নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শাহরিয়ার কবির কি আসলেই মুরগি সাপ্লাইয়ার!!!!!!!!!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০


শাহরিয়ার কবির

এই মানুষটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
মুরগি চোরা শাহরিয়ার কবির?
অপপ্রচার কি তার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে "মুরগি চোরা শাহরিয়ার কবির" বানানো।
"পাকিস্তানিদের মুরগি সাপ্লাই দিতো শাহরিয়ার কবির" এই তত্ত্বটি নুরু গ্রুপ থেকে শুরু করে ওয়াজের মাঠ ভায়া বাঁশেরকেল্লা - সর্বত্রই ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আমার সঙ্গে কখনো দেখা না হলেও এই লোকটির মেধা, শ্রম ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে আমি শ্রদ্ধা করি। বিভিন্ন হামলা মামলায় জর্জরিত হয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করা ব্যক্তিটির চরিত্র হনন করা হয়, আমরা কিছুই করতে পারি না!
শাহরিয়ার কবির রাজাকার ছিলেন এর সূত্র কি? মামুনুল হকের মতো অনেকেই বলবে, "কাদের সিদ্দিকী নিজে বলেছেন শাহরিয়ার কবির পাকিস্তানিদের মুরগি সাপ্লাই দিতো"।
কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য শুনুন। সেই বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালকে ফায়দা লাভের বিচার বলে উল্লেখ করে বলেন, "রাজাকারের বিচার নিয়ে আমি বললে অপরাধ হয় আর ঐ শাহরিয়ার কবির বললে প্রশংসা হয়, রাজাকার বললে প্রশংসা আমি বললে অপরাধ?"
দিগন্ত টিভি ছাড়ার পর কাদের সিদ্দিকীই বলেছিলেন জামাতের সঙ্গে স্বর্গেও যাবে না। শাহরিয়ার কবির সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকীর সূত্র হচ্ছে বাঁশেরকেল্লার প্রচারণা - শহীদজায়া মুশতারী শফী নাকি লিখেছেন শাহরিয়ার কবির মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের মুরগি সাপ্লাই দিতেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুশতারী শফী ছিলেন চট্টগ্রামে। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণাও চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। কাদের সিদ্দিকী ছিলেন টাঙ্গাইলে। শাহরিয়ার কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কারো সঙ্গে কারো যোগাযোগের কোনো সূত্র নেই।
শাহরিয়ার কবির ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশনাগুলো প্রকাশিত হয়েছিল কোলকাতা থেকে। সেই প্রকাশনাগুলোর একটি শাহরিয়ার কবিরের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস "পূবের সূর্য"।
৭২ সালের মে মাস থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিচিত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা ও সহকারী সম্পাদক ছিলেন তিনি। যার প্রতিটি পদক্ষেপের তথ্য রয়েছে তার মতো একজন ব্যক্তিকে রাজাকার বলা কাদের পক্ষে সম্ভব?
প্রচারিত হয় যে, শহীদজায়া মুশতারী শফীর "বেগম জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি" নামের বইয়ে উল্লেখ রয়েছে যে, শাহরিয়ার কবির পাকিস্তানিদের মুরগি সাপ্লাই দিতেন। মুশতারী শফীর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থের নাম "মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী"।
মুশতারী শফী এবং শাহরিয়ার কবির দুজনই ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন। মুশতারী শফী কি একজন রাজাকারের সঙ্গে আন্দোলন করেছেন?
যে বইয়ের সূত্রে অপপ্রচার চলে সেটির নাম "চিঠি, জাহানারা ইমামকে"। এটি তার কর্মজীবন, বিশেষত নির্মূল কমিটির দ্বন্দ্ব সংশ্লিষ্ট। জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর মুশতারী শফী নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু কবীর চৌধুরী, শওকত ওসমান ও হাসান ইমাম সহ বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা শাহরিয়ার কবিরকে যোগ্য মনে করতেন। মূলত এই ভুল বোঝাবুঝিই সেই অসমাপ্ত সামাজিক আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করা "চিঠি, জাহানারা ইমামকে" বইয়ের উপজীব্য।
ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় থাকলে হয়তো আরও কিছু তথ্য দিতে পারতাম। স্বল্প জ্ঞানে যা বুঝি, জঙ্গিবাদ নিয়ে শাহরিয়ার কবিরের মতো এত বিস্তৃত গবেষণা বোধহয় বিশ্বের খুব কম মানুষেরই আছে।
তাঁর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতেই পারে, তবে তিনি নাস্তিক নন এটা অনুধাবন করি। তিনি মেধা ও মানবতার সাধনা করেন, তাই তাকে আওয়ামী লীগার হিসেবে বিবেচনা করাও সঠিক নয় বলে মনে করি।
সবচেয়ে বড় কথা, শাহরিয়ার কবিরের মতো আজন্ম সংগ্রামী একজন মানুষকে নিয়ে বিতর্ক তোলা অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
শাহরিয়ার কবির, শামসুর রহমান, জাহানারা ইমাম, জাফর ইকবাল প্রত্যেকের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলেছে ও চলে। প্রজন্মকে প্রতিক্রিয়াশীল বানাতে এরচেয়ে ভালো কোনো উপায় নেই।

লেখক: ©Abdullah Harun Jewel ভাই


শাহরিয়ার কবির-সম্পর্কে আরও জানতে হলে পড়ুন:
Wikipedia link-

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুশতারী শফীর স্বামী কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমার জানামতে, তিনি পাকিস্তানীদের সঙ্গে মিলেমিশে ছিলেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: প্রথমদিকে মুশতারি শফীর স্বামী ডা. মোহাম্মদ শফী নিয়মিত ডাক্তারি করতেন। তার চেম্বারও খোলা থাকতো।
তিনি নাকি বামপন্থী-মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রশস্ত্র বাড়িতে রাখতেন।
তাকে নাকি এপ্রিলের কোনো একদিন বাড়ি থেকে পাক-আর্মিরা তুলে নিয়ে যায়।
এ কাজগুলো তিনি সবার সঙ্গে সখ্যতা রেখেই করতেন। পরে নাকি পাক-আর্মিরা টের পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এটি সত্য হলে তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই হবে। কিন্তু সঠিক যে কী তা আমি জানি না। এতে আমার পূর্ববর্তী মন্তব্য যদি ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে তা আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রত্যাহার করে নিবো।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করার এ এক অন্যতম প্রয়াস । ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির সাথের বাদরেরা এই ব্যাপারে এগিয়ে থাকে সবসময় ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সত্য বলেছেন।
ধর্মকে আশ্রয় করে এরা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
আপনাকে সাধুবাদ। আর শুভেচ্ছা।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আমার জানামতে, তিনি পাকিস্তানীদের সঙ্গে মিলেমিশে ছিলেন। "

-পাকিস্তানী আমলে, যারা পারিবারিকভাবে পরিচিত ছিলো, শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহবে তাদেরকে মুক্তিযো্দ্ধাদের চেয়ে বেশী মুল্যায়ন করেছিলেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার একথা সত্য।
বঙ্গবন্ধু ভালোমানুষ ছিলেন। সহজ-সরল ছিলেন। এজন্য তিনি অনেক সময় ভুলমানুষকে ভালোবাসতেন। এতে দেশের ও তাঁর নিজের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির নরাধমেরা জাতির বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করে ১৯৭১ সালেপরাজিত হয়েছিল, কিন্তু ওরা দমে যায়নি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এরা কখনো দমতে চাইবে না। এদের দমানোর মতো সরকার আমাদের দরকার।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিজয়ীরা বিজয়ের আনন্দ কালক্রমে ভুলে যায়,কিন্তু পরাজিতরা প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা লালন করে প্রতিশোধ না নেয়া পর্যন্ত ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিক তা-ই।
এরা সেই কাজটি এখন করে যাচ্ছে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: এই মুশ্তারি শফির স্বামীই তো মেজর জিয়াকে রেডিও ষ্টেশনে নিয়ে মহা ঘোষণার মহান আয়োজক ছিল , যদি ভুল না বলে থাকি ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হতে পারে। এরকমটা আগেও শুনেছিলাম। কিন্তু এর পুরো ইতিহাসটা আমার বর্তমানে জানা নেই। কিংবা এটা কোন্ বইয়ে লেখা আছে, তা আমি এক্ষণে বলতে পারবো না।
আপনি কোনো রেফারেন্স দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

কালো যাদুকর বলেছেন: রাজাকার ও চামচাদের চেস্টা কখোনো শেষ হয় না। বারে বরে এরা মিথ্যের ঝুলি নিয়ে হাজির হয় । একই মিথ্যা বলে বলে সত্য প্রতিষ্ঠিতিত করার চেস্টা স্বাধিনতার ৪৯ বছর পরেও করে যাচ্ছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি কিছু বলতাম বিতর্ক সৃষ্টি করা, ভালো না। পাকিস্তান এই দেশকে ১৯৭৪,
স্বীকৃতি দিয়েছে, এই বাংলাদেশ আলো বাতাস খেয়ে বড় হওয়া নিরখামি ভদ্রলোকেরা মেনে নিতে পারে নাই।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।। চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বিতর্ক হলেও সত্য বলা উচিত।
ওরা মানতে চাইবে না। তবে মানাতে হবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: এই দেশে একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা অতিনিকৃষ্ট। এদের নিন্দা করার ভাষা আমার নেই।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য পড়ে জানলাম। জানার শেষ নাই।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ ভাই।
শুভেচ্ছা রইলো অগণিত।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: পরাজিত শক্ররা আবার এখন একজোট হয়ে নেমেছে....এরা ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধার মাঝে যদি একজন কোন কারনে হয়ত ছোট কোন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন( যেমন রিকশা চালানো), তেমন একজন কে সামনে নিয়ে এসে বড় গলায় বলবেন যে এর জন্যই কি 'আমরা' যুদ্ধ করেছিলাম? আসল উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধ কে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

এরা জোট বেধে নামে ...আজকাল ৭১ এর জামাতি রাজাকার এর দের কোন দলিল/ছবি অনলাইনে প্রকাশ করলে, দল বেধে হেইট স্পীচ এর দোয়াই তুলে কমপ্লেইন করে পোস্ট কে ব্যান্ড করার চেস্টা করে....
এরা ৭১ এর পরাজয় জীবনেও মেনে নেবে না

এই ব্লগেই এরা ধর্মের নামে জোটবদ্ধ হয়ে আছে....নরম সুরে কথ বলে আপনাকে দলে ভিড়াতে চায়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৯

এমেরিকা বলেছেন: ধরে নিলাম শাহরিয়ার কবির মুরগি সাপ্লাই করেনি,বা করলেও বেয়নেটের মুখে বাধ্য হয়ে করেছে। কিন্তু আপনি যে বললেন, উনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তার সূত্র কি? শাহরিয়ার কবীর যে মুক্তিযোদ্ধা - এটা তো আপনার কাছেই প্রথম জানলাম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি মনে হয় নিন্দুকের দলে!!!!! দেশের শিক্ষিত লোক সবাই জানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা। আর মুক্তিযোদ্ধা অনেকরকমের। যেমন, সরাসরি, সাহায্যকারী, স্বাধীনবাংলা-বেতারকেন্দ্রের শিল্পীরাসহ অনেক শব্দসৈনিক ও কলমযোদ্ধাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
শাহরিয়ার কবির-সম্পর্কে স্বাধীনতাবিরোধীরা অপপ্রচারে লিপ্ত। তারাই তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চায়।

তাঁর সম্পর্কে কোনোকিছু বিশ্বাস না-হলে দেখুন পোস্টের নিচে তার সংক্ষিপ্ত জীবনকালের লিংক দেওয়া আছে।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: শাহরিয়ার কবির , মুন্তাসির মামুন, জাহানারা ইমাম, হাসান ইমাম, জাফর ইকবাল এদের কে মোল্লা রা সহ্য করতে পারে না কারন এরা যুদ্ধ অপরাধিদের বিরুধ্য প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে , মোল্লারা কনদিনই বাংলাদেশ এর পক্ষে ছিলো না থাকবেও না এরা নিমকহারাম !!! ফকির মিসিকিনদের লাই দিলে যা হয় আর কি !!

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহারিয়ার কবির, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, মুনতাসীর মামুন।
ছাগুরা এদেরকে তীব্রভাবে ঘৃণা করে। দুচোখের বিষ।
কারণটা বলতে অবশ্য লজ্জা পায়।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



কাউকে নিকৃষ্ট নামে অভিহিত করা অন্যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা খুবই ঘৃণিত একটি কাজ। যারা তাকে এমন মন্দ উপাধিতে সম্বোধন করেন তাদের এই কাজ থেকে অবশ্যই ফিরে আসা উচিত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সবাই এটা বুঝতে পারলে দেশটা আরও এগিয়ে যেত।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

এমেরিকা বলেছেন: আপনার দেয়া লিঙ্ক থেকে শাহরিয়ার কবির সম্পর্কে জানলাম "Kabir was one of the suppliers of vegetables, chickens and of daily needs to the Pakistani Army in order to keep safe his family from the Pakistani Army's mischief and tortures according to his kinsmen's sayings, he did not join in the Bangladesh Liberation War when he was a student of Bengali Department of the University of Dhaka.[4]"

এখন বলেন, জানে বাঁচার জন্য যে পাকিস্তানী আর্মিকে মুরগী সবজি সরবরাহ করে, আর জানের তোয়াক্কা না করে যারা স্ত্রী সন্তানকে ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দেশমাতৃকার টানে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদেরকে কি এক কাতারে ফেলা যায়?

হাসান কালবৈশাখী, উক্ত তিনজন সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে নিকৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে, তাই মানুষ তাদের অপছন্দের চোখে দেখে - অন্য কোন কারণে না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন, আপনি আবারও ভুল করেছেন। আপনি যে-অংশটুকু তুলে ধরেছেন তা শাহরিয়ার কবির-সম্পর্কে সমালোচনার অংশ। কিছু লোকের সমালোচনা। এটি তাঁর সম্পর্কে মূলআলোচনার কোনো বিষয় নয়। এগুলো উইকিপিডিয়ার নিরপেক্ষভাব দেখাবার অংশ। আর ওই অংশটুকু জাহানারা ইমাম ও মুশতারি শফীর বই থেকে নেওয়া। পোস্টে আগেই বলা হয়েছে: তাদের ধারণা ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপ্রসূত।

তিনি আজীবন মৌলবাদবিরোধী। এজন্য স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে তিনি চক্ষুশূল।

আর হাসান কালবৈশাখীর বক্তব্য সত্য। তিনি ভুল বলেননি।
ধন্যবাদ।

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

মুকরিমুল ইসলাম আরিফ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে শাহরিয়ার কবির আর বিজ্ঞানে কাজী ইব্রাহিম দুইজনের অবদানই সমান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.