নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তচিন্তা ভালো। তবে তা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলকে গালি দিয়ে নয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭


মুক্তচিন্তা ভালো। তবে তা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলকে গালি দিয়ে নয়।
সাইয়িদ রফিকুল হক

আপনি একজন মুক্তচিন্তক। ভালো কথা। আপনি সবসময় মুক্তচিন্তা করবেন। এটিও খুব ভালো কথা। আর আপনি সারাজীবন মুক্তচিন্তা করুন। খুব ভালো কথা। আর আপনি মুক্তচিন্তা করতে-করতে একজন বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাহিত্যিক ও নন্দনতত্ত্বের শিল্পী হয়ে উঠুন। এতে দেশ ও জাতির মঙ্গল হবে। আপনি মুক্তচিন্তা করতে-করতে ভাবলেন: পৃথিবীতে কোনো ঈশ্বর নাই! তাই, আপনি নাস্তিক হয়ে যাবেন বা সরাসরি নাস্তিক হয়ে গেলেন। এটি আপনার ইচ্ছা। মহান স্রষ্টার পৃথিবীতে সবাই স্বাধীন। প্রত্যেকে তার কাজকর্ম স্বাধীনভাবে করার অধিকার রাখে। মহান ঈশ্বর কাউকে বন্দী করে রাখেননি। আপনি নিজের ইচ্ছায় নাস্তিক হয়ে গেছেন। এতে কার কী এমন আসে যায়?

আপনি নাস্তিক হয়েছেন। আপনার পক্ষে অনেক যুক্তি আছে। আর যারা হাজার-হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় আস্তিক হয়ে আছেন তাদের পক্ষেও তো জোরালো যুক্তি রয়েছে। আপনি যদি নাস্তিক হয়ে কাউকে তার ধর্মপালনে বাধার সৃষ্টি করেন—তাহলে, সমাজে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হবে। আর এতে সংঘাত অনিবার্য। আপনি নাস্তিক—আপনি বুদ্ধিমান। তাই, আপনাকে মানতে হবে: আপনার যেমন ঈশ্বর না-মানার অধিকার রয়েছে তেমনিভাবে অন্যেরও অধিকার রয়েছে ঈশ্বর মানার। আর আপনি যে সমাজে-রাষ্ট্রে অধিকার ভোগ করতে চাচ্ছেন সেখানে আপনার কর্তব্য হলো: অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ না করা। কেননা, অধিকার ও কর্তব্য একটি আরেকটির সঙ্গে জন্মলগ্ন থেকে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আর কর্তব্যপালনকে বাদ দিয়ে অধিকার ভোগ করা যায় না।

সমাজে-রাষ্ট্রে আজ আপনি অধিকার চাচ্ছেন? এর অর্থ হলো: আপনি কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করবেন না, আর অন্যে আপনার অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে না। তাই, সমাজে-রাষ্ট্রে যে-কারও অধিকার ভোগ করতে হলে তাদের অবশ্যই কর্তব্য মেনে চলতে হবে।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ধর্ম আছে। আর তা বর্তমানের সকল গণ্ডী অতিক্রম করে ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম কখনও শেষ হওয়ার বিষয় নয়—আর এটি সবসময় ‘Never ending process।’ ধর্ম কখনও একজন সত্যিকারের নাস্তিকের টার্গেট হতে পারে না। তার অন্য ভাবনা আছে। আর তার ভাববার বিষয় আছে।
ধর্মবিষয়ে আঘাত করে কারও হৃদয়কে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত করা সমীচীন নয়। অহেতুক কারও হৃদয়ে আঘাত করে তা ছিন্নভিন্ন কিংবা ধারালো ব্লেড দিয়ে একেবারে কেটেকুটে ফালাফালা করা মোটেই উচিত নয়।
লেখার অনেক বিষয় আছে। তবে তা কারও হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে নয়। ধর্মের ভিতরে যত রকমের ভণ্ডামি আছে, আর ধর্মের ভিতরে যত রকমের ভণ্ড লুকিয়ে আছে—এদের বিরুদ্ধে সবসময় লেখা উচিত। আর আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে: কখনওই মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল (সা.)-কে গালি দিয়ে সাহিত্য হয় না। সাহিত্য মহৎ-বিষয়—আর অন্যকিছু।

মুক্তচিন্তা মানে চিন্তার ক্ষেত্রে মুক্তি বা স্বাধীন বা উন্মুক্ত বা সর্বপ্রকার কুসংস্কারমুক্ত হয়ে নিজের ধারণা ব্যক্ত করা। আর এই মুক্তচিন্তার ভিতরে অবশ্যই রাষ্ট্রের আইনকানুন রয়েছে। আপনি যদি এগুলোকে কুসংস্কার মনে করেন—তাহলে তো চলবে না। কারণ, সমাজে-রাষ্ট্রে অনেক মানুষের কাছে এর বিরাট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। মানুষ আইনকানুন মানতে অভ্যস্ত। আপনার একটি কথায় সমাজের বা রাষ্ট্রের সব মানুষ একনিমিষে নাস্তিক হয়ে যাবে না। আবার পৃথিবীর সব মানুষই কখনও আস্তিক হবে না। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আস্তিক ও নাস্তিক দুইটি সত্তা বিরাজমান। আগে তো কখনও নাস্তিক ও আস্তিকের মধ্যে সংঘাতসৃষ্টি হয়নি। বরং যারা আগে নাস্তিক ছিলেন বা এখনও সত্যিকারের নাস্তিক রয়েছেন তারা কখনও কারও ধর্মকে কটাক্ষ করেন না কিংবা ঈশ্বর বা তাঁর প্রেরিত নবী-রাসুলদের বা কোনো ধর্মের অবতারকে গালি দেন না। তারা যথার্থ নাস্তিক। তারা সমাজ-রাষ্ট্রের সভ্য-নাগরিক।
আর আপনি হঠাৎ করে একদিনে নাস্তিক হয়ে তার পরদিন থেকে মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দিতে শুরু করলেন! এটি কোন মানসিকতা? আপনি ধর্মের ভিতরে প্রচলিত নানারকম গরমিলের সমালোচনা করতে পারেন। আপনি ধর্মকেন্দ্রিক ভণ্ডদের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আর তা না করে আপনি সরাসরি মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলদের গালি দিতে আরম্ভ করে আর তাকেই জীবনের একমাত্র আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করলেন! আসলে, আমাদের সমাজে-রাষ্ট্রে যারা সত্যিকারের নাস্তিক তারা কোনো সমস্য নয়—সমস্যা হচ্ছে: যারা আজকাল কোনোকিছু না বুঝে হুজুগে নব্যনাস্তিক হচ্ছে তারা। আর এই ভূঁইফোঁড় নব্যনাস্তিকরাই এখন নাস্তিক্যবাদের ধারণা পাল্টে দিতে আর তাদের জনপ্রিয়তাসৃষ্টির কাজে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু কেন? কারণ, এরা কেউই আসল নাস্তিক নয়। এরা নিজেদের স্বার্থে ও সুবিধার্থে সমাজে-রাষ্ট্রে নাস্তিক হয়েছে।

আপনি একজন নাস্তিক হয়ে প্রকাশ্যে বলতে পারেন: “আমি এই পৃথিবীতে কোনো স্রষ্টা বা ঈশ্বর মানি না। আর কোনোদিন তা মানবো না।” এতে কারও কোনো আপত্তি নাই। কোনো মুসলমানই আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। কারণ, মহান আল্লাহ তার অস্বীকারকারীদের হত্যার আদেশ দেননি। কিন্তু আপনি যখন কারও ঈশ্বর বা আল্লাহকে বা তাঁর রাসুলকে বা কোনো অবতারকে গালি দিবেন, তখন তো আপনি অন্যের অধিকার স্বীকার করলেন না। আবারও বলছি: আপনার অধিকার আছে নাস্তিক হওয়ার। আর অন্যের অধিকার রয়েছে আস্তিক হওয়ার। আর তাই, সবসময় মনে রাখুন: নিজের অধিকার ভোগ করতে চাইলে আপনাকে অন্যের প্রতি কর্তব্যপালন করতে হবে অন্যের অধিকাররক্ষায়। তাহলে, আপনার অধিকারে আর কেউ হস্তক্ষেপ করার সাহস পাবে না।

আমি প্রার্থনা করি: আপনি অনেক বড় মুক্তচিন্তাবিদ হন। আর আপনি চিন্তা করতে-করতে সবসময় চিন্তাসাগরে ভাসতে থাকুন। আপনি হয়ে উঠুন সমাজ-রাষ্ট্রের প্রভাবশালী এক গবেষক কিংবা চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব। কিন্ত দোহাই লাগে: আপনি কোনো ধর্মকে কিংবা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনও আক্রমণ করবেন না কিংবা তাঁদের গালি দিবেন না। আর সবসময় মনে রাখুন: নিজের অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি। এতে আমাদের সমাজ হয়ে উঠবে সহনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

বি.দ্র. যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে হত্যা করছে, তারা মূঢ় ও বিভ্রান্ত। পবিত্র ধর্ম ইসলামে কোনো সন্ত্রাস, নাশকতা ও বাড়াবাড়ি নাই।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৫/০৪/২০১৬

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

বিজন রয় বলেছেন: মুক্তচিন্তা ভালো। তবে তা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলকে গালি দিয়ে নয়।

সহমত।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা। আর সঙ্গে শুভকামনা।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০২

বিজন রয় বলেছেন: তবে চাপাতি দিয়ে বা কোনভাবেই মানুষ হত্যাও ভাল নয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এবার আপনার সঙ্গে আমি সহমতপ্রকাশ করছি। আর লেখার শেষে দুটি লাইন নতুন সংযুক্ত করেছি। আপনি একবারটি পড়লে আমি ধন্য হবো। আবারও শুভেচ্ছা।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাল্পোস্ট!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি পড়েছেন, এজন্য আমি ধন্য হয়েছি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০১

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: সস্তা পরিচিতি পাওয়ার জন্য ও রকম নোংরামির বিকল্প নাই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। আর সস্তা জিনিস কখনও টেকসই হয় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

বেলায়েত হােসেন ইমন বলেছেন: মানুষকে স্বাধীন ভাবে চলাচল কিবা কথা বলার জন্যই ক্রীতদাস প্রথার বিলোপ সাধন হয়েছে। মহান আল্লাপাক এও হুশিয়ার করে দিয়েছেন, খবরদার তোমরা সীমালঙ্গন করোনা,সীমালঙ্গন কারীকে আল্লাপাক পছন্দ করেননা। তাই বুঝে শুনে মুক্ত চিন্তা করাই বাঞ্চনীয়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। সীমালংঘনকারীরা সত্যিই দুর্ভাগা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: বি.দ্র. যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে হত্যা করছে, তারা মূঢ় ও বিভ্রান্ত। পবিত্র ধর্ম ইসলামে কোনো সন্ত্রাস, নাশকতা ও বাড়াবাড়ি নাই।


তারা আপনার এই কথা শুনবে না।


৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তাহলে, এদের জন্য অন্য বব্যস্থা করতে হবে। কথায় কাজ না হলে...।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৫

সন্ধি বিচ্ছেদ বলেছেন: এককালে জ্ঞানী লোকজন নাস্তিক হতো স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে তাদের সংশয়ের কারণে। নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নিয়ে তাদের মাথাব্যথা ছিলো না। আর আজকের তথাকথিত মুক্তমনারা নাস্তিক হয় বিদেশের ভিসা পাবার লোভে। এক্ষেত্রে ইহাদের প্রধান কাজ আল্লাহ্ ও রাসূল (স.) কে নিয়ে নোংরা কথা বলা। (নাউজুবিল্লাহ্)
এরা ত আসলে বিকৃতমনষ্কা। পাগল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। এখনকার নাস্তিকগুলো একেবারে বিভ্রান্ত। সত্যিকারের নাস্তিক নিয়ে কোনো সংশয় নাই। যত ঝামেলা পাকাচ্ছে সব নব্যরা।
আপনাকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি ভাল কথা বলেছেন। তবে সবাইকে সমভাবে সম্মোধন করলেই আপনার কথা যথার্থ হত। আপনি শুধু নাস্তিকদের সম্মোধন করেছেন। নাস্তিকেরাই নাকি অন্যের বিশ্বাসের উপর আঘাত হানে। আপনি ওয়াজ মাহফিলে যান, দেখেন অধিকাংশ মাওলানারা নাস্তিকদের ও অন্য ধর্মবিশ্বাসী (তাদের ভাষায় কাফের) কোন ভাষায় সমালোচনা করে থাকে। সেটা কি নাস্তিক ও অন্য বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে আঘাত নয় কি?
মত প্রকাশ ও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত এক কথা নয়। যেমন আপনি যদি বলে থাকেন যে নাস্তিকেরা যে কথা প্রচার করে থাকে তা ভ্রান্ত ও অজ্ঞতা অমুক অমুক যুক্তির আলোকে বা কোন নাস্তিক যদি বলেন ইসলাম একটি মানব রচিত ধর্ম, মুহম্মাদ মানুষকে ভূল পথে চালিয়েছেন অমুক অমুক যুক্তির আলোকে -এ ধরনের কথার কোনটাই দোষের নয়, বরং মত প্রকাশ।
তবে হ্য আজে বাজে গালি দিয়ে যদি কথা বলা হয় তা অবশ্যই অন্যায়। তবে সে অন্যায় যেমন নাস্তিকেরাও করে থাকে ঠিক আস্তিকেরাও করে থাকে।
আপনি হয়ত বলতে সব আস্তিকেরা করে না আমি বলবো সব নাস্তিকেরাও অনুরুপ করে না। তবে যে ধরনের মত প্রকাশের উদাহরণ দিলাম কোন নাস্তিক যদি ধর্মের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে তার মত প্রকাশ করে তখন দেশজুড়ে ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাতের জুজু তুলে সারা দেশ তোলপাড় করে-এটা কি ইসলাম শিক্ষা দেয়?
যদি এরুপ মতপ্রকাশের বিপক্ষে তোলপাড় করা ইসলামের শিক্ষা না হয়, তাহলে এ ধরনের তোলপাড়ও তো ইসলাম বিরোধী কাজ, নয় কি? কিন্তু কয়জন আলেমকে এ ধরনের ইসলাম বিরোধী কাজের বিপক্ষে কথা বলতে দেখেছেন?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি ভালোই বলেছেন। আসলে, আমরা তো মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার ঘোরবিরোধী। সে আস্তিকই হোক আর নাস্তিকই হোক। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। এব্যাপারে আমি আপনার সঙ্গে একমত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৮

নুসরাত ইকবাল বলেছেন: ইসলাম ধর্ম অনুসারে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে তারা মুমিন আর যারা বিশ্বাস করেনা তারা কাফের। কাফের বলতে এখানে গালি দেওয়া নয়। এটা একটা বিশ্বাসগত অবস্থান। একথা বলার মধ্য আলেমদের দোষটা কোথায়? কাফের ভাষাটা শুনতে খারাপ লাগে? অথচ নিজেকে নাস্তিক জাহির করতে অনেকেই গর্ববোধ করে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার বক্তব্য অনেকখানি ঠিক আছে। একটু সমস্যা হলো: মহান আল্লাহ সেই সময় (রাসুল সা.-এর যুগে) যাদের কাফের বলেছেন, তারা আসলেই কাফের। কারণ, মহান আল্লাহ সত্য বলেন। কিন্তু এখন যারা নিজেদের ‘আলেম’ দাবি করেন, তাদের নির্ভরযোগ্যতা কোথায়? আর তারা তো ব্যক্তিস্বার্থে যে-কাউকেই কাফের বলতে পারে। এর বড় প্রমাণ, ১৯৭১ সালে, একশ্রেণীর আলেম-নামধারী পাপীরা পাকিস্তানকে সমর্থন করে বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলতো! তাই, এদের কথা বিশ্বাস করা যাবে না।
আপনাকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভকামনা।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

বার্তা বাহক বলেছেন: অসাধারণ শেয়ারিং। ধন্যবাদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সানন্দে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আর সঙ্গে রইলো অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

জেন রসি বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং ঘৃণা ছড়ানো- এ দুটো ব্যাপারকে এক করে দেখার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে। আমরা যখন যুক্তি দিয়ে কোন মতবাদকে বাতিল করার চেষ্টা করি তখন সেই মতবাদের খারাপ দিকগুলো এবং কেন তা বাতিল সেসব ব্যাপারও খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে আসবে। এখন সেটাকে যদি মূল্যবোধে আঘাত বলা হয় তবে সেটা বিভ্রান্তি। সেটাকে বলা যেতে পারে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত যা সব যুগেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা করে এসেছে।

যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলা হয়ে থাকে তবে সেটা কিন্তু এক ধর্মের প্রচারের মধ্যেই অপর ধর্মের অনুভুতিতে আঘাতের ব্যাপার চলে আসে। যেমন ইসলাম ধর্মে আছে যারা মূর্তি পূজা করে তারা শয়তানের পূজারী। আবার হিন্দু ধর্মে আছে যারা ইসলামের রীতিনীতি পালন করবে তারা নরকে যাবে। তাই সেসব প্রচারও আঘাত। কিন্তু সেসবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগেনা। কিন্তু যুক্তি দিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে গেলেই অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্ধ বিশ্বাসের কারনেই হয়ে থাকে বলে মনে করি।

এখানে আরো একটি ব্যাপার ভেবে দেখতে হবে। তা হচ্ছে, মতবাদ নিয়ে আলোচনা, তর্ক বিতর্ক চলবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন আমি যদি বলি আপনার বিশ্বাস ঠিক না এবং সেটার পক্ষে আমার যুক্তি দেই তবে সেটা অবশ্যই অন্যায় কিছুনা। কিন্তু আমি যদি আপনাকে আপনার ধর্ম পালনে বাঁধা দেই যা কারো জন্য ক্ষতিকর না তবে সেটা অন্যায় হবে। এদেশে কোন মুক্তমনা কি তেমন কিছু করছে? তারা কি কাউকে নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়েছে কখনো? মন্দির ভেঙেছে? তবে কেন তাদের জঙ্গিদের মত চরমপন্থি বলে ফোকাস সরিয়ে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? আমার মনে হয় এই পয়েন্টে এসেই আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমারা স্পষ্ট ভাবে আমাদের বিভ্রান্তি কাঁটাতে না পারলে সমস্যা আরো ভয়াবহ রুপে আবির্ভূত হবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে ভাই, ধর্মে গোঁড়ামি জিনিসটাই খুব খারাপ। আমি সবসময় মুক্তচিন্তার পক্ষে। কিন্তু কাউকে আঘাত করে নয়। আর ইসলাম ধর্ম বলুন, আর অন্য যে-কোনো ধর্মই বলুন কেন সবখানে গোঁড়ামির জন্ম দিয়েছ ধর্মের আত্মস্বীকৃত-মোড়ল-মোল্লা-পুরুতরা। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ ভাল বলেছেন।

সহমত আপনার সাথে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শুনে আনন্দিত হলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

আহলান বলেছেন: আপনি তো গোড়াতেই জল ঢেলে দিলেন, আল্লাহ রাসুলকে গালাগাল না করলে কিভাবে প্রমাণ হবে আপনি মুক্তমনা। ওটাই তো এই দেশের মুক্তমনাদের (তথাকথিত) ষ্ট্যান্ডার্ড টেষ্ট .... যে যত খারাপ গালাগাল করতে পারবে, সে ততবড় মুক্তমনা ....

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এরা খুব সাধারণ মুক্তমনা। আর এদের প্রতিভা খুবই সামান্য। তাই, এরা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সা.-কে প্রতিপক্ষ বানায়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সঙ্গে শুভেচ্ছা।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: যারা সত্যি কারের মুক্ত চিন্তার অধিকারি তারা কখনোই অন্যের ক্ষতি সাধন হয় এমন কোন কাজ বা কথা বলেন না। আর নাস্তিকতাবাদ কি ? যারা ধর্মই মানেন না তারা একক ভাবে এক ধর্ম মানেন না তা কিন্তু নয়, তারা যেকন ধর্ম তা ইসলাম হোক বা হিন্দু হোক অথবা খ্রিষ্টান হোক কিছুই মানেন না। শুধু ইসলাম কে গালি দিয়াই যদি নাস্তিক উপাদি নেয়ার কেউ চেষ্টা করেন তবে সেই লোক উন্মাদ নতুবা সমাজে কলহ সৃষ্টি কারী। আর এরা সব সময় পরিত্যাজ্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হু, ভালো বলেছেন। একজনকে টার্গেট করা ঠিক নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আহলান, আপনি ভূল বলেছেন। কিছু নাস্তিক আল্লাহ রসুলকে গালাগালি করে- এ কথা সত্য ঠিক একই ভাবে সত্য বহু আস্তিক নাস্তিক ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসকে খাটো করে গালাগালি করে যা আমি বহু ওয়াজে শুনেছি। আবার অনেক নাস্তিকের ইসলাম সম্পর্কে তথা আল্রাহ রসুল সম্পর্কে তার বক্তব্য যা যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ তাকেও অনেক আস্তিক গালাগালি বলে অপপ্রচার করে থাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথাও সত্য। একশ্রেণীর বকধার্মিক তো মুসলমান ছাড়া আর কাউকেই মানুষ মনে করে না। এগুলো গোঁড়ামি ও অজ্ঞতা। কেউ যদি (কাউকে আঘাত না করে) নাস্তিক হয়ে থাকে, তাহলে, তাকেও বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। তাকে গালিগালাজ করাও অপরাধ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সঙ্গে শুভেচ্ছাও।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: জেন রসির বক্তব্য অত্যান্ত চমৎকার। ভাইকে এ বিষয়ে আরো লেখার জন্য অনুরোধ করছি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথাটা মাথায় নিয়ে রাখলাম। চেষ্টা করবো।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

বাংলার জামিনদার বলেছেন: একজন মুসলিম বলবে আমার ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ, আমার আল্লাহ, নবিকে গালি দেওয়া যাবেনা।
একজন হিন্দু বলবে আমার ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ, আমার দেবতাকে গালি দেওয়া যাবেনা।
একজন খ্রিষ্টান বলবে আমার ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ, আমার ইশ্বরপুত্রকে গালি দেওয়া যাবেনা।
একজন বৌদ্ধ বলবে আমার ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ, আমার আমার বুদ্ধকে গালি দেওয়া যাবেনা।

কোনো না কোনো ধর্ম পালন করে সেই তার দেবতা, সৃষ্টিকর্তা, অবতার নিয়ে কিছু শুনতে রাজি নয়, এবং নিজের বিশ্বাসের শ্রষ্টত্ব ছাড়তে রাজি নয়। পৃথিবীতে ধর্ম হাজার খানেক।

সমাধান কি?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এর সমাধান হলো: ভাই, সবাইকে আগে মানুষ হতে হবে। আর মানুষ না হয়ে কোনো ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ধর্মপালন করার চেষ্টা বৃথা। সবার আগে আমাদের একজন অসাম্প্রদায়িক-মানুষ হতে হবে। আর সকলের ধর্মকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে। তাহলে, এই পৃথিবী মানুষের শান্তিময় বাসভূমি হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা। আর শুভকামনা।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

:- বলেছেন: অগ্নি সারথি বলেছেন: বাল্পোস্ট!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, আপনার নামটি জানতে পারলাম না।
ধন্যবাদ।

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে হত্যা করছে, তারা মূঢ় ও বিভ্রান্ত। পবিত্র ধর্ম ইসলামে কোনো সন্ত্রাস, নাশকতা ও বাড়াবাড়ি নাই। -চরম খাঁটি সত্যি কথা। এর উপর আর কোন কথা নেই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতপ্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো অশেষ শুভেচ্ছা।

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমি হেসেছি। আচ্ছা, যখন নবি মোহাম্মদ যখন ইসলাম প্রচার করেছিলেন, তখন তিনি বলেননি পৌত্তলিক ধর্ম ভুল? তিনি তাদের আসতে বলেননি নিজের দেখানো পথে? তিনি কি তাদের দেখি দেননি মূর্তি পূজা করার অসাড়তা?
তাহলে তখন সেই ধর্মের মানুষদের ধর্মানুভূতি আহত হয়নি?
একটা নতুন কিছু আনতে গেলে আগেরটার দোষগুলো, মিথ্যে গুলো দেখিয়ে দিতে হয়। না হলে মানুষ নতুন পথে আসবে কেন? ওটা তো মোহাম্মদও করেছেন, তাহলে নাস্তিকেরা করলেই দোষ? ধার্মিকদের এটাই সবচেয়ে বড় হিপোক্রেসি।
আর নাস্তিকদের কিন্তু অকথ্য ভাষায় গালি দেয়া হয়, তারা কিন্তু কাউকে কোপায় না। আমি মাঝেমাঝে এটা ভেবে বিস্মিত হৈ যে, একটা ধর্ম এদেশে শুধু চাপাতির উপর টিকে আছে!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: নাস্তিকদের গালি দেওয়ার পক্ষে আমরা নই। যারা সত্যিকারের নাস্তিক তারা তাদের মতো থাকবে। এতে আমাদের আপত্তি কীসের? আর ধর্মের বিরুদ্ধে বলাটা নতুনত্ব নয়। বরং ধর্মের ভিতরে যে-সব ভণ্ড আছে তাদের খুঁজে বের করাটাই ‘উদ্ভাবন’।

যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে হত্যা করছে, তারা মূঢ় ও বিভ্রান্ত। পবিত্র ধর্ম ইসলামে কোনো সন্ত্রাস, নাশকতা ও বাড়াবাড়ি নাই।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তবে একটা প্রশ্ন জনাব, ব্লেডের ছবিটি কেনো? চাপাতির প্রতীক নাতো???
সকল ধর্মই মঙ্গলের জন্য। তরবারী, সাঁড়াশী, চাপাতি দিয়ে কখনো কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি, এসব দিয়ে রক্ষা করার চিন্তাও অবান্তর।
সুতরাং, নবী-রাসুল বলি, রামকৃষ্ণ বলি প্রভু যীশু বলি কিংবা মহামতি বুদ্ধই বলি, নিজস্ব বিশ্বাস যথাযথ রেখে পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাই মানবতার শিক্ষা।
অন্যের বিশ্বাসের প্রতি কটাক্ষ না করে, পারস্পরিক সম্মান রেখে চলাই উত্তম। আর ঘৃণা সকল উগ্রবাদীদের প্রতি, তা সে আস্তিক্যে হোক কিংবা নাস্তিক্যে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: না ভাই, ব্লেডটি হলো: কারও হৃদয়কে জখম না করা---কারও হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত না করা। কিংবা কারও বিশ্বাসকে কেটেকুটে ফালাফালা (ছিন্নভিন্ন) না করা।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বরং ধর্মের ভিতরে যে-সব ভণ্ড আছে তাদের খুঁজে বের করাটাই ‘উদ্ভাবন’।

ভ্রাতা, ভণ্ডামি বলতে এখানে কী বোঝাচ্ছেন? একজন নাস্তিক তো আর সাধ করে ধর্ম ত্যাগ করে না, তার কাছে গোটা ধর্মটাই ভণ্ডামি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: যারা ধর্মকে আশ্রয় করে ধর্মব্যবসা করে, আর ধর্মের মনগড়া ব্যাখ্যা করে, তারা ভণ্ড। এদের বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম। কিন্তু আমরা কোনো ধর্মের মর্মমূলে কিংবা কারও বিশ্বাসে আঘাত করতে পারবো না। কারণ, ধর্মপালন করাটাও তো মানুষের অধিকার। ভণ্ডের কারণে ধর্মটাকেই ভণ্ডামি ভাবলে তো সমাজে-রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলাসৃষ্টি হবে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "কিন্ত দোহাই লাগে: আপনি কোনো ধর্মকে কিংবা মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনও আক্রমণ করবেন না কিংবা তাঁদের গালি দিবেন না।" - আচ্ছা বলুন তো, যদি কেউ তাঁদেরকে গালি দেয় তাতে তাঁদের কি ক্ষতি হয়? তাঁদের যদি ক্ষতি না হয়, তাহলে আপনার এতো উতলা হওয়ার আছে কী? গালি দিয়ে কি পৃথিবীতে কোনো দিন কিছু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? নাকি গালাগালিকারীকে মানুষ ভাল মনে করে? তাহলে এতো উতলা হওয়ার আছে কী? গালি হচ্ছে অক্ষমের আস্ফালন। উপেক্ষা এবং অবজ্ঞা করাই সবচেয়ে ভাল উত্তর।

আর আপনি যদি সমালোচনাকে গালি বলেন, তাহলে বিষয়টা কিন্তু ভিন্ন। সমালোচনার শক্তি আছে। সেগুলো দোহাই দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। সমালোচনাকরীকে শুধু নিন্দা করলে বা তাদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হবে না। সমালোচনার যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সমালোচনা সবসময় গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আক্রোশবশতঃ গালি নয়। কিংবা স্রষ্টা কিংবা স্রষ্টার প্রতিনিধি নবী-রাসুলদের গালি দেওয়াটাতো সমালোচনা নয়।
আর এতে উতলা হচ্ছি না। এটি সত্যপ্রকাশের প্রয়াস মাত্র।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একমত নই। যারা নাস্তিক তারা মনে করে, জানে, পুরো সিস্টেমটাই গলদ। তারা দেখিয়ে দিতে চায় বিশ্বাসের অসাড়তা। এতে আপনার আঘাত লাগতেই পারে। দীর্ঘদিনের কোন বিশ্বাসে ফাটল ধরলে বা ফাটল ধরাতে চেষ্টা করলে, মাথা খারাপ হয়ে যেতেই পারে। তাই বলে এটা থেকে আপনি কাউকে বিরত থাকতে বলতে পারেন না।
ধর্মপালন করাটা অবশ্যই মানুষের অধিকার, তেমনই ধর্মের অসাড়তা বা নিন্দা যদি কেউ করতে চায় বা করে সেটাও তার অধিকার। অথচ সে অধিকারটা কেড়ে নেয়া হচ্ছে।
ভণ্ডদের নিন্দার কথা বললেন। আমার চোখে যা ভণ্ডামি সেটারই প্রতিবাদ আমি করবো, আপনি সেটাকে সঠিক মনে করলে, আমার কাজের আপনি প্রতিবাদ করবেন। সিম্পল, ইজি একটা ব্যাপার।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে ভাই, যারা সত্যিকারের নাস্তিক তারা কখনও স্রষ্টাকে গালি দেন না, কিংবা নবী-রাসুলদের আক্রমণ করেন না। আপনার কথায় তারা পুরা সিস্টেমটাকেই ভুল মনে করে। হ্যাঁ, এত কোনো দোষ নাই। যে-কেউ নাস্তিক হতে পারে। এটা তার অধিকার। কিন্তু নাস্তিক হয়ে কারও ঈশ্বর বা আল্লাহকে গালি দিলে অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়।
তাই, বলছিলাম শুধু নিজের অধিকার দেখলেই চলবে না। অন্যের অধিকারও দেখতে হবে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা।

২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যখন নবি মোহাম্মদ যখন ইসলাম প্রচার করেছিলেন, তখন তিনি বলেননি পৌত্তলিক ধর্ম ভুল? তিনি তাদের আসতে বলেননি নিজের দেখানো পথে? তিনি কি তাদের দেখি দেননি মূর্তি পূজা করার অসাড়তা?
তাহলে তখন সেই ধর্মের মানুষদের ধর্মানুভূতি আহত হয়নি?

আপনি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: উত্তর দিচ্ছি:
আপনি সত্যপ্রকাশ করেছেন। আসলে তা-ই। আমাদের রাসুল সা. আরবে পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে নতুন ধর্মমতপ্রচার করলেন। এটা একেবারে সত্যঘটনা। আর তিনি তো মহান আল্লাহর প্রেরিতপুরুষ। তাই, মহান আল্লাহর নির্দেশে তিনি এটি করেছেন। আর কোনো সাধারণ নাস্তিক যখন কুরআন, আল্লাহ, রাসুল সা. ইত্যাদি নিয়ে মনগড়া কথা বলেন কিংবা হাসি-ঠাট্টা করেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত। আর কোনো নাস্তিক কিন্তু স্রষ্টার কেউ নয়।
আর রাসুল তো কারও মনে আঘাত দেননি। তিনি মহান আল্লাহর হুকুমে এক-আল্লাহর ধর্মপ্রচার করেছেন মাত্র। তা-ও অনেক সংযতভাষায় আর মধুর ব্যবহার দিয়ে। তাই, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক পি.কে. হিট্টি আমাদের রাসুল সা. সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন: “তরবারির জোরে নয়, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মহম্মদ সা.-এর বদান্যতায়।’’ অর্থাৎ, তাঁর মধুর ব্যবহারে।
আসলে ভাই, এসব কথা সামনাসামনি আলোচনা করতে পারলে ভালো হতো।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আরণ্যক রাখালকে বলছি, ভ্রাতা, আপনি যাকে ভণ্ডামি বলছেন, তা কিন্তু আরেকজনের বিশ্বাস। বিজ্ঞজন অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করেন না। তাঁকে যুক্তি দিয়ে স্বধর্ম চ্যুত করেন না।
যে সত্যিকারের নাস্তিক, সে আলোকিত ব্যক্তি। তিনি কখনো অপরকে আঘাত দিয়ে কথা বলে আহত করেন না, তার বিশ্বাসকে মর্যাদা দেন।
উগ্র নাস্তিক্যবাদ বা আস্তিক্যবাদ কোনটাই সমর্থনযোগ্য নয়।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই।
আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২৮| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

‌মোঃ অাশরাফুল ইসলাম শাওন বলেছেন: হুম ভাই। সম্পূর্ন একমত অাপনার সা‌থে।

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতপ্রকাশ করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

২৯| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১১:৩১

রাঙা মীয়া বলেছেন: মানুষেরে ঘৃণা করি
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল
চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর
করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই
মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !–মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ
কোনো (কাজী নজরূল)

মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।সমস্যা হইলো ধর্ম নিয়া আমাদের চুলকানী বেশী ;)

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ভাই। মানুষ ধর্ম বোঝে না বলেই সমাজে আজ এতো অশান্তি।
আর আপনাকে ধন্যবাদসহ অসংখ্য শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.