নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনি এখন এমন একজন \"সাহসী\" মানুষের প্রোফাইলে ঢুকেছেন,যে কিনা ভাগ্যের কাছে সব সময়ই পরাজিত।

টি-ভাইরাস

জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই...একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...

টি-ভাইরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা মুক্তি আন্দোলন কে ঘিরে

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

" অনেক দিন হল মুখে কুলুপ এটেছি। তার একটা কারণও আছে। আজ আমি মুখ খুলব; শুধু খুলব না উলঙ্গ করবো। গতকাল ক্যাম্পাসে ৩৪ তম বিসিএস এর ফলাফল সঠিকীকরণ এবং কোটা মুক্তি আন্দোলন কে ঘিরে যে দুঃসহ-বর্বর নাটক দেখলাম এবং ফেসবুকে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পন্ডিতদের একের পর ভণ্ডামি তথা পক্ষপাতমূলক লেখালেখি দেখে যাচ্ছি তাতে চুপ থাকা আর গেলনা। আমি আর নিতে পারছিনা এগুলো। সব কিছুর জবাব দেবার জন্য এই লেখা। আমার সমস্ত হতাশা, ক্ষোভ, অভিমান প্রচণ্ড গালাগালিতে রুপান্তর হতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গতকাল চোখের সামনে আমার কাছের বন্ধুদের কান্না দেখেছি। আমার বন্ধুরা কোন জারজ দলাদলিতে নেই তাই শুধু কাঁদতে পেরেছে কাউকে মারতে পারেনি। আজও আমার বন্ধুরা অসহায় তাই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। আমাকেও মুখ খুলতে বারণ করেছে। কিন্তু আমাকে পারতেই হবে। আমি কোন নিষিদ্ধ পরিচয়ে বাস করিনা এদেশে। আবারো বলছি এই প্রথম বারের মত আমার জানা গালিগালাজগুলো এই লেখাতে আমি ব্যবহার করবো, সভ্যতার ভণ্ডামি করার জন্য আজ কলম উঠায়নি। আমায় ক্ষমা করবেন।



=> যাদের ‘মেধাবী’ শব্দ কিংবা স্লোগানে গা গুলিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যেঃ



প্রথমে একটা বিষয় ক্লিয়ার করি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে অনেক বন্ধু আছে যাদের আমি শিক্ষিত,সেনসিটিভ হিউম্যান বিয়িং বলেই জানতাম। তাদের অনেকের বুকের মাঝে যে এক একটা ‘হিপোক্রেট এসেন্স’ লুকিয়ে আছে সেটা জানতাম না। সেটা বেরিয়ে আসছে। অনেকের ‘মেধাবী’ শব্দটা শুনে গা গুলাচ্ছে, হাসি পাচ্ছে, কেউ আবার হাসতে হাসতে মইরা যাবার লাগছে। সেইসব অভার-কোয়ালিফাইড পন্ডিটদের বলছি- শাহবাগের আন্দোলনে যারা ‘আমি মেধাবী’ বইলা স্লোগান দিচ্ছে তারা আপনাদের চাইতে ‘মেধাবী’ সেটা বোঝাতে চাচ্ছেনা। যারা ৫৫% কোটার সুবিধা পেয়ে ৫৫-৬৫ পেয়ে পরীক্ষায় পাস করছে তাদের তুলনায় এরা মেধাবী সেইটা তুলে ধরার জন্য এই স্লোগান। এতটা ইন্সিকিউর্ড কেন আপনারা?



এক বামপন্থী শ্রদ্ধেয় বড়ভাই লিখেছেন, মেধা নির্ভর করে পারিপার্শ্বিকতা আর সুযোগের উপর। তাঁকে সম্মান করেই বলতে চাই, আপনাকে কে বলেছে যারা বিসিএস দেয় বা দিতে বাধ্য হয় তারা সবাই সমাজের সুবিধাগ্রস্থ অংশ থেকে উঠে এসেছে? এরকম অভিযোগ আরো অনেকের। ফেসবুকের এই সেলফ স্যাটিস্ফাইড পন্ডিত উরফে আহাম্মক গুলার আত্ম-রতি এতই বেশি যে এরা সমাজটাকে মোটেই গভীরে গিয়ে অবসার্ভ করার প্রয়াস পায়না। উঠতি পুঁজির এই ক্রান্তিলগ্নে বড়লোকের গা-ভারি সন্তানেরা যে আজকাল আর বিসিএস দেয়না সেটা এরা দেখতে পায়না। এদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে দেবার জন্য আজ নর্থ-সাউথ আছে কিংবা ইস্ট-ওয়েস্ট, ব্র্যাক, ইন্ডিপেন্ডন্ট আছে। গ্লিটেরি কর্পোরেট সমাজের অংশ হওয়ায় তাদের ক্যারিয়ার। ওরাই আজ প্রকৃত মেধাবী। ওরা দেশকে পুঁজির হাতে সঁপে দিয়ে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা আয় করে। এগুলো দেখে আমরা ছোটলোকরা লালায়িত, কারণ এই সমাজে সবার অলক্ষ্যে আমরা ক্রমশ বাতিল হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মত ছোটলোকের বাচ্চাদেরও পুঁজিবাদ খায়েশ ঢুকিয়েছে বাড়িঘর করতে হবে, সমাজের সিস্টেমকে মেনে নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, নিজের কথা ভাবতে হবে নচেৎ সমাজ ফেইলুর বলবে ইতি আদি।



ছোটলোকের স্বাদ অনেক কিন্তু সুযোগ কম। তাই বিসিএস নামক সোনার হরিণের পিছনে ছোটলোকদের এত দৌড়। আমার মত ছোটলোকের বাচ্চারাও ভার্সিটির প্রথম কয়েক বছর আপনাদের মত সেনসিটিভ থাকে কিন্তু স্নাতক শেষ হলে চোখে শুধু অন্ধকার দেখে। আমার মনে পড়ে আমরা বন্ধুরা প্রথম প্রথম বলতাম বিসিএস কে দেয়? একটা ফালতু জিনিস, সরকারের ক্রীড়ানক হওয়ার চাইতে মরে যাওয়াও বেটার। মার্ক্স নিয়ে সবাই এত অবসেসড ছিলাম আমরা যে আমলা দেখলেই ছি ছি করতাম, বিসিএস এর নাম শুনলেই বমি পাইতো। কিন্তু ফাইনাল ইয়ারে উঠার পর টিউশন করার ইনারজি সব শেষ হয়ে গেছিল। কেউ ছাপোষা রিটায়ার্ড বাবার চাপে, কেউ দুঃখিনী মাকে শেষ বেলায় একটু স্বচ্ছল জীবন উপহার দিতে, কেউবা মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে একটু হাসি ফোটাতে বিসিএসের কাছে আত্মসমর্পণ করলো। এইগুলো স্রেফ আমার বন্ধুদের গল্প। একবিন্দু মিথ্যা নেই এতে।



আর বাকি ছোটলোকের বাচ্চারা কেন বিসিএস দেয় জানেন? না, আপনাদের মত মানুষ রুপি পক্ষপাতদুষ্ট-অন্ধ জানোয়ারদের পক্ষে তা জানার কথাও না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কয়েক ডজন সাবজেক্ট আছে যেখানে ভর্তি হবার পর দিন থেকেই ছাত্ররা হতাশার লোনাপানিতে ভাসতে থাকে। একবারও ভেবে দেখেছেন ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, বাঙলা কিংবা ইংরেজি সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস, শান্তি সংঘর্ষ, পিওর ফিজিক্স কিংবা জুলজি, বোটানির ইত্যাদির এত এত ছাত্র পাশ করে বের হয়ে কি করবে? কি করার আছে এ দেশে? প্রত্যেকের পড়াশুনাকে কাজে লাগানর মত কাজ আছে এদেশে?

ঢাকা সহ প্রায় সকল পাবলিক ভার্সিটির সিংহভাগ ছাত্র ছোটলোকের ঘর থেকে এসেছে। তাদের তখন একটাই লক্ষ্য কিভাবে একটা চাকরি পাওয়া যাবে। কিভাবে গরীব পিতা-মাতার মুখে একটু হাসি ফোটানো যাবে। এরা জানে ইতিহাসের জ্ঞানে পণ্ডিত হয়ে এদেশে কিছু হবেনা, হলেও সবার হবেনা, মুন্তাসির মামুনদের হবে। তাই তারা নীলক্ষেতের বিসিএস গাইডে মন দেয়। এরা মেধাবী ছিলনা? কে এদের নষ্ট করেছে? অট্টহাসি দিয়ে মজা নেওয়া সেসব শূয়োরের বাচ্চা দের বলছি, এরা মেধাবী ছিল কিনা? হ্যা এরা পারতো শ্রেণীহীন সমাজ তথা সাম্যের জন্য আন্দোলন করতে কিন্তু একজন যোগ্য নেতা কি তারা পেয়েছে যে তাদের পথ দেখাবে? অনেকে আন্দোলনে যোগও দেয় কিন্তু কাঠামোর কাছে হেরে গিয়ে মাঝপথে পার্টি ছাড়তে বাধ্য হয়। জীবনের আনুষঙ্গিক জোটানই তার কাছে বড় সংগ্রাম হয়ে উঠে। এটাতো গেল এক জাতের ছোটলোক ‘মেধাবী’ দের কথা। আর এক জাতের ছোটলোক মেধাবীও আছে যারা বিসিএস দেয়।



জানি আপনাদের মত অহংকারি পণ্ডিতদের কাছে উপরের এসব স্ট্রাগ্লার বান্দির বাচ্চারা মেধাবী নয়, এরা কোথায় কোন প্রনালী, কোথায় সবচেয়ে বেশি ঘোড়ার দিম পাওয়া যায় এসব মুখস্ত করা ছাগল। তবে আজ সত্যটা শুনে রাখুন এই ছাগলদের মধ্যে একটা বিশাল অংশ আছে যারা অনেক কষ্ট করে টিউশন করে নিজে চলে, বাড়ীতে টাকা পাঠায় এবং সঞ্চয় দিয়ে বই কিনে পড়ে- এরা রাজনীতি, রাজনীতির উপরের রাজনীতি, আলগা বাম্পন্থি রাজনীতি সব বিষয়ে অবগত থাকার চেষ্টা করে। এরা গ্লোবাল জিও-পলিতিক্স বুঝে। কারণ এরা শুধু দুপাতা হুমায়ূন আজাদ, দুপাতা মার্ক্স পড়ার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। এরা দেশের মুক্তিযুদ্ধ বুঝে, তা নিয়ে যথাযথ স্থানে গর্বে বুক ফুলায় । কারণ এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ কোন দলের একছত্র সম্পত্তি না, এদের মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞান দুপাতা মুন্তাসির মামুন কিংবা অমি পিয়ালদের মত দলীয় ভাড়দের লেখা থেকে আসেনি। এই দর্শনহীন সমাজের মাঝেও এরা ফিলোসফি কিছুটা হলেও বোঝে। কারণ এদের ফিলোসফি জ্ঞান শুধু দুপাতা আরজ আলী মাতুব্বর পড়ে জন্মায়নি। তবুও এদের বিসিএস দিতে হয়। কারণ এদের সামনে কোন সৎ পেশার পথ খোলা নেই। অনেকে স্বপ্ন দেখে বিসিএস দিবে, পলিসি মেকিং এ গিয়ে কিছু বদলাবে। কেউ কিছু অবদান রাখতে পারে, কেউ সিস্টেমের ঢেউয়ে করাপ্ট হয়ে যায়। এরা যদি মেধাবী নাহয় নাহোক। কিন্তু এদের মেধহীন যদি কেউ বলে থাকে তাদের জন্ম থেকে জীবনের সহি আমলনামা একবার চেক করা উচিত।





=> যারা কোটা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিসিএস-এর সিস্টেম নিয়ে টিটকারি মারছেন তাদের উদ্দেশ্যেঃ



ফেসবুকে কিছু দলীয় বেজন্মা আছে, যদিও তারা নিজেদের মানবতাবাদী বলে পরিচয় দিয়ে থাকে, তারা বলতে চাচ্ছে কোটা আরও বাড়ানো উচিৎ। আবার কেউ বলছেন মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলে আজ এরা পিয়নও হতে পারতোনা, সুতরাং কোটা পদ্ধতি ঠিক আছে। এদের কাছে আমি একটা প্রশ্ন রাখতে চাই, কোটা=৫৫% বনাম মেধা=৪৫%, কোন সভ্য দেশে ইজ দ্যাট এনি ফেয়ার গেইম অব ল? পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠীদের সুযোগ করে দেবার জন্য কোটা থাকতে হবে, সেটা অবশ্যই থাকা উচিৎ। কিন্তু তাই বলে ৫৫%!! এইসব আবালদের কাছে কি সংখ্যাটা একবারের জন্যও এ্যাবনরমাল লাগেনা?



আর যারা মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ঋণ তাদের ছেলে-মেয়ে আর নাতি-পুতিকে চাকরি দিয়ে শোধ করতে চাওয়ার দুঃসাহস দেখায় তাদের জন্য আমার ঘৃণাও আসেনা। সোনালী ব্যাঙ্কের সার্কুলার দেয় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার বংশধরেরা আবেদন করতে পারবে, এইতো সেদিন ৩২ তম বিসিএস হল শুধু কোটাধারিদের জন্য, নন-ক্যাডার সার্কুলার দেয় শুধুমাত্র কোটাদের জন্য, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা যেকোন সরকারী চাকরীতে ৩২ বছর পর্যন্ত আবদেন করতে পারে অন্যদিকে সাধারণ ছাত্ররা ৩০ বছর পর্যন্ত, এত কিছুর পরও বিসিএস-এ ৩০% কোটা ধার্য করে রাখাটা কি আপনারা টোটালি সার্কাস্টিক লাগেনা। মুক্তিযোদ্ধা কোটাতে আপনি আগের বিসিএস-এ যোগ্য ক্যান্ডিডেট পান্নাই বলে পদশূন্য থাকে এর বদলা হিসেবে প্রিলি থেকেই কোটা চালু করতে হবে? এই এখতিয়ার কি পিএসসির আছে? পিএসসি কি তা সার্কুলারে জানিয়েছিল? যারা বিসিএস সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখেন না তারা বিসিএস নিয়ে কথা বলতে আসেন কেন? আমলারা চোর, ছোটলোক আর আপনারা মহান দেশপ্রেমিক সেটা নাহয় বুঝলাম কিন্তু একটা অন্যায় কে আপনারা অন্যায় বলতে যখন নানান ভাবে দিধাগ্রস্থ তখন আপনাকে শুধু ‘ধান্দাবাজ’ বলেই আমি শান্তি পেতে চাই। আমাদের কাছে তো আর ‘ছাগু’ সুলভ কোন তকমা নায় যে যার উপর খুশি বসিয়ে দিব।



আমার বাপ-মা, নানা-দাদা যুদ্ধ করেনাই দেশ স্বাধীন হবার পর অনেকের মত একটা সার্টিফিকেটও ম্যানেজ করতে পারেনাই- এর ঘানি আমায় কেন টানতে হবে? আর ৩০% মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নামে কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারটাও স্বচ্ছ নয়। আমি কোটা ব্যবস্থার বিপক্ষে নয়, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনেকরি কোটা সব মিলিয়ে ১/৪ অর্থাৎ একচতুর্থাংশের বেশি থাকাটা সমীচীন নয়। আর কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশোভন শব্দ করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির চেতনাধারী যদি এত বেশিই পাত্তা পেত বা থাকতো তবে ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এতদিন ধরে আন্দোলন চালাতে পারতোনা। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা এই দুটো জিনিস কোরআন শরীফের ন্যায় পবিত্র জিনিস; একে যারতার সাথে তুলনা করে খাটো করা, এবং ব্যবসা করা দুই দলের দল্বাজদের কাজ আর কারো না।



এবার যারা বিসিএস এক্সাম সিস্টেমের বিরুদ্ধে এ্যাকশন হিরোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হইছেন তাদের কে কিছু বলি। হ্যা আমিও আপনাদের মত বিশ্বাস করি এই এক্সাম সিস্টেম কলোনিয়াল, সেকেলে, মুক্তবুদ্ধির পথে অন্তরায় এ সিস্টেম। এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে উঠা উচিৎ সেটাও ষোল আনা যৌক্তিক কথা। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি ৩৪ তম বিসিএসের কোটাবিরোধি আন্দোলন চালাতে গিয়ে পুরো সিস্টেমের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয় তখন পুরো ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে ভাবতে পারেন? অনেকটা বাঙলা পরীক্ষা দিতে এসে অংক দেবার মত। শাহবাগে আবার একটা একটা করে পরীক্ষা দেবার রেওয়াজ কিনা। বিসিএসের এই আন্দোলন শুধু চাক্রি-হন্যে ৩৪ তম দের জন্য নয় এটা সবার আন্দোলন, সকল ছাত্রদের আন্দোলন। এটার বিরুদ্ধে সবাই একসাথে দাঁড়াতে হবে। আর মনে রাখবেন এই সিস্টেমটাই বাংলাদেশের সকল চাকরীর জন্য মোর ওর লেস সেইম উপায়। শুধু বিসিএসের দোষ দিলে আবারো ‘অন্ধ ধান্দাবাজ’ গালি খাবেন। এইটা পুরা সোশ্যাল স্ট্রাকচারের সমস্যা। আর একটা কথা যারা কোথায় আমাজান নদী শুকায় গেছে, কোথায় কার স্বামি মারা গেছে প্রশ্নের সিস্টেমের জন্য “জীবনেও বিসিএস দেয়নি-পরীক্ষা না দিয়ে বাড়িতে বলছি ফেইল করছি-জীবনেও দিমুনা” টাইপের আল্গা-র‍্যাডিকাল ভাব মারেন তাদের কে বলছি ভাই- এই একই বাল-ছাল মুখস্থ করে ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা কেন দিয়েছিলেন?



প্রিলিতে বাছাইয়ের জন্য এমন প্রশ্ন হয় সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এইসব আত্ম-রতিতে নিমগ্ন পণ্ডিতরা একবার ৯০০ মার্ক্সের রিটেন পরীক্ষা দিলে বুঝতো বিসিএসের প্রশ্ন কি জিনিস। যেকোন বেসরকারি ব্যাংক, কিংবা ফ্রার্মের এক্সামের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই তারা কি কখনও তুলনা করে দেখেছে এই ব্যাপারগুলো। তবুও আমি বলছি বিসিএসের বাছাই পদ্ধতিতে কিছু সেকেলে ক্রুটি রয়েছে, সেগুলো ঠিক করতে হবে। ভাই সমালোচনা করেন ভাল কথা, একটু অভিজ্ঞতা নিয়ে করেন। নাইলে মানুষ কইবো, চুদাইতে পারেনা তাই ডরাই আর বড় বড় কতা কয়।





=> সবশেষে যাদের ‘আমলা’ শব্দ শুনলেই নাক সিটকান তাদের উদ্দেশ্যেঃ



কিছু অতি-র‍্যাডিকাল মানুষে নিজেরে বেইচ্চা অফিসে সাংবাদিক কিংবা লেখক সেই তারায় আবার ফেসবুকে বামপন্থী বিপ্লবী সেজে ফতোয়া দেয়- আমলা হওয়ার জন্য আন্দোলন হল রাষ্ট্রকে আরো রক্ষার করার আন্দোলন।



হ্যা ভাই আপনারা ঠিকি কইছেন, আমাদের উচিৎ আমলা হবার পচনধরা বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে খাঁটি প্রথাবিরোধী হওয়া। তাই আসুন আমরা কালের কণ্ঠ, প্রথম আলু কিংবা ডেইলি স্টারের সাংবাদিক হিসেবে জয়েন করে সম্পাদকের ভন্ডাবি, দলবাজি, আর পুঁজি তথা আমেরিকার চামচামি মুখ বুজে সহ্য করার জন্য আন্দোলন করি। আসুন আমরা সাম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার হংকং-সাঙ্ঘাই, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড কিংবা ইয়ুনিলিভারের মত কর্পোরেট হাউসের অংশ হয়ে দেশ বিক্রিতে ভূমিকা রাখার জন্য আন্দোলন করি। আসুন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সরকারের পারপাজ কিভাবে সার্ভ করা যায় তা নিয়ে দিবারাত্র গবেষণায় মগ্ন থাকার অধিকার চেয়ে আন্দোলন করি। কিংবা সারাজীবন কম্যুনিস্ট করে করে, বিপ্লবের মুখে চুনকালি দিতে শেষ বয়সে পুঁজির দাসদের সাথে জোট করে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সে বিদ্যা অর্জন করার অধিকার চেয়ে আন্দোলন করি।



এইসব মুক্তবুদ্ধিজীবীদের ভাষ্য মোতাবেক- এদেশে নীতি ভ্রষ্ট ডাক্তার, দেশ-বিক্রেতা ইঞ্জিনিয়ার, হলুদ কিংবা কম্প্রমাইজিং সাংবাদিক, পচনধরা শিক্ষক, দলীয়গুণ কবি, ধান্দাবাজ এঞ্জিও ব্যবসায়ী সবকিছু হওয়া জায়েজ কিন্তু আমলা হওয়া যাবেনা। আমলা হওয়ার জন্য আন্দোলন হল রাষ্ট্রকে আরো রক্ষার করার আন্দোলন। আমলারা শকুনি রাষ্ট্রযন্ত্রকে একাই টিকিয়ে রাখছে অথছ উপরে উল্লেখিত মহান সেনারা তাকে উপড়ে ফেলার তীব্র চেষ্টায় লিপ্ত।



পরিশেষে একটা কথায় বলবো, যে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য দেশে আজ প্রায় সমস্ত পেশাজীবী ধান্দাবাজ ঠিক একই কারণে আমলারাও দুর্নীতিবাজ, নপুংশক। আমলারা স্বয়ং কাঠামো নয়; এই ঘুণে ধরা কাঠামোরই একটি বৃহৎ অংশমাত্র। একদিন হয়তো সব বদলাবে; এই রাষ্ট্রকাঠামো এবং সেই সাথে আমলাদের চেহারাও। সেই প্রত্যাশায় আরেক বার ক্ষমা চাচ্ছি। "



(উপরের অসাধারণ লেখাটা আমার না,আরেফিন ফিদেল ( Arefin Fidel ) এর,তার একটা নোট এর।হ্যাটস অফ ভাই।)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগুন পোষ্ট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ভন্ডদের মূখে আগুন
ভন্ডদের পশ্চাতে আগুন
তাদের ভন্ডামীতে আগুন!!!

+++++++++++++++++

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

নাইট বার্ড বলেছেন: ভালো,
সারাংস বলুন

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগুন পোষ্ট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

+++

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব ভাল লেখা

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ...

"
হ্যা ভাই আপনারা ঠিকি কইছেন, আমাদের উচিৎ আমলা হবার পচনধরা বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে খাঁটি প্রথাবিরোধী হওয়া। তাই আসুন আমরা কালের কণ্ঠ, প্রথম আলু কিংবা ডেইলি স্টারের সাংবাদিক হিসেবে জয়েন করে সম্পাদকের ভন্ডাবি, দলবাজি, আর পুঁজি তথা আমেরিকার চামচামি মুখ বুজে সহ্য করার জন্য আন্দোলন করি। আসুন আমরা সাম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার হংকং-সাঙ্ঘাই, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড কিংবা ইয়ুনিলিভারের মত কর্পোরেট হাউসের অংশ হয়ে দেশ বিক্রিতে ভূমিকা রাখার জন্য আন্দোলন করি। আসুন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সরকারের পারপাজ কিভাবে সার্ভ করা যায় তা নিয়ে দিবারাত্র গবেষণায় মগ্ন থাকার অধিকার চেয়ে আন্দোলন করি। কিংবা সারাজীবন কম্যুনিস্ট করে করে, বিপ্লবের মুখে চুনকালি দিতে শেষ বয়সে পুঁজির দাসদের সাথে জোট করে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সে বিদ্যা অর্জন করার অধিকার চেয়ে আন্দোলন করি। "-----

জ্বালাময়ী সত্য। যাকে আড়াল করে রাখতেই যত কর্পোরটে ভন্ডামী আর সুশীলপনা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.