নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুষন্ডীর কাক

Our greatest weakness lies in giving up. The most certain way to succeed is always to try just one more time. Thomas A. Edison

সবুজ স্বপ্ন

স্বপ্নসারথী..নতুন যুগের পথ চেয়ে আছি। বর্তমানে কাজ করছি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সবুজ স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যে ঘেরা ‘আদম পাহাড়’

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০০

শ্রীলংকার রহস্যময় এক পাহাড়। নাম তার আদম পাহাড়।নানা কারণে এ পাহাড়টি রহস্যে ঘেরা। এর শীর্ষে রয়েছে বিরাট আকারের এক পায়ের ছাপ। রহস্য তা নিয়েই। এ পায়ের ছাপকে সব ধর্মের মানুষই পবিত্র হিসেবে মনে করে।



শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বে নানা রকম পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। এসব পায়ের ছাপ একেকটা একেক রকম। আকৃতি নানা রকম। কিন্তু এসব পায়ের ছাপ সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ দীর্ঘদিন ধরে। এমনই এক পায়ের ছাপ আদম পাহাড়ে। শ্রীলংকার মুসলমানরা বিশ্বাস করেন পৃথিবীর আদি মানব হজরত আদম (আ.) প্রথম এই শ্রীলংকায় পদার্পণ করেছিলেন। ওই পাহাড়ে রয়েছে তারই পায়ের ছাপ। তার জন্য এ পাহাড় ও পাহাড়ের ওই পায়ের ছাপ মুসলমানদের কাছে পবিত্র হিসেবে পরিণতি হয়ে আসছে।



শুধু শ্রীলংকার মুসলমানরাই নয়, এর বাইরের অনেক দেশের মুসলমান বিশ্বাস করেন হজরত আদম (আ.)-কে যখন পৃথিবীতে পাঠানো হয় তখন তিনি প্রথম পা রাখেন শ্রীলংকায়। আর আদম পাহাড়ের ওপর ওই পায়ের ছাপ দেখে তারা মনে করেন তা হজরত আদম (আ.)-এর। এজন্য মুসলমানরা এ পাহাড়কে অসীম শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। আর এজন্য এর নাম দেয়া হয়েছে আদমস পিক বা আদমের পাহাড়। এ পাহাড়ের প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। এ পাহাড়ের চূড়ায় যে পদচিহ্ন রয়েছে সেখানে পৌঁছা খুব ঝুঁকিপূর্ণ এডভেঞ্চার। তবে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। তারা নিজের চোখে ওই পায়ের ছাপ দেখে বিস্মিত হয়েছেন। এই পায়ের ছাপ শুধু মুসলমানদের কাছেই নয়, একই সঙ্গে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও হিন্দুদের কাছেও পবিত্র। তারাও মনে করেন তাদের ধর্মের সঙ্গে এর রয়েছে ওতপ্রোত সম্পর্ক। এতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আদমের পাহাড় সব শ্রেণীর মানুষের কাছেই পবিত্র। তারা শ্রদ্ধার চোখে দেখেন এ পাহাড়কে। তারা সবাই স্বীকার করেন এ পাহাড়ের চূড়ায় আছে ওই পবিত্র পদচিহ্ন। তার আকৃতি বিশাল। শুধু এজন্যই নয়, এ পাহাড় নিজেই একটি রহস্য।



এ্যাডামস পিক পাহাড় আরোহণ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চূড়ায় পৌঁছতে হলে যে পথ তা চলে গেছে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। সেই জঙ্গল নানারকম ঝুঁকিপূর্ণ। আছে বিষধর কীটপতঙ্গ। তবে চূড়ার কাছাকাছি একটি ধাতব সিঁড়ি আছে। তাতে রয়েছে ৪০০০ ধাপ। এর প্রতিটি ধাপ নিরাপদ নয়। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শীর্ষে যেতে হলে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। জটিল এক আবহাওয়ার এক অঞ্চলের মধ্যে এর অবস্থান। বছরে মাত্র তিন থেকে চার মাস এ পাহাড়ে আরোহণ করা যায়। বছরের অন্য সময়টাতে এতে আরোহণ অসম্ভব হয়ে ওঠে। কারণ, কাব্যিক অর্থে বলা যায় এ পাহাড় তখন মেঘের ভিতর লুকিয়ে যায়। চারদিক থেকে মেঘে জেঁকে ধরে।





এ পাহাড় ও পাহাড়ের পদচিহ্ নিয়ে একটি বই লিখেছেন মারকুস অকসল্যান্ড। বইটির নাম ‘দ্য স্যাক্রেট ফুটপ্রিন্ট: এ কালচারাল হিস্ট্রি অব আদমস পিক’। এতে বলা হয়েছে, এ পাহাড়টি ২২৪৩ মিটার উঁচু। আকৃতি কোণের মতো। ভারত মহাসাগর থেকে এ পাহাড় পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। আগেকার দিকে আরবের সৌখিন ব্যক্তিরা সমুদ্র যাত্রায় এসে পিরামিডের আকৃতির এ পাহাড় দেখে পুলকিত হতেন। তাদের কেউ কেউ এটাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পাহাড় বলেও অভিহিত করেছেন। প্রাচীনকালে সিংহলিরাও এ পাহাড়কে বিশাল উচ্চতার বলে মনে করতেন। কেউ কেউ মনে করতেন এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ পাহাড়। ৮৫১ সালে এ পাহাড়ে পদচিহ্ন প্রথম দেখতে পান আরবের সোলাইমান। রত্নপুরা হয়ে পবিত্র এ পাহাড়ে আরোহণ করেছিলেন বিখ্যাত আরব দার্শনিক ইবনে বতুতা। তিনি এখানে উঠার জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন বারবেরিন থেকে। তার আগে ব্যাপক পরিচিত বণিক ও ভ্রমণ পিপাসু মার্কো পোলো আদমের পদচিহ্নে তার সম্মান জানানোর জন্য আরোহণ করেন এ পাহাড়ে। তিনি ১২৯২ সালে চীন থেকে ভেনিস যাওয়ার পথে এ সফর করেন।



এ পাহাড়ের চূড়া সামান্য একটি সমতল ক্ষেত্র। ১৮১৬ সালে লেফটেন্যান্ট ম্যালকম এর পরিমাপ করেন। তাতে দেখা যায় এর দৈর্ঘ্য ৭৪ ফুট এবং প্রস্থ মাত্র ২৪ ফুট। মোট আয়তন ১৭৭৬ বর্গফুট। এর চূড়ায় রয়েছে একটি প্রকাণ্ড পাথরখণ্ড। এর উচ্চতা ৮ ফুট। এর ওপরেই রয়েছে ওই পদচিহ্ন। এর দৈর্ঘ্য ৬৮ ইঞ্চি। ৩১ ইঞ্চি চওড়া। তবে বৌদ্ধরা মনে করেন, ওই পদচিহ্ন হলো বুদ্ধের বাম পায়ের। বুদ্ধ তার অন্য পা রেখেছিলেন বর্তমানের থাইল্যান্ডে (আগে যা সিয়াম নামে পরিচিত ছিল)। থাইল্যান্ডে রয়েছে তার ডান পায়ের ছাপ। থাই ভাসায় একে বলা হয় ফ্রা স্যাত। সেখানে পায়ের ছাপের যে মাপ তা আদম পাহাড়ের পায়ের ছাপের মতোই। আকারও এক রকম। একই রকম পদচিহ্ন আরও পাওয়া গেছে লাওসে, ক্যাবোজে ও চীনে। বৌদ্ধরা ধারণা করেন, বুদ্ধ ছিলেন ৩৫ ফুট লম্বা। তাই তিনি এত দূরে দূরে পা ফেলতেন। তবে এই পদচিহ্নকে খ্রিস্টানরাও সম্মানের চোখে দেখে। ১৫০৫ সালে শ্রীলংকা সফরে এসেছিলেন পর্তুগিজ এক নাগরিক। তিনি এ পাহাড়কে বলেছেন পিকো ডি আদম। তারা মনে করেন সেইন্ট থমাস দ্য ডাউবটার ভারত ও শ্রীলংকা এসেছিলেন। এরপর তিনি এই পাহাড়ে পা রেখে স্বর্গে চলে গিয়েছেন। তবে হিন্দুরা মনে করেন, ওই পদচিহ্ন হলো শিবের পায়ের।



সকল ধর্মের মানুষের কাছেই এ এক মিলন মেলার নাম যেখানে সকলেই খুঁজে পায় তার বিশ্বাস আর শান্তির উৎস।





(পত্রিকা /ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত )

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১

আদম_ বলেছেন: ঠিকই আছে।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পোস্টে ++++++++++++++++++

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

কালো গুপ্তচর বলেছেন: অনেক মুল্যবান এবং তথ্যবহুল পোষ্ট। অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

রাশেদ আহমেদ শাওন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

 বলেছেন: ++++++++++++

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার কাহিনীর পোষ্ট । +++

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

সুমন কর বলেছেন: ভাই জান, পুরাই কপি করলেন অথচ উৎস দিলেন না। X(( X(( X((


কিংবা ছোট করে সংগৃহীত ও লিখলেন না।

সামুর কর্তৃপক্ষকে বলবো, পোস্টটি সরিয়ে নিতে।

২০১৪ নভেম্বর ০১ ০০:২৩:২১ তারিখে প্রকাশিত।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

সবুজ স্বপ্ন বলেছেন: ভাই উৎস দেয়া আছে আপনি হয়ত চোখে পরেনি

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কপি পেস্ট করলে উৎস উল্লেখ করা উচিৎ !!!! :-<

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১০

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: অন্ধকার অার অজ্ঞতা কি আজগুবি চেতনার জন্ম দেয়!

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

আকাশ মামুন বলেছেন: সুন্দর লেখা। তবে লেখার ভিতর পুনরাবৃত্তি গুলো এডানো গেলে লেখা আরও বেশি সুখপঠ্য হত।

শুভ কামনা কথা সাহিত্যিক।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

রাফসান বড়ুয়া বলেছেন: আরো ভালো ভাবে জানতে হলে, Travels Of Ibn Batuta পরতে পারেন।
ভালো লেখা....।

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

সবুজ স্বপ্ন বলেছেন: এডিট করে উৎস িদেয়িছলাম কিন্তু আসে নাই

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

সুমন কর বলেছেন: আমি দেখেছিলাম এবং যখন মন্তব্য করি তখন ছিল না। আপনি অনেক পরে দিয়েছেন।

ঠিক আছে, ভবিষ্যতে দিয়ে দিলেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.