নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেই নিজের নিয়ম বানাও

গল্পকার হবার জন্য লেখিনা, লিখি কারন যা বলতে ইচ্ছা করে তা শুনার কেউ নাই ।

চড়ুই

অসংখ্য বার পরাজিত হয়েছি কিন্ত আজও স্বপ্ন দেখি আরও একবার উঠে দাঁড়াবার।

চড়ুই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুটো ছোটগল্পঃ আয়না ও মধ্যরাতের ট্রেন

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭



আয়না









রফিক সাহেব সরকারী ব্যাংকে ছোট একটা কেরানীর চাকরী করে। স্ত্রী আর দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তার অভাবের সংসার। ছেলে বড় ক্লাস টেনে পড়ে আর মেয়ে এবার ক্লাস সিক্সে উঠলো।কাল রাত থেকেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া। কারণ একটাই পাওনাদার। এক মাস আগে তিনি পাওনাদার দের কাছ থেকে বারো হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ছেলেমেয়ের বেতন,বই কেনা আর বাজার সদাই এর জন্য। ধার এখনো পরিশোধ না করায় রোজ রোজ পাওনাদাররা এসে বাজে ভাষাতে কথা বলে যায়। রফিক সাহেবের স্ত্রী এতে বিরক্ত। এদিকে বারিয়ালার ভাড়াও বাকী।



ছা পয়সার কেরানী এই অল্প বেতন দিয়ে ঢাকা শহরের মতো জায়গাতে কিভাবে থাকবে। সকাল থেকেই উনার মন মেজাজ খারাপ। নাস্তা না করেই অফিসের উদ্দেশে রওনা হয়। ঢাকা শহরে জ্যামের কারণে দেরী করে অফিসে ঢুকে। হাজিরা খাতাই নিজের নাম লিখার সময় বসের কাছে ঝারি।



বসঃ প্রতিদিন দেরী করে অফিসে ঢুকা আপনার মনে হয় স্বভাব হয়ে গেছে রফিক সাহেব।

রফিক সাহেবঃ না স্যার, আপনি তো জানেনই যে আজকাল রাস্তায় কতো জ্যাম থাকে।

বসঃ রোজ রোজ এক বাহানা। কই আমি তো ঠিক টাইমেই আসি। আমার তো সমস্যা হয় না। আসলে আপনাদের কে মাথায় তুলে তুলে আজ এই অবস্থা। যতোসব। যান কাল যে ফাইল টার কথা বলেছিলাম সেটা নিয়ে আসেন।

রফিক সাহেবঃ জী আচ্ছা স্যার।

রুম থেকে বের হয়ে, “শালা খাটাশ। তোরা এসি করা গাড়িতে ঘুরে বেড়াস। ট্রাফিকের কোন নিয়ম মানস না আর আমারে বলস যতসব। তোর উপর আল্লাহর গজব পড়ুক। আল্লাহ যেন করে তরে যেন একদিন আমার মতো লোকাল বাসে ধাক্কা খাইতে খাইতে আসতে হয়। তাইলে বুঝবি কেমনে ঠিক টাইমে আসতে পারস।”

ডেস্কে বসতে না বসতেই কলিগরা খুঁচানো শুরু করলো বসের ঝাড়ি নিয়ে। রফিকের সাহেবের মেজাজ গেলো আরও বিগড়ে



অফিস করে বাসায় ফিরার সময় মনে হল আজকে আবার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া লাগবে। কিছু ভেবে পাইনা, একজন উপার্জন কারী থাকলে যা সমস্যা। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রাস্তার ড্রেনের পাশে তার চোখ পরল। একটা মানি ব্যাগ তাতে আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা আর মালিকের কার্ড।

রফিক সাহেবের চোখ যেন জ্বল জ্বল করছে। তিনি চারপাশে ভালো ভাবে তাকিয়ে ব্যাগ টা আস্তে করে নিজের পকেটে নিয়ে নিলেন। বাসে আসার সময় ভাবছিলো, আজ আর স্ত্রী ঝগড়া করতে পারবে না। পাওনাদার দের মুখের উপর সব টাকা ফিরত দিবো। বাড়িভাড়াও পরিশোধ করবো। আচ্ছা কাল তো শুক্রবার । কাল সকালে বাজার থেকে ১ টা মাছ কিনব। ছেলেমেয়েকে মাছ খাওয়াই না অনেকদিন। স্ত্রীর জন্য ১৫০০ টাকার মধ্যে একট শারীও কিনব। ওকে যে শেষ কবে হাসতে দেখেছি মনে নেই। ওর কোন দোষ নেই এরকম অভাবের সংসারে চাইলেও কারো মন মেজাজ ঠিক থাকেনা।



বাসায় এসে রফিক সাহেব হাতমুখ ধুয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলো। কাল সবাইকে চমকে দিবে বিধাই কিছু বল্লনা। চুপচাপ শুয়ে পরল। মাঝরাতে উনার ঘুম ভাঙলে ওয়াশ রুমে গেলো। টয়লেট সেরে কল ছেড়ে হাতমুখ ধোয়। এমন সময় একটা কণ্ঠ বলে উঠলো , কাজ টা কি আপনে ঠিক করলেন রফিক সাহেব?

তিনি চমকে উঠলেন। চারপাশে ভালোভাবে তাকালেন কেউ নেই। এমন সময় উনার চোখ আয়নাতে পরল। তিনি দেখতে পেলেন আয়নার ভিতরে যে রফিক সাহেব সে হাসছে।



আয়নাঃ জী আপনাকে বলছি। কাজ টা কি আপনি ঠিক করলেন?

রফিক সাহেবঃ আরে এটা তো আমি। এসব কি দেখছি। স্বপ্ন না তো?

আয়নাঃ জী না, স্বপ্ন না বাস্তব।

রফিক সাহেব চলে যেতে গেলে,

আয়নাঃ আরে দাঁড়ান কোথায় যাচ্ছেন? আমার কথা তো শেষ হলনা। রাস্তার পাশে যে মানি ব্যাগ টা পেয়েছেন সেটা চুরি করা কি ঠিক হয়েছে।

রফিক সাহেবঃ চুরি। আমি কোন চুরি করিনি। সেটা আমি কুড়িয়ে পেয়েছি। আর আমার টাকার দরকার। মাস শেষে যা পাই সেটা দিয়ে আমার চলেনা। যদি এই

টাকাটা আমার কাজে লাগে তাতে দোষের কি?

আয়নাঃ তাই বলে সামান্য কটা টাকার জন্য নিজের সততাকে বিক্রি করবেন?

রফিক সাহেবঃ সততা। কিসের সততা? এই সততা দিয়ে কি হবে যদি নিজের বউ বাচ্চার কোন ইচ্ছাই পুরন করতে না পারি। যাদের সততা নেই কিন্তু টাকা আছে তারা জীবনে অনেক বেশী সুখী। তাহলে এই সততা দিয়ে কি হবে?

আয়নাঃ আপনি ঠিক বলেছেন। তারা অনেক বেশী সুখী। কিন্তু তারা যে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেটা আপনি কিভাবে জানলেন? তারা তো নিজেরাই নিজের কাছে পরিষ্কার না। আপনার স্ত্রী-সন্তান যখন জানবেন যে আপনি কুড়ানো টাকা দিয়ে তাদের ইচ্ছা পূরণ করছেন তাদের কাছে ব্যাপার টা কেমন লাগবে?

রফিক সাহেবঃ তুমি আমার ভ্রম। এসব কথাতে আমার কিছু যায় আসেনা। বিদায় হও। চলে যাও।

আয়নাঃ আমাকে না হয় তাড়িয়ে দিলেন কিন্তু নিজের ভিতরের এই পাপকে কিভাবে তাড়াবেন?



রফিক সাহেব বেরহয়ে এসে বিছানায় আবার শুয়ে পরলেন। বাকী সময় টুকু ঘুমালেন না শুধু এপাশ-ওপাশ করলেন।



পরদিন শুক্রবার বাজার করতে গেলেন। বাজারে বিশাল একটা কাতল মাছ দেখতে পেলেন দাম ২৫০০ টাকা। গতমাসে মেয়েটা কাতল মাছ খেতে চেয়েছিল। মাছটা দেখে রফিক সাহেবের বড্ড লোভ হল। ওই মানিব্যাগ থেকে ২৫০০ টাকা বের করবার সময় হঠাৎ তার চোখ পাশের কার্ডের দিকে পরল। কি মনে করে শেষ পর্যন্ত উনি মাছ টা কিনলেন না। গতকালের মতো ডাল, জালী কুমড়া আর গুড়া মাছ কিনলেন। যদিও কাতল মাছ টা শেষ পর্যন্ত কিনতে পারেন নি, যদিও পাওনাদার কে টাকা টা পরিশোধ করতে পারেন নি, যদিও বারিয়ালাকে ভাড়া টা দিতে পারেন নি, যদিও প্রিয়তম স্ত্রীকে ১৫০০ টাকার সেই কাপড়টি কিনে দিতে পারেন নি তবু উনার মধ্যে একধরনের প্রশান্তি ছিল সেই মানিব্যাগ টা মালিককে পৌছে দিয়ে।



কারন তাকে তার সততাকে বিক্রি করতে হয়নি।







মধ্যরাতের ট্রেন









(বিঃদ্রঃ যাদের হার্ট একটু দুর্বল তারা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে এই গল্প পড়বেন)



রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনে তিথীকে উঠিয়ে দিলো তিথীর স্বামী। ওদের বিয়ে হয়েছে সাতদিন। তিথীর অনেক খারাপ লাগছে একা যেতে। ওর দুহাত ভর্তি মেহেদীর রং এখনো উঠেনি অথচ আজকে ওকে একাই বাবার বাড়ি যেতে হচ্ছে। অমিতেরও কিছু করার নেই।



বসের নির্দেশ কালকে অনেক জরুরী মিটিং তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিথীর সাথে যেতে পারছেনা এদিকে তিথীর বাবার শরীর খুব একটা টা ভালোনা তাই আজকেই ওকে রওনা দিতে হবে। স্ত্রীকে এভাবে একা একা ট্রেনে উঠিয়ে দিতে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে অমিতের। মিটিং শেষ করে কালকেই অমিত চট্টগ্রাম চলে আসবে। অমিতকে বিদায় জানিয়ে তিথী ট্রেনের কামরায় উঠে পড়ে।



ট্রেন ছারার পূর্ব মুহূর্তে একজন বৃদ্ধ মহিলা তিথীর সাথে একই রুমে উঠলো। তিথী কিছুটা অবাক হল সেই বৃদ্ধ মহিলাকে দেখে। তার সারা শরীর কালো কাপড়ে মোড়ানো, চেহারার এক পাশ কালো কাপরে ঢাকা, হাতের নখগুলো বেশ বড় বড় আর হলুদ। কেমন যেন একটা উটকো পচা গন্ধ আসছে তার শরীর দিয়ে। তিথীর বমি চলে আসছিলো। মহিলার হাতে একটা বাক্স।



সে বাক্স টা এমন ভাবে জড়িয়ে ধড়ে আছে যেন বাক্স ভর্তি অঢেল ধনসম্পদ। কামড়াতে তিথী আর ওই মহিলা ছাড়া কেউ নেই।

তিথী জানালা দিয়ে বাইরের দিকে দেখছিল। কিছুক্ষণ পর ও নিজেই আগ বারিয়ে মহিলার সাথে পরিচিত হতে গেলো।



কিন্তু বৃদ্ধ মহিলা কোন সাড়া দিলনা। ওর কাছে জিনিস টা খুব খারাপ লাগলো। এভাবে একা একা কতক্ষণ বসে থাকা যায়? কিছুক্ষণ পর টিকিট চেক করার জন্য লোক ভিতরে ঢুকল। তিথী তার টিকিট বের করে দিলো আর মহিলাও একটা হাসি দিয়ে তার টিকিট বের করলো। এই প্রথম তিথী ওই মহিলার দাত গুলো ভালো করে দেখল। কুচ কুচে কালো।



তিথী আবার জানালার দিক দিয়ে বাইরে দেখছিল। আর ওর বাবার কথা ভাবছিল।



নিশ্চয়ই বাবার শরীরটা অনেক খারাপ। বাবার উপর ভীষণ মেজাজ গরম হচ্ছে। একটুও নিজের খেয়াল রাখেনা। ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও ইচ্ছে মতো সবকিছু করে। আজ বাসায় যেয়ে আচ্ছামত বকতে হবে। ভাবতে ভাবতে তিথীর চোখ লেগে আসছিলো। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা। আচমকা কি একটা শব্দে তিথীর ঘুম ভেঙে গেলো। কি যেন একটা কুট কুট শব্দ হচ্ছে। যেন বিড়াল মাছ খাচ্ছে। খুব বাজে গন্ধও আসছে। তিথী চারপাশে তাকাতেই পাশের সীটে বসা বৃদ্ধ মহিলার দিকে চোখ পরল।



এরপর ও যা দেখল সেটা রীতিমতো ওকে নিস্তব্ধ করে দিলো। মহিলা সীটের নিচে বসে তার ওই বাক্সটা থেকে উপুড় হয়ে কি যেন খাচ্ছে। ও ভালো করে খেয়াল করলো সেটা কাফনে মুড়ানো একটা ছোট বাচ্চার লাশ। তিথী যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। বৃদ্ধ মহিলা কোন কথা বলছেনা শুধু জন্তুর মতো আওয়াজ করছে আর লাশটি কামড়িয়ে খাচ্ছে। তিথী চিৎকার করতে চাইছে কিন্তু ওর গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছেনা। শিরদাঁড়া দিয়ে ঘাম নেমে পরছে। হাতপা অবশ লাগছে। কি এক অদ্ভুত শক্তি যেন ওকে বশ করছে। বৃদ্ধ মহিলা এবার তিথীর দিকে তাকালো । কি ভয়ানক সেই দৃষ্টি!!!! রক্তাক্ত চোখ। মুখের একপাশ দিয়ে কিছু মাংস লেগে আছে। মহিলা বাচ্চাদের মতো হামাগুড়ি দিয়ে তিথীর দিকে আসছে। আর হুশ হুশ শব্দ বের হচ্ছে তার মুখ দিয়ে। তিথী সজোরে চিৎকার করতে চাইছে। কিন্তু আজ যেন সে অসহায়। চারদিকে অন্ধকার যেন আরও ঘনিয়ে আসছে।





আসলে কি হয়েছিলো তিথীর সাথে? আমি এই গল্পটার শেষ লিখতে পারছিনা। এটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।





মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীতিগল্পটি ভালো লাগলো, যদিও হরর গল্পটি পড়ার পর গা ঘিন ঘিন করছে।

শুভেচ্ছা।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

চড়ুই বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। যদি গা ঘিন ঘিন করে থাকে তবে আমি সার্থক। লেখার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা। :) :)

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ব্লগারের পোস্টে এর স্থলে ব্যবহারের প্রবণতা দেখেছিলাম। আমি বলছি না আপনিও সেখানকার ছাত্রী। আর হলেও বা ক্ষতি কী এমন। যাই হোক আস্তে ধীরে আর প্রয়োগ শিখে যাবেন আশা করি।

আপনিও হরর ভালো লিখবেন মনে হয়। এ ক্ষেত্রে হামার দক্ষতা বেশি।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

চড়ুই বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী আপনার কথা গুলো পরিষ্কার না।
প্রথম কথা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আপনি কি বুঝাতে চাইছেন এটা যে আপনি নিজে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?

দ্বিতীয় কথা, " ণ আর য় প্রয়োগ শিখে যাবেন আশা করি " যে শব্দ গুলোতে ভুল গুলো পেয়েছেন সেগুলো তুলে দিলে ভালো হতো।

তৃতীয় কথা, "আপনিও হরর ভালো লিখবেন মনে হয়। এ ক্ষেত্রে হামার দক্ষতা বেশি।"
হামা কে? এই নামের কোন ব্লগার কে আমি সামুতে দেখিনি।
আপনি কার কথা বলছেন?
এবার শেষ কথা, ব্লগে কারো লিখার সাথে অন্য কারো লিখার তুলনা করবেন না। একেকজনের লিখার ধাচ একেক রকম। সবাই সবার থেকে আলাদা। তাছাড়া আমি নিজেও একদম নতুন। আপনি যদি আমাকে অনেক অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ব্লগারের সাথে কম্পেয়ার করে থাকেন তবে বিষয় টা আমার জন্য সুখকর হলেও তার লিখার কিন্তু সঠিক মূল্য দেয়া হবেনা।
যাই হোক লিখার ধাচ পছন্দ না হলে অথবা কোন ভুল হয়ে থাকলে দুঃখিত, আশা করি আপনাদের লিখা পড়তে পড়তেই শিখে যাবো। আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: তুমি লেখো কারন আমি পড়ি।
খুব সুন্দর হয়েছে আপু।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

চড়ুই বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন। :)

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

মোহাম্মদ তুহিন১৫ বলেছেন: আপনার মধ্যরাতের ট্রেন গল্পটা পড়ার পার আমার রাতের ট্রেন ভ্রমণ এর কথা মনে হয়ে গেলো.
আমার ভ্রমণটা ছিলো চট্টগ্রাম - সিলেট
সময়টা ছিলো - রাত ৯:০০ - ভোর ৬:৩০ - সাল ২০০৭.
রাতের ট্রেন ভ্রমণ এর মজাটাই অন্যরকম - যা ভ্রমণ না করলো বুজাযায় না.
তবো আমার বেলায় এমন কোন কিছু হয়নি.
হলে মনেহয় ভালোই হোত - আমিও এমন গল্প লিখতে পরতাম
আর বৃদ্ধ মহিলার লাশ খাওয়ার টাও উপভোগ করতে পারতাম ! :( :( :(

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

চড়ুই বলেছেন: "বৃদ্ধ মহিলার লাশ খাওয়ার টাও উপভোগ করতে পারতাম ! "
B:-) B:-) দুয়া করি এমন পরিস্থিতিতে যেন না পরেন। তখন আর উপভোগ করার সুযোগ থাকতনা আপনিই তার ডিনারে পরিণত হতেন। :P :P

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চড়ুই- আপনার নিকটাও ভুল বানানে লেখা চড়ূই (কুমিল্লার কোনো এলাকায় বলে চাঞ্চরা।)। আর আমি যতটা বলেছি আর কীভাবে বললে পরিষ্কার হবে তা আমার জানা নাই।

আপনার আর ব্যবহারের দীনতা দেখিয়ে দিলাম। সঙ্গে কিছু আপনার ভুল কিছু কী বোর্ডের দোষ দেখালুম। আরো ভুল আছে যা ইচ্ছে করেই দেখালাম না- পরবর্তীতে লেখা টাইপ করবার পর আবার পড়ে দেখতে উৎসাহিত হবেন বলে।

অজ্ঞতা দোষ বা পাপ না। অক্ষমতা স্বীকারে কেউ ছোট হয় না। মিথ্যা দম্ভে কেউ বড়ও হয়ে যায় না। তুলনা ব্যাপারটা আসতে পারে। এবং আসবেও। পাঠকের দৃষ্টিতে ভালো খারাপটা বলার পথ আপনি বন্ধ করতে পারেন না। আপনি পচা লেখক আর সখিনা বেওয়া উত্তম লেখক যদি বলি, এ নিয়ে আপনি আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারেন না।
এখন থেকে বরং আপনার পোস্টে এলেও কিছু বলতে ভয় পাবো।

ক্লাস সিক্সে উঠলো।কাল রাত থেকেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া। কারন (এখানে ণ এর বদলে ন ব্যবহার করেছেন একটাই পাওনাদার। এক মাস আগে
করাই (য় এর বদলে ই ব্যবহার করেছেন রোজ রোজ পাওনাদাররা এসে বাজে ভাষাতে কথা বলে যায়। রফিক সাহেবের স্ত্রী এতে বিরক্ত। এদিকে
বারিয়ালার ভারাও বাকী।

রওনা হয়। ঢাকা শহরে জ্যামের কারনে দেরী করে অফিসে ঢুকে। হাজিরা খাতাই নিজের নাম লিখার সময় বসের কাছে ঝারি।

বসঃ প্রতিদিন দেরী করে অফিসে ঢুকা আপনার মনে হয় স্বভাব হয়ে গেছে রফিক সাহেব।

ডেস্কে বসতে না বসতেই কলিগরা খুঁচানো শুরু করলো বসের ঝাড়ি নিয়ে। রফিকের সাহেবের মেজাজ গেলো আরও বিগরিয়ে

সকালে বাজার থেকে ১ টা মাছ কিনব। ছেলেমেয়েকে মাছ খাওয়াই না অনেকদিন। স্ত্রীর জন্য ১৫০০ টাকার মধ্যে একট শারিও কিনব। ওকে যে

বাসায় এসে রফিক সাহেব হাতমুখ ধুয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলো। কাল সবাইকে চমকে দিবে বিধাই কিছু বল্লনা। চুপচাপ শুয়ে পরলো। মাঝরাতে উনার ঘুম ভাঙলে ওয়াশ রুমে গেলো। টইলেট সেরে কল ছেরে

রফিক সাহেবঃ চুরি। আমি কোন চুরি করিনি। সেটা আমি কুরিয়ে পেয়েছি। আর আমার টাকার দরকার। মাস শেষে যা পাই সেটা দিয়ে আমার
রফিক সাহেবঃ সততা। কিসের সততা? এই সততা দিয়ে কি হবে যদি নিজের বউ বাচ্চার কোন ইচ্ছাই পুরন করতে না পারি। যাদের সততা নেই

---------------------

অমিতকে বিদায় জানিয়ে তিথী ট্রেনের কামরাই উঠে পরল।

ট্রেন ছারার পূর্ব মুহূর্তে একজন বৃদ্ধ মহিলা তিথীর সাথে একই রুমে উঠলো। তিথী কিছুটা অবাক হল সেই বৃদ্ধ মহিলাকে দেখে।

তিথী জানালা দিয়ে বাইরের দিকে দেখছিল। কিছুক্ষণ পর ও নিজেই আগ বারিয়ে মহিলার সাথে পরিচিত হতে গেলো।

কিন্তু বৃদ্ধ মহিলা কোন সাড়া দিলনা। ওর কাছে জিনিষ টা খুব খারাপ লাগলো। এভাবে একা একা কতক্ষণ বসে থাকা যায়? কিছুক্ষণ পর টিকিট চেক করার জন্য লোক ভিতরে ঢুকল। তিথী তার টিকিট বের করে দিলো আর মহিলাও একটা হাশি দিয়ে তার টিকিট বের করলো।

নিশ্চয়ই বাবার শরীরটা অনেক খারাপ। বাবার উপর ভীষণ মেজাজ গরম হচ্ছে। একটুও নিজের খেয়াল রাখেনা। ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও ইচ্ছে

আওয়াজ করছে আর লাশটি কামড়িয়ে খাচ্ছে। তিথী চিৎকার করতে চাইছে কিন্তু ওর গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছেনা। শিরদারা দিয়ে ঘাম চোখ। মুখের একপাশ দিয়ে কিছু মাংস লেগে আছে। মহিলা বাচ্চাদের মতো হামাগুরি দিয়ে তিথীর দিকে আসছে। আর হুশ হুশ শব্দ বের হচ্ছে তার

আসলে কি হয়েছিলো তিথীর সাথে? আমি এই গল্পটার শেষ লিখতে পারছিনা। এটা আপনাদের উপর ছেরে দিলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

চড়ুই বলেছেন: এত সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ে ভুল ধরার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। এটা পরিষ্কার বুঝলাম না আমি রাজশাহীর নাকি কুমিল্লার মানুষ। আর হ্যাঁ আমার নিক বানান ভুল সেটা আমি জানি নতুন কিন্তু সামু থেকে পরে ওটা ঠিক করা যায়নি।

আমার উপরের মন্তব্যটা মনে হয় আপনার EGO তে লেগেছে
এজন্যই বুঝি অফলাইন হয়ে ভালো মতো আমার গল্প পরে ভুল ধরেছেন। ব্যাপার না বানান ঠিক করে নিব। আমি অনেক সাধারন মানুষ আপনার মতো প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আপনার লিখাই ভুল ধরতে যাবনা। :) :) আপনি ঠিক বলেছেন "অজ্ঞতা দোষ বা পাপ না"
আপনার নিজের কিন্ত অনেক কিছু জানবার আছে। কথাটাকে আবার অন্যভাবে নিবেন না যেন।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চড়ূই আপনি জ্ঞান পাপী বোঝা যায়। কোথায় নিজের অক্ষমতা স্বীকার করবেন, তা না করে উলটো আমার ইগো নিয়ে পড়লেন। আমার যে সব জানা হয়ে গেছে তাই বা আপনি কী করে জানলেন?

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

চড়ুই বলেছেন: হে মহাজ্ঞানী জুলিয়ান সিদ্দিকী যান আমি আমার অক্ষমতা স্বীকার করলাম । আমার বানানে সমস্যা আছে। এবার আপনিও আপনার অক্ষমতা স্বীকার করুন যে আপনার আচরনে সমস্যা আছে। চলুন দুজনে যার যার অক্ষমতাগুলো ঠিক করে নেই। :) :)

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আরে আজিব তো! কই বানান আর কই আচরণ!

যাউজ্ঞা আপনেরেই বিজয়িনী ঘোষণা করা হইল। বাংলা একাডেমি দূরে গিয়া মর! ভাগ্যিস আপ্নের শিং নাই। =p~

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

চড়ুই বলেছেন: "আজিব" কি ধরনের শব্দ। #:-S #:-S কমেন্টে "আপ্নের" অবাক হলাম যে আমার বানান ঠিক করতে আসছে কমেন্টে তার নিজের বানানই ভুল। আপনি অগ্রজ সুতরাং বিজয়ী আপনাকেই ঘোষণা করলাম।
আর এই মুহূর্তে আপনার সাথে ক্যাচালে যাওয়ার ইচ্ছা এবং শক্তি কোনটাই আমার নাই। ভালো থাকবেন আজিব ভাই।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
চড়ুই, ব্লগে যদি কেউ আমাকে বলে মাত্র একজন পূর্ণাঙ্গ ব্লগারের নাম বলুন- আমি বলবো- জুলিয়ান সিদ্দিকী। তাঁর সাথে আমাদের তর্কে জড়ানো অনুচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে জুলিয়ান ভাইয়ের কমেন্ট খুব উপভোগ করি। হিউমার ও উইটের মিশ্রণ থাকে তাঁর কমেন্টে। তাঁর কাছে ব্লগবাসীর শিখবার অনেক কিছু আছে। তাঁর প্রথম কমেন্টে অফেনসিভ কিছু বলেছেন বলেও মনে করছি না। তবে, ক্লারিটির ঘাটতি থাকলে সে প্রশ্ন করে ক্লিয়ার করা যায়।

ব্লগে আমরা অবশ্য সবাই কমবেশি একে অপরের কাছ থেকে শিখি। শিখবার ব্যাপারটায় আন্তরিকতা থাকলে পারস্পরিক সম্পর্কও সুদৃঢ় হয়।

আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুব জলি-গুড-ফেলো মনে হয়েছিল। আপনি বাস্তবে বোধ হয় এমনই। মাঝে মাঝে মাথা গরম হয়ে যায়। এই গরম হওয়াটা কন্ট্রোল করুন। ব্লগে আপনার বিচরণ খুব আনন্দদায়ক হবে। খামোখা কারো সাথে তিক্ততা রাখা ঠিক না।

বিনয় মানুষকে খুব সহজেই কাছে টেনে নেয়। এর উলটোটা হলে কোনো মানুষ যত ব্রিলিয়ান্টই হোক না কেন, অন্তর থেকে সম্মান পায় না।

আমার উপর চটে গেলেন না তো? :) দয়া করে চটবেন না। আপনি একদিন জনপ্রিয় ব্লগার হবেন। ভার্চুয়াল লাইফ ছেড়ে বিভিন্ন আড্ডায়, সভাসমাবেশে, বইমেলায় দেখাসাক্ষাৎ হবে। এখনকার আচরণের কথা মনে পড়লে আপনি নিজেই খুব লজ্জিত ও বিব্রত হবেন।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০০

চড়ুই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আপনার লিখা আমার অনেক ভালো লাগে। আপনাকে আমার গুরুজন হিসেবে একটা কথা বলি।
জুলিয়ান সিদ্দিকী এর সাথে না হয় আমার আচরন একটু উদ্ধত হয়েছে। কিন্তু বড় হিসেবে উনার উচিত ছিল আমার "মন্তব্যকে" আর বড়ো মন নিয়ে বিচার করা তাহলে হয়তো উনার প্রতি আমারড শ্রদ্ধা আর বেড়ে যেত। কিন্তু উনি ফেসবুকে আমার এই পোস্ট টা পাবলিক লি শেয়ার করে হাসি-তামশা এবং উপহাস করছেন। Click This Link

এই হচ্ছে সেই লিঙ্ক। তাহলে কি আমি এটাই শিখব ?
আমি দুঃখিত আমার আচরণের জন্য।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

কুহক' বলেছেন: এই লুক্টা যেনে যায় হেনেই ক্যাচাল করে। লেম্বু চিপড়াইতে চিপড়াইতে এক্কেরে তিতা বানাইয়া হের পর ক্ষান্ত অহে। তয় হেরে সুপার ডুপার লাইক দেই শকুনের চউখ লইয়া চলে বইল্যা। চিলের ডানার লাহান ধৈর্য্য! বেসম্ভাব তেড়া।

‌‌‍"ই" আর "য়" ভারসাম্য রক্ষা কইরা চলতে পারে না বইল্যা একবার বেক্কল অইয়া গেছিলাম, পরে বুঝতে পারলাম উত্তরাঞ্চলের লেখ টানটাই অনেকাংশে ঐরাম।

জুলিদা টেনশল লইয়েন না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

চড়ুই বলেছেন: "তয় হেরে সুপার ডুপার লাইক দেই শকুনের চউখ লইয়া চলে বইল্যা। চিলের ডানার লাহান ধৈর্য্য! বেসম্ভাব তেড়া। "

কেন ভাই আমি কি আপনার মাথায় পিস্তল ধইরা রাখি যে আমারে লাইক না দিলে উরাইয়া দিমু। তাও ভালো আমি বেসম্ভাব তেড়া
আম্নার মতো চাটুকার না যার কোন পারসোনালিটি নাই। তই আমন চাটুকারিতা শিখছেন কইথ থিকা নাকি জন্ম থিকাই এইরকম?

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প যারা লিখে তাদের সব সময় হিংসে করি , নিজে লিখতে পারিনা বলেই।
সে দিক দিয়ে আপনাকেও ভাগ্যবান বলতে হয়।
আপনি আরো অর্থ ভাগ্যবান, শুরুর দিকে এই ব্লগের সবচেয়ে ভালো ব্লগার, গল্পকারদের পেয়ে যাচ্ছেন যারা সত্যিকার অর্থেই গুরুজন। আপনার লেখালেখিতে তাদের পরামর্শ অনেক উপকারে আসবে বিশ্বাস করি। আর ব্লগ চর্চ্চার জায়গা, ভুল হবেই, আর যারা ভুল দেখিয়ে দেয় তারাই আসলে আপনার শুভাকাংখী, সত্যি পাঠক। সেদিক দিয়ে সিনিয়রদের সাথে ক্যাচালে না গিয়ে তাদের আশির্বাদ নেয়াই যুক্তিযুক্ত মনে করি।

ভালো থাকবেন। হ্যাপি ব্লগিং।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

চড়ুই বলেছেন: আমি ক্যাচালে যায়না। স্বাধীন ভাবে কথা বলাকে ক্যাচাল মনে হলে কিছু করার নাই। ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনি আরো অর্থ ভাগ্যবান

* অর্থে

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

কুহক' বলেছেন: হাহ হাহ হাহ:


দেবতুল্য নায়কের বৃত্তান্তে আমি শ্রমণ
ঢোল-বাদ্য-নাকাড়ায় কখনোই বলিনি
মহাকাল মন্দিরের পুরোহিত জানে—
আমি নই আধুনিক সময়ের চকচকে এপিক।
জানি আপনি রুদ্রাণী নন—
অনুরণনের ক্রিয়াশীল সঙ্গীতে
অনিঃশেষ শ্রুতি আপনি, আহির ভৈরবী
বৈষ্ণব পদাবলীর বেদব্যাস।
আমি নই ফেরারি ক্রিয়ার অঘটন—
জন্মসূত্রেই জেনেছি আমি উম্মুল স্বভাবধারী
রঙিন পানীয়ের বুদ্বুদে মেপে চলা
মহাকালের ত্রিশঙ্কু।
চৈতন্য সাকারে আপনি অণিমা হয়ে উঠুন,
বাল্মীকি প্রত্যয় প্রসূনে আমিও করোটির পূজারী হবো।
আমি বরাবর শব্দের রেওয়াজ-ভাঙ্গা যাদুকর,
ধুলোর বাতাসে গুঞ্জন তোলা বন-বাদাড়—
নিষ্পেষণের যাঁতাকল;
আপনি হতে পারেন নিরুদ্দেশের লালন
তবে আমিও জানি—
হারিয়ে যাওয়া চুপ-ধ্বনির বিশেষণ
মঞ্চে ম্যাজিক ছড়ালে, পিচ গলা রাজপথের কালিমা
কখনোই রেল লাইনের হেঁই-ও হতে পারবে না।
শরণার্থী ভিলেনের চই চই লোভের জিহ্বায়
এমন ঘামসিক্ত শরীরের খোয়াব চাখতেই পারে সুখ!
জিভ জানে সে একলা খায় না বা বলেও না
অনুরোধ, মিথ্যে ভানে; পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।
আমি এক না-মানুষ বলতেই পারি—
স্বপ্নের বাস্তবায়ন ছাড়া ধরিত্রীর কোথাও
সুখ নেই। শশী ডাক্তার, তোমার মনে নাই সূর্যের কুসুম—
মনে রাখবেন,
মানুষের বিস্মৃত ভূগোলে জীবাশ্ম এক একটা ইতিহাস!
আর আপনার জাতিস্মরে পুরুষটা ঈশ্বরের ত্যক্ত অপচ্ছায়া
আমি তাই—
ছুঁড়ে দিতেই পারি স্রষ্টার কবরে ক্রুদ্ধ নমস্কার
পারুন তো ঠেকিয়ে দিন,
আমি বাঙালি-বাংলাকে ভালোবাসার খেলোয়াড়
অনেক কিছু হয়তো জানি না কিন্তু এটা বুঝি—
বায়সী রাজপথ ভুলে যায় সব তীব্র ছুটে চলা আর্তনাদ
কবিতার কোণা ভাঙা চোখগুলো, শ্লোকগুলো
ভাঙ্গা গলার ভিখিরি।
এ্যালমুনিয়ামের ফুটো পাত্র দিচ্ছে না স্বীকৃতি
‘একটা পয়সা দেবেন আম্মা? আব্বা একটা টেহা দ্যান’
এই উনি আমার মা, অর্জিত বেদনার স্বরলিপি!
শূদ্রের জোয়ালে ঝুলে থাকা রাত রতি শ্লেষের চিহ্ন!
আমি যেখানে দাঁড়িয়েছি, আমার বাবা এখানে; এই ফুটপাথে
আঙুলের পেলব কোমল স্পর্শে একাত্তরের রক্ত লেপে দিয়ে গিয়েছিলো
আপনারা তার করোটিতে তুলি চেপে চারুকলার ছাত্র হয়েছেন
সে হয়তো নূর হোসেনের স্বাধীনতা হতে পারেনি
সালাম, রফিক, বরকতের রক্তে ভেজা অক্ষর হয়নি
আমার বাবা-মা খুবই সাধারন যোদ্ধা, এক পৃথিবীর মানচিত্র!
বৈশ্বিক বেশ্যা হয়ে আমি সুখী—
কচ্ছপের বর্ম বুকে বেঁধে বেঁচে আছি!
আমি এক না-মানুষ—
প্রতিটি রাত শেষের জন্মে পাই সাপের শরীর, সুদেষ্ণার ভাসান
তোমরা মানুষ হয়ে থাকো গো রাই, সংসারী রথের উঠান!

------------------চমৎকার থাকুন সারাটি বেলা। হ্যাপি ব্লগিং।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৬

চড়ুই বলেছেন: কপি পেস্ট ভাইয়া ব্লগে এসে আজাইরা কমেন্ট করা বাদ দিন।
স্কুলে কি "প্রমথ চৌধুরীর চলিত ভাষার প্রবন্ধটি" পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন সেটা কাজে লাগান নতুবা অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।
:) :)

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩২

কুহক' বলেছেন: নিমন্ত্রন রইলো ২০১৫ বইমেলার। সেখানে হয়তো তার চাইতে ভালো প্রবন্ধ সংকলন হাতে তুলে দিতে পারবো কিংবা আপনি চাইলে আমাদের করা সমসাময়িক কথা-সাহিত্য সংকলনে অংশ গ্রহন করতে পারেন বা গল্প সংকলনে।
বাজারের প্রচলিত কথা হলো ‘চোরের মায়ের গলা সব সময় বড়ই হয়’। আমি চাই না এই কথাটা আপনার বেলায় প্রযোজ্য হোক। সোজা কথায় একটুকু বুঝি নিজে সন্মান পেতে চাইলে আরেকজনকে সন্মান করা শিখতে হয়। আমি এখনও ছাত্র, ধরাধামের বিভিন্ন বিদ্যাপিঠে শিখতে বসা মানুষেরই পায়ের তলার এক না-মানুষ।

ধন্যবাদ।

নিমন্ত্রণ

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২

চড়ুই বলেছেন: নিজে সন্মান পেতে চাইলে আরেকজনকে সন্মান করা শিখতে হয়
সবার জন্য প্রযোজ্য।
ধন্যবাদ।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

না পারভীন বলেছেন: গল্প প্রায় সবগুলোই পড়েছি, অনেক ভেরিয়েশন আছে। খুব ভাল লাগলো। ওয়ার্ড ফাইলে প্রথমে অভ্র স্পেল চেকে দিলে সব বানান ঠিক করে দিবে। না হয় বানান ঠিক করা আসলেই কঠিন ব্যাপার। অত বানান মুখস্থ রাখা যায় নাকি? আবার বানান জানলেও টাইপ করতে গেলেও ভুল হয়। :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

চড়ুই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ভাবে কথাটা বুঝিয়ে বলার জন্য। আমার অভ্র তে 'য়' এটা এত শো করেনা শুধু 'ই' শো করে তো গল্প যখন লিখতে থাকি আমি একনাগাড়ে লিখে যায় ওত খেয়াল করিনা। কিন্তু এই ছোট একটা বিষয় নিয়ে উনারা যেভাবে রিঅ্যাক্ট
করছে সত্যি দুঃখজনক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

ৈসকত সািদক বলেছেন: ভালো লাগলো মধ্য রাতের ট্রেন গল্পটি ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

চড়ুই বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

আবু শাকিল বলেছেন: প্রথম গল্প টা নিম্ম-মধ্যবিত্তের।ভাল ই লেগেছে।
পরের টা পড়ে কেমন জানি লেগেছে।গল্পের শুরু টা ভাল ছিল এক্টু মোড় ঘুরিয়ে দিলে আরো ভাল লাগত।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

চড়ুই বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। আমি আসলে পরের গল্পটাই ১ টা রহস্য রাখতে চেয়েছিলাম এত সহজেই কোন সমাধান দিতে চায়নি এজন্য মনে হয় গল্পটা এমন লেগেছে।

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভুল হওয়া স্বাভাবিক। শুধরে নেবেন, সমস্যার কিছু নাই। হ্যাপি ব্লগিং।

১৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৩

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: দুটি গল্পই আমার কাছে ভাল লেগেছে। চমৎকার লেখনি শক্তি আপনার। আর তা নিঃসন্দে স্বীকার করছি। তবে বানানের দিকে একটু বিশেষ দৃষ্টি দিলে মনে হয় আরও ভাল হবে। যদিও আপনার কমেন্টগুলোর উত্তর প্রতি -উত্তর পড়ে এ পরামর্শটিও এখন আর দিতে ইচ্ছে করছে না।

তবে আপনি যে লেখালেখির ধারাটা ধরে রাখলে খুব দ্রুত সফল হবেন সেটা কিন্তু আমি বেশ নির্ভরতার সাথেই বলতে পারি। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা

২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০২

চড়ুই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.