নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন লেনদেনে বিপর্যয়

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

স্থবির হয়ে গেছে অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন। বিশেষত সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক লেনদেনে বির্পযয় নেমেছে। গত তিন দিন ধরে মাধ্যমটিতে কোন লেনদেন হচ্ছে না। যারা বিকল্প উপায়ে ফেসবুকে ঢোকার চেষ্টা করছেন তারাও ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে ই-কমার্স লেনদেনে সম্পৃক্ত ক্রেতা-গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এর মাধ্যমে মাসে কোটি টাকার লেনদেনও হচ্ছে। যে মুহূর্তে মানুষ অনলাইন লেনদেনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সে মুহূর্তে ফেসবুকসহ জনপ্রিয় ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া এক ধরনের অশুভ লক্ষণ। মানুষ এখন যানজট ও সময় বাঁচাতে শপিংমল বিমুখ হচ্ছেন। লেনদেনের জন্য গ্রহণ করছে ফেসবুকসহ বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যমকে। কিন্তু এরই মধ্যে আসে ওই সব মাধ্যম খোলায় নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) রিসংখ্যান অনুযায়ী, ই-কমার্সের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তবে এই পরিসংখ্যান শুধু বেসিস সদস্যভুক্তদের। বর্তমানে বেসিসে তালিকাভুক্ত সদস্য ৯০০ ছাড়িয়েছে। এর বাইরে ব্যক্তি উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র পর্যায়ে আরও অনেক ই-কমার্স চালু থাকলেও তার সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা হলে বেসিসের সেক্রেটারি জেনারেল উত্তম কুমার পাল বলেন, ফেসবুকে আলাদা পেইজ খুলে যারা অনলাইন ব্যবসা করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এরা বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অনলাইন ভিত্তিক বড় কোন লেনদেন ফেসবুকের মাধ্যমে হয় না। তবে ফেসবুকে প্রচারণা ও ক্যাম্পেইন চালানো হয়। বেস্টো ফ্যাশনসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইন কেনা-বেচা করছেন মো. জয়নাল আবেদীন জয়। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী জয় নিজেই। তার অধীনে রয়েছেন ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে সবাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। জয় বলেন, মূলত ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার নেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ায় কোন লেনদেন হচ্ছে না। গত তিন দিনের ক্ষতির পরিসংখ্যান টেনে জয় বলেন, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে নতুন করে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন কেউ দেখবে না বলেও জানান তিনি। ব্যক্তি পর্যায়ের একজন বিক্রেতা ‘আর জে মেস’ নামে তিনি ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করেন। তিনি ইলেক্ট্রনিকস পণ্যই বেশি বিক্রি করেন। প্রতিদিনই তার কম-বেশি অর্ডার থাকতো। কিন্তু গত বুধবার থেকে আজ পর্যন্ত কোন অর্ডার আসেনি। তিনি বলেন, আমাদের বলার কোথাও জায়গা নেই। গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আপনারাই পারেন ফেসবুক চালু করতে। তা না হলে ফেসবুক ব্যবসাটি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সেলবাজার ডটকমের বিপণন কর্মকর্তা ফারহানা সাথী জানান, ফেসবুক বন্ধ থাকায় গত তিন দিনে কোন অর্ডার আসেনি। প্রতিষ্ঠানটি ফেসবুকের মাধ্যমে সারা দেশে পণ্য বিক্রি করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যায়। রংবাহারের বিপণন কর্মকর্তা শারমিন জানান, স্বাভাবিক দিনে ১০ থেকে ১২টি বিক্রি আদেশ আসলেও বর্তমানে তা ২ থেকে ৩টিতে নেমে এসেছে। রংবাহারে সাধারণত নকশি কাঁথা, থ্রি পিস সহ মেয়েদের পোশাক ও শাড়ি বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সোয়া এক ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সরকারের নির্দেশনায় গত বুধবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সোয়া এক ঘণ্টা ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ রাখে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এরপর দুপুর আড়াইটায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে ও অপারেটররা বিটিআরসির কাছ থেকে সেবা চালু করার সবুজ সংকেত পায়। আড়াইটার পর ব্যবহারকারীরাও আবার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে যুক্ত হতে পারে। কিন্তু দুপুর আড়াইটা থেকে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সামাজিক যোগাযোগের ১০টি মাধ্যম ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো, লাইন, হ্যাংআউটস, ইউ-স্ক্রিন টিভি, কমোয়া ও কমোতে কেউ সংযোগ পায়নি। এই ১০টি সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে এসব সেবা আবার বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে কোন তথ্য নেই। এ নিয়ে এক বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.