নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরে পাকিস্তানীদের অপকর্মের সামান্য একটু নমুনা:

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭



পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির সামরিক হাসপাতালে এক তরুণ পাকিস্তানী অফিসারকে আনা হয়েছিলো মানসিক চিকিৎসা করানোর জন্য। সেই তরুণ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর গুরুতর মানসিক সমস্যায় পড়ে।
.
মুক্তিযুদ্ধে সে একাই হত্যা করেছিলো ১৪ হাজারের বেশী মানুষ। জি চৌদ্দ হাজার!
.
দিনের পর দিন ব্রাশফায়ারে হত্যা করতে করতে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। যুদ্ধের কথা মনে হলেই গোটা শরীরে তার ভয়ংকর খিঁচুনি শুরু হতো আর ঘুমাতে গেলেই ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখতো সে। কে যেন তাঁকে বলছে আবার ফিরে যেতে হবে বাংলাদেশে, আবার হিন্দুদের চিরতরে শেষ করে দিতে হবে। এছাড়া ওর মুক্তি নেই।
.
সূত্র- পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গওহর আইয়ুবের লেখা বই "Glimpses into the corridors of power" তিনি এই লেখার সূত্র হিসেবে নিয়েছিলেন বাবা ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে।
.
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ যে মার্চ রাত থেকেই স্কুল কলেজের মেয়েদের ধরে আনতো হানাদারেরা।
ট্রাকে তুলে এনে পছন্দ মত মেয়েদের টেনে হিঁচড়ে নামাতো! প্রকাশ্যে এদের পোশাক খুলে গাছের আড়ালে, দেয়ালের পাশে ধর্ষণ করতো!
.
ধর্ষণ করার পরে হেড কোয়ার্টারের চার তলায় নিয়ে উলঙ্গ অবস্থায় লোহার রডের সাথে চুল শক্ত করে বেঁধে পুনরায় শুরু করলো নির্যাতন!
শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেলেদের ধরে আনলো। কারো পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হতো, কারো মুখে গরম পানি ঢালা হতো!
কারো হাত পায়ে গিট মেরে গুড়িয়ে ফেলা হতো!
.
পরাদেশী নামে একজন ডোম শাঁখারী পট্টির এক বাড়িতে যান। ঐ বাড়ি থেকে অপরূপ সুন্দরী একটি মেয়ের লাশ তুলে আনেন! মেয়েটির স্তন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে! যৌনাঙ্গ সম্পূর্ণ রূপে থেতলানো!
মুখ বাহু উরুতে জমাট বাঁধা রক্ত! সমস্ত শরীরে কামড়ের চিহ্ন! তিনি আরো বলেন, আরমানিটোলার এক বাড়িতে দশ এগারো বছরের এক ফুটফুটে মেয়ের কথা! মেয়েটির সম্পূর্ণ শরীর ক্ষতবিক্ষত! নরপশুরা মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে দুদিক থেকে পা ধরে নাভি পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছে!
.
কদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবর আসে, এক মেজরের কাছে! মৃত মানুষের গন্ধে থাকা যাচ্ছেনা! অবিলম্বে লাশ তুলে ফেলা হোক!
এ পর্যন্ত তারা শুধু শহরেই লাশ তোলার কাজ করে যাচ্ছিলো!
এ সংবাদ পাওয়ার পর চুন্নু, পরদেশী, রনজিৎ, মধুরাম, দুখিরাম সহ আরো কয়েকজন ডোম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়! প্রথমে তারা রোকেয়া হলে প্রবেশ করে! কিন্তু হলের কোনো কক্ষেই লাশ ছিলোনা! কেননা ২৫শে মার্চ রাতেই হলে অবস্থানরত ছাত্রীদের পাকিরা তুলে নিয়ে যায়!
.
এসময় তারা হলের চারতলার ছাদে গিয়ে দেখতে পান সেখানে অনেকগুলো ছাত্রীর লাশ ছড়ানো ছিটানো! তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই! অথচ এরা মরলো কিভাবে?
এই প্রশ্নের জবাবে এক সৈন্য বলে, এদেরকে আমরা উপভোগ করেছি! তারপর যৌনাঙ্গে বেয়নেট ঢুকিয়ে হত্যা করেছি!
এদের কারো পরনে কোনো কাপড় ছিলোনা! তাদের আশেপাশে দুএকটা সেলোয়ার কামিজ ছিলো!
.
রাবেয়া খাতুন কাজ করতেন রাজারবাগ ক্যান্টিনে! তিনি বলেন, "তিনি দেখতে পান ট্রাকে এবং জিপে করে প্রায় পঞ্চাশ জন মেয়েকে আনা হয়েছে! এদেরকে একটি কক্ষে রাখা হলো! প্রায় প্রত্যেকের হাতে বই খাতা ছিলো!
.
একদল সেনা কুকুরের মতো হিংস্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়লো তাদের উপর! প্রথমে জানোয়ার গুলো সমস্ত মেয়েদের পরনের কাপড় খুলে উলঙ্গ অবস্থায় সবাইকে মাটিতে শুয়ে পড়তে নির্দেশ দিলো! নির্দেশ অমান্য করলে লাথি মেরে ফেলে ধর্ষণ করেছিলো!
তিনি বলেন প্রতিটি মেয়ের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিলো! যোনিপথে বেয়নেট ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করা হয়!"
.
সূত্র- ডোম পরাদেশী, চুন্নু, রনজিৎ, মধুরামের সাক্ষ্য/ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র।
.
সুসান ব্রাউনি মিলার নামের এক গবেষক লিখেছিলেন,
"কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।"
.
"ধর্ষিতা মেয়েরা চিৎকার করে আমাদের বলতেন 'আমরা তো মরে যাব, আপনারা যদি কেউ বেঁচে যান তাহলে আমাদের কথা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলবেন।'... পাকিদের নির্যাতনের ধরন ছিল বীভৎস। তারা মেয়েদের স্তন কেটে ফেলত, যৌনাঙ্গে রাইফেল ঢুকিয়ে গুলি করত; এমনভাবে নির্যাতন করত যে সে প্রক্রিয়া আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না, এসব আমি নিজের চোখে দেখেছি।"
- ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা একে এম আবু ইউসুফের ভাষ্য‌।
.
"পাকিস্তানী সেনারা প্রত্যেক মহিলাকে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের হত্যা করে। ধোপা যেভাবে কাপড় কাচে সেভাবে রেললাইনের ওপর মাথা আছড়ে, কখনও দু'পা ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু'টুকরা করে হত্যা করেছে শিশুদের। স্বাধীনতার অনেকদিন পরেও সেখানে মহিলাদের কাপড়, ক্লিপ, চুল, চুলের খোঁপা ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে আমি আমার ছোট বোনের ফ্রকের এক টুকরো কাপড় খুঁজে পাই।
.
সূত্র- নীলফামারীর বিনোদ কুমারের সাক্ষ্য।
.
টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের ছাব্বিশা গ্রামের মানুষ বেগম বলেছিলেন, "আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়ে। সদ্য মা হয়েছে, আট দিনের বাচ্চা কোলে। ঐ সময় সে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছিলো। এমন সময় বাড়িতে আক্রমণ। ঘরে তখন কেউ ছিলো না। এরপর যা হবার তাই হলো, মেয়েটির উপর চলল অমানসিক নির্যাতন। এরমধ্যেই দুপুর গড়িয়ে এল, পাকিরা খাবার খেতে চাইল। ঘরে কিছু না থাকায় ক্ষেত থেকে বেগুণ এনে দিতে বলল। ভীত মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছিলো দেখে পাকিরা তার বাচ্চাকে গরম ভাতের হাঁড়িতে ছুঁড়ে দিয়ে ঘর থেকে নেমে গেল।"
.
মুক্তিযুদ্ধের মার্চ মাসে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।"
.
নিয়াজী ধর্ষণে তার সেনাদের এতই চাপ দিতেন যে তা সামলে উঠতে না পেরে এক বাঙালি সেনা অফিসার নিজে আত্মহত্যা করেন।
.
সূত্র- পাকিস্তানী জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজার লেখা "A Stranger in My Own Country"
.
খুলনার একটি ক্যাম্প থেকে কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত রাখা মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় যা খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা ছিলো। এটা পুরোটাই ছিলো পাকিস্তানি সেনাদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে। তারা পরখ করতো মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেমন!
.
আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।"
- মালেকা খান/ সমাজকর্মী।
.
এক টর্চার সেলের প্রায় ১০ হাজার বাঙ্গালীকে নির্যাতন করেছিলো পাকিস্তানীরা। যার ফলে সেই মেঝেতে ৩ ইঞ্চি উঁচু রক্তের জমাট বেঁধে গিয়েছিলো।
.
কর্ণেল নাদির আলী নামের এক পাকিস্তানী অফিসার লিখেছিলেন,
১৯৭৩ সালে আমি ছয় মাস পাগলাগারদে ছিলাম। আমি কেন পাগল হয়ে গেলাম? আসলে আমি সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের সামষ্টিক অপরাধবোধে ভুগছিলাম, যে গণ-অপরাধ ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই বন্ধ করা উচিত ছিল।’
.
সূত্র - khaki dissident on 1971 by Colonel Nadir Ali.
.
বিজয় এতো সহজে আসেনি! বিজয় কেবল রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আসেনি! বিজয় এসেছে বহু ভয়ংকর অধ্যায়ের পরে। এমন লাখ লাখ ভয়াবহতার পর!
মুক্তিযুদ্ধ স্রেফ কেবল একটি যুদ্ধ না তো; মুক্তিযুদ্ধ একটা জাতির জন্ম পরিচয়, প্রতিটি মাধ্যম।
কি করে ভুলি এতো এতো আত্মত্যাগ? মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতম অধ্যায়গুলো কী এড়ানো আসলেই সম্ভব?
সবাই বলছি , মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস! মুক্তিযুদ্ধ তো কেবল ইতিহাসের মতো ক্ষুদ্র একটা জিনিসও না

লেখক: © Ahmad Estiak ভাই

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান, আফগান, বিহারী, তুর্কিদের একাংশ, কুর্দি, শিয়া, আফ্রিকানদের একাংশ, বেদুইনরা জাতিগতভাবে জল্লাদ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সঠিক।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাকিদের অত্যাচারের বর্ণনা পড়লে মাথা খারাপ হয়ে যায়। এমন ভয়াবহ নৃশংসতা সহ্য করা কঠিন।
সম্ভব হলে ছবিটা সরিয়ে দেবেন। এসব ছবি ইতিহাসের অংশ, মুক্তিযুদ্ধের অংশ। তবে মা-বোনদের এমন ছবি দেখতে চাই না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। এসব পড়লে চোখে জল আসে।
পাকবাহিনী আমাদের দেশের মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তন্মধ্যে এই ছবিটা সবচেয়ে মাইল্ড!!!!
তাই এটা দিয়েছি। ছবিটি সরাইনি। কারণ, মানুষের আরও জানা দরকার।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

গফুর ভাই বলেছেন: বাংলার নব্য পাকি প্রেমিরা কোনদিন মুক্তির ইতিহাস পরে নাই,জানার কোনদিন ইছহে জাগে নাই।আমার খুব মন চায় জিজ্ঞেস করতে এই সব শুনলে তারা কি মন্তব্য করে।খুব খারাপ লাগার কারনে পুরা লেখা পড়ে শেষ করতে পারি নাই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সত্যকথা বলেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর শুভকামনা।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পৃথীবির সমস্ত অত্যাচারীর চরিত্র একই রকম।পাকিস্তানীদের অত্যাচার আমরা দেখেছি অন্য গুলো দেখিনাই।জামাত শিবির ,হেফাজত ক্ষমতায় গেলে আবার এই চিত্র দেখতে পাবেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সত্য আর বাস্তব কথা বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

জিকোব্লগ বলেছেন: আল্লাহ পাকিস্তানিদের চিরতরে ধ্বংস করুন । আমীন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমীন। আল্লাহুম্মা আমীন।
অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাকিরা এখন নিজেরা পাক হয়ে মরছে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পাকিরা মরবে। পাপীরা চিরদিন রাজত্ব করতে পারে না।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: রাজার বাগ পুলিশ লাইন আমার বাসার কাছেই।
নানা নানীর মুখে সেই সময়ের গল্প শুনেছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি দারুণ সৌভাগ্যবান।
এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার মতো নানি-দাদি পাবে না।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা গুলো আমাকে কষ্ট দেয়, যন্ত্রনা দেয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হৃদয়বিদারক আর ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা অগণিত।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পাকিস্তানিরা একাত্তরের চরম পাপের শাস্তি পাচ্ছে এখন। মানুষকে এমন অমানুষিক ও নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার যে জাতি করে তার জন্য অপেক্ষা করছে আরো অনেক দুর্ভোগ। অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তলানিতে। ঋণের বোঝায় জর্জরিত, তাদের পীর সৌদীরাও এখন তাদের কাছে থেকে ঋণ শোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। বসন্তের কোকিল পশ্চিমা দেশগুলো তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে এখন ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। চীন কতদিন পাশে থাকবে তাও দেখার বিষয়।

ব্যক্তিগতভাবে অধিকাংশ পাকিস্তানিরা চরম অসৎ, স্বার্থপর ও হিপোক্রেট জাতি। আমার প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় এদেরকে কখনো বিশ্বাস করার মতো মনে হয় নি। এরা অন্য দেশের মুসলিমকে পেলেই ভাই-ব্রাদার বলে পারলে কোলে তুলে আদর করবে, কিন্তু কিভাবে আপনার কাছ থেকে ধান্দাবাজি করে কিছু স্বার্থ আদায় করা যায় সেই মতলব আঁটতে থাকবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত। সুন্দর বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

স্থিতধী বলেছেন: অথচ এই দেশের পাঠ্য বইতে নাকি এক সময়ে পাক হানাদার বাহিনী কথাটা লেখা যাইতোনা , শুধু- ই হানাদার বাহিনী লিখতে হইতো যাতে সন্দেহ থেকে যায় এক সময়, হানাদার পাকি নাকি ইন্ডিয়ান। রেডীও টেলিভিশনে সরাসরি রাজাকার শব্দটা উচ্চারণে বাঁধা ছিলো ! দেশের জনপ্রিয় টিভি নাট্যকার কে একটা পাখির মুখ দিয়ে " তুই রাজাকার " বলাতে হয়েছে তখন । কি বিচিত্র স্বদেশ আমার । কি বিচিত্র তাঁর ইতিহাস ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একসময় তা-ই ছিল।
কিছু মানুষের কাছে এখনও তা-ই।
আমাদের ইতিহাস আমরা ভুলতে পারি না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০০

এমেরিকা বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে অভিশপ্ত জাতি মনে হয় পাকিস্তানিরা। শাসকদের লোভ আর জিঘাংসার শিকারে ক্ষতবিক্ষত সেই দেশের জনগণের জন্যও আসলে মায়া হয়। সেই নয় মাসের বীভৎস পাপের শাস্তি এখন তারা যুগের পর যুগ ভোগ করে যাচ্ছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত পাকিস্তানিরা।
আপনাকে ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঐসব পাকিদের এভাবে শাস্তি দিতে পারলে ভাল হতো।

হায় স্বাধীনতা কত দামে কেনা তুমি কত রক্তে ভেজা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: দুঃখিত , আমি ধর্য হারিয়ে ফেলেছি, এতটা নিতে পারছি না, তাই পুর টা পড়লাম না বা পড়ার মতো মানুষিক শক্তি নাই।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তবুও পুরোটা পড়বেন।
ওদের পাপের ইতিহাস আমাদের জানতে হবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

অক্পটে বলেছেন: পাকিস্তানীরা আমাদের শত্রু ছিল আর এখন এই স্বাধীন দেশে কারা ধর্ষণ করছে, কারা ধর্ষণের সেঞ্চুরী করে উদযাপন করে? এই সময়ে এসে বাংলাদেেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ধর্ষণের মহোৎসব চলছে এই বাংলাদেশে। সকল ধর্ষকের ধর্মই এক। ওরা ঘৃণিত।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পাকিস্তানিদের পাপকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দেশের বর্তমানের খুনী, ধর্ষকদের প্রসঙ্গ টেনে আনাটা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, আর ঠিক নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

মোড়ল সাহেব বলেছেন: ওদের অপকর্মের ঘটনা যতই বলা হবে যেন ততই কম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

ইসিয়াক বলেছেন: কি বিভৎস ! মানুষ হয়ে কিভাবে এরকম অত্যাচার করতে পারে।


আফসোস! নতুন প্রজন্ম অনেকে এসবের অনেক কিছু জানে না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: নতুন প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য অংশ মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের দেশপ্রেম লোকদেখানো। মুক্তিযুদ্ধ একটা শব্দ মাত্র। আমরা পাথর হয়ে যাচ্ছি। ঘৃণার আস্তাকুরে। স্বার্থের লকলকে ছোবলে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরা দিন-দিন স্বার্থপর হচ্ছি বলে এমনটি হচ্ছে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা অগণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.