নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীন বাংলাদেশে পাপের অন্যতম প্রতিশব্দ একজন ‘শফিক রেহমান’

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৯


স্বাধীন বাংলাদেশে পাপের অন্যতম প্রতিশব্দ একজন ‘শফিক রেহমান’
সাইয়িদ রফিকুল হক

তিনি বিদেশে পড়ালেখা করে বিবিধ বইয়ের পৃষ্ঠা গোগ্রাসে খেয়ে, আর বিশ্বের তাবৎ পর্নসাহিত্য সমূলে হজম করে বাংলাদেশে এসেছিলেন সংবাদপত্র-ব্যবসা করতে। এরা কেউই সাংবাদিক নয়—এরা ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’র মতো ভয়ানক ধূর্ত। এই দেশে এদের সাংবাদিক বলে কারা? এদের বাড়ি নিশ্চয় করাচী, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার কিংবা ইসলামাবাদ। এরা পাকি মাল। এরা এই দেশে টিকে থাকার জন্য বিশ্বশয়তান ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’র মতো মানুষের সামনে দিগম্বর হতে লজ্জাবোধ করে না। এরা স্বার্থের জন্য যখন-তখন নিজেদের রঙ পাল্টে ফেলতে পারে।
একজন শফিক রেহমান কোনো সাংবাদিক নয়। বরং সাংবাদিকের নামধারী অর্থ-অনুসন্ধানী নামকরা দালাল। আর একমাত্র দালালিই এদের নেশা ও পেশা।

বাংলাদেশে উলঙ্গসভ্যতার পথিকৃৎ এই শফিক রেহমান। বিশ্বভালোবাসা-দিবসের নামে বিজাতীয় সভ্যতা তাকে কুরে-কুরে খাচ্ছে। বাঙালি-সংস্কৃতি তার কখনও ভালো লাগেনি। আর এখনও ভালো লাগে না। তার কাছে পহেলা বৈশাখ অযাচিত, আর বিদেশী-প্রেসক্রিপশনে ‘ব্যভিচারের অমৃত-নেশা ‘কথিত-বিশ্বভালোবাসা-দিবস’ খুবই আনন্দের বিষয়। প্রতি-বছর বাংলাদেশে ১৪ই ফেব্রুআরি বিশ্বভালোবাসা-দিবস পালিত হয়। আর এই বছর তারা ১৩ই ফেব্রুআরি থেকে ‘বিশ্ব-অবাধ যৌনাচারদিবস’ পালনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো। কিন্তু সফলকাম হতে পারেনি। মূলত বিজাতীয় উলঙ্গসভ্যতা শফিক রেহমানদের ভালো লাগে।

একজন শফিক রেহমান কি আসলে সাংবাদিক?
আসুন, দেখি তিনি এই জীবনে কী-কী সম্পাদনা করেছেন। তার সম্পাদিত রগরগে যৌনপুস্তিকা হচ্ছে: সাপ্তাহিক ‘যায় যায় দিন’ ওরফে ‘হায় হায় দিন’!
‘মৌচাকে ঢিল’ নামক বিষাক্ত হুল! আর সবসময় জেনেশুনে বাঙালি-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হুল ফোটানোই এদের একমাত্র নেশা।
আর বর্তমানে তার সম্পাদিত মিথ্যাকথার খনি ‘দৈনিক যায় যায় দিন’ ওরফে ‘হায় হায় দিন’ সবসময় বাঙালি-সংস্কৃতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চেতনাবিরোধী একটি আজেবাজে পত্রিকা।
এটা কোনো পত্রিকা নয়। বরং টয়লেট পেপার। এখানে, সর্বাংশে বাংলাভাষার বিকৃতি চলে। এদের কাছে বাংলার যুক্তব্যঞ্জন, আদি-শব্দ, চন্দ্রবিন্দু কোনোকিছুই ভালো লাগে না। এরা বাংলাভাষার বিরুদ্ধে ভয়ানক ষড়যন্ত্রকারী।
আর এই ‘যায় যায় দিন’ পত্রিকাটি চালায় দেশের একটি চিহ্নিত-মাফিয়া-গ্রুপ! আর এই গ্রুপের অন্যতম একজন কর্ণধার হলেন এই শফিক রেহমান। তিনি বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসী-ডন: ভারতের (দুবাইয়ে আশ্রিত) দাউদ ইব্রাহিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ-সহযোগী তারেক জিয়ার শিষ্য। আর বর্তমানে তিনি ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড-হামলার পরিকল্পনাকারী তারেক জিয়ার শিষ্যত্বগ্রহণ করে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েছেন।

তিনি সাংবাদিক কিনা তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। কারণ, তিনি ঐতিহাসিক রগরগে যৌনপুস্তিকা ‘সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের প্রতিষ্ঠাতাসম্পাদক। আর এভাবেই তিনি সাংবাদিক! এরা কখনও সাংবাদিক নয়—বরং সবসময় দেশবিরোধী সাংঘাতিক!
একজন শফিক রেহমান ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে যৌনগল্প লেখা বাদ দিয়ে হঠাৎ করে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন। আর তার রাজনীতি সদাসর্বদা নাশকতার পথে ধাবিত।
এরা পাপিষ্ঠ। এরা পাপের পথিকৃৎ। এরা বাঙালি-সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান শত্রু।
তার গ্রেফতারে জাতি সন্তুষ্ট।

তার কিছু ভক্ত নামক অযাচিত-পামর তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে নানারকম সরকারবিরোধী কুৎসা-রটনা করছে। কিন্তু কোনো কাজ হবে না বাছাধন। কথায় আছে না—চোরের দশদিন আর গেরস্তের একদিন।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৮/০৪/২০১৬




মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মারুফ তারেক বলেছেন: আমি একসময় মৌচাকে ঢিল নিয়মিত পড়তাম। দেশের আর প্রবাসের লেখকেরা লিখত সেখানে। কী খারাপ বুঝলেন? আমি ঠিক বুঝলাম না।

আর যায়যায়দিন তো তুমুল জনপ্রিয় সাপ্তাহিক।
আপনি কী খারাপ পেলেন?
আন্দাজেই গাঁজাখুরি গল্প বলেন নাকি?
টিভি অনুষ্ঠান-
টকশো লালগোলাপ,
বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে হাবিজাবি অনুষ্ঠানের চাইতে অনেক বেশী ভালো মানের একটা।
আমি এই অনুষ্ঠান থেকে অনেক কিছুই জেনেছি।

আর অনেকে বলেছেন, উনি বিখ্যাত চটি লেখক, ছদ্মনামে লিখেন।

কেউ কিন্তু, দেখাতে পারেনি। অভিযোগ মাত্র।

দুঃখিত, আপনাকে চরমমাত্রার একজন দলকানা ছাড়া আর কিছুই আমার মনে হলনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি সুস্থই রয়েছি। আর সবকিছু দেখতে পাচ্ছি।
আর যায় যায় দিন কোনো পত্রিকা নয়।
উনার লালগোলাপ অনুষ্ঠান লাম্পট্য ছাড়া আর কিছু নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩১

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: স্যার আপনার লিখাটা পড়লাম আর হাসলাম ,এই বুইড়া বাঁদর টা কে আর আগেই কিছু একটা করার দরকার ছিল , কিন্তু কে করবে কার বিচার সরকার আছে অতীত নিয়া আর ভবিষ্যৎ এর যুব সমাজ আছে আজকে মাদক কিংবা ক্ষমতার পালাবদলের লাঠিয়াল হইয়া , ধান খাওয়া বুলবুলির মত আমাদের দেশের জান মান সবি এখন খাওয়া প্রায় শেষ , এখন সুধু আমার মত কঙ্কাল সার বাংলাদেশ কোন মতে শেষ নিঃশ্বাস টা ধরে রাখার চেষ্টা করতেছে মাত্র ,

যানিনা এখন কেউ আছে কিনা বাংলাদেশকে একটু প্রান দিবে , লক্ষ মানব যখন বাংলাদেশের আনাছে কানাছে খুদারথ থাকে তখন এই ইদুর বাঁদর গুলা রাষ্ট্রীয় তেল খেয়ে আমাদের সাবাড় করে যাচ্ছে ,

নিছক দলিও কারনে নয় জাতিও কারনেও আমি বাঁদর গুলার সায়েস্তা চাই ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সঙ্গে আমিও একমত। এই বাঁদরগুলোকে আমাদের রাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে পারলে, আমাদের মুক্তিঅর্জন করা সম্ভব।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর সবশেষে একরাশ শুভেচ্ছা।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জেলে যাবার কথা ছিল ৩০ বছর আগে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাইজান অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। আসলে তা-ই, ৩০বছর আগেই ওর জেলে যাওয়ার কথা ছিল।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সবসময় আমার ব্লগে স্বাগতম।
সবশেষে সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: লাল গোলাপ হাতে লাল দালানে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই। লালগোলাপ সবার হাতে সয় না।
এবার বুঝবে ঠেলা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে শুভেচ্ছা।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

কোলড বলেছেন: Your post reeks of verbal diarrhoea.

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

কাউছার হোসেন বলেছেন: দেখেত ভালই মনে হতে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
আসলে, ওরা হলো মাকালফল।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

বাংলার জামিনদার বলেছেন: আশা করি আগামী দিন গুলো তার হয়ে যাবে ডিম ময়। সকালে ডিম, রাইতে দিম, উঠতে ডিম, শুইতে ডিম। গরম গরম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.