নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের বিহারের মুজাফফরপুরে শুধু অন্তর্বাস পরে পরীক্ষা দিতে হলো পরীক্ষার্থীদের

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬


নকল ঠেকাতে এ কোন পদ্ধতি!
অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ২২:২২, মার্চ ০১, ২০১৬
নকল ঠেকাতে এভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। ছবি: এনডিটিভিনকল ঠেকাতে কত ব্যবস্থাই নিল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, মোবাইল সেটসহ ডিজিটাল যন্ত্রপাতি নিষিদ্ধ করা হলো। নিষিদ্ধ করা হলো ফুলহাতা শার্ট ও জুতাও। কিন্তু ভারতের বিহারের মুজাফফরপুরের সেনাবাহিনী এবার যে পদ্ধতি অনুসরণ করে পরীক্ষা নিল, তা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে দিল, সে কথা বলা যায় নিঃসন্দেহে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত রোববার হয়ে যাওয়া সেনাবাহিনীর এক পরীক্ষায় কাপড় খুলে পরীক্ষা দিতে হলো পরীক্ষার্থীদের। অবশ্য পুরোপুরি নগ্ন হয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন তা কিন্তু নয়, শুধু অন্তর্বাসটি ছিল বলে তা-ও রক্ষা হলো সম্মানটা! তবে এ-সংক্রান্ত একটি ছবি মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান দলবীর সিং সুহাগের কাছে।

ভারতের বিহার রাজ্যের নকলের জন্য বেশ দুর্নাম রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকেরাই নকল সরবরাহ করে থাকেন। গত বছর গণনকলের একটি ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতেও শিরোনাম হয়েছে। ওই ছবিটিতে দেখা যায়, অভিভাবক এবং স্বজনেরা দশম শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার হলের দেয়াল বেয়ে ওঠেন এবং জানালা দিয়ে ব্যাপকভাবে নকল সরবরাহ করছিলেন। নকলের কথা মাথায় রেখে এবং বোর্ড পরীক্ষাকে সামনে রেখে এই জানুয়ারিতে বিহার সরকার ঘোষণা করেছে, যে সব শিক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাঁদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এ ছাড়া নকল সরবরাহ করতে গিয়ে কোনো স্বজন যদি ধরা পড়েন তবে তাঁকে দেওয়া হবে জেলে। শ্রেণিকক্ষগুলোতে সিসিটিভি বসানোরও নির্দেশ ছাড়াও কিছু পরীক্ষার হল থেকে পরীক্ষার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।

রোববারের পরীক্ষাটি হয় একটি খোলা মাঠে। পরীক্ষার্থীরা মাঠে বসে নিজেদের পা-কে এবং অনেকে ইটকে টেবিল হিসেবে ব্যবহার করে এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২১ বছর বয়সী হরিশম্ভু কুমার নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, যখন তাঁরা প্রথম পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছালেন তখন তাঁদের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা শুধু অন্তর্বাসটি ছাড়া বাকি কাপড়গুলো খুলে ফেলতে বলেন। এ সময় পরীক্ষার্থীরা ভয় পেলেও কর্মকর্তারা যখন বললেন, নকল ঠেকাতে এই ব্যবস্থা, তখন বিষয়টির সঙ্গে কিছুটা অভ্যস্ত হলেন তাঁরা। কেউ কেউ অভিযোগ করেন ওই অবস্থায় তাঁদের অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল এবং ঠান্ডাও লাগছিল।

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক অফিসের কর্নেল গোধারা বলেন, পরীক্ষাটি অন্তর্বাস পরিয়ে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পরীক্ষার্থীদের শারীরিক পরীক্ষাটি অন্তর্বাস পরেই দিতে হবে। তা ছাড়া নকল ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষার্থীরা অন্তর্বাস এবং হাতকাটা গেঞ্জির মধ্যে মোবাইল ও নকল লুকিয়ে রেখে প্রতারণা করেছে। তাই এ ব্যবস্থা।
তবে সরকার নকল এড়ানোর জন্য পরীক্ষাটি কম্পিউটারাইজড করার চিন্তা করছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভ রাত্রী

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: নকল ঠেকানোর দারুণ পদ্ধতী। কিন্তু যদি এরা মহিলা হতো তখন কি অবস্থা হতো- - -

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রামানিক ভাইয়ের কথাটা একটু মাথায় রাইখেন সবাই। আর এই ব্যবস্থা আমাদের দেশেও চালু করা যায় কী না ভেবে দেখুন। :P

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

বিপরীত বাক বলেছেন: ওরা দুনিয়ার কিছুই দেখেনি এখনও।
বাংলাদেশে আসলে বুঝতো নকল কাকে বলে।
ও পদ্ধতি এখানে অ্যাপ্লাই করে ফল পাইতে হলে সর্বশেষ টাও রাখা যাবে না।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: অদ্ভুত কাজকারবার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.