নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিব-সম্পর্কে কটূক্তি করলেই বড় হওয়া যায় না

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫



শেখ মুজিব-সম্পর্কে কটূক্তি করলেই বড় হওয়া যায় না
সাইয়িদ রফিকুল হক

আজকাল অনেকে একটু সুযোগ পেলেই শেখ মুজিবকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করে থাকে। হ্যাঁ, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথাই বলছি। এরা মনে করে থাকে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বুঝি তাদের সমগোত্রীয় লোক! তাদের যে লেভেল বা তারা যে লেভেলে চলাফেরা করে থাকে—তাঁকে তারা সেরকমই মনে করে থাকে! সেখান থেকে ভালোকিছু হওয়া সম্ভবও নয়। আজকাল অনেকে শর্টকার্টে বড় কিছু হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে টার্গেট করে সবসময় তাঁকে নানাকারণে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকে। তারা মনে করে থাকে—এভাবে অগ্রসর হলেই বুঝি সে একচান্সে খুব বড় হয়ে যাবে! আসলে, তা নয়। এরা সারাজীবন শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সমালোচনা কিংবা নগ্নসমালোচনা করেও কিছুই করতে পারবে না। বরং নিজের ভিতরের দুর্গন্ধটাকে আরও প্রকটভাবে বিকশিত ও প্রকাশিত করতে থাকবে। কারও নগ্নসমালোচনায় কিংবা গালিতে শেখ মুজিব ছোট হয়ে যাবেন না। কারণ, তিনি ইতিহাসের বরপুত্র। আর তাঁকে ঘিরেই এই স্বাধীন বাংলার ও সমগ্র বাঙালি-জাতির সুদূরপ্রসারী ইতিহাস নির্মিত হয়েছে। ইতিহাস ধন্য হয়েছে তাঁর নামে। আর তাঁর নামেই খুলে যায় ইতিহাসের সকল দরজা।

বড় হওয়ার অনেক পথ আছে। আর বড় হওয়ার জন্য চাই—মনের দিক থেকে বড়মানুষিভাব। তবেই না বড় হওয়া সম্ভব। কাউকে আক্রমণ করেই যদি বড় হওয়া যেত—তাইলে, দুনিয়ার সব মানুষ এতোদিনে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব বা মনীষীদের পিছনে আদাজল খেয়ে লাগতো। বড় হতে হলে সবার আগে বড়ধরনের মনমানসিকতা গড়ে তোলা অপরিহার্য। অন্যথায়, আপনি কখনো বড় হতে পারবেন না। বড় হওয়া কি এতোই সহজ নাকি? সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, শেক্সপীয়ার, রবীন্দ্রনাথ, নিউটন, আইনস্টাইন, কাল মার্কস, লেনিন, চার্চিল, মহাত্মা গান্ধী, ও আমাদের বঙ্গবন্ধু নিজের প্রতিভাবলে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। ইতিহাসে তাঁদের অবস্থান অনড় ও অটল। সামান্য সমালোচনা, নগ্নসমালোচনা কিংবা কারও দুই-চারটা গালিতে এঁদের ভিত্তি-মহীরুহ ও রাজকীয় সিংহাসন কখনো উল্টে যাবে না। বরং যারা কোনোকিছু না-বুঝে কিংবা বুঝেও শেখ মুজিবকে ছোট করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে—তাদের গণেশ উল্টে যাবে, এবং এরা নিজেরা আরও ছোট হতে থাকবে। আর এই পৃথিবীর মানবজাতির ইতিহাস তা-ই বলে।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও এই জাতির একটা অংশ নিজের সমালোচনা না করে জাতির পিতার সমালোচনায় ব্যস্ত! কতটা অকৃতজ্ঞ ও নিষ্ঠুর হলে এটি করা সম্ভব! আমি বলছি না যে, বঙ্গবন্ধু সমালোচনার উর্ধ্বে একজন মানুষ। তিনি রাজনীতি করেছেন এবং কিছুদিন দেশও পরিচালনা করেছেন। এজন্য তাঁর ভুলত্রুটি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কিন্তু সেজন্য গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে। তাই বলে, জাতির পিতার জন্য নগ্নসমালোচনার দরজা খুলে আরও কাউকে এইসব অযাচিত ও অনভিপ্রেত দুষ্কর্মে আহ্বান করাটা অত্যন্ত অশালীন ও ধৃষ্টতা। আপনি মানেন আর না-মানেন—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের জাতির পিতা। তাঁর সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করাটা বেআদবি। মনে রাখবেন: ব্যক্তি শেখ মুজিবের সমালোচনা করাটা পাপ, অপরাধ আর বেআদবি। আপনি তাঁর রাজনীতি ও শাসনের গঠনমূলক সমালোচনা করুন। এতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু কখনো ব্যক্তিগত আক্রোশে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে, নিজেদের স্বার্থচরিতার্থ করার মানসে, আর তাঁকে খাটো করার অভিলাষে সমালোচনা করবেন না।
পাকিস্তান-আমলে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে ফেলার জন্য সামরিকজান্তারা কতরকম জঘন্য ও শয়তানী চক্রান্ত করেছিল! কিন্তু বাঙালির কবিকে কোনো চক্রান্তকারী শতচেষ্টা করেও মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। বরং এই পাপীরা মানুষের হৃদয় থেকে বিলীন হয়ে গেছে। মানুষ এখনও সেইসব সামরিকজান্তাদের ঘৃণা করে। শেখ মুজিবকেও একইভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর ভিত্তি এতোটাই শক্ত ছিল যে, বছরের-পর-বছর কারও-কারও প্ররোচনায় তাঁর নামের সবকিছু মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেও কেউ সফল হয়নি। শেখ মুজিব সামান্য মোমবাতি কিংবা কোরোসিনের প্রদীপ নয় যে, তাঁকে একফুঁয়ে মুছে ফেলা যাবে। তিনিই বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অত্যন্ত সচ্ছল ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি রাজনীতি করেছেন দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য। এখনকার অনেকের মতো দুই-চার পয়সা কামানোর কিংবা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য রাজনীতিতে নাম লেখাননি। ইতিহাস তাঁকে রাজনীতিতে টেনে এনেছে। আবারও বলছি: কারণ তিনি ইতিহাসের বরপুত্র। তিনি ইতিহাসের সন্তান। এই বাঙালির ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবকে মুছে ফেলা বা বাদ দেওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের দেশে সেই অপচেষ্টাও কম করা হয়নি। বাঙালির ইতিহাসে দুই সামরিকজান্তার (জিয়াউর রহমান ও হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ) আমলে শেখ মুজিব ছিলেন একেবারে নিষিদ্ধ, অপাংক্তেয়, উপেক্ষিত ও তাদের চরম রোষানলের শিকার। তবুও তারা শেখ মুজিবকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাঁর স্থান যে মানুষের হৃদয়। আর আপনি এখন বসে-বসে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অতিসস্তা বা ফেসবুকীয় নোংরা লেখা’ লিখে তাঁকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন! আপনাদের মুরোদ আমার জানা আছে। একটি আদর্শ প্রবন্ধ বা নিবন্ধ লেখার যোগ্যতাও আপনাদের নাই। শুধু শেখ মুজিবের বিরোধিতা করতে শিখেছেন বংশপরম্পরায়।

আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা করতেন ডক্টর আহমেদ শরীফের মতো জ্ঞানতাপস ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের সমালোচনাও ছিল জ্ঞানগর্ভ। আর এখন, একশ্রেণীর নিকৃষ্ট, জ্ঞানহীন ও নিম্নস্তরের গদ্য-পদ্য লিখিয়েরা আসে শেখ মুজিবের সমালোচনা করতে!

১৯৭১ সালে, সব বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। একটা বিশেষশ্রেণী তখন আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। আর এদের বংশধররা তা এখনও করছে। এরা এখনও শেখ মুজিবকে সহ্য করতে পারে না। এটা তাদের হীনমানসিকতা। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কোনো অপরাধে দোষী নন। তিনি জাতির পিতা। তাঁর কোনো ভুল হয়ে থাকলে পুত্র হিসাবে তা আমাদের ক্ষমাসুন্দরদৃষ্টিতে দেখতে হবে। কিন্তু এরা নিজের দীনতা ও হীনমন্যতাকে বঙ্গবন্ধুর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা ও অপকৌশল করছে। এই দেশে এখনও অনেক রাজাকার আছে। আপনাদের মনে আছে? ১৯৭১ সালে, গোলাম আযম সগর্বে বলেছিল, তার অধীনে ৬০ হাজার রাজাকার আছে! এরা নাকি ‘মুক্তিবাহিনী’কে নিশ্চিহ্ন করে দিবে! এরা সেই চেষ্টা এখনও করছে।

মূর্খতার একটা সীমারেখা থাকে। সবজায়গায়-সবখানে একইকথা, একইসুর আর একইচিন্তা সবসময় গ্রহণযোগ্য হয় না। যিনি বাঙালি-জাতিকে নিজের জীবন-উৎসর্গ করে দেশ ও জাতিকে চিরতরে শাপমুক্ত ও রাহুমুক্ত করেছেন—আজ তাঁকেই সমালোচনা! এই বিপথগামীশ্রেণীটির বোধোদয় হোক। এদের হৃদয় আলোকিত হোক অনন্ত জ্ঞানের ছোঁওয়ায়। এরা মানুষ হোক।

দেশে সমালোচনা করার মতো কতকিছু রয়েছে। আপনি যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আর মেধা খাটিয়ে তার গঠনমূলক সমালোচনা করুন। আমরাও তার পাশে এসে দাঁড়াবো। আমরা তো এই দেশের মঙ্গলই চাই। আর আমাদের জাতির পিতা দেশ, জাতি ও মানুষের জন্য নিজের জীবন-উৎসর্গ করে মাঙ্গোলিক কাজ করে গিয়েছেন। আজকাল অযথা কেন তাঁর এতো সমালোচনা করছেন?

একশ্রেণীর লোক ইনিয়েবিনিয়ে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ও নানান অপকৌশলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা করে থাকে। আবার অনেকে শেখ হাসিনার ওপর রাগ ঝাড়তে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আক্রমণ করে বসে! এগুলো মূর্খতা। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু কখনো এক নন। আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্থান সবার উপরে। মনে রাখবেন: বড়মানুষের সমালোচনা করতে গেলে নিজেও বড় হতে হয়। ফেসবুকের ন্যায় সামান্য একটা পোস্ট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল মাপের নেতার সমালোচনা করা যায় না। ‘জাতীয় বীর’ শেখ মুজিবের সমালোচনা মানে তাঁকে কটাক্ষ করে নয়। আরও একশ্রেণীর বেকুব আছে—এরা আওয়ামীলীগকে আঘাত করতে গিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার অপচেষ্টা করে থাকে। এরা অকাট মূর্খ। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির নমস্য। তাঁদের আঘাত করার অধিকার কারও নাই।

অনেকে গালি দিয়ে বড় হতে চায়। কিন্তু গালি দিয়ে কি বড় হওয়া যায়? শেখ মুজিবকে গালি দিলেই বড় হওয়া যায় না। শেখ মুজিব-সম্পর্কে কটূক্তি করলেই বড় হওয়া যায় না। আর শেখ মুজিবকে নগ্নভাবে সমালোচনা করেও বড় হওয়া যায় না। বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো দেশপ্রেমের মনোবল, মহানুভবতা, সাহসিকতা, ক্ষমাসুন্দরদৃষ্টি আর সর্বোপরি ত্যাগী-চরিত্র।

সকলের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।



সাইয়িদ রফিকুল হক
২২/১২/২০১৯

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে নিয়ে কেহ কটুক্তি করবে বলে মনে হয় না।

শেখের যেই পরিমাণ অবদান, যেই পরিমাণ ভুল, ও শেখ যেই পরিমাণ লিলিপুটিয়ান সাগরেদ রেখে গেছেন, উনি সমালোচিত হবেন, সুনাম পাবেন, কটুক্তির কারণও হবেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমাকে নিয়ে কটূক্তি করলে সমস্যা নাই।
আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।

কিন্তু ছোটমুখে বড়দের সমালোচনা না করাই ভালো।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিস্কুট টা খুব মজার...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি এখনও বিস্কুট খান!!!
B-)

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

অক্পটে বলেছেন: 'এই পৃথিবীর মানবজাতির ইতিহাস তা-ই বলে।'

ইতিহাস একথাও বলে যে স্বৈরাচারের পতন হতেই হয়।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

হাবিব ইমরান বলেছেন:

শেখ সাহেবের নামে ইনিয়েবিনিয়ে, লুতুপুতু আবেগ দেখিয়ে, সস্তা প্রশংসা পাওয়ার জন্য লেখালিখি করলেও বড় হওয়া যায় না। বড় হতে প্রয়োজন ‘খারাপকে খারাপ বলা, ভালোকে ভালো বলা’।
অন্ধ বিশ্বাসের ফলে এ জাতি আজ পিছিয়ে।

সত্যকে সত্য বলতে যে জাতির কলিজা কাঁপে সে জাতির থেকে ভালো কিছু আশা করা ঠিক না।

ব্যক্তি পূজা নয়, ব্যক্তির আদর্শ পূজা হোক। দেশ এগিয়ে যাবে অনেকদূর।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের মধ্যেও রয়েছে কটূক্তি!

আপনি কটূক্তিকারীদের দলে।
আরেকবার আপনাকে চেনা গেল!

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি আমার পছন্দ হয়েছে।
মানী লোককে আজকাল আঘাত করে কথাটা বলাটা এক শ্রেনী লোকের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শেখ মুজিব আর ৫ টা বছর বেঁচে থাকলে বাঙ্গালী সুখে শান্তিতে থাকতে পারতো।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতির কপাল পুড়ে গেল।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মুমিনগণ,কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। (সূরা হুজরাত, আয়াত-১১)

কিছু লোক ঠাট্টা ও উপহাসকে হাস্য-রহস্যের অন্তর্ভুক্ত মনে করে কাউকে উপহাস করে বসে,অথচ উভয়ের মাঝে বিস্তর ব্যবধান। বিশেষভাবে এ কথাও বোঝানো হয়েছে যে তোমরা অন্যকে যে তাচ্ছিল্য করছ এর দ্বারা তোমরা নিজেকে বড় ও উত্তম ভেবেই অপরকে তাচ্ছিল্য করছ। এ তো চরম অহংকার যে নিজেকে উত্তম ভেবে অপরকে তুচ্ছ ভাবা হচ্ছে।

তোমরা একে অন্যের প্রতি সদাচরন করো। সদাচরণ হলো আল্লাহর এক বান্দার প্রতি অন্য বান্দার হক। আল্লাহ যেহেতু মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীবের মর্যাদা দিয়েছেন, সেহেতু কোনো মানুষকে অবজ্ঞা ও উপহাস করা স্রষ্টাকে অসন্তুষ্ট করার নামান্তর। আল্লাহ আমাদের সর্বাবস্থায় এই অন্যায় থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

হাবিব ইমরান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের মধ্যেও রয়েছে কটূক্তি!

আপনি কটূক্তিকারীদের দলে।
আরেকবার আপনাকে চেনা গেল!


ধন্যবাদ মন্তব্যের খাতিরে মন্তব্যের জন্য।
ভাই, কটূক্তি আর তেলবাজী আমারে দিয়ে হয় না। তাছাড়া আমি কার কটূক্তি করলাম? বলবেন কি?
এমনকি সত্যকে সত্য বলতে যেরকম কলিজা লাগে সেরকম কলিজা আমার আছে। শুধু শুধু ব্ল্যাক লিষ্টে রেখে কি লাভ!

আপনিও সত্য পথের পথিক হঊন। আমন্ত্রণ রইল।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। লিখতে পারলেই যা ইচ্ছে তাই লেখা ঠিক নয়।
নিজের ওজন বুঝে কথা বলা উচিত।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আজকাল তেলবাজদের সংখ্যা অগণিত, কটুক্তিকারীদের সংখ্যা কম।

আপনি কোন দলে?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনিও তো কটূক্তিকারীদের দলে।

আপনার কাছে মতপ্রকাশ করে লাভ কী?

ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: উপরে রথী-মহারথীরা মন্তব্য করে গেছেন;আমি তো ভয় পাচ্ছি এখন মন্তব্য করতে B:-) । নিতান্তই বাচ্চা মানুষ আমি!

চাঁদগাজী সাহেবকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। হাবিব ইমরান ভাইয়াও আমার ব্লগে আমার খুব প্রিয় ভাইয়াদের একজন! মুক্তযুদ্ধ নিয়ে খুব সুন্দর একটা ছবি-ব্লগ পোস্ট দিয়েছিলেন,মনে আছে। খুব ভালো লেগেছিল ওটা। এ পোস্টে ভাইয়ার মন্তব্যে যে আবেগটা প্রকাশ পেয়েছে আমি তা বুঝতে পারছি এবং তা একদম অমূলকও কিন্তু না! আজকাল চাটুকারদের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে আমরা কারো যৌক্তিক এবং অনেস্ট স্তুতি শুনলেও বিরক্ত হয়ে যাই। এমনকি অনেক সময় ভালো কথায়ও ভুল বুঝি। এখানে ঠিক তাই হয়েছে!
আসলে সমালোচনা আর কটূক্তির মাঝে যোজন যোজন ফারাক আছে। সমালোচনা করাটা মোটেও সহজ কাজ না। ঘোড়ার গাড়ি চালানো মানে কেবল সারথির স্থানে ঊঠে বসা না,লাগাম টানতে জানাটাও জরুরি। বঙ্গবন্ধু একজন মানুষ ছিলেন,ফেরেশতা নন,ভুলের ঊর্ধ্বে তিনি ছিলেন না। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর ভুলগুলো নিয়ে সমালোচনা করার যৌক্তিকতা আছে। লেখকও কিন্তু তা স্পষ্টত উল্লেখ করেছেন-" আমি বলছি না যে, বঙ্গবন্ধু সমালোচনার উর্ধ্বে একজন মানুষ। তিনি রাজনীতি করেছেন এবং কিছুদিন দেশও পরিচালনা করেছেন। এজন্য তাঁর ভুলত্রুটি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কিন্তু সেজন্য গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে।" আমিও একমত।৷
কিন্তু সমালোচনা যুক্তিনিষ্ঠ এবং ভাষাটাও পরিশীলিত হওয়াটা খুবই খুবই খুবই জরুরি-সেটা যার সম্পর্কেই করা হোক না কেন, সেটা কটূক্তির পর্যায়ে চলে গেলেই সমস্যা! আর একটা খুব জরুরি বিষয়,একটা জাতির ঐক্য এবং আত্মবিশ্বাসের জন্য কিছু গর্বের উপকরণ থাকা খুবই জরুরি-সেটা হতে পারে কোন ঘটনা,কোন অর্জন, কোন মহানায়ক, কোন স্থান,কোন স্থাপত্য। যদি জাতির সামনে অবিসংবাদিত মহানায়ক থাকাটা আবশ্যক। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এমন কিছু গ্রেটকে পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানীয়। তাই ওনার সম্পর্কে সমালোচনা করতে গেলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে,যেন কোনক্রমেই কটূক্তি না হয়ে যায়। জাতীয় মহানায়কদের অবমাননা হলে তাতে জাতিরই সম্মানহানি হয়। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের মর্যাদা নিয়ে সচেতন না হই,তাহলে কি করে চলবে??

শ্রদ্ধেয় সাইয়িদ রফিকুল হক সাহেব,আপনি কষ্ট পাবেন না। এখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে আর কি। ওনারা হয়তো অন্য
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন্তা করেছেন। তবে আপনার পোস্টটার থিম অন্তত আমার কাছে খুবই যৌক্তিক মনে হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধু কেন,যেকোন মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করতে গেলে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। সমালোচনা করাটা যে খুব কঠিন কাজ!

যাক,ভারি ভারি কথা! কালকের প্রোগ্রামের সার্বিক সফলতা কামনা করছি! জয়তু সামু!
সালাম জানবেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: উনার ছবি পোস্ট দেখেছি।
আমি মন্তব্যও করেছিলাম।

পরে অন্য পোস্টে আর কিছু বলিনি।
এখানে, উনার সম্পর্কে কিছু বলবো না।
কোনোদিন দেখা হলে বলবো।

আর আপনি সবসময় মনখুলে সমালোচনা করবেন। আমি কিছুই মনে করি না। আমি শিকড়সন্ধানী মানুষ। হয়তো নিজের সম্পর্কে এভাবে বলাটা ঠিব নয়। আমি একটি উপন্যাস লিখছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। ইচ্ছে ছিল ৩০লক্ষ শব্দের লিখবো। কিন্তু এতো সময় পাবো না। তাই, ৩লক্ষ শব্দে লিখবো। প্রায় এক লক্ষ শব্দ লেখা হয়ে গেছে। এটা একটা ব্লগে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

আমি ‘মুক্তিযুদ্ধ, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাভাষা’র অপমান কখনো সহ্য করতে পারি না।

আমি জানি, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কখনো বঙ্গবন্ধুকে অপমান করে কোনো কথা বলেন না।

আজ প্রায় সারাদিন আপনাকে দেখি নাই।

ভালো থাকবেন। সালামের জবাব দিয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: এক্সাম ছিল আজকে B:-/। তাই...

ওয়াও! অভিনন্দন! দারুণ একটা কাজ করছেন। সামুতেও তো পোস্ট করতে পারেন।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার এক্সাম ভালো হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছি।
এই উপন্যাসটা সামুতে দেওয়া যাবে না।
অন্য ব্লগে চলছে।

অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছাসহ শুভাকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.