নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকে জাদু বানানোর প্রচেষ্টায় আছি। যে জাদুর মোহনীয়তায় মানুষ মুগ্ধ হবে, বুঁদ হয়ে ঘুম হারাবে, রাত কাটাবে নির্ঘুম।

তাহসিনুল ইসলাম

অরূপকথার জাদুকর আমি!!

তাহসিনুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রইসুদ্দিন এবং জনৈক বালক !

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

মাকড়শার মর্মান্তিক মৃত্যুর রাত থেকেই রইসুদ্দিন বিটিভি-র সংবাদ দেখা ছেড়ে দিয়েছে। এখন সে পত্রিকা পড়ে। দুই মাইল দূরের স্টেশনে হেঁটে হেঁটে হাজির হয় প্রতিদিন পত্রিকা আনতে। দুপুরের ট্রেনে একটা অল্পবয়সী ছেলে পত্রিকা নিয়ে আসে। রইসুদ্দিন এখন সেই ছেলের নিয়মিত কাস্টমার। ছেলেটার সাথে তার ভালোই একটা ভাব হয়ে গেছে। ছেলেটার নাম, রতন। রইসুদ্দিন একদিন তাকে জিজ্ঞেস করে, অ্যাঁই রতন তুই টিভি দেখিস?

রতন প্রশ্ন শুনে অবাক হয়। বলে, টিভি আবার কে দেখে না?

-- কোন টিভি দেখিস?

-- ডিশ টিভি।

-- বিটিভি দেখিস না?

-- আমাগো দ্যাশে বিটিভি নাই।

-- খবর শুনিস?

-- হ হুনি।

-- বিটিভির খবর শুনছিস কখনো?

-- আগে যহন ডিশ ছিলো না তহন হুনছিলাম। বিটিভিতে যারা খবর পড়ে হেরা একদম ইস্মার্ট না। কেমন মদনমার্কা ব্যাটা আর মাইয়ারা খবর পড়ে। হেদের অনুষ্ঠানগুলাও মদনমার্কা। বিটিভি বাদে অন্য যেইসব বাংলাদেশী চ্যানেল আছে হেদের অনুষ্ঠান অনেক ভালো। হেদের যারা খবর পড়ে হেরাও অনেক ইস্মার্ট। বিটিভির সাথে হেদের আকাশ-জমিন তফাৎ।

রতনের কথা শুনে রইসুদ্দিন অবাক হয়। ভাবে, বেসরকারি চ্যানেলে তো আর বিদেশের লোকবল কাজ করে না। সব দেশেরই লোক। তাহলে তাদের অনুষ্ঠানের মান এতো ভালো হলে বিটিভি-র হয় না কেন? কারণটা কি?

..........................................................................

@ এখানে মাকড়শার ব্যাপারটা পূর্বের এই লেখার সাথে সম্পর্কিত---



একটি মাকড়শার মর্মান্তিক মৃত্যুঃ



দেশ ডিজিটাল হয়ে গেলেও রইসুদ্দিনের বাড়িতে এখনো ডিশ পৌঁছেনি। রইসুদ্দিন সংবাদ-পাগল মানুষ। সংবাদ শুনার জন্য রইসুদ্দিনকে তাই বিটিভি-র ওপরই ভরসা করতে হয়। প্রতিদিন রাত আটটার সময় রইসুদ্দিনের ঘরে বিটিভি-র সংবাদ শুরু হয় সুমধুর রিংটোনে। রইসুদ্দিনের একুশ ইঞ্চির রঙিন ওয়ালটন টিভিটা যে দেয়ালে লাগানো আছে তার বিপরীত দেয়ালে প্রতিদিন আটটায় একটা মাকড়শাকেও দেখা যায়। গত ছয়দিন থেকে মাকড়শাটা ঠিক আটটার সময় এসে হাজির হচ্ছে। সংবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একদম নড়াচড়া করে না। সংবাদ শেষ হওয়ার পরপরই সে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। মাকড়শাটার এই কার্যকলাপ রইসুদ্দিনের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগে। সপ্তম দিন সে মনে মনে ঠিক করে সংবাদ শেষে মাকড়শাটার গতিবিধি লক্ষ্য করবে। কিন্তু আফসোস মাকড়শাটা সপ্তম দিন পুরো সংবাদ শেষ করতে পারে না। সংবাদের মধ্যপথে সে হঠাৎ রইসুদ্দিনের সোফার উপর ধপ করে পড়ে সাথে সাথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। মাকড়শাটার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু রইসুদ্দিনকে ভাবিয়ে তুলে। ভাবিত রইসুদ্দিন তার সহনশীলতার মাত্রা আবিস্কার করে বেশ বিস্মিত হয়। সে বুঝতে পারে মাকড়শার চেয়েও তার সহনশীলতা শক্তি শতগুণ বেশি। এই সেই মাকড়শা যার কাছে রবার্ট ব্রুস সহনশীলতার শিক্ষা নিয়েছিলো, কিন্তু সেই মাকড়শা বিটিভি-র সংবাদ ছয়দিনের বেশি নিতে পারলো না, অথচ সে মাসের পর মাস সেটা শুনে আসছে।





মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৩

কালীদাস বলেছেন: হা হা হা =p~ =p~

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: :) :)

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩০

বটের ফল বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: :) :)

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো স্যাটায়ার হয়েছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ @ হাসান মাহবুব ভাই ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

শহিদুল বলেছেন: ভালো লাগছে :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

রোদেলা বলেছেন: মজাই লাগলো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.