নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনি এখন এমন একজন \"সাহসী\" মানুষের প্রোফাইলে ঢুকেছেন,যে কিনা ভাগ্যের কাছে সব সময়ই পরাজিত।

টি-ভাইরাস

জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই...একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...

টি-ভাইরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় কবি নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২





মানবতা ও প্রেমের জয়গানে দৃপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সমাজ আর মানুষের সম্মান প্রতিষ্ঠাই ছিল তার দেশকালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টির লক্ষ্য। গোটা বাংলা সাহিত্যে নজরুল এক ব্যতিক্রমী কবিপ্রতিভা। বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত হলেও সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তার ছিল স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ। ব্যক্তিজীবন ও পারিপার্শ্বিকতার অসম্ভব প্রতিকূলতা তার বহুমুখী প্রতিভাকে ছুঁতে পারেনি। আর তাই ‘চির উন্নত শির’ নজরুল আমাদের জাতীয় মর্যাদার প্রতীক।



অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে দুরন্ত এ শিশুটির জন্ম ১৮৯৯ সালে। ১৯৭৬ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ১১৭ নম্বর কেবিনে ইন্তেকাল করেন। সে দিন ছিল বাংলা ১২ ভাদ্র।



নজরুল হয়ে উঠেছিলেন গোটা ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুক্তি ও চেতনার কবি। বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলে, শোষকের রক্তচু উপেক্ষা করে শক্তিমান লেখনীর মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ গড়ে জেল খেটেছেন একাধিকার। রাষ্ট্রীয় শোষক গোষ্ঠীর আনুকূল্য চাননি তিনি। তাই অকপটে বলে গেছেন- ‘হে দারিদ্র্য তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সম্মান’।



নজরুল তদানীন্তন পূর্ববাংলায় এসেছেন অনেকবার। ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুরে কৈশরের অনেকটা সময় কেটেছে তার। ব্যক্তিজীবনে প্রচণ্ড অভিমানী ছিলেন তিনি। কুমিল্লার মুরাদনগরের দৌলতপুর গ্রামে বন্ধু আলী আকবর খানের বাড়িতে গেছেন। সেখানে বিখ্যাত এক মুসলিম পরিবারের কন্যা নার্গিসের সাথে তার বিয়ে হয়। পরে বিচ্ছেদ ঘটে। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে বসবাস করা তরুণী প্রমীলাদেবীকে পরে বিয়ে করেন নজরুল। প্রমীলার ঘরেই তার সন্তানদের জন্ম।



বাংলা ভাষার ঐশ্বর্য এবং নিজস্ব পরিমণ্ডল সৃষ্টি করে নতুন এক বিস্ময়ের সূচনা করা এ মহান মানুষটি শেষ জীবনে বাকশক্তিহীন ছিলেন। অসুস্থ নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলা সহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ সালে কবিকে দেয়া হয় অমর একুশে পদক।



জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া আলাদা বাণীতে নজরুলের আদর্শ ও চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন।



কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পালিত হবে বিভিন্ন কর্মসূচি। আজ ভোরে ঢাকার সব পথের ঠিকানা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে কবির মাজার। ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হবেন কবি। অন্তত বছরের দু’টি দিন তাকে নিয়ে এ মাতামাতি থাকবে!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যিনি ধুমকেতুর মত
আবির্ভাব হয়েছিলেন জগতে ।
দিয়ে গেল তার বিদ্রোহী জাগরণে জনতার চেতনা
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গাইল যিনি সাম্যর স্তবগান ।।
আজিকায় তার সম্মান ও মর্যাদা সারাদুনিয়ায় মানবের আনিল কল্যান ।।
মহান জাতীয় কবির আত্মায় আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.