নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অরূপকথার জাদুকর আমি!!
দেশ ডিজিটাল হয়ে গেলেও রইসুদ্দিনের বাড়িতে এখনো ডিশ পৌঁছেনি। রইসুদ্দিন সংবাদ-পাগল মানুষ। সংবাদ শুনার জন্য রইসুদ্দিনকে তাই বিটিভি-র উপরই ভরসা করতে হয়। প্রতিদিন রাত আটটার সময় রইসুদ্দিনের ঘরে বিটিভি-র সংবাদ শুরু হয় সুমধুর রিংটোনে। রইসুদ্দিনের একুশ ইঞ্চির রঙিন ওয়ালটন টিভিটা যে দেয়ালে লাগানো আছে তার বিপরীত দেয়ালে প্রতিদিন আটটায় একটা মাকড়শাকেও দেখা যায়। গত ছয়দিন থেকে মাকড়শাটা ঠিক আটটার সময় এসে হাজির হচ্ছে। সংবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একদম নড়াচড়া করে না। সংবাদ শেষ হওয়ার পরপরই সে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। মাকড়শাটার এই কার্যকলাপ রইসুদ্দিনের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগে। সপ্তম দিন সে মনে মনে ঠিক করে সংবাদ শেষে মাকড়শাটার গতিবিধি লক্ষ্য করবে। কিন্তু আফসোস মাকড়শাটা সপ্তম দিন পুরো সংবাদ শেষ করতে পারে না। সংবাদের মধ্যপথে সে হঠাৎ রইসুদ্দিনের সোফার উপর ধপ করে পড়ে সাথে সাথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। মাকড়শাটার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু রইসুদ্দিনকে ভাবিয়ে তুলে। ভাবিত রইসুদ্দিন তার সহনশীলতার মাত্রা আবিস্কার করে বেশ বিস্মিত হয়। সে বুঝতে পারে মাকড়শার চেয়েও তার সহনশীলতা শক্তি অনেকগুণ বেশি। এই সেই মাকড়শা যার কাছে রবার্ট ব্রুস সহনশীলতার শিক্ষা নিয়েছিলো, কিন্তু সেই মাকড়শা বিটিভি-র সংবাদ ছয়দিনের বেশি নিতে পারলো না, অথচ সে মাসের পর মাস সেটা শুনে আসছে।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: হা হা উপায় নাই গোলাম হোসেন @ ঢাকাবাসী
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে শুভকামনা জানিয়ে গেলাম। গল্প ছোট হলেও বেশ ভালো লেগেছে।
অধ্যবসায়ী মাকড়সাকে পরাজিত করে বিটিভি এক বিরাট সাফল্য (?) অর্জন করেছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: যাদের বাড়ীতে ডিশ নেই তাদের তো দা্ঁতে কামড় দিয়ে বিটিভির সব অনুষ্ঠান হজম করতে হয়। তাইলে হালায় টিভিই দেখুমনা!