নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনি এখন এমন একজন \"সাহসী\" মানুষের প্রোফাইলে ঢুকেছেন,যে কিনা ভাগ্যের কাছে সব সময়ই পরাজিত।

টি-ভাইরাস

জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই...একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...

টি-ভাইরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ক্রস ফায়ার এর গল্প...

০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:১৬



আজ ডেইলিস্টার কক্সবাজারের টেকনাফের যুবলীগ নেতা একরামুল হত্যা ক্রসফায়ারের সময়ের একটি অডিও প্রকাশ করেছে। অডিওর কথাগুলো সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরলাম ।

এক: (মেয়ের সাথে মোবাইলে একরামুল) আম্মু আমি ঐ যে মেজর সাহেবে ডাকছে যে গেছিলাম, এখন টিএনও অফিসে যাচ্ছি তোমার আম্মুকে বলিও।

হ্যালো আব্বু হ্যালো.... জ্বী আম্মু (ভারী গলায়)আমি লীলা যাচ্ছি জরুরী কাজে।কেনো? যাচ্ছি আম্মু ঠিক আছে, যাইতে হচ্ছেতো (চাপা কান্না জড়িত কন্ঠ)। মেয়েঃ আব্বু তুমি কানতেছো ?

দুই: একরামের স্ত্রীর ফোন রিসিভ কে করেছে তার তথ্য নেই ।

আল্লাহ আঁরে মোবাইলডা দে (কল কানেক্টেরর জন্য দোয়া) রিং হচ্ছে...রিসিভ হল, স্ত্রী হ্যালো..হ্যালো.. হ্যালো কে? আমি কমিশনারের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি।আমি উনার মিসেস বলতেছি হ্যালো... ঐ সময় ফোনের অপর পাশের মৃদুস্বরে তাহলে তুমি যাদের নাম বলেছো এরা সরাসরি জড়িত ?
: না সরাসরি না ।
এরপর বন্দুকে বুলেট লোডের শব্দ তারপর গুলি । ঠাস ... ... ঠাস !
একপাশ থেকে ও আল্লাহ বলে একরামুলের স্ত্রী- সন্তানের আর্ত-চিৎকার ভেসে আসে ।

এরপর আরও কয়েকটি গুলির শব্দ ... ... পুলিশের সাইরেন, বাঁশির শব্দ শোনা যায়। পাশাপশি পুলিশের কথোপকথন ----"খোসা কয়টা পেয়েছিস ! হাত বাঁধা না খোলা ! পিস্তল কয়টা রাখসিস ? একটা লোড দুটো আনলোড পকেটে দিয়েছি ! পকেটে কেন দিলি"... ... ???

এই ছিল পুলিশের বন্দুক যুদ্ধের নমুনা ! হত্যাকান্ডে সমর্থন দেয়ার মত অতো উর্ব্বর মস্তিষ্ক অামার নয় ।
কেউ জয় বাংলা না বলে জাবেন না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:২৯

অসমাপ্ত গল্পের রাজকুমার বলেছেন: আমরা এমনই এক সমাজের বাসিন্দা ,বলার ভাষা নেই আমার,বিচার বিভাগের মৃত্যু হয়েছে তারই প্রমাণ .
আর চিন্তা করার প্রয়োজন নেই কারন এর বিচার হবার কোন আশংকা নেই, উল্টো প্রমোশন পেতে পারেন হত্যার জন্য.

০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:৪০

টি-ভাইরাস বলেছেন: একরামুলের মেয়ের আর্তনাদ দেখার পর যে কোন বিবেকবান মানুষের হৃদয় বিগলিত হতে বাধ্য। যদি এরপরেও কেউ বিনা বিচারের এই হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করে। তাহলে বুঝে নিবেন, সে আর মানুষ নাই, আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে।

২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৯

অসমাপ্ত গল্পের রাজকুমার বলেছেন: কে আওয়ামিলীগ কে জামাত কে কি তা জানি না,শুধু জানি আমরা মানবতা হারিয়ে ফেলেছি,আমরা তনুদের বিচার করতে ব্যর্থ ,আমরা সাগর রুনির হত্যা কারীদের বিচারে ব্যর্থ ,আমরা রানা প্লাজার শহীদের জন্য কিছু করতে পারি না,সে জাতী আমরা.

৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এই কথাগুলো আমাদের ঠাঠা মফিজও বলেছিলেন। আফসোস সেটা প্রতিদিন সত্য হয়ে চলেছে..

এরাই আমাদের দেশ রক্ষক আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত সন্ত্রাসী কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ভরণপোষণ প্রাপ্ত!

৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইকরামুলের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে আমরা কি জবাব দিব!

০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

টি-ভাইরাস বলেছেন: বলতে হবে আমাদের ইনকাম ট্যাক্সর টাকা দিয়ে অস্র নিকে তার স্বামীকে কে হত্যা করেছে সরকার

৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনার নামে স্বৈরাচার, গণতন্ত্র হত্যা, আইন ও বিচার ব্যবস্থার তছনছ
৭২-৭৫ এমনই আতংক আর দু:সময় কি পার করেছিল স্ব-দেশ?
রক্ষী বাহিনীর নির্যাতনকে কি পেছনে ফেলে দিচ্ছে চলমান আইনের অপপ্রয়োগ!

বিনা বিচারে অনির্বাচিত সংসদ লয়ে দম্ভ -পুরানো দম্ভ
প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকে ক্রশ ফায়ার বলে করা সেই দম্ভ কোথায় সিরাজ শিকদার?
আর আজো সেই দম্ভৌক্তি শুনি- যারে ধরি তারে ছাড়ি না!!!!!!!

ইয়াবা বদি নিরাপদে দেশ ছাড়ে,
সন্ত্রাসী জোসেফ কখন মুক্তি পায় জানেনা স্বরাষ্ট্রম্ত্রী!
পূর্ন ব্যার্থ এবটা রাষ্ট্রে চলছে স্বৈরচারিতার মহোৎসব!

স্বাধীণতার চেতনার দোহাই দিয়ে স্বাধীনতা হরণ!
স্বাধীন স্ব-দেশে -স্বৈরাচারিতায় স্তব্ধ, আমজনতা! নো ওয়ে অব রিটার্নে রাজনীতি!
মর অথবা বিপ্লবী হও। মুক্তি, অধিকার আর স্বাধীনতার প্রয়োজনে এই কি সমাধান?

০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

টি-ভাইরাস বলেছেন: সহমত, মর অথাবা বিপ্লবী হও

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: বাংলাদেশের জনগনের এখন আর সেই শক্তি নেই যে এসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে।

০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

টি-ভাইরাস বলেছেন: কিন্তু যখন রুখে দারারে সে দিন হবে সব শেষ, গাদ্দাফি, সাদ্দাম কালের ইতিহাসে অনেকে সাক্ষি আছে

৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের দেশে বিচার ব্যবস্হা খুবই দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে এবং বিচারপ্রার্থীরা জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময়ই এর পিছনে দৌড়াদৌড়ি করে অর্থ, শ্রম ইত্যাদি নষ্ট করে ফেলে। এই জন্য মানুষ প্রচলিত বিচার ব্যবস্হার উপর আস্হা প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। আর রাজনৈতিক শেল্টার প্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের বিচার হয় না বললেই চলে। এইজন্য রাবের ক্রশফায়ারকে প্রথমদিকে সকলেই স্বাগত জানিয়েছিল চিন্হিত সন্ত্রাসীদের শর্টকার্টে মেরে ফেলার জন্যে। কারন তখন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব সেটা কেউ বিশ্বাস করতো না। এদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা বা কোর্টে যেয়ে সাক্ষী দিতেও ভয় পেত সবাই।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটা অন্যরকম। কিন্তু যারা এদের ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সেই সকল গডফাদাররা বরাবরের মতই ধরা-ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার ক্রশফায়ারকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে ব্যানিজ্যের কথাও শোনা যাচ্ছে।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: চাদ্গাজি ভাই আসেন নাই এখনো?

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

টি-ভাইরাস বলেছেন: ভাই এইগুলা কি বলেন, তার চেতনাতে আঘাত দিতে হয় নাকি, উনি চেতনা বিক্রি করে চলেন, এইসব ভালো কাজে উনি আসবে নাকি, উনি আসবে তেল মারতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.