নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র ইসলামধর্মে ‘মাদ্রাসা’ বা ‘মাদ্রাসাশিক্ষা’ বলে কোনো শিক্ষা নাই। এগুলো ইংরেজ-আমলে ইংরেজদের আবিষ্কৃত-প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা (প্রথম পর্ব)।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৩


পবিত্র ইসলামধর্মে ‘মাদ্রাসা’ বা ‘মাদ্রাসাশিক্ষা’ বলে কোনো শিক্ষা নাই। এগুলো ইংরেজ-আমলে ইংরেজদের আবিষ্কৃত-প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা (প্রথম পর্ব)।
সাইয়িদ রফিকুল হক

পবিত্র কুরআনের কোথাও ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি নাই। আর আমাদের মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবানেও কোনোদিন ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি উচ্চারিত হয়নি। আর তাই, ইসলামীশরীয়ত মোতাবেক এটি সম্পূর্ণ ‘বিদআত’(আর বিদআত মানে: নতুন সৃষ্টি। আর এগুলো ইসলামের যুগে, রাসুলের যুগে ছিল না)। কিন্তু মাদ্রাসাগুলো ‘বিদআত’ হলে তো একশ্রেণীর মোল্লার শানশওকত সমূলে বিনষ্ট হবে। তাই, এরা ঘোষণা করেছে: মাদ্রাসা হলো: ‘বিদআতে হাসানা’। অর্থাৎ, এটি ভালো-মানের বিদআত। আর এইজন্য এইসব এখন জায়েজ। নিজেদের স্বার্থে এরা মাদ্রাসাকে ‘জায়েজ’ বলে স্বীকার করে নিয়েছে। আর এদের কাছে নিজেদের ‘মাদ্রাসা’ বিদআত হওয়া সত্ত্বেও তা জায়েজ। কিন্তু এদের কাছে দুনিয়ার বা অন্যের ভালো সবকিছু নাজায়েজ! এরা কতবড় ষড়যন্ত্রকারী ও পবিত্র ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী!

মাদ্রাসা মানেই ‘ইসলামীশিক্ষা’—এটি মাদ্রাসা-পড়ুয়া মাদ্রাসার একশ্রেণীর ডিগ্রীধারী লোকজন মনে করতে পারে। আসলে, এটি কি ইসলামীশিক্ষা? এখানে, পবিত্র কুরআন ও হাদিস একটুখানি শিক্ষা দেওয়া হয় মাত্র। মহান আল্লাহ এবং ইসলামের কোনো ‘নবী-রাসুল’ মাদ্রাসাশিক্ষাকে কখনও ইসলামীশিক্ষা বলে ঘোষণা করেননি। এমনকি মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের কোথাও কোনো আয়াত নাজিল করে মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা বলে ঘোষণা করেননি। এখন একশ্রেণীর মোল্লা-মৌলোভীরা যা বলছে: তা এদের মনগড়া কথা। আর এরা দাবি করছে: মাদ্রাসাশিক্ষাই ইসলামীশিক্ষা!

বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষা কখনও ইসলামীশিক্ষা হতে পারে না। তার কারণ, এটি ‘ইস্ট-ইন্ডিয়া-কোম্পানী’র ইংরেজদের আবিষ্কার। আর তারা তাদের স্বার্থের জন্য মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতেই প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষার উদ্ভব ঘটায়। এভাবে, ‘কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা’ ও ‘ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা’ দুটিও ইংরেজদের আবিষ্কার। এমনকি ভারতের দেওবন্দে যে ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা-ও ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায়। মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষার প্রচলন ঘটিয়েছে ইংরেজ-শাসকগোষ্ঠী। আর তাদের আবিষ্কৃত মাদ্রাসাশিক্ষা কখনও সর্বজন-স্বীকৃত ইসলামীশিক্ষা নয়। কারণ, ইসলামের কোনো ‘নবী-রাসুল’ কিংবা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এইসব মাদ্রাসাকে কোনোভাবেই স্বীকার করা হয়নি।
আমরা এখন বলতে পারি: বর্তমানে প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষা একটি ধর্মভিত্তিকশিক্ষা মাত্র। আর এতে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের কিছু অংশ পড়ানো হয়। তাই বলে এটিই ইসলামীশিক্ষা কিংবা একমাত্র ইসলামীশিক্ষা নয়। আর কেউ দাবি করলেই তা সরাসরি ‘ইসলামী’ হয়ে যায় না। বর্তমানে একইভাবে-একইকায়দায় ইসলামের নামে বিভিন্ন ‘ব্যাংক’ খোলা হয়েছে! আসলে, এগুলো কী কোনো ইসলামী-ব্যাংক? না, কক্ষনো নয়। এগুলো ইসলামী-ব্যাংক নয়। পবিত্র ইসলামের নাম-ভাঙ্গিয়ে সমাজের একশ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ীগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ ষোলোআনা আদায় ও হাসিল করার জন্য এবং সাধারণ মূর্খমুসলমানদের ধোঁকা দিতেই এই ইসলামী-ব্যাংকের জন্ম দিয়েছে। অথচ, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, ইসলামের নামধারী প্রতিটি ব্যাংকই ‘সুদভিত্তিক’ তাদের কার্যক্রম-ব্যবসা চালু করেছে। এবং তারা তা অদ্যাবধি বহাল রেখেছে। নিজেদের ব্যবসার জন্য কোনোকিছুতে পবিত্র ‘ইসলাম’ শব্দটি ব্যবহার করলেই তা সরাসরি ‘ইসলামী’ হয়ে যায় না।

মাদ্রাসাশিক্ষাকে প্রচলিত একটি ভিন্নধর্মী-শিক্ষাব্যবস্থা বলা যেতে পরে। কিন্তু কখনওই এটিকে ইসলামীশিক্ষা বলে প্রচার করা বিধিসম্মত হবে না। আমাদের কাছে সেই জিনিসই একমাত্র ‘ইসলামী’ হবে: যা একমাত্র মহান আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেমন, ইসলামধর্ম, আমাদের মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, পবিত্র কুরআন ও পবিত্র রাসুলের মুখনিঃসৃত বাণী। এগুলো ইসলামী। আর মহান আল্লাহ কুরআনে যা বলেছেন তা ইসলামী। কিন্তু মাদ্রাসা যে ইসলামীশিক্ষা তার পক্ষে কেউ একটি আয়াতও পেশ করতে পারবে না। একশ্রেণীর মাদ্রাসাপাস লোকজন সবসময় নিজেদের ‘আলেম’ দাবি করে বসে থাকে, আর তারা এভাবে সমাজের উঁচুস্তরে পৌঁছাতে চায়। আসলে, এসব সম্পূর্ণ ভণ্ডামি। কেউ একটাকিছু শিখে নিজেকে ‘আলেম’ দাবি করলেই সে আলেম হয়ে যায় না। এব্যাপারে মহান আল্লাহর দলিলসমূহ রয়েছে। পবিত্র কুরআনে আলেমের সংজ্ঞা তিনিই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের দিয়েছেন। আর তাই, মাদ্রাসাশিক্ষা যদি ইসলামীশিক্ষা হতো, তাহলে, তার বিষয়ে বা তার স্বপক্ষে অবশ্যই পবিত্র কুরআনের কোথাও-না-কোথাও অন্তত একটি আয়াত থাকতো।

মাদ্রাসা বা মাদ্রাসাশিক্ষা আমাদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ছিল না,
আর রাসুলের প্রিয়-সাহাবী, চার খলিফার যুগেও ছিল না। এমনকি তাবেঈন কিংবা তাবে-তাবেঈনদের যুগেও ছিল না। তাছাড়া, কোনো আল্লাহর ওলী কখনও কোনোপ্রকার মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। যেমন, মহান আল্লাহর বিশ্বস্ত ওলী (বন্ধু) হজরত আব্দুল কাদের জিলানী রহ., খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী রহ., হজরত শাহজালাল রহ. কেউই কোনো মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি।
শুধু একজন মুসলিম-চিন্তাবিদ ইমাম গাজ্জালী আমাদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিদায়ের বহু পরে ‘নিজামিয়া-মাদ্রাসা’ নামে নাকি একটি মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তৎপূর্বকালে কোনো নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলী কখনও কোনো মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। এখনকার উদ্ভাবিত: এইসব আলিয়া-মাদ্রাসার জন্ম হলো ইংরেজ-আমলে ইংরেজদের হাতে।

মাদ্রাসা ইসলামীশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে ইসলামের সিলেবাসে তা সংযোজিত হতো। আর ইসলামীসিলেবাসের মূল দলিল বা ভিত্তি হলো: আল-কুরআন। এই কুরআন-অনুযায়ী ইসলামীসিলেবাসে রয়েছে:
১. মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণবিশ্বাসস্থাপন।
২. তাঁর মনোনীত রাসুল: হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন।
৩. ঈমানের ভিত্তি হিসাবে ‘কালেমায়ে তৈয়্যেবা’ ও ‘কালেমায়ে শাহাদাতে’র প্রতি অটল বিশ্বাসস্থাপন। এছাড়াও কালেমায়ে তাওহীদ ও কালেমায়ে তামজীদ-এর প্রতিও বিশ্বাস রাখতে হবে। আর এই চারটি কালেমাই মুসলমানের ঈমান-আকিদাহর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৪. ‘ঈমানে মুফাস্সল’ নামক সাতটি বিষয়ের উপর চিরস্থায়ীভাবে অটল বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে। এটি মুসলমানদের ‘ঈমান-আকিদাহ’র অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৫. ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি। যথা: কালেমা, সালাত(নামাজ), রমজান(রোজা), হজ্জ ও জাকাত। কিন্তু এখানে, মাদ্রাসা কোথায়?

মুসলমানদের ঈমান-আকিদার মূলভিত্তি হলো উপরিউক্ত বিষয়গুলো। কিন্তু এখানে কোথাও মাদ্রাসার কথা নাই। অনেকে অজ্ঞতাবশতঃ বলে থাকে: ‘মাদ্রাসা নবীর ঘর!’ আসলে কি তা-ই? এটি নবীর নামে মিথ্যাচার। কারণ, আমাদের প্রিয়-নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ২৩বছরের সফল নবুওতী-জীবনে মক্কা-মদীনার কোথাও কোনো মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। আর তিনি কোনো মাদ্রাসাশিক্ষকও ছিলেন না। তিনি ছিলেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সকল মানুষের নবী। আর পৃথিবীর সকল মানুষের শিক্ষক। আর তাই, তিনি বলেছিলেন:

“আনা বুয়েস্তু মুয়াল্লেমান”—অর্থাৎ, আমি পৃথিবীতে তোমাদের শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি।

আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানবতাবাদী-মহাপুরুষ। আর তাই,
তিনি জীবনে কখনও কোনো মানুষহত্যা করেননি। বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত হয়েছে: তিনি ২৭টি মতান্তরে ২৯টি জিহাদে সশরীরে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু তিনি কোনো মানুষহত্যা করেননি। এইজন্য তিনি মহান। কিন্তু তাঁর নাম-ভাঙ্গিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থে মানুষহত্যা করছে, তারা কেউই ইসলামের, মুসলমানের বা আমাদের নবীজীর কেউ নয়। এরা শুধুই বিভ্রান্ত—আর সাবেঈন।
আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয়-সাহাবীদের উদ্দেশ্যে প্রায়শঃ উপদেশবাণী প্রদান করতেন। যে-গুলো হাদিস নামে পরিচিত। অনেক মূর্খ বলে থাকে: আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘দারুল আরকাম’ নামে একটি মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট, মনগড়া, মিথ্যা ও আবোলতাবোল কথা। আসল সত্য হলো: আমাদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পবিত্র জীবনে কখনও-কোনোদিন একবারের জন্যও ‘মাদ্রাসা’শব্দটি উচ্চারণ করেননি। এমনকি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ হাজার-হাজার হাদিস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য: নবীজীর একজন সাহাবীও মাদ্রাসাবিষয়ক একটি হাদিস বর্ণনা করেননি। কারণ, আমাদের নবীজী কখনও মাদ্রাসাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠা করেননি।
আমাদের আরও মনে রাখতে হবে: মাদ্রাসা ইসলাম-অনুমোদিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। এখানে, একশ্রেণীর মৌলোভীগণ নিজেদের ‘আলেম-উলামা’ দাবি করছে। আর তারা তাদের প্রতিষ্ঠিত ‘মাদ্রাসা’ ও ‘মাদ্রাসাশিক্ষা’কে ইসলামীশিক্ষা বলে সগর্বে প্রচার করছে। প্রকৃতপক্ষে, মাদ্রাসার স্বপক্ষে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কোনো বাণী নেই। এরা সমাজে-রাষ্ট্রে প্রভাববিস্তারের জন্য পরিকল্পিতভাবে ‘মাদ্রাসাশিক্ষা’কে ইসলামীশিক্ষা বলে ঘোষণা করছে। কিন্তু এতে তাদের স্বপক্ষে দলিল কোথায়? তারা কেউই আজ পর্যন্ত মাদ্রাসাশিক্ষার পক্ষে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত অথবা পবিত্র রাসুলের একখানা হাদিস পেশ করতে পারেনি। আর তারা কখনও তা করতে পারবে না।

মাদ্রাসায় পড়লেই যে-সে আলেম-উলামা হবে না। পবিত্র ইসলামের কোথাও অর্থাৎ, আমাদের কুরআন-হাদিসের কোথাও লেখা নাই যে, মাদ্রাসায় পড়লেই সে আলেম! আমাদের মহান আল্লাহ কিংবা মহান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও বলেননি মাদ্রাসায় পড়লেই তুমি আলেম হতে পারবে। এগুলো একশ্রেণীর সাধারণ মোল্লা-মৌলোভী ও ধর্মব্যবসায়ীদের নিজেদের আবিষ্কৃত-মনগড়া মতবাদ মাত্র। এরা দুনিয়ালোভে উন্মত্ত হয়ে মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ভুলে জোরপূর্বক নিজেদের আলেম বলে প্রচার করছে। এগুলো একরকমের মূর্খতা। আরে, আলেম ছিলেন হজরত আলী রা., হজরত আব্দুল কাদের জিলানী রহ., হজরত মুজাদ্দেদে আলফেসানী রহ., হজরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী রহ., হজরত শাহজালাল রহ., হজরত বায়েজীদ বোস্তামী প্রমুখ। এরা ছিলেন মানুষ ও মানবতার বন্ধু। আর এরা কখনও নিজের স্বার্থে মানুষখুন করেননি।

আমাদের দেশের একশ্রেণীর মাদ্রাসা-পাস লোকজন মাদ্রাসাশিক্ষাকে ‘ইসলামীশিক্ষা’ আর দেশে প্রচলিত ‘সার্বজনীন জাতীয় শিক্ষাকে’ অনৈসলামিক শিক্ষা বলে থাকে। এটা তাদের সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। আর এসব তাদের সম্পূর্ণ মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট, আবোলতাবোল ও আলতুফালতু কথা। পবিত্র কুরআনের কোথাও মাদ্রাসাশিক্ষার কথা বলা হয়নি। আর মহান আল্লাহ একবারও ‘পবিত্র কুরআনে’ মাদ্রাসা-শব্দটি উচ্চারণ করেননি। আল্লাহর রাসুলও তাঁর সারাজীবনে কোথাও কোনোভাবে একবারের জন্যও মাদ্রাসা-শব্দটি উচ্চারণ করেননি। এর মানে কী? এর মানে হলো: মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) মাদ্রাসাশিক্ষাকে কবুল করেননি। তাহলে, ইংরেজ-আমলে প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষা কীভাবে ইসলামীশিক্ষা হয়?

মাদ্রাসার পক্ষে কেউ কখনও পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও দেখাতে পারবেন না।

(আলিয়া-মাদ্রাসার বাইরে কওমী-খারিজী-মাদ্রাসাগুলো এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়। তবে এগুলোসম্পর্কেও পরবর্তী পর্বে আলোচনা করা হবে। আসলে, ভারতীয় উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বস্তরের মাদ্রাসাশিক্ষার প্রচলন ইংরেজগণই ঘটিয়েছিলো।)


(ক্রমশঃ)



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৩/০৪/২০১৬

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষনীয় পোষ্ট। লেখককে অশেষ ধন্যবাদ।।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমরা দুনিয়া আর আখিরাতকে আলাদা করে ফেলেছি। দুনিয়ামুখীরা আখিরাতের ধারও ধারে না আবার আখিরাতমুখীরা দুনিয়া থেকে দূরে থাকতে চায়। অথচ ইসলাম হলো এই দুইয়ের সাম্যবস্থা। আমরা দুয়া করি- রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও...........................

কেন হলো এমন বুঝতে চাইলে নিচের ভিডিওটা দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=OcEGUaVIEnk

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। আর বর্তমান মুসলমান অজ্ঞতার কারণেই এসব করছে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে পাঠালাম শুভেচ্ছা।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: মাশাল্লাহ ভালো লিখলেন তার জন্য একটা হাত তালি দিলাম ,এখন প্রশ্ন হল টা হলে যারা কোরআন হাদিস পড়ে বা তার উপর যাদের ভালো দক্ষতা আছে তাদের কে আমরা কি নামে ডাকব ? এবং যে সকল প্রতিষ্ঠানে কোরআন হাদিস পড়ানো হয় সে সকল প্রতিষ্ঠান কে আমরা কি নামে চিনবো ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, মাদ্রাসাকে ‘মাদ্রাসা’ বলে ডাকতে তো কোনো আপত্তি নাই। আপত্তি হলো: একমাত্র মাদ্রাসাশিক্ষাকে কেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ইসলামীশিক্ষা’ বলা হবে? এটি তো ইসলামের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়। আর মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা বলে চালিয়ে দেশের একটি শ্রেণী দেশে প্রচলিত সার্বজনীন সাধারণ শিক্ষাকে অনৈসলামিক শিক্ষা বলে থাকে। এখানেই আমাদের আপত্তি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরও রইলো শুভেচ্ছা।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

আহলান বলেছেন: এখন তাহলে কি করতে হবে? শিক্ষা দীক্ষা কোথায় কিভাবে হবে? আজকের যুগের ডাক্তার খানা অফিস আদালত দোকান পাট কোম্পানী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল, কলেজ ভার্সিটি, গাড়ি কোন কিছুই তো হযরত রাসুলে কারিম (সাঃ) এঁর আমলে বা সাহাবা, তাবেঈন, তাবেতাবেইণদের যুগে ছিলো না .... এতো বড় বড় বিল্ডিং ব্লগিং কিছুই ছিলো না, কিন্তু আমরা এখন এগুলো উপভোগ করছি, নিজেদের কাজে লাগাচ্ছি, এখন আপনার মতে এগুলোর কি করা উচিৎ?

মক্তবের নাম শুনেছেন জীবনে ? না তাও ছিলো না ...এখন আবার মক্তব যুগে ফিরতে চান আরকি!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন ভাই, বর্তমানের এমনকিছু---যা পবিত্র রাসুলের যুগে ছিল না, তা নাজায়েজ নয়। আমি সেটি বলিনি। আমার বক্তব্য হলো: দেশে প্রচলিত বর্তমান মাদ্রাসাশিক্ষার পক্ষে মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলের কোনো বাণী নাই। তাহলে, এটি ইসলামীশিক্ষা হয় কীভাবে? আর বর্তমানে মানুষের কল্যাণে ভালো যা-কিছু আছে তার সব জায়েজ। কিন্তু একটি শ্রেণী মনে করে: স্কুল-কলেজের শিক্ষা অনৈসলামিক আর মাদ্রাসাশিক্ষা ইসলামীশিক্ষা! কিন্তু এদের পক্ষে দলিল নাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

আচার্য বাঙালি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: হুজুর (সাঃ) জামানায়তো অনেক কিছু ছিল না। তাই বলে কি সেগুলো করা যাবে না?!!!!! হুজুর (সাঃ) তো বিমান, রেলগাড়ি, গাড়ি এগুলোর কথা বলেন নাই। এবং এগুলো ব্যবহার করা যাবে কিনা সেগুলোতো কোন হাদীস দ্বারা প্রমান করতে পারবেন না। তাহলে কি এগুলো কি ব্যবহার করা যাবে না। মাদ্রাসা মানে তো স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বুঝায়। হুজুর (সাঃ) কখনো স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে কথা বলেন নাই । তাহলে কি স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়া যাবে না!!!!!!!!!!! ঐ যামানায় তো অনেক কিছু ছিলনা তাই বলে কি এখন ব্যবহার করা যাবে না!!!? এখন প্রশ্ন হলো " তাহলে এত আলেম,ক্বারী,মোহাদ্দেস আসবে কোথা হতে?" ইংলিশদের নীতিতে পরিচালিত স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হতে?!!!!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, আমার বক্তব্য পরিষ্কার। আমি তো কোথাও বলিনি মাদ্রসাশিক্ষা নাজায়েজ! আর আমি এটি বলতেও পারি না। আমি বলেছি: মাদ্রাসাশিক্ষা যে ইসলামীশিক্ষা তার পক্ষে পবিত্র কুরআন-হাদিসে কোনো দলিল নাই।
আমাদের দেশের একটি শ্রেণী মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা মনে করে থাকে। আর তারা স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষাকে অনৈসলামিক বলে থাকে। আমি তো তাদের ভ্রান্তধারণার বিরুদ্ধেই বলেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

সবুজ সাথী বলেছেন: অতুলনীয় যুক্তি, আপনি কটঠিন একখান ....। এরকম জ্ঞানবান কথা জীবনে শুনিনাই। কবিগিরি ছেড়ে একখুনি হুজুরগিরি করা শুরু করুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মানুষ কী করতে পারে ভাই? মহান আল্লাহই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

মোঃ সাকিব বলেছেন: ভাই সাইয়িদ রফিকুল হক, আমার মনেহয় আপনি মানষীক ভারসাম্যহীন মানুষ তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানষীক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে নিন। মাদ্রাসা - বিদ্যালয় - স্কুল ইত্যাদি শব্দগুলি অর্থের এবং উদ্দিশ্যের বিচারে এক কিন্তু ভাষার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন তাহা আপনার জানা নেই। কিছু জানতে হলে তাহা জানার জন্য যিনি জানেন তার কাছে যেতে হয়। ভদ্রলোক যেখানে বসে বা অবস্থান করে অন্যকে জানান ঐ ঘরটির নাম কি হবে বলুন তো? আমরা ঐ ঘরটিকে বাংলা বিদ্যালয় বলি, আরবীরা মাদ্রাসা বলেন, ইংরেজেরা স্কুল বলেন এবং অন্যন্য ভাষা ভাষীরা মনের ভাব প্রকাশের জন্য যেটি তাদের ভায়া বলতে হয় সেটি বলেন। ভাই সাইয়িদ রফিকুল হক বলুন তো ঐ ঘরটিকে আপনি কি নামে ডাকেন?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি মানসিকভাবে সুস্থ আছি। আর মহান আল্লাহ আমাকে সুস্থ ও সুন্দর রেখেছেন।
আপনি লেখা পড়ে আক্রমণ করেছেন। লেখার সমালোচনা করেননি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

হাসান তারেক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন. ধন্যবাদ।

কোরঅান শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?
হাদিস শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?
ফেকাহ শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?

যদি সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাদিস পড়ানো শুরু করে দেয়। কোরআনের তর্যমা. তাফসির. শরিয়তের বিধান শিখানো শুরু করে দেয় তবে সেটা অবশ্যই ইসলামি শিক্ষা। সেই একই কাজ যদি মাদ্রাসা নাম দিয়ে করে তাহলে সেটা ইসলামি শিক্ষা নয় কেন???

আমার জানা মতে আপনি যে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ব্যাবহার করেছেন তারা কোরআন, হাদিস, ফিকাহ বা ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে কিছু পড়ায় না। তর্কের খাতিরে আপনি এগুলোকে (দুনিয়ায় চলার কাজে লাগে এমন) শিক্ষা নাও বলতে পারেন কিন্তু ইসলামি শিক্ষা না !!!

তাহলে ইসলামি শিক্ষার অস্তিত্বই কি বিলনি হয়ে গেল পৃথিবী থেকে। বিনোদনের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সমালোচনার খাতিরে সমালোচনা করলেন ভাই। তবুও আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষা কখনও ইসলামীশিক্ষা হতে পারে না। তার কারণ, এটি ‘ইস্ট-ইন্ডিয়া-কোম্পানী’র ইংরেজদের আবিষ্কার। আর তারা তাদের স্বার্থের জন্য মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতেই প্রচলিত মাদ্রাসাশিক্ষার উদ্ভব ঘটায়।" -আপনি কি জামায়াতে ইসলামের খাদেম? এই ধরনের আগ্রাসী যুক্তিগুলো ওদের বয়ানে প্রায়ই দেখেছি।

সহজ বিষয়কে সহজভাবে নিতে শিখুন। ইংরেজরা যদি এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা চালুই করে থাকে, তাহলে দোষের তো কিছু দেখছি না। এখানে তো ওরা এসে মাস্টারি করছে না, বা সিলেবাস তৈরী করছে না। একটি ধর্মবিশ্বাসী সমাজে ধর্মশিক্ষার চাহিদা থাকবেই। সেই শিক্ষাকে প্রগতিশীল, মানবিক এবং সত্যিকারের ধর্মানুসারী করে তুললেই তো চলে। এমন জঙ্গি ফতোয়া দেওয়ার তো কোনো অর্থ নেই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, মনে হয় আপনি আমার ওপর রাগান্বিত হয়ে পোস্টটি পড়েছেন। তাই, এর মূলবক্তব্য অনুধাবন করতে পারেননি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: পোস্টের মূল সারমর্ম অনেকে ধরতে গিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন , যদিও লেখক কিছু কথা বলেছেন যা কারও মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করছে। পোস্টের মূল সারমর্ম এটাই :

''ইসলাম শিক্ষা শুধুমাত্র আখিরাতের আজাব থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা নয় , ইসলাম শিক্ষা ব্যপক এবং বিস্তৃত। ইসলাম দুনিয়াতে চলার জন্য দুনিয়াবী বিষয় শেখার উপরও তাগিদ দেয়। সর্বপরি , দুনিয়া এবং আখিরাতে মুক্তি লাভের জন্য ইসলাম শিক্ষা শুধুমাত্র আরবি , কোরান-হাদিস বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দুনিয়ায় চলার প্রয়োজনে ইংলিশ , হিন্দি , উর্দু , ফার্সি , জার্মান ভাষা সহ এসব বিষয়ে জ্ঞান লাভ এবং এদের সংস্কৃতি এবং আচার আচরণ সম্বন্ধে জানা ও বোঝা ইসলামের ভেতর পড়ে। শুধুমাত্র নামাজ-রোজা আর হাদিস-কোরানে জ্ঞান লাভে এলেম অর্জন সম্পন্ন হয় না। ''

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন ভাই। দুনিয়াতে শুধু মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা বলার কোনো অবকাশ নাই। মানবধর্মও আজ ইসলামীশিক্ষার আওতাভুক্ত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৫

মুসাফির নামা বলেছেন: মাদ্রাসা একটি নাম ছাড়া আর কিছুই নয়,অথচ এর বিরুদ্ধে এমনভাবে বয়ান দিলেন যেন মাদ্রাসা শব্দটা থাকলেই সব হয়ে যেত।শব্দটা গুরুত্ব না দিয়ে যদি একটি যুগোপযোগী শিক্ষার কথা তুলে ধরতেন,যা রাসূল (সঃ) প্রদর্শিত তা হলে আপনার লেখাটাকে গ্রহণ করতে পারতাম।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমাদের পবিত্র রাসুল স. কখনও মাদ্রাসাশিক্ষার প্রচলন করেননি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

প্রামানিক বলেছেন: মাদ্রাসা কি কারণে ইংরাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত হলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার জন্য অনুরোধ করছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথা রাখতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। এর দ্বিতীয় পর্বে এ-সম্পর্কে বিস্তারিত থাকবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর ভালো পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করছি।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: "মাদ্রাসা" শব্দের অর্থ কি এটা জানতে নাই। মাদ্রাসা কোন দেশের ভাষা?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আরবি শব্দ ‘মাদরাসাহ’ থেকে মাদ্রাসা শব্দটির প্রচলন।
এ-সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত থাকবে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

বিজন রয় বলেছেন: দারুন তর্ক-বিতর্ক চলছে।

পৃথিবীতে শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা চালু থাকুক।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দাদা, তাহলে আমাদের স্কুল-কলেজের কী হবে? আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আর সবসময় একরাশ শুভেচ্ছা।

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: তাহলেই যদি ওরা শান্তি পায়।

কোথায় যে ওদের শান্তি তা ওরা নিজেরাই জানেনা।
১০০% ইসলামি অাইন আছে যেখানে সেখানেও কি ওরা শান্তিতে আছে?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, দাদা। ওদের ভ্রান্তধারণা আমাদেরই দূর করতে হবে।
ধন্যবাদসহ শুভকামনা রইলো।

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

লা-তাহ্‌যান বলেছেন: মাদ্রাসা (আরবি: مدرسة‎, madrasa বহুবচনে مدارس, madāris) আরবি শব্দ দারসুন থেকে উদ্ভূত, এর অর্থ পাঠ। মাদ্রাসা মূলত মুসলমানদের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা গবেষণা ইত্যাদির স্থান বা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সাধারণ অর্থে মাদ্রাসা হচ্ছে আরবি ভাষা ও ইসলামি বিষয়ে শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।
মাদ্রাসা নামটা কি দোষ করলো ভাই?
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা বলতে পারেন।যাতে আমাদের আলেম সমাজ আরো সমৃদ্ধ হতে পারে।
আর সাধারণ শিক্ষা অনৈসলামিক নয়। একমত।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি মাদ্রাসাশিক্ষার বিরোধিতা করিনি। আমার বিরোধিতা হলো: এটিকে একমাত্র ইসলামীশিক্ষা বলে আমাদের দেশে প্রচলিত সার্বজনীন সাধারণ শিক্ষাকে অনৈসলামিক শিক্ষা বলা যাবে না। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ এই ভুলটি করে থাকে।
পরবর্তী-পর্বে মাদ্রাসাশিক্ষার উন্নয়নের কথা থাকবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: আমি যদি ভুল বুঝে না থাকি তাহলে লেখার মূল বক্তব্য হচ্ছে কোরান এবং হাদিসে যেহেতু মাদ্রাসা শিক্ষা বলে কিছু নেই এবং নবী কারীম (স), সাহাবায়ে কিরাম এমন কি তাবেইন, তাবে তাবেইন ও কোন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন নি। সুতরাং মাদ্রাসা শিক্ষা কোন ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা বেদাত, নাজায়েস।
ভাই সাইয়িদ রফিকুল হক, ততকালীন সময় অর্থাৎ রাসূল (স) এর সময়ে সাহাবাগণ কোরান এবং হাদিস জানার জন্য রাসূল(স) এর নিকট মাসজিদে নববী বা রাসূল(স)এর ঘরে বা রাসূল (স) যেখানে অবস্থান করতেন সেখানে আসতেন।সাহাবা কেরামদের নিকটও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম বা তাবেইনরা অধিক জ্ঞানসম্পন্ন সাহাবায়ে কেরামদের নিকট আসতেন।এই জানার বা শিক্ষার প্রথাটাই ধিরে ধিরে প্রয়োজনের তাগিদে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। তাই বলে কি এ সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করা নাজায়েস? বা এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদাতে পরিণত হয়ে গেল? আমাদের উপমহাদেশে এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনের মূল কারণ হচ্ছে আমাদের প্রচলিত সাধারণ (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করা। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা উপেক্ষিত হওয়ার কারণেই এ দেশের আলেম সমাজ অনেকটা বাধ্য হয়েই ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা অনুভব করে বিকল্প ধারার এই শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়েছিলেন।
আর ইংরেজরা যদি এই ব্যবস্থার প্রবর্তক হয়ে থাকে তাহলে সমস্যাটা কোথায়? ইংরেজ এবং পাকিস্তান আমলের অনেক জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে আছে। ইংরেজ এবং পাকিস্তানীদের হাতে গড়া বলে কি সে গুলো আমরা ভেংগে গুড়িয়ে দেব? কখনোই নয়। ।
সুন্দরভাবে বেচে থাকার জন্য জেনারেল শিক্ষা আমাদের যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি জীবন চলার দিক নির্দেশনার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের আমাদের একান্ত প্রয়োজন। যেহেতু আমরা এখন অন্য কোন জাতির অধীনে নয়। আমরা এখন স্বাধীন। তাই আমরা মনে হয় একটা জায়গায় গিয়ে একমত হতে পারি। তা হচ্ছে, আমাদের এখন কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় হয়েছে। যাতে ঐ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, আমার বক্তব্য পরিষ্কার। আমি তো কোথাও বলিনি মাদ্রসাশিক্ষা নাজায়েজ! আর আমি এটি বলতেও পারি না। আমি বলেছি: মাদ্রাসাশিক্ষা যে ইসলামীশিক্ষা তার পক্ষে পবিত্র কুরআন-হাদিসে কোনো দলিল নাই।
আমাদের দেশের একটি শ্রেণী মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা মনে করে থাকে। আর তারা স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষাকে অনৈসলামিক বলে থাকে। আর তারা সবসময় তাদের মনগড়া চিন্তাচেতনার দ্বারা দেশে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেসলামিক বলে থাকে। আমি তো তাদের ভ্রান্তধারণার বিরুদ্ধেই বলেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

গাজী বুরহান বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষাকে আপনি কেন ইসলামী শিক্ষা মনে করবেন না? শাহজালাল(র) যখন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য উপমহাদেশে আসলেন তখন তিনি লোকদের যে ভাবে দাওয়াত দিলেন সেটাই ইসলামী শিক্ষা। কারন তখনকার প্রেক্ষাপটই ছিল এ রকম। প্রেক্ষাপট টি বুজতে হবে। আল্লাহ্‌র নবি(স) সাহাবীদের যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন সেটাই ইসলামী শিক্ষা।কারন তখনকার প্রেক্ষাপটই ছিল এ রকম।এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে তাই মাদ্রাসা শিক্ষার আবির্ভাব হয়েছে। আজ যদি সব স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে কোরান,হাদীসের সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে সেটাকেও ইসলামী শিক্ষা বলতে হবে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি: মহান আল্লাহর কোনো ওলী মাদ্রাসা তৈরি করেননি। হজরত শাহজালাল রহ. আল্লাহর ওলী ছিলেন। তিনিও কোনো মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। সাধারণ শিক্ষার মতো মাদ্রাসাশিক্ষাও একটি শিক্ষাব্যবস্থা মাত্র। এ-কে জোর করে ইসলামীশিক্ষা বলার কোনো সুযোগ নাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

দুখু বাঙাল বলেছেন: আপনে লিখতে বসেছেন ইসলামের মঙ্গলের জন্য সেটা ইসলামের কতটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে জানেন! যারা ইসলামি শিক্ষা বা মাদ্রাসা বিরোধী। তারা আপনাকে বাহবাহ দিচ্ছে আর আপনে অনুপ্রানিত হচ্ছেন। :-(

বিরক্ত হলাম। এ জন্য যে, একটা বাক্যকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বার বার বলা হচ্ছে। সংক্ষেপে গুছিয়ে লিখবে আগামী পর্ব।
আরো বিরক্তি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, সত্যকে স্বীকার করতেই হবে। এখানে, মাদ্রাসাশিক্ষার বিরোধিতা করা হয়নি।
শুধু বলা হয়েছে, মাদ্রাসাশিক্ষাকে একমাত্র বা ইসলামীশিক্ষা বলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত।
আর হ্যাঁ, একটি সত্যকে বারবার বলা দোষণীয় কিছু নয়। এটি একটি মহাগ্রন্থের বৈশিষ্ট্য।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি: মহান আল্লাহর কোনো ওলী মাদ্রাসা তৈরি করেননি। হজরত শাহজালাল রহ. আল্লাহর ওলী ছিলেন। তিনিও কোনো মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। সাধারণ শিক্ষার মতো মাদ্রাসাশিক্ষাও একটি শিক্ষাব্যবস্থা মাত্র। এ-কে জোর করে ইসলামীশিক্ষা বলার কোনো সুযোগ নাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।


লেখক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, দাদা। ওদের ভ্রান্তধারণা আমাদেরই দূর করতে হবে।
ধন্যবাদসহ শুভকামনা রইলো।

লেখক বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন ভাই। দুনিয়াতে শুধু মাদ্রাসাশিক্ষাকে ইসলামীশিক্ষা বলার কোনো অবকাশ নাই। মানবধর্মও আজ ইসলামীশিক্ষার আওতাভুক্ত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।


জনাব, দয়া করে আপনি আপনার অবস্থানটা পরিষ্কার করুন। আপনার লেখা এবং প্রতি মন্তব্যগূলো একটা আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক।আপনি খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন।আপনি যা বলতে চান স্পষ্ট করে বলুন।ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন, আমার বক্তব্য একদম পরিষ্কার। আপনি বুঝতে না পারলে আমার কিছু করার নাই।
আর আপনি বিষয়টি না-বুঝেই বক্তব্য দিয়েছেন।

২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: হাফিজ বিন শামসী @ পুরা সহমত

লিখক কবির কাছে যেটা জানতে চাইলাম তা কিন্তু তিনি এড়িয়ে গেছেন , মাদ্রাসা কে ইস্লামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলা বেদাত ,তাহলে কি ইস্কুল কেই আমরা ইস্লামি প্রতিষ্ঠান বলব ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন ভাই, আমার বক্তব্য হচ্ছে: মাদ্রাসাশিক্ষা ইসলাম-অনুমোদিত কোনো শিক্ষা নয়। কারণ, মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সা. কখনও মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা করেননি। আর স্কুল-কলেজকে আমি কোথাও ইসলামীশিক্ষা বলিনি। ভুল বুঝেছেন। মাদ্রাসাশিক্ষাকে আমি ধর্মভিত্তিক শিক্ষা বলেছি। কিন্তু এটি ইসলামীশিক্ষা নয়। তার কারণ, মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সা.-এর অনুমোদন ছাড়া কোনোকিছুই ইসলামী হতে পারে না। বর্তমানে সুদভিত্তিক ‘ইসলামী-ব্যাংক’ চালু আছে। এগুলো নামে, আসলে কোনোটাই ইসলামী-ব্যাংক নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

দ্যা লায়ন বলেছেন: এসব ,াদ্রাসা ধর্মীয় দালালদের আরব দেশ থেকে টাকা এনে খাওয়ার একটা উপায় মাত্র, তারা আরবদের বলে আমরা আপনাদের ভাষা প্রতিষ্ঠা করছি, আপনাদের গুন গান গাইছি, বাংলার মুর্খ মানুষদের বুঝিয়ে দিয়েছি আলিফ বা তা মানেই কোরাণ হাদিস, এসব পড়লে সো্যাব আর সোয়াব , নির্ঘাৎ বেহেস্ত আপনারা আমাদের টাকা দেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। আপনি ঠিকই বলেছেন। সুন্দর ও সহমত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

২৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: দ্যা লায়ন@ জী আলিপ বা তা এটা যদি কোরআনের কোন আয়াত হিসাবে পড়ে তা হলে প্রত্যেক হরপে নেকি করে পাওয়া যায় কিন্তু যদি কেউ আরাবি ভাসা হিসাবে আটাকে এমন মনে করে তা হলে তা ভুল হবে ।

২৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: কোরঅান শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?
হাদিস শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?
ফেকাহ শিক্ষা কি ইসলামি শিক্ষা ?

যদি সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাদিস পড়ানো শুরু করে দেয়। কোরআনের তর্যমা. তাফসির. শরিয়তের বিধান শিখানো শুরু করে দেয় তবে সেটা অবশ্যই ইসলামি শিক্ষা। সেই একই কাজ যদি মাদ্রাসা নাম দিয়ে করে তাহলে সেটা ইসলামি শিক্ষা নয় কেন???

আমার জানা মতে আপনি যে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ব্যাবহার করেছেন তারা কোরআন, হাদিস, ফিকাহ বা ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে কিছু পড়ায় না। তর্কের খাতিরে আপনি এগুলোকে (দুনিয়ায় চলার কাজে লাগে এমন) শিক্ষা নাও বলতে পারেন কিন্তু ইসলামি শিক্ষা না !!!

তাহলে ইসলামি শিক্ষার অস্তিত্বই কি বিলনি হয়ে গেল পৃথিবী থেকে। বিনোদনের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

২৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: লিখক আপনার নাম রপিকুল হক , কিন্তু নামের আগে পড়ে কবি ,সাইয়েদ এটা লাগানোর জন্য কোরআন আর হাদিসের কোন রেফারেঞ্চ ব্যাবহার করেছিলেন কিনা ?

পুরা সউদি আরবে একটা সাইয়েদ খুজে পাইলাম না আর বাংলাদেশে সাইয়েদের জন্য পাও পালান যায়না , মনে হয় আরব থকে সকল সাইয়েদ ভারত বর্ষে রপ্তানি হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.