নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নসারথী..নতুন যুগের পথ চেয়ে আছি। বর্তমানে কাজ করছি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই ভাবনার শুরু ১৯৪৭ সালে। কিন্তু, সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু হয় ২০০০ সালে। ১৭ বছর ধরে ১২ বিলিয়ন ডলার খরচা করে অবশেষে সেই ভাবনা আজ দিনের আলো দেখেছে। যার জন্য আজ বিশ্বকে গর্বিত করার সুযোগ দিতে চলেছে সুইৎজারল্যান্ড। কী সেই ভাবনা? আল্পসের বুক চিরে ৫৭ কিমি বা ৩৫ মাইল রেলওয়ে সুড়ঙ্গ। যা বিশ্বের দীর্ঘতম রেল সুড়ঙ্গ। সুইৎজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখ এবং ইতালির অন্যতম প্রাচীন শহর মিলানকে একসুতোয় জুড়ে দেবে এই রেলপথ।
আল্পসের বুক চিরে এই রেলপথ বানানোর স্বপ্ন এতটাই কঠিন এবং ব্যায়বহুল ছিল যে, তা বাস্তবায়িত করতে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে সুইৎজারল্যান্ড সরকারকে।১৯৪৭ সালে এই রেলপথের ভাবনা ছবিতে এঁকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুইস ইঞ্জিনিয়ার কার্ল এডুয়ার্ড গার্নার। এর জন্য এমন এক রেল সুড়ঙ্গের কথা তিনি এঁকেছিলেন যা বিশ্বের দীর্ঘতম হবে।
কিন্তু, সুইৎজারল্যান্ড সরকারের মনে হয়েছিল গার্নারের এই ভাবনা শুধু অবাস্তবই নয়, পাগলামো। কিন্তু গত শতকের ৮০-র দশকের শেষ থেকে এই নিয়ে সুইৎজারল্যান্ডে উদ্যোগ শুরু হয়। ১৯৯২ সালে এর জন্য গণভোট হয়। কিন্তু, তাতে প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। ১৯৯৮-এ ফের গণভোট নেওয়া হলে প্রকল্পে অনুমোদন দেন সুইসরা।
২০০০ সালে কাজ শুরু হওয়ার পর ২৪০০ জন কর্মী ২৮ মিলিয়ন টন পাথর কেটে আল্পসের ভিতর দিয়ে এই রেল সুড়ঙ্গ তৈরি করেন।এর ফলে, মাত্র ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে জুরিখ থেকে মিলানে পৌঁছে যাওয়া যাবে। ২০২০ সালের মধ্যে এই রেলপথে রোজ অন্তত ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন বলে দাবি করছেন সুইস রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবারই খুলে দেওয়া হচ্ছে এই রেলপথ। যার মেগা উদ্বোধনে হাজির থাকছেন জার্মানির চ্যান্সেলর থেকে ইটালির প্রধানমন্ত্রী— ইউরোপের হুজ-হু’রা।
(বিদেশী পত্রিকা হতে সংগৃহীত )
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন...
শুভকামনা...