলের থেকে বাইর করে নিয়ে এসেছিলেন এই রেসকোর্স ময়দানে আমি বলেছিলাম - আমার রক্ত দিয়ে আমি রক্ত ঋণ শোধ করব - মনে আছে? আমি রক্ত দেবার জন্য প্রস্তুত। আমাদের মিটিং এইখানেই শেষ। আসসালামু আলাইকুম। জয় বাংলা।' 

বয়ানে : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ও গুগল
ভিডিও : বাংলাদেশ আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় ইউ. চ্যানেল থেকে।



অপ্রাসঙ্গিক জ্ঞান: বঙ্গবন্ধু লাউ পছন্দ করতেন। এটি ছিল মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)র পছন্দের একটি খাবার। লাউ খাওয়া সুন্নত সেটা আমি জানতাম না। গত কিছুদিন পূর্বে একজন হাদিস বিশ্লেষণকারী আমাকে এ তথ্য দেন। উনি আমাকে লাউ খাওয়া নিয়ে একটি ঘটনা সম্বলিত সহীহ হাদিস শুনান (ইনশাআল্লাহ আগামীতে সেটা তুলে ধরবো)। উনার এ কথা শুনার সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধুর লাউ খাওয়ার কথা স্বরণ হয়।


*শেষের ছবিটি বঙ্গবন্ধুর অন্য একটি ভাষণ থেকে নেয়া

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: মাইকে বাজতে বাজতে এ দেশের বাচ্চা শিশুদেরও এ ভাষণমুখস্ত এবং কানও ঝালাপালা। এটা কপি করে ব্লগে পোস্ট দিয়ে প্রথম পাতা দখলের প্রয়োজনটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।

আরেকটি বিষয়। লাউ খাওয়া সুন্নত সেটা জেনেছেন মাত্র কদিন আগে। বাহ ভালোই ইসলামি জ্ঞানের বহর দেখছি! এই জ্ঞান নিয়ে সালাফি, হেফাজতি, জামাতি সবার ইসলামী বিশ্বাসকে এক হাত নিচ্ছেন ব্লগে?
নামাজ পড়েনতো ঠিকমত? নাকি "মাদার অব হিউম্যানিটি" র তাহাজ্জুদই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করেন?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বাচ্চাদের মুখস্ত বিদ্যায় যদি আপনি নিজের সাদৃশ্য খোঁজেন তবে তো ভালই। ওরা কিন্তু কতেক লাইনের পেশি পারে না। এ ভাষণ একটি ইতিহাস যদি আমরা ভাষণের সাথে ইতিহাস খোঁজি।

আর ভাই, আমি আপনার মত থেমন জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি না, মরার আগ অবধি আমি ছাত্রই থাকবো।

আর হ্যা, "মাদার অব হিউম্যানিটি"র মত আমি হয়ে উঠতে পারিনি। আমি চেষ্টা করি, ফরমালিন মুক্ত নামায পড়ার।

আপনাকে ধন্যবাদ, কষ্টকরে সুমন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকুন নিরন্তর।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজকের দিনের জন্য প্রাসঙ্গিক পোষ্ট, শুভেচ্ছা নিরন্তর।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ তারেক ভাই,
আপনার কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা আগামীর পুঁজি, যদিও আমি পুঁজিবাদ বিরোধী :-B

চিরন্তন শুভকামনা আপনার জন্য।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: গড়াই নদীর তীরে--অনেক দিন গাড়ীতে বাংলাদেশের পতাকা দেখতে পারছে না....জামাতি আমলে খুব আরামে ছিল এখন বংগবন্ধুর ভাষন শুনলে কানে জ্বালাপোড়া করে!!!!!

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
যে গুষ্টি বঙ্গবন্ধুর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে জানে না তারা নির্ঘাত বাঙালি না। আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলে যাদের জ্বালাপোড়া করে তারা পাকিদের দালাল ছাড়া কিছুই না; বা তারা জ্ঞানহীন।

ধন্যবাদ প্রিয়।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০২

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: ওয়েলকাম বিখ্যাত বিঘ্যানী কলাবাগান নাম্বার ওয়ান!
মশাই, পোস্টের লাউ খাওয়া সুন্নাত বিষয়ে কিছু বললেন না যে? আপনার দৃষ্টিতে এই সব তো গুহাবাসী কথাবার্তা। দলীয় লোকে বলেছে তাই টক জিনিসও মিঠা লেগেছে?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আচ্ছা ভাই,
অল্পজ্ঞানী এই ভাইটাকে একটু উপকার করেন, নিজের জ্ঞান থেকে এই সুন্নতের সঠিক রেফারেন্স দিন তো । অন্যের সাহায্য নেয়ার মিল-বেমিল প্রমাণ হবে আপনার রেফারেন্স দেখেই।

আর, বঙ্গবন্ধুর কৃতজ্ঞতা আদায় ও তার প্রশংসা করা প্রত্যেক বাঙালির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যারা তাকে সহ্য করতে পারে না, তারা বাঙালি না।

ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
রাজিব নূর ভাই, আপনার ভাল লাগা সার্থকতার পূর্ণতা। ( ই- ি কার দিতে সম্বোধন করলাম ♥♥)

ভালবাসা নিরন্তর

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

বারিধারা ২ বলেছেন: এই ভাষণ যখন বাজায়, তখন জয় বাংলা শব্দটি কেমন যেন খাপছাড়া ও বেখাপ্পা লাগে। এটার কারণ কি বলতে পারবেন? ভাষণ শেষে উনি সালাম দিয়েছিলেন বলে জানলাম। এটি ফেলে দেয়া হল কেন জানাবেন?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আমাদের নব্য বুদ্ধিজীবীদের একদল আছেন, যারা ইসলাম থেকে প্রগতিকে আলাদা মনে করেন (ইসলাম সম্পর্কে তাদের স্বল্প জ্ঞানই তাদে এ অবস্থার জন্য দায়ী)। আর তাই ইসলামি শব্দগুলোকে সহ্য করার ক্ষমতা রাখেন না। এরা পাশ্চাত্যমুখী বা এদেরকে পাশ্চাত্যের অন্ধ পূজারি বলতে পারেন। এ কর্মগুলো এদেরই গভীর ষড়যন্ত্রে হারিয়ে যেতে বসেছে।

তারা সংস্কৃতি থেকে ধর্মকে দূরে রাখার নামে বাঙালির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে চলেছে।

সুশিক্ষা। আমাদের জাতি এখনো ঐদিকে যাওয়ার শিক্ষা পায়নি, নতুবা এই স্বঘোষিত কুখ্যাত বুদ্ধিজীবীরা এদেশে টাই পেতেন না।

সর্বশেষ একটি কথা,
ইতিহাসের উপর কেউ প্রতিশোধ নিতে পারে না বরং ইতিহাস নিজ নিয়মেই প্রতিশোধ নিয়ে নেয়।


ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ভাষণটি ঐতিহাসিক; তবে, ভাষণের পর শেখ সাহেব ইয়াহিয়ার সাথে আরো কথা বলেছিলেন; সেদিক থেকে ভাবলে, ভাষণটি দেয়া হয়েছিল পাকীদেরকে চাপে রাখার জন্য

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:২২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
কিন্তু ভাই, চাপে রাখার সাথে সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতির বেলায় আমাদের তৎকালীন আওয়ামীলীগ তেমন কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি, যদি পারতো, তবে অপারেশন সার্চলাইটের একই রাত্রে নিরপরাধ এতো মানুষকে প্রাণ দিতে হত না।

ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩১

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পাঠ পরবর্তী মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.