নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শয়তানের নষ্টপুত্ররা এখন তুরস্ক শাসন করছে। আর তুরস্কের বর্তমান জাতির পিতা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী!

১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৭


শয়তানের নষ্টপুত্ররা এখন তুরস্ক শাসন করছে। আর তুরস্কের বর্তমান জাতির পিতা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী!
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিশ্বের প্রথম শয়তানরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় শয়তানরাষ্ট্র পাকিস্তান, আর তৃতীয় শয়তানরাষ্ট্র তুরস্ক। বর্তমানে তুরস্ক নামক ইউরোপের রুগ্নশিশুটি একদল শয়তানের দ্বারা শাসিত হচ্ছে। আর এই শয়তানরা তাদের জন্মজন্মান্তরের পিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ হয়ে বিশ্বে শয়তানীকর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে।
তুরস্কের বর্তমান-ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান একজন চিহ্নিত পাপিষ্ঠ ও শয়তানের জারজপুত্র। এই বেআদব বাংলাদেশের একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানান ষড়যন্ত্র করেছে। আর এখনও তাদের শয়তানীষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদানকারী প্রথম দেশ তুরস্ক। তারপর পাকিস্তান। তারপর আরও কতিপয় শয়তানরাষ্ট্র।

তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেত গুল বাংলাদেশের একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আমাদের দেশের প্রেসিডেন্টের নিকট পত্রপ্রেরণ করেছিলো! এরা এমনই ধৃষ্ট-শয়তান। বর্তমানে তুরস্ক জঙ্গীদের মদদদাতা। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ‘জয়েন্ট ভেনচারে’ জঙ্গীদের মদদ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত।

বিশ্বে তুরস্কের ইতিহাস কলংকের ইতিহাস। এরা বারবার মানবাধিকার লংঘন করেছে, এবং এখনও করছে। পাকিস্তানের মতো তুরস্কও ভয়াবহ গণহত্যাকারী-রাষ্ট্র। এরা ১৯১৫-১৯১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্রোহ-দমনের নামে আর্মেনীয়দের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিলো, তা বিশ্বইতিহাসে বিরল। সেই সময় তুর্কীদের ভয়াবহ আগ্রাসনে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ (আর্মেনীয় জনসাধারণ) নিহত হয়েছে। আর এরা বর্তমানেও মানবতাবিরোধী এক অপশক্তি। তুরস্কের ‘দ্বিতীয় বাপ’ পাকিস্তানীরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ঠাণ্ডামাথায় ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিলো। তাই, এখন এই দুই জারজশক্তি (পাকিস্তান ও তুরস্ক) গলাগলি ধরে, মিলেমিশে আমাদের দেশের ভয়াবহ গণহত্যাকারী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে চাইছে।
তুরস্ক নামক রাষ্ট্রটি ভয়াবহ একদলীয়-একজাতীয় শয়তানের অনুসারী। এদের বাপ আমেরিকা, পাকিস্তান ও আরও অনেকে। এরা চিরশয়তানের অনুসারী-দোসর বলেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পক্ষে যোগদান করেছিলো। এদের ভিতরে এখনও ফ্যাসিস্ট-হিটলারের প্রেতাত্মা বিরাজমান।

আমাদের বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে ইদানীং তুরস্ক নামক শয়তানরাষ্ট্রটি একটু বেশি মাথা ঘামাচ্ছে। ২০১০ সালে, বাংলাদেশে একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কেরও মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা শয়তান এরদোগানের বাপ হয়। তাইতে সে এভাবে ক্ষেপে গেছে। আর তার বাপদের ফাঁসি সে কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছে না।

নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকে শয়তানের জারজপুত্র এরদোগানের মাথা পুরাপুরি খারাপ হয়ে গেছে। আর তাই, এই বেআদব বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসতুর্ক-কে কাপুরুষের মতো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরদোগানের নির্দেশে এই রাষ্ট্রদূত নামক শয়তানপুত্র ডেভরিম ওসতুর্ক বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বানচাল করতে এতোদিন পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জোরপ্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সমূলে ব্যর্থ হয়েছে।
আমাদের দেশের একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বানচাল করার জন্য ইতঃপূর্বে তুরস্কে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়েছে। আর এখনও হচ্ছে। আর এর নেতৃত্বে রয়েছে তুরস্কের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। আর সকল শয়তানীর মূলে একজন এরদোগান!

তুরস্কের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী মোস্তফা কামাল পাশাকে আর তাদের ‘জাতির পিতা’ হিসাবে স্বীকার করে না। তারা কামাল পাশাকে আর ‘আতাতুর্ক’ হিসাবে মান্য করে না। শয়তানের জারজপুত্র এরদোগানের নির্দেশে এখন তুরস্কের জাতির পিতা হচ্ছে আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী। শুনে হয়তো খুব অবাক লাগছে! কিন্তু আসলে এটিই সত্য। তুরস্কের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী নিজামীকে তাদের জাতির পিতা বানিয়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ তাদের বাপকে—মানে, তাদের নতুন জাতির পিতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মুত্যুদণ্ড-কার্যকর করেছে। তাই, তারা একেবারে ক্ষিপ্ত হয়ে কোনোরকম কূটনৈতিক শিষ্টাচারের রাখঢাক না রেখে সরাসরি আমাদের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি-প্রদর্শন করে, আর আন্তর্জাতিক নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে শয়তানের তাঁবেদার হিসাবে তারা আত্মপ্রকাশ করেছে। আর সমস্ত শয়তানীর মূলে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট একজন এরদোগান। এই হারামজাদাকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে একদড়িতে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য আমাদের এখন আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইতে হবে।
জয়-বাংলা।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৩/০৫/২০১৬

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

খালিদ হোসাইন বলেছেন: উচিত কথা

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

২| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সাধু মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

লাল আমস্ট্রং বলেছেন:

-


সবকিছু মুটামুটি ঠিক থাকলেও ভুলটা করসেন শেষ প্যারায়। কামাল আতাতুর্ক নিজেই গণহত্যার বিচার করতে রাজি হয় নাই। এরা কামালরে খুব ভাল ভাবে ফলো কইরা আজকে এই দশায় আইসা পৌছাইছে। ইসলাম ছাড়ার পয়লা সবকটাও কামাল মিয়াই এদের দিয়া গেসিল।

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আসলে ভুলটা ইচ্ছাকৃত। তুরস্কের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী কামাল পাশাকে যেন ‘জাতির পিতা’ মনে না করে আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধী নিজামীকে ‘জাতির পিতা’ মনে করছে---এটি বুঝাতেই কামাল পাশার প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তুরস্কের জাতীর পিতার নাম নিজামি ফাকা তুর্ক। :D

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ। আরও কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শুনে আমারও ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

ভগবান গণেশ বলেছেন: আপনার আরেকটি ভালো লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে শুভকামনা।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: পাকিস্তান তো যুদ্ধাপরাধ বিচারে কোন বাধা দেয়নি, শাহবাগিরা যেন শেয়ালের মত উল্লাস করতে পারে, তার রসদ যুগিয়েছে কেবল!

১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার পাকিস্তান বুঝি খুব ভালো?

৮| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

গ্রিন জোন বলেছেন: ভালই তো, এটাই তো কাটা দিয়ে ইহুদিদের কাটা তোলার কৌশল। এ কারণেই যারা আযান বন্ধ করে এরা পীর। যারা চালু করে এরাই যারজ। সাবাস ত্বরীকতপন্থী।

১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: যারা আজান বন্ধ করে আর যারা গণহত্যা করে তাদের কোনো ধর্ম নাই। আর এসব শয়তানী একমাত্র তুর্কীদের দ্বারাই সম্ভব। এরা ইসলামের শত্রু আর জঙ্গীবাদের চিরদোসর পাকিস্তানের দালাল। তাই, এদের বিরুদ্ধে সত্যই বলেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: আবারও একটা ভালো লেখা পড়লাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যে আনন্দিত হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.