নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই, মানবতাই হোক আমাদের সবার ধর্ম

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪



মানুষই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই, মানবতাই হোক আমাদের সবার ধর্ম
সাইয়িদ রফিকুল হক

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হলো মানুষ। আর মানুষই সবচেয়ে দামি। তাই, মানুষকে সবার উপরে স্থান দিয়ে তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। জীবনের একমাত্র অবলম্বন হিসাবে মানুষকেই প্রধান্য দিতে হবে। জীবনে-মরণে মানবহৃদযন্ত্রে একমাত্র মানুষকেই ধারণ করতে হবে। এই মানুষই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর মানুষকে ভালোবাসলেই ধর্মপালন হয়ে যায়। এই মানবপ্রেমের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নাই। মানবতাই মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম আর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এর চেয়ে বড় কাজ আজ অবধি পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি।

আমার ধর্ম মানবতা। আর আপনার ধর্ম? আর আপনাদের? আশা করি সকলেই বলবেন: আমাদের ধর্ম মানবতা। আজকের দিনে মানবধর্মের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নাই। আর এই যুগে এসে ধর্মের জন্য মানুষকে পর করে দেওয়া যে কতটা মূর্খের কাজ—তা একবার গভীরভাবে না ভাবলে আমাদের আজ আর চলবে না।

আপনি ধর্মপালন করবেন খুব ভালো কথা। সারাদিন আপনি ধর্মপালন করুন। কেউ আপনাকে বাধা দিবে না। আপনি নীরবে-নিভৃতে-একান্তমনে আপনার ধর্মসাধনা চালিয়ে যান। কিন্তু আপনি কোনো মানুষকে আঘাত করে আপনার ধর্মপালনের কাজ শুরু করবেন না। মানুষকে আঘাত করলে আপনার ধর্মই হবে না। আপনি ধর্মপালন করবেন কীভাবে? আর মানুষকে আঘাত করাটাই হলো এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অধর্ম।

সকল ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়। আর মানুষের চেয়ে পৃথিবীতে কোনো ধর্ম বড় নয়। মানুষ সবার সেরা। আর আপনি যে ধর্মের কথা বলেছেন তাও তো মানুষের জন্য। তবে আপনি কেন অন্যধর্মের বা যেকোনো মানুষকে আঘাত করে ধর্মপালন করতে চাইবেন? এটি অধর্মেরই নামান্তর। কাজেই, আপনি মানুষকে মেরে কখনও ধর্মপালন করতে পারবেন না। এতে ধর্মপালন হবে না। আর এতে শুধু অধর্মই বাড়বে।

আপনি আগে মানুষ হন পরে ধর্মপালন করতে আসবেন। এখন দেখি, অনেকেই ধর্ম না বুঝে এটি নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। শুনেছি, লেবু নাকি বেশি নাড়াচাড়া করলে বা কচলালে একেবারে তিতা হয়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে আজ একটি শ্রেণী ধর্মকে এতো বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, আর এটি নিয়ে সীমাহীন নাড়াচাড়া করছে যে, এদের অত্যাচারে ধর্ম আজ তিক্ততার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এরা ধর্মকে সাধারণ মানুষের কাছে হাসির পাত্র করে তুলেছে। এদের জন্যেই মানুষ এখন ধর্মকে অশ্রদ্ধা করতে শুরু করেছে। আপনি যদি সত্যিকারের ধার্মিক হয়ে থাকেন—তাহলে ধর্ম নিয়ে বেশি চিৎকার ও চেঁচামেচি করবেন না। কারণ, এতে আপনার ধর্ম লোকসমাজে ঠুনকো হয়ে যাবে, আর হেয় প্রতিপন্ন হবে। আপনার ধর্মকে আপনি যদি সামান্য পরিমাণ ভালোবেসে থাকেন—তাহলে আজ থেকে আর ধর্ম নিয়ে এতো বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনি ধর্মপালন করুন। আপনি আপনার ধর্মে একেবারে মশগুল হয়ে থাকুন। কে আপনাকে ধর্মপালনে বাধা দিচ্ছে? কিন্তু তাই বলে আপনার ধর্মকে আপনি অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করবেন না। এটি এই আধুনিকযুগের পৃথিবীর মানুষ মানবে না। এর ফল ভালো হবে না। এর ফল কখনও ভালো হয়নি। এই আধুনিকযুগে আপনি একজন মানবতাবাদী হয়ে উঠুন। আর সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। দেখবেন, আপনি আপনার মনের অজান্তেই ধার্মিক মানুষে পরিণত হয়েছেন।

ধর্ম বাড়াবাড়ির জিনিস নয় কিংবা মাতামাতির কোনো বিষয়ও নয়। এটি নীরবে পালন করতে হয়। এটি আপনমনে সাধনা করতে হয়। আসলে, ধর্ম একেবারেই আপনমনে সাধনার জিনিস। আর
আপনি যদি ধার্মিক হয়েই থাকেন—তাহলে পৃথিবীর সকল ধর্মের ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। এতে আপনার ও সকলের মঙ্গল হবে। আপনি যদি কারও ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চান কিংবা অবজ্ঞা করতে চান—তাহলে অন্যে আপনার ধর্মকেও অবজ্ঞার চোখে দেখতে শুরু করবে। এতে শুরু হবে ধর্ম নিয়ে সংঘাত। আর আপনি আপনার কদর্য ব্যবহারের দ্বারা নিজধর্মকে অপমান করলেন। আর পৃথিবীতে ধর্মের নামে অশান্তির বীজবপন করলেন। এই অপরাধ আপনার।

আপনি ধার্মিক হতে চাইলে সবার আগে মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষকে অবজ্ঞা করে কেউ ধার্মিক তো দূরের কথা মানুষও হতে পারবে না। কারণ, মানুষ ধর্মের চেয়ে বড় সম্পদ।
আপনি যে-ধর্মেরই অনুসারী হন না কেন—আপনি সবার আগে সর্বধর্মের মানুষকে ভালোবাসুন। আর সকল ধর্মের উপরে মানুষ আর মানবতাকে স্থান দিন। তাহলে আপনি প্রকৃত ধার্মিক ও মানুষ হতে পারবেন।

পৃথিবীতে মানবতা শব্দটি এখনও টিকে আছে। কিন্তু মানবতা মানুষের মধ্যে কতখআানি রয়েছে তা আজ বিচার্য বিষয়। চারিদিকে এখন মানবতা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার দুঃসংবাদ শুনতে পাচ্ছি। আর মানুষের হাতেই এখন মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। মানুষ ধ্বংস করছে মানুষের শান্তির আবাসভূমি। এই মানুষ মানবতার মহাবাণী ভুলে লালনপালন করছে আর আশ্রয়প্রশ্রয় দিচ্ছে—মানবতাবিরোধী সাম্প্রদায়িকতাকে, ধর্মীয় উন্মাদনাকে, আর ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রকে! এরচেয়ে বড় দুঃখ আর কী আছে?

মানুষের পৃথিবীতে মানুষের জন্য মানবতা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও জরুরি। কিন্তু কিছুসংখ্যক মানুষ এটি কিছুতেই বুঝতে পারছে না। এরা ধর্মের নামে মানুষহত্যা করছে। এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ঘোষণা করে অসহায় মানুষকে হত্যা করছে। নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করে পৃথিবীতে আরও বেশি পাশবিকতার জন্ম দিচ্ছে।

মনে রাখবেন: ধর্মের উদ্দেশ্য আত্মশুদ্ধি আর শ্বাশ্বত কল্যাণ। আর আপনি কী করলেন বা কী করছেন? আপনি জেনেশেুনে ধর্মের নামে মানুষহত্যা করছেন। আর এটিই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অধর্ম। আপনি ধর্মীয় উন্মাদনা বন্ধ করুন। মানুষকে ভালোবাসুন। আর সবার আগে মানুষকে ভালোবেসে মানবতাবাদী হন। আর এতে আপনি সত্যিকারের ধার্মিক হতে পারবেন। আর আপনি জোরেশোরে চেঁচিয়ে বলুন: আজ থেকে আমার ধর্ম মানবতা। আমি মানবতাবাদে বিশ্বাসী মানুষ। আমি মানুষকে ভালোবাসি। আর মানুষ ছাড়া আমার কোনো ধর্ম নাই। আজ থেকে মন্যুষত্বই হোক আমাদের পরম ও একমাত্র ধর্ম।

আপনার ধর্ম কিংবা ধর্মগুরু যদি আপনাকে সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি হতে বলে—তাহলে, আপনি কালবিলম্ব না করে আজ-এক্ষুনি সেই ধর্মত্যাগ করুন। আর সেই মানবতাবিরোধী-বিধিবিধান আপনি স্বজ্ঞানে-সজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করুন। ধর্ম মানে জীবনকে আরও সুন্দর করা। কিন্তু আপনার ধর্ম যদি আপনাকে আরও কুৎসিত কিংবা আরও অসুন্দর করে তোলে—তাহলে, আপনি সেই ধর্ম দিয়ে কী করবেন? আপনি ধর্মত্যাগ করুন। এতে আপনার ধর্ম ও সাধারণ মানুষজন উভয়ই রক্ষা পাবে। আপনি ধর্মের নামে কাউকে হত্যা করতে পারেন না। কারণ, ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়। আর ধর্মের চেয়ে মানুষকে বেশি ভালোবাসুন। এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই আপনার আত্মীয়স্বজন। আপনার সমস্ত আপদেবিপদে একমাত্র মানুষই আপনার পাশে ছুটে আসবে। এক্ষেত্রে আপনার পাশে আপনি আর-কাউকে খুঁজে পাবেন না। তাই, ধর্মের চেয়ে আগে মানুষকে বেশি ভক্তি করতে শিখুন। আর ধর্মের জন্য কিংবা ধর্মগুরুর নির্দেশে আপনি মানুষহত্যা কেন করবেন? এতে আপনার কী লাভ? আপনার সবচেয়ে আপনজন কে? ধর্ম না মানুষ? অবশ্যই মানুষ। একমাত্র মানুষই আপনার পরমাত্মীয়। আর আপনি মূর্খের মতো সেই পরমাত্মীয়কে অবহেলা করে ধর্মের মতো একটি সাধারণ বিষয়কে মাথায় নিয়ে মানুষহত্যায় মেতে উঠবেন? এটি কোনো মানুষের কাজ নয়। আর এটি কোনো সভ্যসমাজের কোনো সভ্যমানুষের আচরণিক বৈশিষ্ট্য নয়। তাই, এইজাতীয় সমস্ত শয়তানী এখনই পরিত্যাগ করুন। আর জীবনে আরেকবার শুনে রাখুন: এই পৃথিবীতে সকল ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়। মানুষ বড়। আর মানুষ বড়। আজ তাই, এই পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে বড় আর-কিছু দেখছি না।

আপনার ধর্ম যদি আপনাকে বিপথগামী করে—তাহলে, আপনি নির্দ্বিধায় আপনার ধর্মের সেইসব অমানবিক বিধিবিধান পরিত্যাগ করে অতিসত্বর মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষই আপনার স্বজন। আর এখানেই আপনার মুক্তি মিলবে।

আপনাকে আমি অহেতুক ধর্মত্যাগ করতে বলছি না। কিন্তু আপনার ধর্ম কিংবা ধর্মগুরু যদি আপনাকে মানুষ হতে বাধা দেয়, আর জঙ্গি হতে সাহায্য করে—তবে আপনার ধর্ম রেখে লাভ কী? কারণ, ধর্মপালন করে শয়তান হওয়ার চেয়ে ধর্মত্যাগ করে মানুষ হওয়া অনেক ভালো। আপনি যদি ধার্মিক হতে চান—তবে আপনি আগে মানুষকে ভালোবাসুন। দেখবেন, এতে স্রষ্টা খুশি হয়ে আপনার দরজায় কড়া নেড়ে আপনার কুশল জিজ্ঞাসা করতে ছুটে আসবেন। এটাই ধর্ম। আর এটাই চিরসত্য। আর এটাই মানবতাধর্ম। আপনি সামান্য ধর্মের জন্য এই মানুষকে অস্বীকার না করে মানুষকে ভালোবাসুন। আর মনে রাখবেন: মানুষ আর মানবতাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আসুন, সবাই এই পবিত্র ধর্মে দীক্ষাগ্রহণ করি।

আজ থেকে একমাত্র মানবতাই হোক আমাদের সবার ধর্ম।

জয় হোক মানবতার।
আর জয় হোক মনুষ্যত্বের।



সাইয়িদ রফিকুল হক
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ ভাই। ;)
অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রইলো।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৩

ঊণকৌটী বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা,একমত আপনার সাথে,বহুরূপে সমূক্ষে তোমার,জীবে প্রেম করে যে জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর:-স্বামী বিবেকানন্দ ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ভাই।
আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা।
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম জানাই।

শুভকামনা রইলো।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪

ঊণকৌটী বলেছেন: এই জগতে আপনাদের মত মানুষ এর বেশী
প্রয়োজন, আপনার মতো মানুষ যতো সংখ্যক এই বিশ্বাস করবে, তত পৃথিবীটা ভালো থাকবে ধন্যবাদ ।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১০

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি বলেছেন ," আপনাকে আমি অহেতুক ধর্মত্যাগ করতে বলছি না। কিন্তু আপনার ধর্ম কিংবা ধর্মগুরু যদি আপনাকে মানুষ হতে বাধা দেয়, আর জঙ্গি হতে সাহায্য করে—তবে আপনার ধর্ম রেখে লাভ কী?"
=============================================
সহি ইসলাম ধর্ম মানুষ হতে বাধা দেয়, আর জঙ্গি হতে সাহায্য করে। প্রমান : এই ব্লগে যেয়ে পড়ে আসুন : উদাসী স্বপ্ন
তাই , কথাটি আপনি বলেছেন, কিন্তু কথাটি কি আপনি নিজে মেনেছেন। মানে, আপনি কি এখন ও ধর্ম রেখেছেন?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার প্রশ্নটি খুব জটিল না হলেও সংক্ষেপে উত্তর দেওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নাই।
কিন্তু এখানে এতো কথা লেখাও সম্ভব নয়।

সাক্ষাতে এর জবাব দেওয়া সম্ভব।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৯

একাল-সেকাল বলেছেন: মানবতার প্রকৃত সংজ্ঞা কি?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এখানে, স্বল্পপরিসরে ‘মানবতা’র সংজ্ঞা দেওয়া যাবে না।
এককথায় (আমার নিজস্ব সংজ্ঞা): মানুষের প্রতি ভালোবাসাই হলো মানবতা।

আমার ব্লগে স্বাগতম। ;)

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৮

নতুন বলেছেন: দুনিয়ার বেশির ভাগ ধম`ই দূবল হয়ে পড়েছে কারন ধম` পরিবত`নের সাথে মানিয়ে নেয় না।

সভ্য সমাজে মানুষ এখন ধম` ভিক্তিক নৈতিকরা থেকে মানবতা ভিক্তিক নৈতিকতা বেশি বিশ্বাসী।

আমাদের দেশের মানুষ ধামিক কিন্তু মানুষের জন্য ক্ষতিকর কাজ করছে কারন তাদের ধমের উপরে বিশ্বাস কমেছে তাই তারা গুনাহর ভয়ে এখন ভীত না।

কিন্তু অনেক দেশের মানুষই অন্যায় করেনা কারন সেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর বলে।

আমাদের সমাজও এই ট্রান্সিসনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, তাই এখন মুখে ধামিক কিন্তু কাজে ভন্ডামী।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো বলেছেন।
সুন্দর বলেছেন।।

এজন্য বিশ্বমানুষের উচিত “মানুষ আর মানবতা”কে সবার উপরে স্থান দেওয়া।
তাহলে, পৃথিবীতে মানুষে-মানুষে এত ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো অন্তহীন। ;)

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬

একাল-সেকাল বলেছেন: ইসলামে শুধু মানুষ নয়, এমন কি সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ভালবাসা দেখাতে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আল-মাউন নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরা নাজিল করেছেন— অর্থ আপনি কি তাদের দেখেছেন যে শেষ বিচারকে অস্বীকার করে? এবং এ তো সেই যে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহ দেয় না। অতএব দূর হোক সেই নামাজিদের যারা নিজেদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন, যারা লোক দেখানো আমল করে এবং (মানুষকে) নিজ ব্যবহার্য জিনিসও দেয় না। (পারা-৩০)।
বিশ্বের সকল ধর্মেই মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলা আছে। খ্রিষ্ট ধর্মেও তাই, মানেনা বলেই সুলাইমানির হত্যার দায় স্বীকার করে ট্রাম্প বিবৃতি দিয়েছে গর্বের সাথে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
কিন্তু বকধার্মিকরা তো তা বোঝে না।
ওরা ধর্মের অপব্যবহার করছে।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.