নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-করার কথা বলে আসছিল। এজন্য তারা সরকারবিরোধী যারপরনাই কঠোর ও জনদুর্ভোগসৃষ্টিকারী কর্মসূচিও দিয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করতে এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা রাজপথে কয়েক মাস দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ তাতে সাড়া দেয়নি। তবে বিপুলসংখ্যক ‘বিএনপি’-নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেছিল। দ্বাদশ “জাতীয় সংসদ নির্বাচন” প্রতিহত করার জন্য তারা দেশে নির্বাচনবিরোধী একটি জোটও গঠন করেছিল। তারা দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ আন্দোলন বেগবানও করেছিল। এমনকি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছুদিন আগে থেকে তারা ভয়ানকভাবে রাজপথে নামে। কিন্তু এতেও সাধারণ জনগণ সাড়া দেয়নি। ফলে তারা নির্বাচনকে যেকোনোমূল্যে প্রতিহত করার জন্য পুলিশ-হত্যা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্নস্থানে বাসে-ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। এতে বহু সাধারণ মানুষ হতাহত হয়। তাদের এই আন্দোলনে শরিক হয় একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের দল ‘জামায়াত-শিবির’। এরপর ঘোষিত হয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তফসিল। তখন তারা কিছুটা দমে যায়। আর বিদেশি মুরুব্বিদের কথায় ও কৌশলগত কারণে আস্তে-আস্তে পিছু হটতে থাকে। কিন্তু একসময় নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা ভীষণভাবে হতাশ ও মনোবল হারিয়ে ক্ষুব্ধ হয়। বিএনপি এখনও তাদের সেই পুরনো দাবির পথেই অনড় ও অটল রয়েছে!

নির্বাচনের আগে তারা সম্পূর্ণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের কয়েকটি মিত্র-রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করেছিল। তারা মনে করেছিল, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকা এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য কিছু-একটা করবে। বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সরকারের ওপর ভয়ানক চাপসৃষ্টি করবে আমেরিকা। এমনকি তারা নির্বাচন বানচালের জন্য ভারতের দ্বারস্থও হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি।

নির্বাচনের পর থেকে ‘বিএনপি’ নানাভাবে হতাশায় নিমজ্জিত। কিন্তু এর থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। কিন্তু কীভাবে? ইতোমধ্যে দেশে দ্বাদশ “জাতীয় সংসদ নির্বাচন” সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায়, সরকার-গঠিত হওয়ায়, এবং এই সরকারকে বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র মেনে নেওয়ায় তারা একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ে। দলের মধ্যে বাড়তে থাকে হতাশা, গ্লানি ও অন্তর্দ্বন্দ্ব (অবশ্য এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নির্বাচনের আগেও তাদের মধ্যে ছিল)। সবশেষে, দলের ও রাজনীতির ভবিষ্যৎ-ভাবনায় তারা একেবারে অস্থির হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের ‘বিএনপি’ বর্তমানে এমন একটি দল—যাদের দেশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কোনো ‘কার্যকরী-কমিটি বা নেতা’ নেই। তাদের সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। সেখান থেকে জারী করা হয় শাহী ফরমান!

সম্প্রতি বিএনপি ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের ডাক দিয়েছে। এটা তারা বুঝে না না-বুঝে করেছে—তা তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। জন্মলগ্ন থেকে ‘বিএনপি’ নামক দলটি ভারতবিরোধী। এটা তাদের রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার ও পুঁজি। শুধু তাই নয়—এটি তাদের রাজনীতির একটি অপরিহার্য কৌশলও বটে। এই দেশে ‘বিএনপি’র টিকে থাকার প্রধান তিনটি অস্ত্রের মধ্যে এটি অন্যতম একটি। আসুন, তাহলে দেখি এই দেশে ‘বিএনপি’র রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার প্রধান তিনটি অস্ত্র কী:

১. মুখে বিসমিল্লাহ। মুখে-মুখে আল্লাহ-রসুল ও ইসলাম-প্রেম। ধর্মের নামে রাজনীতি করা।
২. দেশে একাত্তরের সর্বস্তরের যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের পুনর্বাসন করা। দলে ঠাঁই দেওয়া। তাদের সঙ্গে সবসময় সখ্যভাব বজায় রাখা। তাদের নিজের ভাই-বেরাদার ভাবা।
৩. মুখে-মুখে সবসময় ভারতবিরোধিতা (তারা অন্তরেও ভারতবিরোধী। তবে ক্ষমতার জন্য ভারতের কাছে যেকোনোসময় নতজানু হতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব হবে না। কিংবা এজন্য তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনাও কাজ করবে না)। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে তাদের এই ভারতবিরোধিতা। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে ভারততোষণ। ভারতকে সবসময় তোয়াজ করে চলা।

এটা তাদের রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি। সে-বিষয়ে এখন মদীয় কথা নয়। তবে তাদের মনোভাব ও মনোবৃত্তি আগে বোঝা দরকার। সেই হেতু এইসব কথার অবতারণা করা হয়েছে। এবার মনে হয় তারা ভিন্ন কৌশলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রে কী তাদের উদ্দেশ্য? এবার এই বিষয়ে নিম্নে কতিপয় ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:

বিএনপি’র ভারতবিরোধিতার আড়ালে রয়েছে পাকিস্তানপ্রীতি। তারা কি ইন্ডিয়াকে আউট করে পাকিস্তানকে ইন করাতে চাচ্ছে? ভূ-রাজনীতিতে ‘বিএনপি’ কি অন্যভাবে হিসাবনিকাশ করছে? কিংবা অতীতের মতো নানাবিধ ছক কষছে? সে প্রশ্নের জবাব মিলবে আরও কিছুকাল পরে। সে-পর্যন্ত দেশের মানুষকে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
দেশে ভারতীয় পণ্য-সরবরাহ কমে গেলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। এতে কিছুটা জনদুর্ভোগসৃষ্টি হবে। এজন্য কিছুটা জন-অসন্তোষও সৃষ্টি হতে পারে। আর এতে কি ‘বিএনপি’ কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কথা ভাবছে?
বিএনপি জন্মলগ্ন তথা সুদূর অতীত থেকে সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে তোষণ করতে শুরু করে। বর্তমানে এইজাতীয় দলগুলোকে বগলদাবা করেছে। তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। বর্তমানে তাদের সবরকমের সাহায্য-সহযোগিতাও করছে। তাদের আশ্রয়প্রশ্রয়দাতা থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে গভীর সখ্যভাব গড়ে নিজেরাই বর্তমানে একটি সাম্প্রদায়িক দলে পরিণত হয়েছে। এ-কথা বললে কি খুব বেশি বলা হবে? সকল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আজ তাদের মিত্র। তারা কি ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের নামে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটাতে চাচ্ছে? নাকি তাদের জোরালো সমর্থন চাচ্ছে? অবশ্য সেটা ‘বিএনপি’ই ভালো বলতে পারবে।

এবার ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের ঘোষণার সুদুরপ্রসারী ফলাফল নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:

১. প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ‘পণ্য-বয়কটে’র ঘোষণা একটি চরম মূর্খতা। সীমাহীন অজ্ঞতা। এর ফল কখনোই ভালো হয় না। এর কোনো ‘আউটপুট’ নাই। আর এতে ‘ইনপুট’ যাই করুক না কেন—ফলাফল একেবারে শূন্য। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘পণ্য-বয়কটে’র কথা বলে নিজেদের সম্পর্ক খারাপ করার কোনো মানে হয় না। এতে বিন্দুমাত্র লাভের দেখা মিলবে না। এক্ষেত্রে, যেটা করা যায় সেটা হলো—দুই দেশের মধ্যে ‘পণ্য-আমদানি-রপ্তানি’র বৈষম্য কমিয়ে আনা। সেটা করতে হবে একান্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। ‘পণ্য-বর্জনে’র মতো খামখেয়ালির দ্বারা কখনোই ভালোকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। ভারত অন্য কোথাও বাজার ধরতে পারবে। সেদিক থেকে তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।
২. ‘ভারতীয় পণ্য’ না-এলে আমাদের দেশের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। যেমন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, আলু ইত্যাদি। সম্প্রতি, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ‘পেঁয়াজ-আমাদানি’র ঘোষণা শুনে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০-১২০ থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমে আসে। আবার, ভারত (আমাদের ৫০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করার পর) ‘পেঁয়াজ-রপ্তানি’তে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে! কী বুঝলেন? সরকারি দল দাবি করছে, বিএনপি ‘ভারতীয় পণ্য’ বর্জনের ঘোষণার মাধ্যমে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তারা ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের কথা বলে দেশের বাজারে সাধারণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। কথাটা চিন্তার বিষয়!
৩. দেশে হঠাৎ করে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়লে ‘বিএনপি’র লাভ। আর ‘ভারতীয় পণ্য’ আগের মতো আমাদের দেশে না-এলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাবে। এতে জনগণ ক্ষুব্ধ হবে!?। এমনটা ভাবছে বিএনপি। এতে তারা ঘোলাপানিতে মাছশিকার করতে পারবে!
৪. অনেকে এটাও ভাবছেন, বিএনপি দেশে সাম্প্রদায়িক একটা উস্কানির চেষ্টা চালাচ্ছে। নইলে হঠাৎ করে এভাবে ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের ডাক দিয়েছে কেন? আর এমন একটা ঘোষণা দিলেই হলো! তাদের কথায় দেশের কতজন ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কট করবে?
৫. পূর্বেই বলেছি, বিএনপি ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ ঠেকাতে সবরকমের ব্যবস্থাই করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। তারা এব্যাপারে সবসময় মনগড়া একটা অভিযোগ করে আসছিল যে—ভারত আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে সহায়তা করেছে! এক্ষেত্রে, ভারতবিরোধিতায় তাদের মন-মননে ও আদর্শ-চেতনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। অনেকে এও মনে করছেন, এবার তাই ভারতের বিরুদ্ধে একটা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ‘বিএনপি’ এই কাজটি করেছে।
৬. বিএনপি’র এই ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের ডাক দেওয়ার মধ্যে দেশপ্রেমের কোনোকিছু নেই। যা আছে তা হলো—রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। সেই অপচেষ্টাই তারা করে যাচ্ছে।

ফেসবুকে ‘বিএনপি-দলীয়’ এক পরিচিতজনকে হঠাৎ ইন্ডিয়ায় দেখে বললাম, “ভাই ,আপনি মাদ্রাজে কেন? আপনার দল তো ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের ডাক দিয়েছে! সে বললো, “আমি চিকিৎসার্থে মাদ্রাজে এসেছি। আমার চিকিৎসা চলছে। আরও কিছুদিন সময় লাগবে।”
পুনরায় আমি তাকে বললাম, “তাহলে, এই বয়কট?”
সে হাসিমুখে বললো, “চিকিৎসা-সেবা বয়কটের আওতাভুক্ত নয়!”

১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে ভারত সবচেয়ে বড় সহায়তাদানকারী রাষ্ট্র। ভারত সেদিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য-সহযোগিতা না-করলে এই দেশ স্বাধীন করা সম্ভবপর হতো না। এ-দেশের সর্বস্তরের রাজাকাররা এজন্য মনেপ্রাণে আজও ভারতকে ঘৃণা করে। ‘ভারতীয় পণ্য’ বয়কটের এই হুজুগ-ডাকে এ-দেশীয় সর্বস্তরের রাজাকারদের দারুণভাবে আশান্বিত করেছে। এইবার অন্তত একটা প্রতিশোধ নেওয়া যাবে ভারতের বিরুদ্ধে! ‘বিএনপি’র এই ভারতবিরোধী ডাকে ইতোমধ্যে খুশি হয়ে সাড়া দিয়ে জামায়াতের আমির যুদ্ধাপরাধী-দোসর ও রাজাকারপুত্র শফিকুর রহমান ইতোমধ্যে বলে ফেলেছে, সরকারবিরোধী লড়াইয়ে ‘বিএনপি’র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে জামায়াত! লড়াই করবে ‘বিএনপি’র সঙ্গে—তাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে! জাতি-ভাইদের প্রতি দরদটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন?
সুতরাং, সাধু সাবধান। দেশবাসী সাবধান। আমাদের শত্রু-মিত্র চিনে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। দেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখতে হবে। হ্যাঁ, ভারতের গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই হতে পারে। কিন্তু তাই বলে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করা, ভারতের ক্ষতি করা, দীর্ঘমেয়াদী শত্রুতাসৃষ্টির লক্ষ্যে এহেন কার্যকলাপ ও বিভেদসৃষ্টির পাঁয়তারা কখনোই কাম্য নয়।

আমাদের খুব মনে রাখতে হবে, ভারত থেকে এ-দেশে কোনো ‘কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি ও পতিতা’ আসে না। আসে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী। যেমন, ওষুধ, চিকিৎসা-সামগ্রী, খাদ্রদ্রব্য, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মূল্যবান বইপত্র ইত্যাদি। আর এগুলোর প্রয়োজন রয়েছে। তাই, সস্তা রাজনীতির স্বার্থে যে-ই যা করুন না কেন, দেশের ও জনগণের কথা ভাববেন সবার আগে। হুজুগে বাঙালিকে একটা ‘হুজুগ’ ধরিয়ে দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আজকাল সবাই হুজুগে মাতে না।

জয় হোক বাংলার।
জয় হোক বাঙালির।
আর জয় হোক মনুষ্যত্বের।



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
২৫-০৩-২০২৪

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চিকিৎসা সেবা খাদ্যপণ্য ও ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি এবং পরিবহন খাত বয়কটের আওতামুক্ত ;)

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইজান।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার ভ্রমণ-জীবন সার্থক ও সুন্দর হোক।
শুভাকামনা আপনার জন্য।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: ত্য কথা হলো বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের বিশেষ কোন চরিত্র নাই । তারা প্রয়োজনে নিজের চরিত্র কে সংখলন করতে সামান্যতম দ্বিধা বোধ করে না । ভারত প্রীতি আর বয়কট উহা তাদের এই চারিত্রিক সংখলনের অংশ ।

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ক্ষমতার জন্য যারা ভারতের গোলামি করতে প্রস্তুত তাদের মুখে অন্তত “বয়কট” শব্দটা মানায় না।
অশেষ ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

Rahat islam juwel বলেছেন: বিএনপির আগে থেকেই বাংলার জনগন বয়কট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু করে দিছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জনগণের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, তারা এসব করতে যাবে। এটা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কাজ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই।
কাজেই ভারত কে বয়কট করার প্রশ্নই আসে না।

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইজান।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যি বলতে কি, ৭১' এর জন্য ভারতগীতি শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। এটাতো ২০২৪ সাল, মুভ অন, পররাষ্ট্রনীতি বলেও একটা ব্যাপার আছে। কোন সুর্নিদিষ্ট একটি দেশের জন্য সড়ক, সমুদ্র, আকাশ পথ সব খুলে দিয়েও বাংলাদেশ তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না। বর্ডারে নিয়ম করে বাংলাদেশী মারা গেলেও সরকার থেকে কোন কথা শোনা যায় না। সমুদ্রের এলাকা নিয়ে আর্ন্তজাতিক আদালত পর্যন্ত যেতে হয়। প্রশাসনে থাকা লোকজন বলে "ভারতের সাথে আলোচনা হয়ে গেছে"। এগুলো কিসের পরিচয় বহন করে? বাংলাদেশী পণ্য ভারতে ঢুকতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয় তবুও ভারতীয় পণ্য আসে দেদারসে। এসব ইস্যুতে আলোচনা আর কত বছর করতে হবে? সরকার এগুলো জানে না? বোঝে না? বাংলাদেশ কাগজে কলমে স্বাধীন হলেও এটাকে ভারত ব্যবহার করছে অনেকটাই অঘোষিত প্রদেশের মত। আর এ সমস্যা কেবলই প্রকট হচ্ছে। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক থাকা ভালো তবে সেটা যেন নিজ স্বার্থ বিকিয়ে না হয়।

আর কোন পণ্য বয়কট করা না করা ব্যক্তিগত ব্যাপার। যার পকেটে টাকা সে সেটা নির্ধারণ করবেন, সে কোন দেশের কোন পণ্য ক্রয় করবেন আর কোনটা করবেন না। এটা নিয়ে খুব বেশী আলোচনার অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে এতে কিছু মানুষের যে গাত্রদাহ হচ্ছে বা হবে সেটা বোধগম্য। ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জাস্ট সন্ধ্যটা হতে বাকি। সব গুলো বাসায় হিন্দি সিরিয়াল চলবে। হিন্দি সিরিয়াল বয়কট এর আওতামুক্ত। এই বয়কট নাটকের মূলে জামাত শিবিরের পেইড দালাল রাম ছাগল পিনাকি।




আর তার সাথে সুর মিলাচ্ছে বিএনপি জামাত।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কয়েক মাস আগে এরা বাংলাদেশকেই বয়কট করেছিল।
বলেছিল এ সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রকে খাজনা দিবে না, ভ্যাট দিবে না, বিদ্যুৎ বিল পানির বিল ফোনের বিল কিছুই দেওয়া হবে না। এমনকি আদালতেও হাজির হবে না।
এই 'বাংলাদেশ রাষ্ট্র বয়কট' প্রকাশ্যে জনসভায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
এখন কোথায় সেই বয়কট?

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
জনগণ ওদের চরিত্র বুঝলে একদিন ওদেরই বয়কট করবে।

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো ভাইজান।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৩

ভগবান গণেশ বলেছেন: দাদা, উনার এই কথার অর্থ বুঝি নাই! কী কথা কহিছেন তিনি!!! B-) B-) B-) দাদা, উনার এই কথার অর্থ বুঝি নাই! কী কথা কহিছেন তিনি!!! B-) B-) B-)

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৩

এস.এম.সাগর বলেছেন: একমাত্র ভারতের দালালদের স্বরীল জলে!

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি আমার লেখার সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু সরাসরি আমাকে আক্রমণ করতে পারেন না।
এটা অশোভন। আশা করি, ব্যাপারটা বুঝবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৫

এস.এম.সাগর বলেছেন: ভারতীয় শাড়ী এদেশর চিহ্নিত দলের লোকেরাই বেশী পরে, আর যে ব্যক্তি শাড়ির কথা উঠিয়েছে তিনিও ভারতীয় শাড়ী পরিধান করেন, একমাত্র রংহেডেড মানুষই এমন কথা বলতে পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভারতীয় শাড়ি তো ভালো। ছাপা, ডিজাইন, কাপড়, মান সবকিছুতেই সেরা।
আমাদের দেশের টাঙ্গাইলের শাড়িও বেশ নাম করেছে। তাতে সমস্যা কোথায়?
ভালো হলে মানুষ এমনিতে পরে?

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৬

এস.এম.সাগর বলেছেন: আহারে স্বদেশের প্রতি কত বিদ্বেষ, আর ভারতের প্রতি কি প্রীতি, বায়কট ভারতীয় পন্য, বয়কট ভারতীয় দালাল।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: খবর শুনেছেন?
পাকিস্তানের দালালরা একেবারে পাগল হয়ে গেছে। ওরা ৭১ সালের মতো আবার খুন-ধর্ষণে মেতে উঠতে চায়। নির্বিচারে মানুষহত্যা করতে চায়। মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে চায়। এমনকি হাসপাতালেও!
কিন্তু মানুষে ওদের প্রতিরোধ ও গতিরোধ করবেই। এই দেশে কখনোই পাকিস্তানের দালালদের ঠাঁই হবে না।
পাকিস্তানের দালালরা বাপ-দাদার মান-বাঁচাতে “ভারতীয় দালাল” শব্দটি আবিষ্কার করেছে!!
কিন্তু ওদের শেষরক্ষা হবে না!

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

মার্ক টোয়েন বলেছেন: নিজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই ভারত প্রীতি দেখাচ্ছেন।একটা সরকার কতটা অথর্ব হলে নিজ দেশের বাজার তার ক্ষমতার বাইরে। এই সকল লোক দেশের শত্রু। এরা জীবিত থাকলে বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হতে পারবে। যেখানে ভারত নিজেই আত্মনির্ভর ভারত ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।সেখানে এরা দেখেও শেখে না। today or tomorrow you will have to walk on your own feet..

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের অবস্থা এখনও অনেকের চেয়ে ভালো। শোকর আলহামদুলিল্লাহ। সরকার সবক্ষেত্রেই সফল হবে এমনটি নয়। সরকারের কিছু-কিছু ব্যর্থতাও থাকে। তবু সরকার অনেক ভালো করছে। সরকার অথর্ব নয়। এই দেশের কিছু মানুষ একেবারে অথর্ব আর বেহুদা। এরা ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলতে শেখেনি।

বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। আর ভারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট এগিয়েছে। কেউ আমাদের ঠেকায়ে রাখতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক সাহেব সম্পূর্ন ভাবে এক জন আওয়ামীলিগার এর মোত করে লিখেছেন, গাড়ি ভাংচুর হয়েছে, গাড়িতে আগুন ধরিয়েছে, মানুষদের হত্যা করা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেটে ভাংচুর হয়েছে সকল ঘটনা সত্য, ইহাতে কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু কোন ঘটনায় কি বিএনপির কোন কর্মী কিংবা সমর্থক ঘটনা স্থলে জনগন ও আইন সৃংখলা রক্ষাকারীর বাহির হাতে গ্রেফতার হয়েছে? বরং আওয়ামী নেতা কর্মি হাতেনাতে ট্রাকে আগুন লাগানোর সময়ে ধরা খেয়েছে! আপনি নিরপেক্ষভাবে কথা বল্লে এভাবে নির্দিষ্টভাবে কাউকে দোষ দিতে পারেননা। হ্যা পারেন যদি আপনি আওয়ামীদের মোত মিথ্যাবাদী হন।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫১

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্র কখনোই বুঝতে পারি না। একটু বুঝায়ে দিয়েন ভাই! :D
বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্র কখনোই বুঝতে পারি না। একটু বুঝায়ে দিয়েন ভাই! :D

বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্র কখনোই বুঝতে পারি না। একটু বুঝায়ে দিয়েন ভাই! :D
বিএনপি’র রাজনৈতিক চরিত্র কখনোই বুঝতে পারি না। একটু বুঝায়ে দিয়েন ভাই! :D

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৫

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: লেখাটি ভালো হয়েছে। ভীষণ সত্য। তবে অনেকের আঁতে ঘা লাগবে। ;)

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৮

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: এসাইনমেন্ট সুন্দর হইছে, কতো দিবে?

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বিএনপি’র মিছিলে গেলে ৫০০-৬০০ টাকা দেয়। আর জামায়াত-শিবিরের মিছিলে গেলে ২০০০-২৫০০ টাকা দেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না। তাদের বিবেক জাগ্রত। বিবেকের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। তাই, দেশের পক্ষে লিখি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: ১. প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ‘পণ্য-বয়কটে’র ঘোষণা একটি চরম মূর্খতা। সীমাহীন অজ্ঞতা। এর ফল কখনোই ভালো হয় না। এর কোনো ‘আউটপুট’ নাই। আর এতে ‘ইনপুট’ যাই করুক না কেন—ফলাফল একেবারে শূন্য। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘পণ্য-বয়কটে’র কথা বলে নিজেদের সম্পর্ক খারাপ করার কোনো মানে হয় না। এতে বিন্দুমাত্র লাভের দেখা মিলবে না। এক্ষেত্রে, যেটা করা যায় সেটা হলো—দুই দেশের মধ্যে ‘পণ্য-আমদানি-রপ্তানি’র বৈষম্য কমিয়ে আনা। সেটা করতে হবে একান্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। ‘পণ্য-বর্জনে’র মতো খামখেয়ালির দ্বারা কখনোই ভালোকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। ভারত অন্য কোথাও বাজার ধরতে পারবে। সেদিক থেকে তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।

বাংলাদেশ পন্য কিনবে দেশের সুবিধা মতন। যেখান থেকে কিনলে ভাল মানের পন্য কম দামে পাবে যেখান থেকে কিনবে।

আয়ামীলীগারা পন্য শুধুই প্রতিবেশি থেকে না কেনা মূর্খতা বলছেন কেন?

ঠিক মতন পরিকল্পনা করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই কম দামে ভালো পন্য কেনা যায়।

কোন নিদৃিস্ট দেশ থেকে না কেনার চেয়ে দেশের উতপাদন বাড়ানো এবং দেশের লাভ হয় এমন কোন সোর্স থেকে পন্য কেনার আলোচনা করা উচিত।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বাংলাদেশ পন্য কিনবে দেশের সুবিধা মতন। যেখান থেকে কিনলে ভাল মানের পন্য কম দামে পাবে যেখান থেকে কিনবে।[/si

আপনার উপরিউক্ত বক্তব্যের সঙ্গে একমত। আমারও সে-ই কথা। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো দেশের ‘পণ্য বয়কটে’র কথাটা চরম অশোভন। তার কারণ, কোনো দেশের সঙ্গে তো আমাদের এখন যুদ্ধ চলছে না। তাছাড়া, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তার সঙ্গে শত্রুতা বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই।

আয়ামীলীগারা পন্য শুধুই প্রতিবেশি থেকে না কেনা মূর্খতা বলছেন কেন?

নাহঃ, তা বলিনি। ঘোষণা দিয়ে বা ঢালাওভাবে পণ্য বয়কট-প্রসঙ্গে উক্ত কথাটি বলেছি। তাছাড়া, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো: সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুত নয়।


ঠিক মতন পরিকল্পনা করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই কম দামে ভালো পন্য কেনা যায়।

কোন নিদৃিস্ট দেশ থেকে না কেনার চেয়ে দেশের উতপাদন বাড়ানো এবং দেশের লাভ হয় এমন কোন সোর্স থেকে পন্য কেনার আলোচনা করা উচিত।


অবশ্যই। একমত। আর আশা করি, আমাদের দেশও একদিন বিশ্ববাণিজ্যের অংশীদার হয়ে উঠবে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: সকল পাকি দালাল যেমন ভয়ংকর তেমনি ইতর শ্রেণীর ভারতের দালালরাও ভয়ংকর, সাবধান, পাকি ও ইতর শ্রেণীর ভারতীয় দালালদের থেকে সাবধান, বয়কট ভারতীয় পণ্য, বয়কট ভারতীয় দালাল।

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

এস.এম.সাগর বলেছেন: ৥ লেখক (পাকিস্তানের দালালরা বাপ-দাদার মান-বাঁচাতে “ভারতীয় দালাল” শব্দটি আবিষ্কার করেছে) ভন্ডামী বাদদেন, আপনাদের ভন্ডামী মানুষ ধরেফেলেছে, কথায় কথায় পাকিস্থান ট্যাগ, এসকল পাকি ব্যবসা মানুষ খায়না,
আমার কথা হলো ভারতের পণ্য বয়কট করলে কেন আপনাদের মোত ভন্ডদের জলবে?
০১। কিছু দিন পূর্বে বিজিবি সদস্যকে হত্যা করলো, তখন আপনার ভারতীয় দালালী কোথায় ছিলো?
০২। ২৬ মার্চে সিমান্তে বাংলাদেশী মানুষকে গুলি করে হত্যা করলো, তখন আপনার ভারতীয় দালালী কোথায় ছিলো?
০৩। তিস্তার পানি কথার সময় আপনার ভারতীয় দালালী কোথায় থাকে?
তোমাদের পাকি পাকির আড়ালে ভারতের দালালী মানুষ বুঝেফেলেছে, তোমরা দুইটায় সমান, পাকি দালাল আল ভারতের দালাল সমান সমান, বরঞ্চ বর্তমান দালালগুলি বেশি ভয়ংকর।

২২| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

ভগবান গণেশ বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেকে খুব ক্ষেপে গেছে! মন্তব্য পড়তে এসে দেখলাম আপনি ধারালো কথার আক্রমণের শিকার। আমরা এখন কিছু লিখি না। আপনি লিখে যান। আক্রমণকারীরা যতই শক্তিশালী হউক তারা একসময় পরাজিত হবেই। আপনি লিখে যান দাদা। এখানে বিরুদ্ধমত সহ্য করতে শিখতে হবে। কিন্তু অনেকের সেই যোগ্যতা নেই!!!

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে ভারতীয় দালাল ভাই...

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

তানভির জুমার বলেছেন: ভারতীয় দালাল ডিটেক্টেড। আপনারই বাংলাদেশের শত্রু। স্বৈরাচারের পতন হলে আপনাদের বিচার হবে এই দেশে। যেমন হয়েছে পাকি রাজাকারদের তেমনই ভারতীয় বাজাকারদের বিচার হবে।

২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

এস.এম.সাগর বলেছেন:

২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪

এস.এম.সাগর বলেছেন:

২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

এস.এম.সাগর বলেছেন:

২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক হয়তো তেমন যুক্তিযুক্ত নয়। কিন্তু প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের মস্তনী বা দাদা সুলভ আচরণ, আমাদের অভ্যন্তরীন রজনীতিতে প্রবল প্রভাব, সীমান্তে দিনের পর দিন মানুষ হত্যা, বাংলাদেশের জব মার্কেটে কোন রকম স্বচ্ছতা ছাড়া, Bangladesh Investment Development Authority (BIDA) এর ওয়ার্ক মারমিট ছাড়া বহু লোকের কাজ করা এবং ট্যাক্স না দিয়ে বিলয়ন ডলার নিয়ে যাওয়া, স্রোতস্বিনী একটা নদী সম্পূর্ণ ধ্বংস করে মাঝখান দিয়ে ভারতীয় ট্রাক পরিবহনের জন্য রাস্তা করা - এগুলো মানুষের মনে ভারত সম্পর্কে প্রবল ঘৃণার জন্ম দিয়েছে। যে ঘৃণা অতি ন্যায্য।

এই ঘৃণার প্রতিক্রিয়া পণ্য বয়কট হয়ত যুক্তিশীল নয়, কিন্তু এই ঘৃণাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

৩০| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ভারতীয় পণ্য বয়কট করলে, চীনের দ্বার ওপেন হবে।

৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

হাসিব শান্ত বলেছেন: ১৫০ কোটি মানুষের দেশ এবং যে দেশের তিন দিকেই ভারতের বর্ডার। এত্ত সহজ না বয়কট করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.