নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।লিখুন শীরোনাম সুন্দর একটি ব্লগের আপনার

সৈয়দ ইসলাম

আগত প্রজন্মের সাক্ষী!

সৈয়দ ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্বশুরবাড়ি আসল বাড়ি" কিন্তু মুসলিম আইন কী বলে? (জানাটা খুবই জরুরী)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪


(একজন বোনের থেকে পাওয়া ম্যাসেজ..)

মুসলিম আইনে স্ত্রীর ‘শ্বশুরবাড়ি’ নামক বাসস্থান বা এই শ্বশুরবাড়ি সংশ্লিষ্ট দায়-দায়িত্বের কোনই অস্তিত্ব নাই। এই ‘শ্বশুরবাড়ি কালচার’ আমাদের নিজস্ব আবিষ্কার।
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর আইনি একইসাথে নৈতিক কর্তব্য। ভরণপোষণ বলতে শুধু খাদ্য, আর পোষাক বোঝায় না, ‘পৃথক বাসস্থান’ এবং বিশ্রামের সুযোগ ও অন্তর্ভূক্ত। বিয়ের পর স্ত্রীর জন্য পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক বা ফরয। এই বাসস্থানের অবশ্যই তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে:
১/ বাসস্থানটি স্ত্রীর জন্য নিরাপদ হতে হবে
২/বাসস্থানে স্ত্রীর নিজস্বতা বা Privacy বজায় থাকতে হবে।
৩/ বাসস্থান এমন হতে হবে যেখানে স্ত্রী স্বচ্ছন্দবোধ করবে।
'
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-
“তোমরা সামর্থ্যানুযায়ী নিজেরা যেরূপ গৃহে বাস কর, স্ত্রীদের বসবাসের জন্যও তদ্রুপ গৃহের ব্যবস্থা করে দাও। তাদের কষ্ট দিয়ে জীবন সংকটাপন্ন কর না।”
[সূরা তালাক, আয়াত- ৬]

এই আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, স্ত্রীর জন্য স্বামীকে পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শ্বশুরবাড়িতে বন্দোবস্ত করতে বলা হয় নি।

কুয়েত থেকে প্রকাশিত “আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়া (ফিকহী বিশ্বকোষ)” তে এসেছে- স্ত্রীর সাথে একই ঘরে পিতামাতা (বা অন্য কোন আত্মীয়) কে বসবাস করতে দেয়া জায়েয নয়। তাই স্বামীর কোন আত্মীয়ের সাথে একত্রে বসবাস করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করার অধিকার স্ত্রীর রয়েছে। আলাদা বাসাতে থাকলে স্ত্রী তার ইজ্জত, সম্পদ, নিজস্বতা (privacy) ও অন্যান্য অধিকার উপভোগ করার পূর্ণ নিশ্চয়তা পেতে পারে। সুতরাং এ অধিকার পরিত্যাগে তাকে বাধ্য করার সাধ্য কারো নেই। হানাফি, শাফেয়ি, হাম্বলি মাযহাবসহ অধিকাংশ ফিকাহবিদগণের অভিমত এটি।
'
যৌথ পরিবার ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করে- এমন বিধান ইসলামে কোথাও নাই। বরং বিপরীত ব্যবস্থার নির্দেশনা এসেছে। স্বামীর আত্মীয়দের সাথে একই ঘর বা ফ্ল্যাটে বসবাসের ফলে ইসলামের ফরজ কর্তব্য লংঘিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়। এমন ব্যবস্থা ইসলাম কিভাবে সমর্থন করতে পারে?
'
অবশ্যই পিতা-মাতার দেখাশোনা করা, তাদের ভরণপোষণ করাকে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে- সন্তানের জন্য বাধ্যকরী করেছে। কিন্তু এই দায়িত্ব শুধুই সন্তানের উপর; স্ত্রীর উপরে নয়। সেই দায়িত্ব পালনে স্ত্রীসহ মা-বাবার সাথে এক বাসায় বসবাস করতে হবে- এমন নয়। কাছাকাছি বাড়িতে থেকেও এই দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করা সম্ভব এবং সেটিই করা উচিত। স্ত্রী স্বেচ্ছায়, সাগ্রহে স্বামীর আত্মীয়দের সাথে এক বাড়িতে থাকতে সম্মত হলে সেটি ভিন্ন কথা। এর ফলে স্ত্রী তাঁর ‘Separate Residence’ এর অধিকার ত্যাগ করে বটে কিন্তু তাতে তাঁর অধিকার স্থায়ীভাবে ‘forfeited’ বা বাতিল বলে গণ্য হবে না- পরবর্তীতে যে কোন সময় স্ত্রী এই অধিকার দাবি করার অধিকারী।
'
একজন স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের দেখা-শোনা করতে আইনত বাধ্য নন। তাই একজন স্বামী স্ত্রী কে শ্বশুরবাড়ি তে আত্মীয়দের সাথে বসবাস করতে কিংবা শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের (হোক উনি স্বামীর মা-বাবা, ভাই/বোন) সেবা করতে বাধ্য করতে পারে না। স্ত্রীর ‘শরয়ী’ দায়িত্ব ও ‘নৈতিক’ দায়িত্ব ভিন্ন- গুলিয়ে ফেলা অনুচিত। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সঙ্গে একত্রে বসবাস স্ত্রীর জন্য ফরজ নয়। এমনকি সুন্নাত বা মুস্তাহাব পর্যন্ত নয়। এটি ‘মুবাহ’ মাত্র। ‘মুবাহ’ হচ্ছে সেই কাজ সমূহ যা করতে ইসলাম কোন নির্দেশ দেয়নি, চুপ থেকেছে। কোন স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় স্বামীর মা-বাবা ও আত্মীয়দের সাথে একত্রবাস ও সেবা-যত্ন করে সেটি স্ত্রীর ‘দয়া’ বা ‘ইহসান’ মাত্র- দায়িত্ব নয়, এই কাজে স্ত্রী ‘সওয়াব’ পাবেন, এটি পালন না করলে বা পালনে অস্বীকার করে শ্বশুরবাড়ির লোকদের থেকে আলাদা থাকতে চাইলে তাতে তাঁর গুনাহ হবেনা, অপরাধ বা বেআইনি তো নয়ই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পারিবারিক জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তিনি তাঁর স্ত্রী বা আমাদের ‘উম্মুল মুমিনীন’দের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা বাসস্থান নির্মাণ করেছিলেন এবং প্রত্যেকে তাঁর নিজ নিজ গৃহে কর্তৃত্ব বজায় রেখে নিজস্বতা ও স্বাছন্দ্য নিশ্চিত করেছেন। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার দোহাই দিয়ে শ্বশুরবাড়ি নামক যৌথ পরিবার গঠন করে স্ত্রীদের পৃথক বাসস্থানের স্বাচ্ছন্দ্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেন নাই।

বাংলাদেশের ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন,২০১৩’ তেও পিতা-মাতার ভরণপোষণ ও দেখাশোনার আইনি দায়িত্ব সন্তানের উপর অর্পণ করা হয়েছে- পুত্রবধূদের উপরে অর্পণ করা হয়নি। তাই পুত্রবধূ কর্তৃক শ্বশুরশাশুড়ির ভরণপোষণ ও খেদমত করার আইনি কোন বাধ্যবাধকতা নাই। তবে এই আইনের ধারা- ৫(২) অনুযায়ী কোন স্ত্রী/স্বামী অপরপক্ষের পিতা-মাতার ভরণপোষণে বাধা-প্রদান করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

তাই, ভারতের আদালতের রায় শুনেই বগলদাবিয়ে ফেসবুকে ফূর্তি প্রকাশ না করে স্ত্রীর জন্য পৃথক বাসস্থান ও ভরণপোষণের আইনি ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করুন। তা করতে অসমর্থ হলে নিদেনপক্ষে ‘শ্বশুরবাড়ি’ তে আপনার মা-বাবা-ভাই-বোন-আত্মীয় স্বজনের সাথে একত্রে বসবাসে সম্মত হওয়া ও প্রতিদিন তাদের খেদমতে নিয়োজিত আপনার দয়ালু স্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।


সুখে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটা অনেকের ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
এটাই যেন হয়।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

আলোর পথে বিডি বলেছেন: জাজাক আল্লাহ খাইরান।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
জাযাকাল্লাহ ওয়া আহসানুল জাযা।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ ইসলাম ,




সুন্দর লেখা । ভ্রান্তিনাশি । অনেকের মনের গোমরাহীর অন্ধকার সম্ভবত আলোক প্রাপ্ত হবে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আল্লাহ যেন সকলের মনের গোমরাহি দূর করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

পরিবারে স্ত্রীর অধিকার বিষয়ক আমার একটি লেখা দেখে আসতে পারেন সময় পেলে-

পরিবারে স্ত্রীর অধিকার, মর্যাদা ও সম্মান

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ দেখে আসবো ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এইসব বিষয়ে লেখার জন্য।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ তারেক ভাই।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টটা যুক্তিপূর্ণ ।

যদি স্ত্রী আলাদা বাসস্থান চাইলে সেটা কোনো ভাবেই শরীয়তের কোন লঙ্ঘন নয় ।
আর যদি কেউ সহঅবস্থান করে খুশি মনে, তবে সেটা ইহসানের পর্যায়ে পড়বে ।
সুতরাং কেউ ইহসান করতে চাইলে উত্তম । সে নিশ্চয় ইহসানের প্রতিদান পাবে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
কেউ ইহসান করতে চাইলে উত্তম । সে নিশ্চয় ইহসানের প্রতিদান পাবে ।

যেন এই ইহসান শরিয়তের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

আরোগ্য বলেছেন: এতে গৃহবধূ নির্যাতন অনেকাংশে কমে আসবে।ভালো পোস্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হু সেটাই।
ইসলাম আসলে অনেক শান্তি ও নিরাপত্তার দাবী রাখে। কিন্তু আমরা আমাদের মত জানলে তো হবে না, তাকে তার মত গ্রহণ করতে হবে।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

রাকু হাসান বলেছেন: আরে এই লেখাটা মিস হলো কিভাবে ! :( । খুবই ভালো পোস্ট সৈয়দ ভাই । ৩ নাম্বার মন্তব্যে লাইক দিলাম । জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা ভাই । সত্যিই অনেক জরুরি । আরও আলোচনা হওয়া উচিত ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আহমেদ জী এসের মন্তব্যগুলো সবারই মনকাড়ে।

ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। আপনার উপস্থিতি কাম্য।
মন্তব্যের জন্য বিপুল ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: kintu chhele baba maer seba korte baba maer sathe thakte chaile bou ki chhele theke alada secured private comfortable jaigai thakbe?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
প্রিয় মোঃ নুরুজ্জামান (জামান),
আপনি পুরো লেখাটি আবার পড়ুন। ইনশাআল্লাহ এটা পরিস্কার হয়ে যাবে।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম যা জানা ছিল না। শুভ কামনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আপনার জন্যও অন্তরন্তর শুভকামনা।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দিক।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

করুণাধারা বলেছেন: শ্বশুরবাড়ি আসল বাড়ি" কিন্তু মুসলিম আইন কী বলে? (জানাটা খুবই জরুরী) - আসলেই এটা জানা সকলের জন্য জরুরী। জানা না থাকায় সব সময় বলা হয়, বিয়ের পর মেয়েদের আসল বাড়ি তার শ্বশুরবাড়ি, মা বাবার চাইতে আপনজন শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শশুর বাড়ির লোকজন আপন করে নেয়াটাই একটা মেয়ের সার্থকতা! অনেক সময় দেখা যায়, অনেক নিপীড়ন সহ্য করেও শুধুমাত্র এই কারনেই একটা মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পড়ে থাকে, তার অন্তরাত্মা প্রতিদিন যন্ত্রণায় কাতর হতে থাকে।

পোস্টে বলা কথা গুলো ভালো লেগেছে। আশা করি অনেকেই পোস্ট পড়ে বুঝতে পারবেন যে, প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য তার নিজের মা বাবার প্রতি সদয় ব‍্যবহার করা, লিঙ্গ ভেদে তার কোনো হেরফের হয় না।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ, এবং লাইক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
করুণাধারা বলেছেন, অনেক সময় দেখা যায়, অনেক নিপীড়ন সহ্য করেও শুধুমাত্র এই কারনেই একটা মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পড়ে থাকে, তার অন্তরাত্মা প্রতিদিন যন্ত্রণায় কাতর হতে থাকে।
মেয়েদের এই যুদ্ধ শুরু হয় স্বামীগৃহে প্রথম পা রাখার পর থেকেই। অনিচ্ছা সত্বেও নিজের অনেক স্বপ্নকে সে গলাটিপে হত্যা করে। মৃত এই স্বপ্নগুলোর সম্পর্কে খুব কম স্বামীই জানতে চায়।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: লেখা ভাল লাগল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হিমুর কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই ভাল লাগলো।

ধন্যবাদ প্রিয়।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিষয়টি আগাও জানা ছিল। পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো।

কিন্তু বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট ভিন্ন । কোন বউ শ্বশুরাড়িরতে কাজ না করলে সে আজীবন খারাপ বউ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন । কোন বউ শ্বশুরাড়িরতে কাজ না করলে সে আজীবন খারাপ বউ।

আমার দেখা, ঢাকার অনেক বউ আছে স্বামীর ঘরে কাজ করে, কিন্তু শ্বশুর শাশুড়িরর সাথে না থাকায় সেও ভাল না।
আসলে মাইদুল ভাই, আমাদের সমাজটা হয়েগেছে বর্বরতাপূর্ণ সমাজ। একজন মেয়ে যখন তার পিতার ঘর ছেড়ে স্বামীর ঘরে আসে তখন এটাই কি তার জন্য সব চেয়ে বড় কুরবান নয়? শ্বশুরবাড়ি এতে তৃপ্ত নয়, এমনকি এটা নিয়ে তারা ভাবেই না। (খুব কম পরিবার এটা নিয়ে ভাবেন)। তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হয়, তারউপর আরো বুঝা চাপাতে শ্বশুরবাড়ির পাওনা ছিল। কী অদ্ভুত আমাদের এই শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা!

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++++++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয়।

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

তার ছিড়া আমি বলেছেন: বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু বাংলাদেশের কালচার একটু ভিন্ন। কেননা বাংলাদেশে আগে হিন্দুদের ব্যাপক বসবাস ছিল। তাদের কালচার এখনো রয়েগেছে। একটু একটু করে মানুষ বদলাচ্ছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হ্যা, অনার্যদের উপর আর্যদের আগমন। হিন্দু মুসলিমের এই দেশে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে না পারলেও জানতে ও জানাতে তো অসুবিধা নেই! কিন্তু ক'জন চিন্তাবিদ বক্তা বা সমাজকর্তা এই বিষয়গুলো সমাজে তুলে ধরেন!

যখন আমরা প্রকৃত বিষয়গুলো জানতে শুরু করবো, তখন ধীরেধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন:

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
প্রচুর মানুষ আছে ভাই, উপর নিচ দেখেন।

সমাজে এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুন্দর বিশ্রেষন।

বাংলাদেশের কালচার যা হয়ে আসছে তা পরিবর্তন হতে আরও সময় লাগবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয়,
আমাদের সমাজটা হয়েগেছে বর্বরতাপূর্ণ সমাজ। একজন মেয়ে যখন তার পিতার ঘর ছেড়ে স্বামীর ঘরে আসে তখন এটাই কি তার জন্য সব চেয়ে বড় কুরবান নয়? শ্বশুরবাড়ি এতে তৃপ্ত নয়, এমনকি এটা নিয়ে তারা ভাবেই না। (খুব কম পরিবার এটা নিয়ে ভাবেন)। তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হয়, তারউপর আরো বুঝা চাপাতে শ্বশুরবাড়ির পাওনা ছিল। কী অদ্ভুত আমাদের এই শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা!

হ্যা, জানা এবং জানানো, জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধিই আমাদেরকে এই বর্বরতা থেকে রক্ষা করবে।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

ঢাকার লোক বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট, সবার জানা দরকার !

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ ঢাকাইয়া।

জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি যেন হয় শান্তি সৃষ্টির লক্ষ্য

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
প্রিয় সনেট কবি ফরিদ ভাই,

আল্লাহ আপনার সহ সকল ব্লগার ও সমাজকর্মীর মঙ্গল করুক।

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকের তথাকথিত সো কলড নারী অধিকারের চেয়ে অনেক বেশি, সম্মানজনক এবং মর্যাদাকর অধিকার ইসরাম দিয়েছে নারীকে ।
কিন্তু প্রয়োগিক জীবনে ব্যক্তি মানুষের ভুলকে ইসলামের ভুল বলে ধরে নেয় অনেকে।
অথচ কত বেশি স্বাধীকার আর ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের হুকুম রয়েছে উল্লেখিত আয়াতে। আলোচনায়।
অবশ্য নিন্দুকেরতো বাহানার অভাব নেই ;)
ভালর মাঝেও মন্দ খৌঁজার, মন্দ বলার অভ্যাসের চর্চা যারা করে তারা একধরনের মানসিক অবসাদগ্রস্থ বটেই ;)

পোষ্টে +++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকের তথাকথিত সো কলড নারী অধিকারের চেয়ে অনেক বেশি, সম্মানজনক এবং মর্যাদাকর অধিকার ইসরাম দিয়েছে নারীকে ।
কিন্তু প্রয়োগিক জীবনে ব্যক্তি মানুষের ভুলকে ইসলামের ভুল বলে ধরে নেয় অনেকে।
অথচ কত বেশি স্বাধীকার আর ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের হুকুম রয়েছে উল্লেখিত আয়াতে। আলোচনায়।
অবশ্য নিন্দুকেরতো বাহানার অভাব নেই 
ভালর মাঝেও মন্দ খৌঁজার, মন্দ বলার অভ্যাসের চর্চা যারা করে তারা একধরনের মানসিক অবসাদগ্রস্থ বটেই  


আমরা নিজেদেরকে জ্ঞানী ভাবতে গর্ববোধ করি, প্রকৃত বিষয় না জেনে সমালোচনা করতে ভালবাসি। আসলেই ভাই,ইসলাম আমাদের যা দিয়েছে সে বিষয়ে আমরা গাফেল। আর আমাদের এই গাফলতি বা মুর্খতা ঢাকতে ভুল ধরি ইসলামের। এভাবেই নিজেদের ভুলকে ঢাকতে ব্যর্থ চেষ্টা করে চলি।

আপনাকে সহ সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সমাজ হোক সঠিকভাবে পরিবর্তন; এটাই কামনা।

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সৈয়দভাই,

খুব ভালো লাগলো আলোচনাটা। বিষয়টি অজানা থাকায় একরাশ মুগ্ধতা । এমন পোস্টগুলি সত্যই খুব জরুরি । ++


শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা জানবেন।


১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ পদাতিক ভাই,

বিষয়টা জেনে তদানুসারে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করাই মুখ্য, সফলতা ও সার্থকতা।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

টাকাওয়ালা বলেছেন: সঠিক বক্তব্য। এবার উলটো পিঠ। "আইনানুসারে" -

নারীরা ঘরে বন্দি, বাইরে যেতে হলে স্বামীর অনুমতি নেয়া প্রয়োজন।
স্বামী যখন স্ত্রীকে প্রয়োজনে ডাকে তখন উপস্থিত হওয়া জরূরী।
ছেলে মেয়ে যদি সঠিক শিক্ষা দীক্ষা না পায় তাহলে নারীকেই সর্বপ্রথম এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।

স্ত্রীর অসুস্থতায় তার চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল খরচদান স্বামীর অপরিহার্য কর্তব্য নয়।
স্ত্রীকে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে কিংবা মা-বাবার সাক্ষাতের জন্য নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব স্বামীর নয়।
স্ত্রীর মা-বাবা তাদের মেয়েকে দেখতে এলে তাদের অতিথি সেবা, আপ্যায়ন করাও স্বামীর দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়। এমনকি এও আছে- স্ত্রীর মা-বাবা সপ্তাহে মাত্র একবার আসতে পারবে। তাও দূর থেকে সাক্ষাত করে চলে যাবে, তাদেরকে ঘরে বসিয়ে সাক্ষাত করতে দেয়া স্বামীর অপরিহার্য দায়িত্ব নয়।

কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানার দিকে ডাকলেও যদি সে না আসে তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা লা'নত করতে থাকে।
স্বামী বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া নফল রোজা রাখা স্ত্রীর হালাল নয়।
তার অনুমতি ছাড়া অন্য লোককে তার ঘরে আসার অনুমতি দেয়া তার জন্য হালাল নয়। এমনকি স্ত্রীর কোনো স্বজনও যদি স্বামীর নিকট অপছন্দনীয় হয় তাকেও ঘরে আসার অনুমতি স্ত্রী দিতে পারবে না। শুধু মা-বাবা দেখা করতে পারবেন সপ্তাহে একবার, কিন্তু স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর মা-বাবাকেও ঘরে থাকতে দেয়া বৈধ নয়।

:-|

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পড়লাম, পুরো বিষয়কে অস্পষ্ট ইঙ্গিতে জর্জরিত করলেন। জ্ঞানী মানুষ। জাযাকাল্লাহ।

স্বামীর দায়িত্ব নয়/ কর্তব্য নয় বলে যেগুলো বলছেন ইসলাম তার উল্টো বলে। ইসলাম এই দায়িত্বগুলোকে স্বমীর উপর আবশ্যক কর্তব্যরূপে ভর্তিয়ে দিয়েছে। এখন বাস্তবতায় যদি বাংলার সমাজ এএ উলটো হয়, তবে ইসলামকে অবশ্য এর জন্য দায়ী করা মুর্খামি।

আসলে আপনার কথাই ঠিক, আমরা বন্ধাত্বতায় ভোগছি। আমাদের প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা।

মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিয়ের পর আলাদা বাড়িতে স্ত্রী নিয়ে থাকা - এই সংস্কৃতি ঠিক ভাবে পালন করে আরবরা। আমি সৌদি আরব এসে প্রথম প্রথম এটা দেখে খুব কষ্ট পেতাম। কারণ, আমাদের উপমহাদেশে বিয়ের পর শশুর বাড়িতে থাকাই সংস্কৃতি। অথচ তারা বিয়ের পরই বাবা মা থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু পরে জেনেছি এটাই ইসলামী নিয়ম। যদিও আমাদের অভিভাবকরা ও কিছু স্বামী এখনো এটা হজম করতে পারছেন না। আশা করা যায়, আমরা যখন অভিভাবক হব, তখন এটা মেনে নিব...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ মেনে নিব।

আমাদের প্রকৃত শিক্ষা। দেখেন, আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থার হাত ধরে এগুচ্ছি যেখানে শান্তির সন্ধান কেউ দিতে পারে না। এমন শিক্ষিত সুপুরুষদদেরকে দেখা যায়, তারা বৌ নিয়ে আলাদা হয় ঠিকই তবে পিতা মাতাকে ফেলে দিয়ে। কিন্তু ইসলাম এর সুন্দর ও সঠিক সমাধান দিয়েছে; যদিও তারা নিজেদের মুর্খামির দরুন ইসলামি জ্ঞানে আলোকিত হতে চায় না।

মন্তব্যে ধন্যবাদ

২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

ঢাকার লোক বলেছেন: কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও জানা ভালো, এক মহিলার মায়ের স্বামীর ( তার নিজের বায়োলজিকাল বাবা না) প্রতি তার কত টুকু দায়িত্ব জানতে চাইলে এক বিশিষ্ট শেইখ আমাকে জানান , " ইসলামীকালী কোনো দায়িত্ব নেই।"

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
"ইসলামীক্যালী কোনো দায়িত্ব নেই" কথাটা ঠিক, তবে যেহেতু ঐ পুরুষ তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছে সেই হিসেবে পর্দা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকলে তার সেবাশুশ্রূষা করতে পারে, এটা ইসলামের কথা।

২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমাদের দেশে এবং এশিয়ার আরো কিছু দেশে যুগ যুগ ধরে এই কালচার চলে আসছে। দেশের মানুষগুলো যদি বুঝত!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ বুঝবে আপু। খুব শীগ্রই। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এটার শান্তি লাভ করবে
আমরাও পারি নিজ চেষ্টায়। দয়াল আমাদের সহায় হোন।

২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

ঢাকার লোক বলেছেন: কোনো মহিলার শশুর তার মাহরাম ( কোনো অবস্থায়ই যার সাথে বিয়ে বৈধ নয় ) এবং তার সাথে হজে যাওয়া বৈধ, তবে, এক আলেমকে বলতে শুনেছি , কোনো মহিলা একা শশুরের সাথে হজে গেলে, মক্কা মদিনায় হোটেলে এক রুমে থাকবেন না, তিনি অন্য মহিলাদের সাথে থাকবেন আর শশুর অন্য রুমে পুরুষদের সাথে থাকবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এই বিষয়টা আমার জানা নেই ভাই।

২৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পারিবারিক বন্ধনের ব্যাপারটি অনেক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক সময় অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় অনেককে।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী আলাদা হয়ে থাকা শরিয়তের পাবন্দির জন্য ভাল হলেও সেটা করতেই হবে এমন নয় অর্থাৎ সেটা ফরজ নয়। শরিয়তের পাবন্দি যৌথ পরিবারে থাকলে করা যায় না বা পর্দার লংঘন হয় বা শরিয়তের হুকুম আহকাম মানতে স্ত্রীলোকের অসুবিধা হয় প্রকাশ্যে না বললেও অনেকটা ইঙ্গিতে লেখক সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন।
শরিয়তের পাবন্দি যৌথ পরিবারে থাকলেও করা সম্ভব, একক পরিবারেও সম্ভব। সেটা নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের চারিত্রিক কাঠামোর উপর।
আমাদের দেশে যেটা দেখা যায়, বৌ’রা একক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী বা যৌথ পরিবার হতে বেরিয়ে আলাদা থাকতে চায়। মা-বাবার প্রতি আনুগত্যের কারণে স্বামীরা চায় তার স্ত্রী আর সকলের সাথে যৌথ পরিবারে থাকুক। এই বাদানুবাদ হতে ঘরসংসার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। বিষয়টা এমন নয় যে, কোন স্ত্রী যৌথ পরিবারে এবাদত ফিকির করতে পরছে না বলে যৌথ পরিবার থেকে বের হতে চায়। আবার এমনও নয় যে, একক পরিবারে থাকলে স্ত্রী একেবারে রাবেয়া বসরী হয়ে যাবে। একক কর্তৃত্ব, স্বাধীনভাবে চলা, শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর শাসন বারণ সহ্য করতে না পারা স্ত্রীলোক বা স্বামীদের একক পরিবার গঠনে মূল ভূমিকা পালন করে, ধর্মীয় অনুসাসন মেনে চলার আকাঙ্খায় নয়। - এটা আমাদের দেশের পরিস্থিতি।
বরং একক পরিবারে থাকার চেয়ে যৌথ পরিবারে থাকলে সামাজিক ও ধর্মীয় অনেক সুবিধা আছে। বাচ্চা লালন পালন করা, শারিরীক সমস্যায় চিকিৎসা সেবায়, সংসার দেখাশুনা করাসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। এটা শরিয়তে হারাম নয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বৌ’রা একক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী বা যৌথ পরিবার হতে বেরিয়ে আলাদা থাকতে চায়। 
এটা তো স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী। আপনি আপনার সুবিধা বুঝে মানবেন অন্যের অসুবিধার কোন চিন্তা করবেন না, এটা ইসলাম বলেনি।

মন্তব্যে ধন্যবাদ

২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

প্যালাগোলাছ বলেছেন: সুন্দর আলোচনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ

২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

প্যালাগোলাছ বলেছেন: সুন্দর আলোচনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

টাকাওয়ালা বলেছেন: হাহাহা, অস্পষ্ট নয়, পরিষ্কার ভাবেই ইংগিত দিয়েছি ...

মুসলিম স্ত্রীর অধিকারের সাথে স্বামীর অধিকারও বর্ণনা করতে চেস্টা করলাম, যাতে ভারসাম্য হয়। শুধু এক পক্ষের অধিকারের কথা শুনে কোনো অর্বাচীন সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতেই পারে। ইসলাম উভয় পক্ষকেই সুযোগ দিয়েছে।

"আইন" রুক্ষ ও সর্বোচ্চ সীমা। কিন্তু আমরা এতদূর যেতে চাইনা, আমরা উভয়পক্ষের আপস ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।

হিন্দি সিরিয়াল টাইপের যৌথ পরিবার বর্জনীয়, সবাই বুঝি। কিন্তু সংসারে উভয় পক্ষই একে অপরের উপর এহসান করুক এটাই চাওয়া এবং এটা খুবই সম্ভব।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
খুবই সুন্দর কথা বলেছেন। আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যের দ্বারা আপনার এই মন্তব্য এসেছে। এতে আগের চেয়ে পরিষ্কার হয়েছে। এখন যে কোন মন্তব্যকারী বিষয়টা বুঝতে পারবেন। ২৮নং মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য এমনই ধাঁচের।

ধন্যবাদ প্রিয় টাকাওয়ালা

৩১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ।+

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই।

৩২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার ভাই।

আপনাকেও ধন্যবাদ

৩৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মা শা আল্লাহ, আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্যগুলোর উপর প্রতিমন্তব্য করেছেন। টাকাওয়ালার মন্তব্যদুটোও ভাল লেগেছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ফিরে এসে আবারো মন্তব্য করায় অনুপ্রাণিত হলাম খায়রুল ভাই। টাকাওয়ালার মন্তব্য আমার কাছেও খুব ভাল লেগেছে। উনি খুব ডিপলি কথাগুলো বলে দিয়েছেন। অনেক শুভকামনা উনার ও আপনাদের জন্য।
জাযাকাল্লাহ।

৩৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। তথ্যবহুল এবং সুন্দর যুক্তি দিয়ে লিখেছেন। অনেকের ভ্রান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানতে পারলাম।

পোষ্টটার জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় বোন।

৩৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: apni nije bolen, ami hoyto bujhte parini? kintu chhele baba maer seba korte baba maer sathe thakte chaile bou ki chhele theke alada secured private comfortable jaigai thakbe?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.