নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাপ্তি

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫


(এক)
সারা আব্দুন নূর সাহেবের সর্বকনিষ্ঠা মেয়ে। এখনো চঞ্চল্যতা ও দুষ্টুমিতে সেরা। এবছর কলেজে ভর্তি হয়েছে মাত্র। আব্দুন নূর সাহেবের তিন মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। ছেলেটি শিশুকালেই মারা যায়। সারার জন্মের পর ব্লাড ক্যান্সারে তার মা মারা যান। তাই সারাদের পরিবার বলতে তারা তিন বোন ও তাদের বাবা আব্দুন নূর সাহেব। মোট চারজনের সুন্দর এক ছোট পরিবার। আব্দুর নূর সাহেব অনেক কষ্টে মেয়েগুলোকে শিক্ষিত করে তুলছেন। বড় মেয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষে, তার ছোটটা সবে অনার্স প্রথম বর্ষে উঠল। আর সবার ছোট সারা এখন এইচএসসিতে ভর্তি হয়েছে মাত্র। সারা আজ এক সাপ্তাহ হল নিয়মিত তার নতুন কলেজে আসা-যাওয়া করছে। কলেজে যাওয়ার পর থেকে সারার হাস্যমুখে যেন সবসময় মেঘের ঘনঘটা লেগেই থাকে। এই পরিবর্তনটি আব্দুর নূর সাহেবের দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করতে পারে নি। অনেক চেষ্টার পরও আব্দুন নূর সাহেব এর কারণটা ঠিক উদঘাটন করতে পারছেন না। তিনি মেয়েদের সাথে খুব বেশি ফ্রি; অন্যান্য বাবাদের চেয়ে একটু বেশিই হয়ত। তাদেরকে কখনো মায়ের শূন্যতা বুঝতে দেননি। সারার এ অবস্থা আব্দুন নূর সাহেবকে মোটেও শান্তি দিচ্ছিল না। তাই তিনি সারাকে একান্তে নিয়ে বসলেন। বাসার ছাদে সারার বড় বোন স্বপ্না তৈরি করেছিল এক মনোমুগ্ধকর বাগান। আব্দুন নূর সাহেব মেয়েকে নিয়ে এখন সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। উভয়ের দৃষ্টি দূরের ব্যস্ত রাস্তার দিকে।
আচ্ছা মা, আমি কি কখনো তদের কষ্ট দিয়েছি?
আকস্মিক এমন প্রশ্ন শুনে বাবার হাত শক্ত করে চেপে ধরে সারা পালটা প্রশ্ন করলো,
কেন বাবা হঠাৎ এমন কথা বলছো কেন?
না মা, এমনিতেই জিজ্ঞেস করছি। আজকাল তর মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে বুঝি?
না বাবা, তুমিই তো আমাদের মা-বাবা। তবে এখন মায়ের কথা মনে করিয়ে দিলে।
স্যারি মা, আমি এমনটা বলতে চাইনি।
তাহলে কী বলতে চাচ্ছ শুনি!
তুই কী অসুস্থ? তর বউমা (ডাঃ সুলতানা)কে ডাকবো?
না বাবা, আমি অসুস্থ না। অসুস্থ হলে আমিই বউমার বাসায় চলে যেতাম। কাকাকেও দেখে আসতাম।
তকে একটা প্রশ্ন করবো, উত্তর দেবি?
এতক্ষণ তো তুমি প্রশ্ন করেই আসছ, আমি কি উত্তর দেই নি?
এই তো তুই রাগ করলি, আচ্ছা বলতে হবে না
রাগ করলাম কই, তুমি বল সমস্যা নেই
না আজ থাক, আরেকদিন বলি
না আজকেই বলতে হবে!
আব্দুন নূর সাহেব জানেন, এখন উল্টাপাল্টা কিছু করলে খবর আছে! তাই মেয়ের মাথায় হাত রেখে বললেন,
কলেজে ভর্তি হলি এক সাপ্তাহ হল। প্রতিদিন তো কলেজে যাচ্ছিস। তা কলেজ কেমন লাগছে?
ভালই তো। তুমি যে রফিক স্যারের কথা বলছিলে, উনাকে তোমার কথা বলায় প্রতিদিন আমার খবর নেন। উনি অনেক ভাল।
হ্যা, রফিক আর আমি একসাথেই পড়া-লেখাসহ অনেক কিছু(!) করেছি। সে আমার খুব কাছের বন্ধু। তর মা থাকতে সে প্রায়ই আসতো। একদিন তাকে আমাদের বাসায় আসতে বলিস।
হু বলব বাবা। বাবা, আমি এখন আসি?
তকে তো আসল কথা জিজ্ঞেস করাই হয়নি। লক্ষ্য করলাম, কিছুদিন থেকে তর মনের অবস্থা খুব একটা ভাল না, কারণ কী মা?
বাবার এ প্রশ্ন শুনেই সারার চেহারা কালো হয়ে গেল, অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল
না বাবা, তেমন কিছু না!
আরে মা, তুরা না বলিস, আমি তোদের মা-বাবা। তাহলে আমার কাছে লুকোচ্ছিস কেন?
না বাবা, এটা কোন সমস্যা না। তুমি কোন চিন্তা কর না তো!
কোন জিনিষটা কোন সমস্যা না? তুই আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছিস। বলতো মা, তুই কি চাস কেয়ামতের সময় আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞাসিত করুক?
না বাবা, তা আমি কখনো চাই না!
তাহলে বলনা কী হয়েছে?
আসলে বাবা, তেমন কিছু হয়নি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আপুর কলেজে পড়ুয়া এক ছেলে প্রতিদিন আমার পিছুপিছু বাসার গেইট পর্যন্ত আসে। তাকে দেখে আমার খুব ভয় হয়।
ঐ ছেলেটার নাম জানিস?
পাড়ার লোকেরা তাকে রিফাত বলে ডাকতে শুনেছি।
আচ্ছা মা, তুই চিন্তা করিস না। ইনশাআল্লাহ সে আর এমনটা করবে না।
বাবা, তুমি কিছু বলতে যেও না প্লিজ!
আব্দুন নূর সাহেব মুচকি হেসে বললেন
আরে মা, তুই যা, এ বিষয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। তুই না কোথায় যেতে চাইছিলি, যা তুই তর কাজে যা।
রাত্রে মেজো মেয়ে রূম্পা চা দিয়ে যাওয়ার পর আব্দুন নূর সাহেব বড় মেয়ে স্বপ্নাকে ডাকলেন, স্বপ্না আসলে তাকে বসতে বললেন।
বাবা, যা বলার দ্রুত বল, টমেটোর তরকারিটি এখনো বাকি আছে
তর ভার্সিটির কী অবস্থা?
এই তো ভাল। হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন বাবা?
সারাকে দেখেছিস, ক'দিন যাবত দেখছি খুব মনমরা হয়ে থাকে মেয়েটা।
আমিও লক্ষ্য করেছি, কিন্তু সু্যোগ করে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। আজ রাতে ঘুমানোর সময় জিজ্ঞেস করে নেব
না, আজ জিজ্ঞেস করিসনে। আচ্ছা, আমাদের পাড়ার রিফাত নামের একটা ছেলে তদের কলেজে পড়ে। চিনিস ওকে?
হ্যা, চিনি তো। ও তো আমার ডিপার্টমেন্টেই পড়ে। আলকাস সাহেবের বড় ছেলে।
ও আচ্ছা, সে তো আমাদের আলকাইচ্ছার পুলা। আচ্ছা তুই যা।
কেন বাবা, হঠাৎ তার কথা জিজ্ঞেস করলে কেন? কোন সমস্যা?
নারে কোন সমস্যা না। তুই তর কাজে যা।
স্বপ্না কী যেন চিন্তা করতে করতে রান্নাঘরে ডুকলো।

(দুই)
রাত দ্বিপ্রহর। বিছানায় রূম্পা ও সারা ঘুমুচ্ছে। স্বপ্না শেল্ফ থেকে চারবছর পূর্বের পুরনো ডাইরি বের করলো। ২৩-৭-২০১৪ -এর পৃষ্ঠা খুলতেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে গেল। তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো "আজ ২৩ জুলাই ২০১৪, রাত ৪.৪৬। এখনো আমার চোখে ঘুম আসেনি। লাইট অফ করলে বা বাহিরের দিকে চাইলেই আমি আঁতকে উঠি। অন্ধকার আমার জন্য ভয়ঙ্কর জাহান্নাম। বাসার সবাই ঘুমুচ্ছে, আমার চোখে ঘুম নেই, নেই শান্তি। নিজেকে এখন পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট মানুষ বলে মনে হচ্ছে। নিজেকে শেষ করতে পারছি না বাবার জন্য। ছোট বোন দু'টির জন্য। এই বাবা ও বোনগুলো কি আমার খবর নিচ্ছে? আমি কোথায় আছি? আমার শরীর মন কি ভাল আছে? আমি কি সুস্থ আছি? আমার খবর কে নেবে? কেউ নেয় না, কেউ নেই নেয়ার। কারও কাছে বলতেও পারবো না। কারণ, বললে তখন আর বাঁচতেও পারবো না। বাবাকে বললে বাবা পাগল হয়ে যাবে, আর ওরা বাবাকে মেরে ফেলবে। বোনগুলোকে তো কখনো বলাই যাবে না। বড় ভাইয়াকে সেই শিশুকালে মৃত্যুর কুলে ডলে পড়তে দেখেছি। দেখেছি মাকেও। এখন আমার কেউ নেই এই পৃথিবীতে। যারা আছে, আমি তাদের জন্য কিছুকাল পর বুজা হয়ে যাব, যখন বুজা হব তখন না হয় আত্মহত্যা করবো। কিন্তু আমার এ কষ্ট আমি কোথায় জায়গা দেব? ঐ রিফাত নরপশুটা আমার সব কেড়ে নিয়েছে। আমি ঐ পশুগুলোকে কিছুই করতে পারলাম না, হয়ত পারবোও না। কিন্তু না, আমি যদি সুযোগ পাই, ঐ নরপশুদের একটা একটা করে শেষ করে দেব। যারা আমার সব শেষ করে দিয়েছে পৃথিবীতে তাদের থাকার অধিকার নেই! আজ আর লিখতে ভাল্প লাগছে না, সারারাত কেঁদেকেটে কাটিয়েছি। নিজের রক্তাক্ত শরীর দেখে আমি যে আঁতকে উঠি..... "
স্বপ্না আর পড়তে পারলো না, ভয়ে তার সমস্ত শরীর কেঁপে উঠল। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় অঝোর ধারায় অনেক্ষণ কাঁদলো। বিছানায় এসে শুয়ে-শুয়ে ভাবতে লাগলো বাবা কেন আজ রিফাতের কথা জিজ্ঞেস করলেন।,আর সারার মন খারাপের প্রসঙ্গ কেনই বা উঠলো। কী সম্পর্ক থাকতে পারে এখানে। ভাবতে ভাবতে স্বপ্না ঘুমিয়ে পড়লো।

এদিকে সারাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকায় আব্দুন নূর সাহেবেরও ঘুম আসছিল না। হঠাৎ তিনি কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে স্বপ্নার রুমে গিয়ে তাকে কাঁদতে দেখে অবাক হলেন।


(পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটার সমূহ আশঙ্কায় আর দীর্ঘ না করে আগামী পুস্টেই শেষ করবো। আশাকরি সবাই সাথে থাকবেন।)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আবার সারা?


গল্পটা কিন্তু ঐ নিকে পড়েছিলাম...:D

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু ভায়া, ;)

সৈয়দ তাজুল নিকে এটা প্রকাশ করেছিলাম! সম্প্রতি কোন লেখা আসছে না! তাই পুরাতনগুলোকে আবারো নিজ বাড়িতে জায়গা দিয়েছি!

এই গল্পের সাথে ব্লগার নিজাম উদ্দিন মন্ডল খুব জড়িত! ;)

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: পরিচিত অবয়বের গল্প।
সামাজিক ব্যধির একটি ঘৃণ্যরূপ দেখতে পেলাম গল্পে।
দেখবো শেষটা কি হয়।

++++

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সত্যি সামাজিক ব্যধির একটি ঘৃণ্যরূপ গল্পে ফুটানোর চেষ্টা করতেছি মাত্র! শেষ পর্বের সাথে এটাকে মিলাতে পারলে সমাজের প্রাপ্যগুলো বুঝতে পারবেন ভায়া।
অনেক ভাল লাগলো আপনার আন্তরিক মন্তব্যে। শেষপর্যন্ত সাথে থাকার আস্বাসে সত্যি আমি মুগ্ধ।
আপনার শরীরস্বাস্থ ভাল আছে তো ভায়া?

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এটা মনে হয় রিপোস্ট। আগেও পড়েছি।

নতুন কিছু দিন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, আপনার স্মৃতির প্রশংসা না করে পারছি না ভাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে অফিসে কাজের চাপ থাকায় নতুন কিছু লেখা হচ্ছে না! ইনশাআল্লাহ দ্রুত নতুন কিছু লেখবো। আপনি তো আমারে নিয়ে ব্লগ পোস্টও করেছিলেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সারা নামটা আমার বেশ পরিচিত।
দুঃখিত সারা না 'সেরা' নামটা আমার পরিচিত।

পড়লাম। আগামী পর্বও পড়বো। লেখা ভালো।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সারা না সেরা
আপ্পনি একজন সেরা বলগার! ভালই বলগাইতে পারেন! মজা দিলেন তো ভিন্নভাবে, তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ! সারা নামটা জপনের লাই শুভকামনা ;)

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: এখন অনেকটা ভাল আছি, তবে পুরো ফিট হতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে।
এখন রাস্তার ওভারব্রিজের সিড়িগুলো দৌড়ে উঠতে পারি, নামতে পারি।

আপনিও ভাল থাকুন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দৌঁড়ে ঊথার জন্য কে বলছে! পাশের সাইনবোর্ড চোখ পরে না! "নিরাপদে যাতায়াত করুন" ;) ;)


আসলে ভাই, অনেকদিন পর আপনি ফিরতি এসে মন্তব্য করলেন তাই বিনা পয়সে উপদেশ বিলাইতে মন চাইছিল! পারলাম না!
সবসময় সুস্থ থাকুন, মনোবল চাঙ্গা রাখুন; এটাই কামনা।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: কথোপকথোনের সময় : না ব্যবহার করে - করুন। দেখতে ভালো লাগবে.......।
আলাদা আলাদা ব্যাক্তির সাথে কথা বলার সময় আলাদা প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করুন। সব লেখা জট পাকিয়ে যাচ্ছে.....
শেষ অংশ টা আরো ভালো করে লিখতে পারতেন। হুট করে শেষ হলো মনে হচ্ছে.....
ঘটনাটা খুব ভালো হবে মনে হয়, পরের পর্বটা সুন্দর করে লিখুন........।
শুভ কামনা রইল আর আমি অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য,
ধন্যবাদ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, ধন্যবাদ! যথেষ্ট গ্রহণের চেষ্টা করছি নীল আকাশ। নতুন মানুষ! তাই এমন।
যাই হোক, আপনাদের আগমন আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি;)
হ্যা, এটার সাথে শেষ পর্বকে মিলিয়ে পড়তে পারলে অনেক কিছু জানতে পারবেন হয় তো!
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে অনেকেই সাজেশন দেয়া টাকে ভালো চোখে দেখে না.....
আমি সব সময় খুব চেস্টা করি যতটুকু জানি সেটা সবাইকে হেল্প করার জন্য। কায়সার ভাইয়ের গল্প লেখার একটা ভালো পোষ্ট আছে, অনুগ্রহ করে সেটা পড়ে আসুন,অনেক কিছু জানতে পারবেন। Click This Link

আমি ব্লগে লেখকদের লেখা আমি খুব যত্ন করে পড়ি, বেশ ভালো ভাবে পড়ি, কনফিউশন থাকলে বার বার পড়ি যাতে ভালো ভাবে মন্তব্য করা যায়। ব্লগে অনেক ব্লগাররাই পুরোটা না পড়ে, না বুঝে শুধু শুধু প্রশংসায় ভাসিয়ে দেয়, আমি অহরহ এই ধরনের অনেক মন্তব্য পেয়েছি। এরা চরম ক্ষতি করছে, আপনি বুঝতেও পারছেন না, এরা আপনার লেখার কত বড় সর্বনাশ করছে। মনে রাখবেন দিন শেষ আপনার লেখার হাত আগের চেয়ে ভালো হলো নাকি, এটাই আপনার লাভ! সমালোচনা গুলিই ভালো করে পড়বেন, কারন এরাই আসলে আপনার লেখার হাতের উন্নতি চায়। আশা করি আমি কি বলতে চাই আপনি বুঝতে পেরেছেন? ব্লগে অনেক ভালো ভালো লেখক আছেন, তাদের সব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, অনেক কিছু জানতে পারবেন.....। আমি নিজেও প্রতিনিয়ত শিখছি।
ভালো থাকুন আর আপনার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো লেখা পাবো এই কামনা............।
ধন্যবাদ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: খুব কম মানুষই গঠনমূলক সমালোচনা করে । কারণ গঠনমূলক সমালোচনা হজম করার শক্তিও কম মানুষ আছে, আপনি আমি, আমরা সবাই চাই শুধু প্রশংসা। তবে আমার গল্প লেখা নিয়ে আপনার এই গঠনমূলক সমালোচনা সত্যি আমাকে অনেক উৎসাহিত করেছে।
ব্লগে অনেক ব্লগাররাই পুরোটা না পড়ে, না বুঝে শুধু শুধু প্রশংসায় ভাসিয়ে দেয়, আমি অহরহ এই ধরনের অনেক মন্তব্য পেয়েছি। এরা চরম ক্ষতি করছে, আপনি বুঝতেও পারছেন না, এরা আপনার লেখার কত বড় সর্বনাশ করছে। সেটাই।

শুভ কামনা আপনার জন্যও।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

হাবিব বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো লাগলো......... সারাহ আমার প্রথম ছাত্রীর নাম ছিলো

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সত্যি! বলে দিচ্ছি, এ আপনার ছাত্রি না কিন্তু! আজাইরা বল খাটাইতে আসবেন না হাবিব ভাই ;)

মন্তব্যে ভাল লাগলো ভাই। ধন্যবাদ

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সেফ করে আবার কেন জেনারেল করা হলো!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
পোস্ট দেয়ার আগে আপনার উচিৎ ছিল মোডারেটকে মেইল করা! তারা মেইলের বিষিয়ে খুবই সিরিয়া। মেইলে আপনার সমস্যার কথা বলতে পারতেন, এই পোস্ট করার আগে মেইল করাটা জরুরী ছিল। তারা কখনো আপনাকে আমাকে সমস্যায় ফেলে সস্থি বোধ করেন না। বরং আমাদের সবার সমন্বয়ে সামনের পথকে আলোকিত করে চলতে চান।

শুভকামনা

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: দারুণ!
পরের পোষ্টের অপেক্ষায়।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: পড়েছেন শুনে ভালই লাগছে। আগামী পর্ব পড়লে গল্প আর বাস্তবতার পুরু মিল খোঁজে পাবেন ইনশাআল্লা।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: গল্প ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকা। গল্প ভাল লেগেছে জেনে সার্থকতা খুব কাজ করছে ;)

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একবার পড়লাম। সময় পেলে আরও একবার পড়বো।তারপরে ভালো করে কমেন্ট করব।

শুভকামনা প্রিয় তাজুলভাইকে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: একবার পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো, আবার পড়ে ভালো করে মন্তব্য করবেন জেনে খুবই প্রাউড ফিল করছি! ;) আসলে আপনি মন্তব্যকে এতো সুন্দর করে প্রকাশ করেন যে, এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।

অনেক অনেক শুভকামনা, আশাকরি আবারো আসবেন।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৭

আরোগ্য বলেছেন: সৈয়দ ভাই আমার গল্পটা বেশ লেগেছে। আশা করি সারার সাথে কোন দুর্ঘটনা হবে না। আগামী পর্ব দিতে বিলম্ব করবেন না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আরোগ্য বলেছেন: সৈয়দ ভাই আমার গল্পটা বেশ লেগেছে। কতো আন্তরিকভাবেমন্তব্য করেছেন। আসলেই মুগ্ধ করে দিলেন!
হ্যা, আশাকরি আপনার সারা ভালই থাকবে! একটু অপেক্ষা করুন! ওটাকে যে একটু নাড়তে হবে ;)

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১০

বলেছেন: বেশ -- ভালো লেখনী তাজুল ভাই

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সিলেটি লতিব ভাইসাব ;)

সিলেট আসছি ইনশাআল্লাহ।

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

পথচারী শিশুদের বন্ধুূ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম, আশাকরি অপেক্ষায় থেকে পূর্ণ গল্প পড়ে নিজের অনুভুতি জানাবেন।
শুভকামনা

১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

নজসু বলেছেন:



পরের পর্বে কথা হবে আশা করি।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, হবে। আপনি পড়েছেন জেনে ভালই লাগলো। আশাকরি আগামী পর্বে সাথে থাকবেন

১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সম্ভবত আগেও পড়েছিলাম। তবে শেষটা ভুলে গেছি। তাই পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, এটা রিপোস্ট। তবে চেষ্টা করবো শেষের পর্বকে একটু রিফম করতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জেনারেল নাকি খুব ব্যস্ত? খুব একটা দেখা যায় না!

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো আবেগময়।।।। সুন্দর গাঁথুনি আছে। ভালো লাগলো

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: গাঁথুনি দিয়ে শেষ পর্বের সাথে মিলিয়ে নিবেন, আগামীকালপ্রকাশ করবো, যদি আল্লাহ বাঁচায়া রাখেন।

১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি। ইনশাআল্লাহ।।।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আবারো ফিরে আসায় ধন্যবাদ। অসংখ্য শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.