নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরএসএস হিন্দুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে হিন্দু মহাসভা নেতা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দুটি সংগঠনের মধ্যে তীব্র বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে হিন্দু মহাসভা, অন্যদিকে আরএসএস-এর এই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছানোয় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আরএসএস’কে ধোঁকাবাজ এবং বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
হিন্দু মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট অশোক শর্মা বলছে, ‘আরএসএস শুধু দেশকেই ধোঁকা দেয়নি, হিন্দুদের সঙ্গেও তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
সে আরো বলেছে, ‘আরএসএস-এর আসল লক্ষ্য হল, ক্ষমতা লাভ করা। ওর শাখা বিজেপি হিন্দুদের সম্মান রক্ষার জন্য কিছুই করেনি।’
অশোক শর্মা বলে, ‘আমাদেরকে গেরুয়া শিবিরভুক্ত ভাবা ভুল। আমি সবাইকে স্পষ্ট বলতে চাই- আমাদের সঙ্গে বিজেপি বা আরএসএস-এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’
হিন্দুত্বের ইস্যুতে আরএসএস, বিজেপি বা জনসঙ্ঘের থেকে হিন্দু মহাসভা যে অনেক এগিয়ে রয়েছে তা জানান দিতে অশোক শর্মা বলেছে, ‘ভোট পেতে বিজেপি এবং আরএসএস মুসলিম বিরোধী ভাবমূর্তি ধারণ করেছে। হিন্দু মহাসভার ইস্যুগুলো ওরা ছিনতাই করেছে।’
হিন্দু মহাসভার সন্ত্রাসীপনা জাহির করতে সে বলেছে, ‘১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর হিন্দু মহাসভাই বাবরী মসজিদে রামের মূর্তি বসিয়েছিল। পুলিশ রিপোর্টে এর উল্লেখ রয়েছে। সে সময় আরএসএস, বিজেপি বা জনসঙ্ঘ কোথায় ছিল?’
গান্ধীর খুনি নাথুরাম গডসের ফাঁসির দিন ১৫ নভেম্বরকে ‘বলিদান দিবস’ দিবস হিসেবে পালন করাকে কেন্দ্র করে হিন্দু মহাসভা এবং আরএসএস-এর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে ১৫ নভেম্বর ‘বলিদান দিবস’ হিসেবে পালন করেছে হিন্দু মহাসভা। দিনটি পালন করতে দেশের ১২০টি কার্যালয়ে যজ্ঞও করেছে সংগঠনটি। খুনি নাথুরাম গডসের কৃতিত্ব ছড়িয়ে দিতে তারা ‘নাথুরাম গডসে-দ্য রিয়েল ফরগটেন হিরো’ নামে একটি ওয়েবসাইটও খুলেছে।
এ নিয়ে আরএসএস নেতা এম এস বৈদ্য মন্তব্য করে, ‘আমি বলতে পারব না কোন সংগঠন এই কাজ করেছে। আমি নাথুরাম গডসেকে সম্মান প্রদর্শন করার ঘোর বিরোধী। সে একজন খুনি।’
আরএসএস নেতার এ রকম মন্তব্যের পরেই হিন্দু মহাসভা এবং আরএসএস এর মধ্যে সঙ্ঘাত জোরালো হয়ে উঠেছে। হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক মুন্না কুমার শর্মার দাবি, ‘দেশের প্রতি দেশাত্মবোধ থেকেই নাথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিলো। গডসে বিশ্বাস করতো, গান্ধী যদি বেঁচে থাকে, তাহলে দেশ আরো কয়েক খ-ে বিভক্ত হয়ে যাবে। গডসের এই আত্মত্যাগ তুলে ধরতে তার মৃত্যু দিবসকে আমরা ‘বলিদান’ দিবস হিসেবে পালন করতে চাই।'
হিন্দু মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট অশোক শর্মা আরএসএসকে টার্গেট করে বলেছে, ‘ওরাই হল আসল বিশ্বাসঘাতক যারা গান্ধী হত্যার দায়ে কাঠগড়ায় তোলার সময় হিন্দু মহাসভার হাত ছেড়ে দেয়।’
সে স্কুলের পাঠ্য সূচিতে নাথুরাম গডসের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও তুলেছে। কিছুদিন আগে মীরাটে শারদা রোডের কার্যালয়ে হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে নাথুরাম গডসের একটি আবক্ষ মূর্তি বসানোর তোড়জোড় করলে পুলিশের আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা ভেঙে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.