নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্জিনে মন্তব্য (১ম পর্ব)

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

(উৎসর্গ: স্বঘোষিত বলাগারকে)

আওরত খাঁ, সম্ভ্রান্ত বউ পেটানো বংশের ছেলে। হ্যা, এখন অবশ্য সে আর ছেলে না, এখন সে দুই পত্নীর মালিক। তাঁর দিক থেকে বলা যায়, বিবাহিত সুপুরুষ। আট গ্রামের লোকজনের কাছে তাঁর বংশের একটা সুনাম আছে (সেটা আপনারা গল্প পড়েই বুঝে নিতে পারবেন ;) )।
তাঁর সাথে আমার ছেলে বেলায় পরিচয় ঘটে। হোস্টেলে কিছুদিন ওঁ আমাদের সাথে ছিল। পরে আমরা ওঁর সুবিধা ও সম্মান রক্ষার্থে হোস্টেল মাস্টারকে বলে তাকে অন্য রুমে স্থানান্তরিত করি। ওঁর যে অভ্যাসগুলো আমাদেরকে বিরক্ত করতো তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্টাবলিশ টাইপের অভ্যাস ছিল, অতি প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। মাঝেমধ্যে তাকে প্রত্যুষের কাক গুনতে দেখতাম। প্রথম দিকে আমরা অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে সে কিছুই বলতো না। একসময় আমাদের অবাক হওয়াটা বিরক্ততায় এসে ঠেকে। একদিন গ্রাম থেকে ওঁর এক জ্যাঠাতো ভাই আসলে তাকেও প্রত্যুষের কাক গুনতে দেখি। ওঁদের দু'ভাই মিলে খালি গায়ে দরজার চৌকাঠে বসে প্রত্যুষের কাক গুনার দৃশ্যটা আসলেই ইন্টারেস্টিং ছিল। আমি প্রথম দিন ওদের দৃশ্য দেখে হেসে উঠলে রিফাত আমার হাসি দেখে চেঁচিয়ে উঠেছিল: দেখ আদিল্লা ( ও আমার প্রতি বিরক্ত হলে আদিলের পরিবর্তে অদিল্লা ডাকত) বান্ঝুতদের কারবার দেখে তুই হাসিস নে।
ঐদিন দুপুরে ওঁর জ্যাঠাতো ভাইকে ধরলে মূল ঘটনা বেড়িয়ে আসে।


বছরখানেক পূর্বে হঠাৎ আনন্দ হলের সামনে আওরত খাঁর সাথে দেখা হয়ে যায়। মুসাফাহা মোয়ানাকার পর জানতে পারলাম তাঁর দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করার খবর। লক্ষ্য করলাম এখন তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেড়েছে কথা বলার স্পিডও। এবছর যে হজে যাচ্ছে সেটাও জানিয়ে দিল কথার ফাঁকে। চা নাস্তার পর দুজন দুদিকে চলে গেলাম। সময়ের অভাবে তাঁর পূর্বের অভ্যাস বহাল তবিয়তে রয়েছে কিনা সেটা জানতে পারলাম না।

চলবে...

সর্বশেষ সাক্ষাতটি পরের পর্বে প্রকাশ পাবে ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষা ও আলোচনার টপিক: মুচি প্রফেসর হলেও অভ্যাস যায় না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

বলেছেন: এইডা কিছু হলো!!

ভোগে সুখ নয় রে দেশি ত্যাগে সুখ।।।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লতিফ ভাইয়ের আমিও বলি এটা কি হল? আচ্ছা পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেষ না করে বুঝা যাচ্ছেনা । দক্ষ হাতে লিখেছেন। অপেক্ষায় থাকলাম বাকিটুকু পাঠ করার।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০

সত্যমানিক বলেছেন: ব্লগার সেলিম আনোয়ার, মুচি প্রফেসর হলেও অভ্যাস যায় না। -- এটা বুঝতে হবে। আপনার না বুঝাটায় স্বাভাবিক। ;)

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: :P :P

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: একজন স্বঘোষিত বলাগারকে উৎসর্গ করেছেন। এবার যদি সেই বলাগারের বোধোদয় হয়। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। সর্বশেষ সাক্ষাতটি কৌতুহল জাগাচ্ছে মনে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

নজসু বলেছেন:



চলুক। :-B

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট না লেখাই ভালো।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক কথা বলা দরকার।

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: রানুর ভূমিকা খুবি প্রশ্নবিদ্ধ । সেই কদিন থেকে তার চেস্টার অন্ত নাই ।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সম্ভ্রান্ত বংশের পোলা বলে কথা!
বউ পেটানো তাদের চৌদ্দপুরুষদের নেশা
এটা বিরাট এক বাহাদুরী কাম!!

তবে "মুচি প্রফেসর হলেও তার স্বভাব যায় না" কথাটির সাথে একমত না। মুচিদের পেশা মহান; তারা মানুষের সেবা করছে জুতা সেলাই করে। এটাকে ছোট বলাটা ঠিক নয়। অনেক অসৎ প্রফেসর আছে; যারা মুচিদের চেয়ে সমাজে অনেক নীচ। কথাটা এভাবে বলা যায়, "ধর্ষক মসজিদের ইমাম হলেও তার রক্তে ধর্ষকের আলামত পাওয়া যায়।"

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কত্তো কথা কয়রে বলাগাররা। এত্ত সব রষিকতা থাকতে এই বউ নিয়ে টানা -টানি কেনরে ভাই?

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম ,




কাক গোনার মতো দিনগুনতে হবে এখন ???? :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.