নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাপ্তি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯


প্রাপ্তি'র প্রথম পর্ব... (view this link)
(তিন)
স্বপ্নার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলল আব্দুন নূর সাহেবের। উদগ্রীব হয়ে পরছিলেন মেয়ের অস্বাভাবিকতা উদঘাটনে। চাইছিলেন এখনই স্বপ্নার এই পুরনো ডাইরিটা খোলে দেখবেন কিন্তু এখন দেখতে গেলে যে সমস্যা। তার এই লুকিয়ে দেখার বিষয়টা স্বপ্না বুঝে ফেললে ডাইরিটা পড়তেই দিবে না, তাই আজ আর না দেখে আগামীকাল স্বপ্না কলেজে যাওয়ার পর দেখবেন বলে ঠিক করে নিজ রুমের দিকে চলে গেলেন।
রাতের এক দ্বিতীয়াংশ প্রহর চলে গেছে, তবু ঘুম আসছে না। চিন্তা এখন দ্বিগুণ। বাকি রাতটুকু বিছানায় ছটফট করলেন, কিন্তু এক বিন্দু ঘুমের দেখা মিললো না। হঠাৎ ফজরের আজানের আওয়াজ শুনে বাথরুম গেলেন। বাতরুম থেকে বের হয়ে চললেন মসজিদের দিকে। সারার মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকে তিনি ফজরের নামাযের নিয়মিত মুসল্লি। নামায শেষে আজ বাসায় না গিয়ে আলকাছ সাহেবের বাসার দিকে ছুটলেন। আলকাছ সাহেবের বাসার গেইট অতিক্রম করতেই আলকাছ সাহেবকে পেয়ে গেলেন। তখন আলকাছ সাহেব কাজের লোককে নিয়ে গাড়ি ধুচ্ছিলেন। হঠাৎ আব্দুন নূরে সাহেবের আগমন দেখে আলকাছ সাহেব যারপরনাই অবাক হলেন। জড়িয়ে ধরলেন একজন আরেকজনকে। আলকাছ সাহেব বাল্যবন্ধুকে বাসার ভেতর নিয়ে গেলেন, পরিচয় করিয়ে দিলেন সবার সাথে। আলকাছ সাহেবেরর এক ছেলে দু'মেয়ে, তার মধ্যে বড় মেয়েটা কলেজ লেভেলই সম্ভ্রমহানি হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে। ছোট মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছেন গত বছর। বড় মেয়ের দুস্কর্মের ফল দেখে ছোট মেয়েটাকে বেশি পড়ালেখা করতে দেননি। ছেলে রিফাত ও রিফাতের মায়ের সাথে আব্দুন নূর সাহেবকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর চলল চা পর্ব। আকস্মিক এমন আগমনের কারণ জানতে চাইলে আব্দুন নূর সাহেব তার পুরনো অভ্যাস অনুযায়ী রসিকতার সুরে বলতে লাগলেন
-তোর বাসায় এসে ভালভাবে বসতে পারলাম না, রিমান্ড শুরু করে দিলে!
-আরে না! তোর রঙ তামাশা এখনো যায়নি দেখছি! তা তোর ফ্যামিলির সবাই ভাল আছে তো?
-আছে ভাই, ভালই আছে সবাই। তা তোর ছেলে রিফাত তো অনেক বড় হয়ে গেছে, সে কি শুধু পড়ালেখায় আছে নাকি পাশাপাশি অন্য কিছুও করছে?
-আরে না নূর ভাই, শুধু পড়ালেখা করলে কি আর চলে। কিছু টাকা দিয়েছিলাম সেটা দিয়ে শেয়ার ব্যবসা চালাচ্ছে। এখন হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
-এমনিতেই, তা ছেলের তো এখন বিয়ের বয়স হয়েছে, একটা বৌমা ঘরে নিয়ে আয়।
-নূর ভাই, সত্যি তর মজা করার অভ্যাস এখনো যায়নি দেখছি। আচ্ছা নূর ভাই, রিফাতের সাথে কি তোর পূর্বের কোন পরিচয় আছে? আজ হঠাৎ ওর বিয়ের বিষয় টানছিছ কেন?
-না আলকাছ ভাই, তাকে তো এখানেই প্রথম দেখলাম। তবে পাড়ার লোকদের মুখে তার কথা প্রায় শুনা যায়।
-কী শুনা যায়?
-এই যা, আমি তো তোর গোয়েন্দা হয়ে গেলাম, থাক এসব।
-না ভাই, তোকে বলতেই হবে!
-বলতে যখন হবেই, তখন হালকার মধ্যে ঝাপসা বলে কি লাভ; স্পষ্টই বলি, আমাদের রিফাত বাবা রাস্তায় মেয়েদের উত্যক্ত করে বলে লোকজন কানাঘুষা করছে। তোর ছেলে মানে তো আমারই ছেলে। সেটা আমাকে খুব আঘাত করছে তাই তোকে বললাম, তুই আবার অন্য কিছু ভাবিস না।
-ও আচ্ছা, সেই কথা! এখানে ভাবার কী আছে! এই বয়সে একটু এরকম করবেই। তোর কি স্মরণ নেই আমাদের সময়কার কথা। তুই আর আমি মিলে আমাদের পাশের বাড়ির মিলির সাথে কী করেছিলাম! ভাগ্যিস, সে কাউকে বলেনি। এর এক মাসের মধ্যে যদি তার বিয়ে না হত, তবে তো আমরা ফেঁসে যেতাম। এখন অবশ্য এগুলো মনে হলে নিজের কাছে অপমানজনক মনে হয়।
-কিন্তু আলকাছ ভাই, আমাদের সময় এখন আর নেই। এখন নারীদের অধিকার সম্পর্কে সবাই সচেতন। সবকিছুর পর কথা হল, আমরা এখন আমাদের অতীত নিয়ে লজ্জিত, তাই চাই না আমাদের পরবর্তী জেনারেশন সেই রোগের রোগী হোক। সেজন্যই তোর কাছে আসলাম।
-ঠিক আছেরে ভাই, আমি আজই থাকে সতর্ক করে দেব। আর এ নিয়ে তকে কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ সে ভাল হয়ে যাবে।

আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর আব্দুন নূর সাহেব বাসায় ফিরে আসলেন। স্বপ্না ভার্সিটি চলে গেছে দেখে সোজা চলে গেলেন স্বপ্নার রুমে। কালো ডাইরিটা হাতে নিয়ে বের করলেন ফিতায়-চিহ্নিত সেই পৃষ্ঠা। চোখের সামনে ভেসে উঠলো কালো রক্তে লেখা,
"আজ ২৩ জুলাই ২০১৪, রাত ৪.৪৬। এখনো আমার চোখে ঘুম আসেনি। লাইট অফ করলে বা বাহিরের দিকে চাইলেই আমি আঁতকে উঠি। অন্ধকার আমার জন্য ভয়ঙ্কর জাহান্নাম। বাসার সবাই ঘুমুচ্ছে, আমার চোখে ঘুম নেই, নেই শান্তি। নিজেকে এখন পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট মানুষ বলে মনে হচ্ছে। নিজেকে শেষ করতে পারছি না বাবার জন্য। ছোট বোন দু'টির জন্য। এই বাবা ও বোনগুলো কি আমার খবর নিচ্ছে? আমি কোথায় আছি? আমার শরীর মন কি ভাল আছে? আমি কি সুস্থ আছি? আমার খবর কে নেবে? কেউ নেয় না, কেউ নেই নেয়ার। কারও কাছে বলতেও পারবো না। কারণ, বললে তখন আর বাঁচতেও পারবো না। বাবাকে বললে বাবা পাগল হয়ে যাবে, আর ওরা বাবাকে মেরে ফেলবে। বোনগুলোকে তো কখনো বলাই যাবে না। বড় ভাইয়াকে সেই শিশুকালে মৃত্যুর কুলে ডলে পড়তে দেখেছি। দেখেছি মাকেও। এখন আমার কেউ নেই এই পৃথিবীতে। যারা আছে, আমি তাদের জন্য কিছুকাল পর বোঝা হয়ে যাব, যখন বুজা হব তখন না হয় আত্মহত্যা করবো। কিন্তু এখন আমার এ কষ্ট কোথায় জায়গা দেব? ঐ রিফাত নরপশুটা আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, আমাকে রক্তাক্ত করেছে। আমি ঐ পশুগুলোকে কিছুই করতে পারলাম না, হয়ত পারবোও না। কিন্তু না, আমি যদি সুযোগ পাই, ঐ নরপশুদের একটা একটা করে শেষ করব। যারা আমার সব শেষ করে দিয়েছে; পৃথিবীতে তাদের থাকার অধিকার নেই! আজ আর লিখতে ভাল লাগছে না, সারারাত কেঁদেকেটে কাটিয়েছি। নিজের রক্তাক্ত শরীর দেখে আমি যে আঁতকে উঠি......."



গল্পটি এখানেই সমাপ্ত কিন্তু সমাজে এমন ঘটনা কখনো সমাপ্ত হয় না!

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

আরোগ্য বলেছেন: বেশি প্রহর গুনতে হয় নি এই জন্য ধন্যবাদ।
সৈয়দ ভাই মনে হয় বাপের কুকর্মের ফলই মেয়েটা পেলো।।
এটা আসলেই বাস্তব। প্রায়শই দেখা যায় বাবা মায়ের কর্মফল সন্তানদের ভোগ করতে হয়।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
বাপের কুকর্মের ফলই মেয়েটা পেলো।।
এটা আসলেই বাস্তব। প্রায়শই দেখা যায় বাবা মায়ের কর্মফল সন্তানদের ভোগ করতে হয়।

প্রথম পর্বের সাথে দ্বিতীয় পর্বের মিলন ঘটিয়ে গল্পের উপর এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আমি কেবল কল্পনার সাহায্যে বাস্তবে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোকে একটু গল্পাকারে প্রকাশের চেষ্টা করছি। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: গল্পটা ভালো টপিকে হয়েছে, থিম সুন্দর। বাথরুম, ফ্যামিলি ইত্যাদি কিছু বানান ঠিক করে দিন।
আপনাকে আমি আগেও বলেছিলাম, কথোপকথনের আগে হাইফেন দিবেন। ঠিক এভাবে -
- কিরে ভালো আছিস
- নারে, মন টা ভালো নেই
তারপর দেখবেন কত ভালো লাগে দেখতে......

কেন জানি আমার মনে হচ্ছে যেই অংশটা বোল্ড করেছেন সেটা না করে, শেষ লাইন টা বোল্ড করলে সেটা অনেক মিনিংফুল হতো। এটা সম্পুর্ন আমার মতামত।
আরও ভালো ভালো গল্প চাই আপনার কাছ থেকে........।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।


২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত মন্তব্য হওয়ায় কিচ্ছু বললাম না ;) (আই ল্যাভু ;) )

দ্রুত লেখতে গেলে যা হয় আর কি!
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

আরোহী আশা বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা.......ভালো লেগেছে গল্প

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আরোহী আশা, গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: প্রায়শই দেখা যায় বাবা মায়ের কর্মফল সন্তানদের ভোগ করতে হয়।
সহমত।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: তারপরও দুস্কর্মকারীরা একবারও ভাবে না! এটা যে তারই ক্ষতি নিয়ে আসবে।
ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাবা মা সন্তানকে যা শিক্ষা দিবে সেটাই শিখবে ।।



ভালো।। আপনার লেখায় মাধুর্য আছে

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

আজকের যুবকই আগামীর পিতা সুতরাং আজ নিজে যদি অসৎ কাজে বাধা দেয় এবং নিজের পরিচিত সবাইকে এই কুকাজ থেকে রক্ষা করে তাহলেই তো সমাজ পরিবর্তন হয়ে যায়। আমি গল্পে সেটাই বলতে চেয়েছি!

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুল ভাই,

গল্প বেশ ভালো হয়েছে। প্রথম পোস্টে দেখলাম নিলা আকাশভাই যে পরামর্শগুলো দিয়েছিলেন , আপনি এই পোস্টে সেগুলি অনেকটা অনুসরণ করাতে আজকে গল্পটি বেশ পরিপূর্ণতা পেল । ++
আর বোল্ড লেখাটা না দেওয়াই ভালো । বহু পাঠক আছেন যারা শুধু এটুকু পড়েই মন্তব্য করে চলে যান।

শুভকামনা জানবেন।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাস্টারদা।

আপনার মত একজন গল্পকারের মন্তব্যেব্য আমার জন্য অনেক। শুভেচ্ছা জানবেন নিরন্তর। গুছিয়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করেছেন যে মুগ্ধ না হয়ে থা অসম্ভ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

বলেছেন:
অসাধারণ গল্পের পটভূমি। এক তুখোড় গল্পকারের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় আেনার লেখায়।
মন দিয়ে পড়লাম ---- আরো জোর কদমে চলো হে স্বদেশী।
এমন ঘটনা আসলেই সমাপ্ত হয় না -
হয় না যবনিকা পতন --
কুফল বয়ে চলে সারাটি জীবন।
--++++++++++++++++++++++++
একজায়গায় বোঝা-- আরেকটি জায়গায় বুজা ---
তর৷ -- নাকি তোর

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: স্বদেশী, আমার পাশে যখন তোমায় দেখি, তখন সার্থকতা অটোমেটিক চলে আসে। গঠনমূলক মন্তব্য আমি সবসময় ভালবাসি।

অনেক অনেক শুভকামনা।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: নূর নাম দেখে চমকে উঠলাম!
অনেকে আমাকে নূর বলেই ডাকে।

লেখা ভালো হয়েছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: :) রাজীব ভাই, আপনি একজন সৎ মানুষ, তাছাড়া এখনো আপনি তাগড়া জোওয়ান। সেই সূত্রে আপনি মুক্ত।

ভাবীসহ সবাই ভাল আছেন তো?

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: বলেছিলাম না আপনাকে, সামান্য কিছু ঠিক ঠাক করে দিলে একটা লেখা কত সুন্দর হয়ে উঠে? আমারি তো কত ভালো লাগছে দেখতে........
সবাই দেখুন কত কত ভালো বলেছে, আহ, দেখতেই ভালো লাগছে.......
আই ল্যাভু যখন বলে ফেলেছেন তখন আর কোন ছাড় নেই ;) আরো লেখা চাই!!!
আরো আরো লিখতে থাকুন। যতটুকু সম্ভব সাহায্য করে যাবো।
শুভ কামনা রইল!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

ভাল লাগলো ফিরে এসে আবারো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পাশে থাকায় অনেক ধন্যবাদ।

সবসময় সবাইকে পাশে পাওয়া যায় না, তারপরও কিছু মানুষ অঅটোমেটিকভাবে প্রিয় হয়ে যায় ;)

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

বলেছেন: খুউব ভালা লেখা আফনার - আরে বেশি করে লেখউকা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি সিলেট আইরাম, চাইলে আফনে আমার লগে দেখা খরতা ফারইন! মেইল [email protected]

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

গল্প আমাকে টানেনি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সবাইকে যে টানবে বা সবাই যে টানার যোগ্য তেমনটা সবসময় হয় না!
গুগল দেখছি কেয়বোর্ড ছাড়াই (মুখে উচ্ছারণে) লেখার সুবিধা তৈরি করেছে! যাদের চোখে সমস্যা তাদের জন্য যদি কিছু একটা করতো!

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভাবনার খোরাক অাছে। ভালো।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রম্যকার লেখক।
ভালই মন্তব্য করেছেন, তবে যেমনটা বলছেন ঠিক তেমনটার যোগ্য না!

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বলেছেন: আমি সিলেট নায় ---বিদেশ


মেইল দিমু নে

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এমরা! সিলেট আইলে দাওয়াত থাখলো। ঢাকা নামলে খইয়ো, আমি বিমানবন্দরের পাশেই থাকি! (যদিও একটু দূরে ;) )

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মেইল পেলাম, ধন্যবাদ।

১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প পড়ে ভালো লাগলো।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: শাহরিয়ার ভাই,
আপনি পারেনও বটে, নিজের লেখা মুগ্ধকর কবিতাগুলোতে অন্যের মন্তব্য নেন না! তবে অন্যের লেখায় মধু ঢেলে দিতে ভুলেন না!

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: বলেছিলাম না আপনাকে, সামান্য কিছু ঠিক ঠাক করে দিলে একটা লেখা কত সুন্দর হয়ে উঠে? আমারি তো কত ভালো লাগছে দেখতে........
সবাই দেখুন কত কত ভালো বলেছে, আহ, দেখতেই ভালো লাগছে.......
আই ল্যাভু যখন বলে ফেলেছেন তখন আর কোন ছাড় নেই ;) আরো লেখা চাই!!!
আরো আরো লিখতে থাকুন। যতটুকু সম্ভব সাহায্য করে যাবো।
শুভ কামনা রইল!


একি কথা..........শুভেচ্ছা

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
কী করবেন আজ ভেবে না পেয়ে অন্যের লেখা কপি করে দিলেন ;)

তারপরও মন্তব্য যে করলেন, সেজন্য ধন্যবাদ

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

নজসু বলেছেন:



জ্বী না ভাইজান প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিলো না।

আমি বলেছিলাম- পরের পর্বে কথা হবে আশা করি।

কারণ আপনি পোষ্টের শেষে বলেছিলেন- পরের পোষ্টেই গল্পটা শেষ করে দেবেন।
আপনার জবাব ছিল-হু, হবে। আপনি পড়েছেন জেনে ভালই লাগলো। আশাকরি আগামী পর্বে সাথে থাকবেন

আসলে পড়া ছিলো না।

আমি ভাবলাম একটা খন্ড তখন না পড়ে একসাথে দুটো পর্ব পাঠ করে মন্তব্য করবো।
আসলে গল্পগুলো দায়সারা গোছের পাঠ করে কমেন্ট করতে ভালো লাগেনা।

গল্প কি হয়েছে সে হিসেব নিকেষে যাবো না। কমেন্টে হয়তো অনেকেই ভালো মন্দ বলেছেন।
আমাদের সমাজে রিফাতরূপী বহুরূপী অনেকেই আছে যারা গাছেরটাও খায়, তলারটাও খুড়োয়।

স্বপ্নার মতো অনেকে হচ্ছে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতিতা।

গল্পের বুনন আরেকটু মজবুত হওয়া দরকার ছিল মনে হয়।
তবে, যেভাবে বর্ণনা করেছেন তাতে পাঠকের মনে একটা কষ্ট, সহানুভূতি তৈরি করার ক্ষমতা আপনার আছে।

একটা দুটো শব্দ বেশি বেমানান হয়ে গেছে। তরা আর তদের এই দুটো শব্দ মানায়নি। তোরা এবং তোদের মানানসই হতো।

এছাড়া আরও কয়েক জায়গায় অসংগতি লক্ষ্য করেছি।
আশা করি মন খারাপ করবেন না।
ভাই বন্ধুরা কিন্তু চায় তাদের ভাই বন্ধুরা সবদিক থেকে নিখুঁত হোক।
আপনি তো আমার ভাই বন্ধুই। কি বলেন?

গল্পে সব পাঠক মন খারাপ করে কমেন্ট করেছেন মনে হয়।

আমি মন খারাপে যাবোনা। কারণ এগুলোতে আমাদের সমাজ অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

আচ্ছা বলেন তো নূর সাহেব রফিস স্যার পড়ালেখার ছাড়াও অারও অনেক কিছু কি কি করেছেন? :D
ব্রাকেটে (!) চিহ্নটা আমার মনে ? চিহ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। :D

আর নূর ভাবী মারা যাবার পর রফিস স্যার স্বপনাদের বাড়ি যায়নি কেন?
বন্ধুত্ব ছিল নূর সাহেবের সাথে। টান তো নূর সাহেবের প্রতিই হওয়া উচিত।

একটা বাঁকা কথা বলি। নূর সাহেব ভালো লোক ছিলেন না।
নূর সাহেব তার কৃতকর্মের ফল প্রাপ্তি হয়েছেন।
তিনি তার যৌবনকালে মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
রফিক স্যারের সাথে জোট বেঁধে কি করেছেন তা জানা নাই।
কিন্তু বন্ধু আলকাছের সাথে জোট বেঁধে মিলি নামের একটা মেয়েকে বিব্রত করেছে।
এক মাসের মধ্যে বিয়ে না হলে বন্ধুদ্বয়ের ফেঁসে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল।

নূর সাহেবের কৃতকর্মের প্রাপিকা তার নিষ্পাপ কণ্যারা।

নামকরণের সার্থকতা এটাকেই ধরে নিচ্ছি আমি।

যদি তাই হয় তাহলে সুন্দর সম্মিলন ঘটিয়েছেন আপনি।
ভালো থাকবেন।

আরও গল্প আশা করছি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু প্রিয়, নামকরণের সার্থকতা এখানেই। আপনি ধরতে পেছেন বলে ধন্যবাদ। আরেকটা কথা প্রথমেই বলে রাখি, যারা আমার ভুল ধরে দেয় তাদেরকে আমার খিব বেশি ভাল লাগে। তাই জেনে নিন, আপনি আমার ভাল লাগা মানুষগুলোর মধ্যে একজন, শ্রেষ্টদের মধ্যে একজন।

আমাদের সমাজে রিফাতরূপী বহুরূপী অনেকেই আছে যারা গাছেরটাও খায়, তলারটাও খুড়োয়।


স্বপ্নার মতো অনেকে হচ্ছে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতিতা।
খুবই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন।

ব্রাকেটে (!) চিহ্নটা ব্যবহার করেছি, যারা প্রথম পর্ব পড়েছেন তারা যেন এই ভুলটা ধরতে পারেন ;) , এখানে রিফাত সম্পর্কে নূর সাহেবের সামান্য জ্ঞান যে রয়েছে সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। তা যাই হোক, আসলে আমি এসবে খুব পোক্ত না, তাই এমন মন্তব্য আমার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। যদি কিছু প্রিয়জন সবসময় এভাবে পাশে থেকে ভুলগুলো শুদ্ধ করে দেয়, তবে সামনের পথ আরো সুন্দর হয়ে উঠবে নিশ্চিত।

আপনি সর্বাবস্থায় ভাল থাকুন, ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সুখময় জীবন অতিবাহিত করুন; এটাই কামনা।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প, খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ওরে বাবুরে, আপনি পড়ে ফেলেছেন! ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার। যেমন প্রথম পর্বে ছিলেন ঠিক তেমনি এই পর্বেও আপনাকে পেলাম। খুবই ভাল লাগছে।

১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

বলেছেন:

জীবনের ব্যাকরণ - কবিতা
মূল্য -- ১৬০.০০
পাওয়া যাবে - rokomari.com
প্রকাশক - পায়রা
স্টলঃ ৬৮



সোনালী স্বপ্নের অপমৃত্যু -- গল্প
মূল্য - ১৫০.০০
প্রকাশক -- পায়রা
পাওয়া যাবে - rokomari.com

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.