নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনি এখন এমন একজন \"সাহসী\" মানুষের প্রোফাইলে ঢুকেছেন,যে কিনা ভাগ্যের কাছে সব সময়ই পরাজিত।

টি-ভাইরাস

জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই...একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...

টি-ভাইরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে লুটের শেষ নেই..

১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২



ছবির ক্রেস্টটি কোনও ব্যক্তি বিশেষের সম্মাননার জন্য নয়, এটি একটি বিয়ের কার্ড। জনতা ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের সিবিএর সভাপতি রফিকুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের কার্ড। বিয়ে হবে আগামী ২২ জুলাই, ২০১৮।

এই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোতে ‘একক ব্যক্তির ঋণে বৃহত্তম কেলেঙ্কারি’ শিরোনামের একটি হইচই ফেলে দেয়া রিপোর্ট সবার মনে থাকার কথা। জনতা ব্যাংক সকল নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এননটেক্স গ্রুপের ইউনুস বাদলকে ৫০০০ কোটি টাকা ‍ঋণ দেয়। জনতা ব্যাংকের মোট মুলধন ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। দেওয়া হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ।

ওই রিপোর্টে জানা যায়, ইউনুস বাদলকে ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন সিবিএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তার নগদ প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিবেদকের কাছে রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে। নিজের নামে গ্রামে ২০১ গম্বুজের মসজিদ বানাচ্ছেন, যাতে মোট খরচ হবে ২৫০ কোটি টাকা। ইউনুস সাহেব মসজিদের জন্য শতকোটি টাকার উপরে দিচ্ছেন (রফিকুল নিজে দিচ্ছেন এই তথ্য)।

আশ্চর্যের বিষয় হল- এই বিয়ের কার্ডে রফিকুলের পরিচয়ের মধ্যে উল্লেখ করা হচ্ছে যে তিনি ২০১ গম্বুজ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। অর্থাৎ দুর্নীতি ও লুটপাটের চিহ্ন গোপন করা দূরে থাক; তিনি ফলাও করে সেটাকে প্রচার করছেন। যে অপরাধে অনিবার্যভাবে তার জেলের ঘানি টানার কথা, তাকে বরং গৌরবচিহ্ন হিসেবে সমাজে উপস্থাপন করছেন। এটা ঘটতে একটা রাষ্ট্রকে কতটা লুটেরা ও দেউলিয়া হতে হয় তা ভাবলে বিস্ময় বোধ করি।

আরো পরিতাপের বিষয় হল—এই একটি বিয়ের কার্ডে রফিকুল ইসলামের পরিচয় হিসেবে মোট ৩ বার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটা যে মুক্তিযুদ্ধের জন্য কত বড় অপমান—তা আজকাল লোকেদের ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। আফসোস!
(বাকি বিল্লাহ)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

শামচুল হক বলেছেন: চুরি করলেও ঈমানদার আছে। মসজিদটা তো দেখতে যাওয়া লাগে।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

স্পার্টাকাস৭১ বলেছেন:
আমি অবাক হতাশ আর বিষন্ন!
এই দেশে অন্যায়টা ন্যায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েগেছে। ভাল হওয়ার কোন সম্ভবনাই আর অবশিস্ট নাই (উপরের কমেন্টটা লক্ষ করেন)।
যে বলে আমি এখনো আশাবাদি সে আসলে প্রতারনা করে বলে।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ক্স বলেছেন: টাঙ্গাইলের ঐ ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়তে যাবার একটা আকাঙ্ক্ষা মনের মধ্যে ছিল। কিন্তু যে মসজিদ হারামের টাকায় বানানো, সে মসজিদে নামাজ পড়া তো দূরের কথা, থুতু ফেলাও গুনাহর কাজ হবে বলে আমি মনে করি। বাইতুল্লাহর খতিব, যাকে দিয়ে এ মসজিদ উদ্বোধন করানো হবে - উনি কি এই তথ্য জানেন?

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের দেশের বেশিরভাগ দুর্নীতিবাজ মনে করে দান-খয়রাত মসজিদ-মাদ্রাসা করে দিলে তাদের হারাম টাকা হালাল হয়ে যায়। আমাদের দেশের কিছু মোল্লা মৌলভী ওয়াজ মাহফিলে এইসব দুর্নীতি ,ঘুষ, সুদের বিরুদ্ধে বললেও যখন তারা মসজিদের দান করতে আসে তখন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয় না। বরং তাদেরকে আরো উৎসাহ দেয় দান খয়রাত করার জন্য!

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ৪নং মন্তব্যের উত্তরে কিছুটা না বললেই নয়, আসলে আলেম ওলামারা সব সময় বলে থাকেন হারামের টাকা দান করলে তাকে সওয়াবতো হবেই না বরং গুণাহ হবে। ইনফেক্ট এটাই মাসআলা, হিরণ ভাই আপনি হয়তো নাও জেনে থাকতে পারেন।
এখন যেখানে আমাদের সমাজের বড় বড় পয়সাওলারা সমাজের চাবিকাঠি সেখানে তারা যদি দান খয়রাত করে তাহলে আলেমরাতো প্রকাশ্যে নিষেধও করতে পারেন না, বিভিন্নভাবে তদের হেরেজমেন্ট হওয়ার ভয়ে। এজন্য রাষ্ট্র সজাগ থাকতে হবে। দুর্নীতিতো সকল স্তরেই গেঁথে আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে তেমন কথা বলিনা। হুজুরদের কোন দোষ দেখলেই সেটা নিয়ে পাড়া মাথায় তুলি।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০২

ব্লু হোয়েল বলেছেন: হাদিসের দৃষ্টিতে এটি সুষ্পষ্ট কেয়ামতের আলামত ।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

Ashfi Tuhin বলেছেন: বিয়েটা অন্তত খেতে মন চাচ্ছে।।।প্লিজ আমাকে কেউ ব্যবস্থা করে দেন ভাইলোক

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনারা সবাই আসল কথা বাদ দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়েছেন। যে সিবিএর নেতা সে ৪র্থ শ্রেণি অথবা বড়জোড় ৩য় শ্রেণির কর্মচারী সুতরাং সে এতো টাকা পেলো কোথায়? যে ২০/৩০ হাজার টাকার চাকুরী করে সে শত শত কোটি টাকার মালিক হলো কি করে? এগুলোর কোন উত্তর নেই।

উত্তর আছে একটা খালেদা জিয়া বড় চোর; জেল হয়েছে!!!!!!!

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

টি-ভাইরাস বলেছেন: ভালো বলেছেন। এইজিনিসটা কারো মাথায়া আসতেছে না।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

ব্লু হোয়েল বলেছেন: তারা কিন্তু সততার তকমা সংরক্ষণকারী ।

১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আর মানুষ নাই।
অমানুষে পরিনত হয়েছে।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিদ্রিত জনতা জাগলে সব দুর্নীতির বিচার হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরকম ন্যাক্কারজনক দুর্নীতির দৃষ্টান্তটা জনসমক্ষে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

ঢাকার লোক বলেছেন: আমি অবাক বিষন্ন আর হতাশ
কি বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস !

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হরিলুট

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

নীলপরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.