নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানাকে জানতে গিয়ে অস্থিরতার বোঝা নিয়ে স্পষ্টতাকে পুড়ে দিয়ে অন্ধকারে বুক পুলাই
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। মানব জাতীর ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে সামাজিক জীবন পারিবারীক জীবন রাষ্ট্রিয় জীবন ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল পর্যন্ত ইসলামের বিধান ও নীতি মালা বিস্তৃত। একজন মানুষ জীবনটাকে কোন পথে পরিচালিত করলে ইহকালীন কল্যাণ সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। তার বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে।
পারিবারীক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপের বিধীবিধান আলোচিত হয়েছে ইসলামে।
ভাই ভাইয়ের সাথে, ভাই বোনের সাথে, বোন বোনের সাথে, সন্তান পিতা-মাতার সাথে, পিতা- মাতা সন্তানের সাথে, বউ শাশুরির সাথে, শাশুরি বউয়ের সাথে এবং ¯^ামী স্ত্রীর সাথে, স্ত্রী স্বামীর সাথে। মোট কথা পরিবারে যত সদস্য থাকবে। কার সাথে কিরূপ আচারণ করবে তার পূর্ণ বিশ্লেষন রয়েছে ইসলামে।
ইসলামের বিধান হচ্ছে, বড়দের শ্রদ্ধ করা এবং ছোটদের আদবর স্নেহ করা। আজ প্রায় পরিবারের ছোটদের অন্তরে বড়দের জন্য শ্রদ্ধভোদ নেই। বড়দের মান সম্মান আবার তাদের অন্তর থেকে কোথাও হারিয়ে গেছে। বড়দের সাথে যথেচ্ছা আচরণ করে, আবার ছোটদের জন্য বড়দের অন্তরে যে মায়া মমতা ও স্নেহ আদর থাকার কথা তাও আমাদের পরিবার গুলোতে নেই।
এছাড়াও ইসলামের নির্দেশিত পারস্পরিক হক সমূহ আদয় না করার কারণে আজ পরিবারে দেখা দিচ্ছে অশান্তি, দ্বন্ধ, কলোহ ও বিভিন্ন ধরনের ঝগড়া বিবাদ অথচ আমাদের মনে রাখা দরকার যে, হুকুল্লাহ্, বা আল্লাহ্ হকের ন্যায় হুক্কুল এবাদ বা বান্দার হক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকলের জন্য তা আদায় করা কর্তব্য। তদুপরী বান্দার হক বান্দা মাপ না করলে মাপ হবে না। আল্লাহ্ তা মাপ করবেন না। পক্ষান্তরে আল্লহর হক পালনে কোন ত্রুটি থাকলে আল্লহ্ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করতে পারেন।
পরিবারের উৎশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অশান্তির বিশেষ উল্লেখযোগ্য কারণ হল বউ শাশুরির দ্বন্ধ। মুলত পারিবারিক অশান্তির পিছনে বউ শাশুরির দ্বন্ধেই অন্যতম কারন। বিয়ের মাধ্যমে যখন একটি দাম্পত্য জীবনে সুচনা হয়। স্বামী ও তার পরিবার নববধুকে বরণ করে নিয়ে যায়। আর বধু তার সকল আত্মিয় স্বজন পিতা মাতা, ভাইবোন ও বান্ধবি মহল ছেড়ে পাড়ি জমায় স্বামীর গৃহে। তখন স্বামীর পরিবার বর্গ নববধুকে আন্তরিকতার সাথে বরণ করে নেওয়া আর বধু স্বামীর পরিবারে নিজেকে পিট করে নেওয়াই যুক্তিযুক্ত ও করনিয়।
এ ক্ষেত্রে শাশুরির কর্তব্য হল পুত্র বধুকে আপন মেয়ের মত মায়া সোহাগ দিয়ে তার হৃদয়ে প্রশান্ত রাখা। কারণ বউ তার পিতা মাতা ভাই বোন পাড়া পড়শী সকলকে ত্যাগ করে সকলের মায়ামমতাকে বিসর্জন দিয়ে স্বামীর গৃহে এসেছে। স্বজনদের বীরহ বেদনায় সে থাকে জর্জরিত। তখন শাশুরি ও স্বামীর নিকট তার হৃদয়ে একান্ত প্রত্যাশ থাকে সোহাগ ও ভালবাসা।
আর বউয়ের কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর পরিবার বিশেষত শাশুরিকে শালিন ভদ্রতাসুলভ ও মার্জিত
উপহার দেওয়া। স্বামীর ঘর সংসারে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম পূর্ণ দায়িত্ব সচেতনতার সাথে আনজাম দেওয়া। শাশুরির অসুন্তোষি কোন কাজে যোগদান না করা। শাশুরির দিক নির্দেশনা মতে চলা এবং শশুর শাশুড়িদের বাবা মায়ের মর্যদা দেওয়া। মুলত মেয়েদের এ নতুন জীবনকে সুন্দর ও মধুময় করতে হলে স্বামীর পরিবারের সব সদস্যদের সাথে ভালোবাসা ও আন্তরিকতাপূর্ন আচার ব্যবহার ও চলাফেরার কোন বিকল্প নেই।
আমাদের দেশের অনেক বউ-শাশুরির মাঝে ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও স্নেহ মায়া না থাকার কারণে না না দ্বন্ধ। মনমালিন্ন রেশারেশি ইত্যাদির সমস্য সৃষ্টি হয়। দেখা যায় একজন শাশুড়ি যেখানে তার বউকে স্নেহ মমতায় রাখতে পারে এবং ভূল ত্রুটি গুলি আদরের সাথে সুধরে দিতে পারে। সেখানে পান থেকে চুন খসলেই বউকে নানা রকম কটু বাক্য গালমন্দ শুরু করে দেয়। কোন সামন্য ভূলের কারণে বউকে নানা রকম লাঞ্চিত করে বা ছেলেকে বউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। এটা কিছুতেই বাঞ্চনিয় নয়। মানুষ ভুলের উদ্ধে নয়। মানুষের ভূল ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়ের কথার উপর ভিত্তি করে স্বামী তার স্ত্রীকে অমানুসিক নির্যাতন ও মারধর করতে থাকে। আর বউয়ের উচিত এমন কোন কথা ও আচার আচরন পরিহার করা। যার কারণে শাশুড়ির অন্তরে ব্যাথা আসে। শাশুড়ি হল মায়ের সমতুল্য। তাকে মায়ের মত সম্মান ও মর্যদা দিতে হবে। মায়ের অবর্তমানে শাশুড়ির কথা মতই চলতে হবে। বস্তুত সংসারের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সঠিকভাবে আনজাম দিলে এবং শাশুড়ির যথাসাধ্য সেবা যত্ন করলে শাশুড়ি কোন কটু কথা বলার প্রশ্নই উঠে না। তখন শাশুড়ি এমনিতেই বউকে আদর সোহাগ করতে বাধ্য হবে।
বউ তার নিজের পিতা মাতাও ছোট ভাইবোনদের নিকট কখনো স্বামী বা শাশুড়ির বা সে বাড়ীর কোন বদনাম করবে না। গুনের সাথে দোষত্রুটিও মানুষের মাঝে বিদ্যমান থাকে। এ হিসেবে শাশুড়ি থেকেও অনাকাঙ্খিত কোন কিছু ঘটে যাওয় অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর স্বামীকে তার মা বোনদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে না তুলে বরং ধৈর্যের সাথে শাশুড়ির মন জয় করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। তবে অবশ্যই ফল পাবে আশা রাখি। ইহকালে না পেলেও পরকালে তার উত্তম জাযা লাভ করা অবশ্যম্ভাবী। বর্তমানে একথা মনে রাখতে হবে যে বাড়ীতে যদিও সে দাসী বা চাকরানী নয়। কিন্তু স্বামীর সেবা যত্ন করা মহান আল্লহ্ তাআলা তার উপর ফরয করেছেন। ইনসাফের দৃষ্টিতে পুত্রের জন্য মায়ের চেয়ে পৃথিবীতে অন্য কেউ সম্মানিত নয়। মা জননী অসংখ্য দুঃখ কষ্ট সহ্য করে তাকে লালট পালন করেছেন। এখন সেই আদরের পুত্র বর্তমানে স্বামী। তার স্বামীর জান্নাত যার পদতলে তিনিই হলেন সে বৃদ্ধা মা। এ সম্পর্কে মহানবী (সা) এরশাদ মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। সুতরাং বউয়ের লক্ষ্য রাখা দরকার যে তার স্বামীর জান্নাত যে মায়ের পায়ের নিচে সে মায়ের মনে কষ্ট দেওয়ার কারণে স্বামীর জান্নাত যাতে নষ্ট না হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে শাশুড়ির কর্তব্য হচ্ছে স্বীয় পুত্র বধুকে নিজের সন্তানের মত মনে করা। তার পুত্র বধুওতো রক্ত গোস্ত গড়া মানুষ। তারও আছে বুক ভরা কামনা ভাসনা। নিয়ে জীবন অতিবাহিত করার স্বপ্ন। সে পিতা মাতার মায়া মমতা ও আদর সোহাগ করে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য স্বামীর হাত ধরে শশুড়ালয়ে চলে এসেছে। এ গৃহকে আপন গৃহ মনে করে। এ পুত্রবধুই তার পুত্রের মর্যাদা সম্মান আর ইজ্জতের ধারক।
শাশুড়ির মনে রাখতে হবে পুত্রবধু ক্রয় করা দাসি নয়। তার উপর স্বামীর হক রয়েছে এবং স্বামীর ও তার উপর হক রয়েছে। শাশুড়ি কোন এককালে বউ ছিলেন। তখন তিনি শাশুড়ির পক্ষ থেকে যেমন আচার ব্যাবহার কামনা করতেন তেমনি সু ব্যবহার আজকের এ বউ শাশুড়ি থেকে কামনা করে।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বউ শাশুড়ির দায়িত্ব ও অধিকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বউ তার আপনা দায়িত্ব পালন করবে অতঃপর অধিকার বুঝে নিবে ঠিক তেমনি শাশুড়িই প্রথমেই আপন দায়িত্ব অর্থাৎ মুরব্বির দায়িত্ব পালন করবে অতঃপর নিজ অধিকার বুঝে নিবে
তাই যারা এখনো শাশুড়ি হননি তাদের খিদমতে আরজ আপনার পুত্রের বউ নির্বাচনে শরিয়তের বিধিবিধান সমূহ যথাযথ অনুসরণ করতে ভূল করবেন না। অন্যথায় শাশুড়ি হিসাবে আপনি আপনার মর্যাদা রক্ষা করতে পারবেন না।
অতএব সর্বস্তরের বউদের দৃষ্টি আকর্ষন করে নিবেদন করছি আপনার শাশুড়ি অর্থাৎ আপনার স্বামী গর্ভধারিনী মাতাতো আপনার মতই একটি বউ হয়ে এ বাড়ীতে আগমন করেছিলেন। আর আপনিওতো কয়দিন বাদে তার মতই শাশুড়ি হবেন ইনশাআল্লাহ্। এখন আপানর নতুন জীবনে পথ চলা দিশা পেতে তার কাছ থেকে শিক্ষা নিবেন।
এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার অধিকারিনী একমাত্র আপনার শাশুড়ি। আপনি তাকে এড়িয়ে গেলে মারাত্বক ভূল করবেন ও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই অবশ্যই আপনার স্বার্থে আপনার নিজ শাশুড়িকে গৃহশিক্ষকের আসনে বসাতে হবে। তবেই হয়ত আপনি উত্তম ফল লাভের আশা করতে পারেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: নিজ দেশের অবস্থার আলোকে লিখলাম।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনি তো কিছুক্ষন আগেই একটা পোষ্ট দিয়েছেন , একটা পোষ্ট পরেই সেটা আছে এতে কিন্ত সমস্যা হতে পারে ভাইয়া।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: দুটো পোষ্টেই পর পরই লিখলাম আজ ৫ দিন ধরে।
সমস্যা হতে পারে ভাবিনি, কী ধরনের সমস্যা হবে বলতে পারেন, সামু ব্লগের এখনও অনেক কিছু অজানা।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
ওমেরা বলেছেন: আমিও কেমন জানি না তবে একবার রাজীব নুর ভাইয়ার প্রথম পাতার সুবিধা উঠিয়ে নিয়েছিল শুনেছিলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: ও আচ্ছা, জানা ছিলো না।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মন্তব্যে লেখক বলেছেন, " নিজ দেশের অবস্থার আলোকে লিখলাম।"
পোষ্টের শুরুতে বললেন, ইসলাম ব্যক্তির জীবন, সামাজিক জীবন থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল অবধি বিস্তৃত; এখন নিজ দেশের আলোকে বললে কি কাহিনী মিলবে?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: নবী মুহাম্মদ (স) এর যুগে শিয়া- সুন্নী নিয়ে কোন মত বিরোধ ছিলো না।
ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান, পাকিস্তানে শিয়া শ্বাশুড়ির সুন্নী বধুমাতা নেই
নিজ দেশে এখনো শিয়া-সুন্নী নিয়ে উল্লেখিত দেশের ন্যায় যুদ্ধ কিংবা দন্ধ নেই।
সবচেয়ে বড় দলিল হলো- পবিত্র কোরআন ও রাসুল (সা) এর হাদিস।
লিখার শুরুতে পরিবার থেকে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র তারপর আন্তর্জাতিকের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশেতো অধিকাংশ পরিবারই ঠিক নাই, এ জন্য নিজ দেশের আলোকে লেখাটি যদিও পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ধমীয় শাসনে মানুষের চলার সময় কোথায়!!! এখন আর টিভিতে বউ ও শ্বাশুড়ীর সিরিয়াল চলে না, এখন বউ ও শ্বাশুড়ীর সিরিয়াল দেশে অনেক পরিবারে চলে।।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: এখন বউ ও শ্বাশুড়ীর সিরিয়াল দেশে অনেক পরিবারে চলে
সহমত জ্ঞাপন করছি প্রীয় কবি আপনার সাথে।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
আল ইফরান বলেছেন: ভালো ও গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে লিখেছেন।
আরো ভালো হত যদি এই দ্বন্দের মনসত্বাত্তিক একটা ব্যাখ্যা জুড়ে দেয়া হত।
ভালো থাকবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: পোষ্টটি এমনিতেই বড় হয়ে গেল, তাই।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালোই লিখেছেন, বউ শ্বাশুরীর এখন আর মধুর সম্পর্ক থাকেনা কোনভাবেই।
আমাদের দেশের মেয়েরা ছোট থেকেই কোরান শিক্ষা নিয়ে থাকে, কিন্তু স্বামীর বাড়ি গিয়ে ভুলে যায় সব!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমার দেশেরে মেয়েরা ছোট থেকে কোরআন শিক্ষা নিয়ে থাকে।
স্বামীর বাড়ী গিয়ে ভুলে যাওয়ার কারণ তাহলে কী হবে??
নয়ন ভাই, অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়েছি।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাশুরি বউয়ের সাথে এবং ¯^ামী স্ত্রীর সাথে, স্ত্রী স্বামীর সাথে। মোট কথা পরিবারে যত সদস্য থাকবে। কার সাথে কিরূপ আচারণ করবে তার পূর্ণ বিশ্লেষন রয়েছে ইসলামে।
ইসলামের বিধান হচ্ছে, বড়দের শ্রদ্ধ করা এবং ছোটদের আদর স্নেহ করা।
দাস-দাসিদের কথা সজত্নে এড়িয়ে গেলেন মনে হয়।
দাসীদের সংগে কেমন আচরণ হবে?
আরবিয়রা এখন যেরূপ করছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০
তারেক ফাহিম বলেছেন:
স্বদেশের কথা ভেবে লিখাটা লিখলাম।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা হয়ে থাকলে স্বদেশ-বিদেশ কেন? সেটা সার্বজনিন হওয়ার কথা।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা হয়ে থাকলে কৃতদাশ প্রথা চালু ও বহাল থাকে কিভাবে?
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা হয়ে থাকলে বেতনভুক্ত দাশও থাকা উচিত না।
শ্রমের প্রকৃত মুল্য দেয়া হলে বেতনভুক্ত দাশ থাকার কথা না।
ইসলামি দেশগুলো, মুসলিমরা শ্রমের প্রকৃত মুল্য দিচ্ছে?
পশ্চিমা দেশে শ্রমের দাম প্রকৃত মুল্যর কাছাকাছি হওয়াতে গৃহভৃত্য নেই বললেই চলে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমরা নামধারী মুসলমান,
ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি বলে আজ আমাদের এ অবস্থা।
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একটু মনে করিয়ে দেই, বউ যদি শশুর শাশুড়ির সেবা করে ভালো তবে জোর করা যাবে না। এটা তার দায়িত্বে পড়ে না। এটাই ইসলামের নিয়ম। যদি বউ শাশুড়ির মধ্যে ঝামেলা হয় তাহলে ইসলামের সমাধান হলো বউ নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়া। তবে এ ক্ষেত্রে পুরুষকে স্ত্রী ও মায়ের পূর্ণ অধিকার দিতে হবে। আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যুগ যুগ ধরে এই ধারণা হয়ে আসছে ছেলের বউ মানেই শশুর শাশুড়ির সেবা করতে বাধ্য - যেটা নিয়ে পরিবারে পরিবারে এত দ্বন্দ্ব...
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যুগ যুগ ধরে এই ধারণা হয়ে আসছে ছেলের বউ মানেই শশুর শাশুড়ির সেবা করতে বাধ্য - যেটা নিয়ে পরিবারে পরিবারে এত দ্বন্দ্ব...
সহমত।
বৃদ্ধা অবস্থা স্ত্রী শ্বশুড় শাশুড়ীর সেবা না করলে করবে কে?
তাহলে কী বৃদ্ধাশ্রমে রাখাটাই শ্রেয়?
স্বামীর পদতলে স্ত্রীর জান্নাত বলা হয়েছে, আর ঐ স্বামীর জান্নাত কিন্তু তার মায়ের পদতেলে।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭
শিখণ্ডী বলেছেন: নীতিকথা, ধর্মীয় উপদেশ, রাষ্ট্রিয় শাস্তির ভয় দেখিয়ে সংসার সুন্দর করা সম্ভব নয়, বিবেক না থাকলে সব এক কান দিয়ে ঢুকবে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমাদের সভ্য সমাজে অধিকাংশ বিবেকবানদের পিতা-মাতাকে বৃদ্ধ্যাশ্রমে দেখা যায়।
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্বামীর পদতলে স্ত্রীর জান্নাত আপনি এটা কোথায় পেলেন? এটা ভুল কথা। আরেকটু ভালো করে জানুন।
বৃদ্ধ হলে দেখাশোনা করবে ছেলে। ছেলের বউ করলে ভালো না করলে জোর করা যাবে না। আপনি ইসলামিক সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ...
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: ছেলে কর্মব্যস্ততায় বাহিরে থাকবে,বৃদ্ধা পিতা- মাতা ঘরে
সেক্ষেত্রে স্ত্রী সেবা-যত্নে অপরাগতা স্বীকার করলে তাহলে বৃদ্ধাশ্রম???????????
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্ত্রী যদি অপারগতা স্বীকার করে তাহলে কি প্রহার করবেন? তালাক দিবেন? ইসলাম কিন্তু এটা সমর্থন করে না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। নাহয় বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে মূল বিষয় হলো, বাধ্যবাধকতা আছে কি নেই...
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে
সহমত, কিন্তু এই অধিকাংশ গ্রাম্য পরিবারে আলোচনা হয় না ফল স্বরূপ সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকে।
১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
শামচুল হক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়া
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩
শায়মা বলেছেন: জি সিরিয়ালেও অনেক শিক্ষা আছে। তবে তা যদি ইতিবাচক হত তবেই কিছু হত জীবনে। তার বদলে যে শিক্ষা এবং দীক্ষা দেয় তাতে সংসারে খুনাখুনি লাগার কথা।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০
তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে সত্যিই অনেক খুশি হলাম আপুমনি।
নৈতিক শিক্ষার অভাবে এমনটি হয়ে থাকে, সহমত আপুমনি আপনার সাথে।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ধমীয় শাসনে মানুষের চলার সময় কোথায়!!! এখন আর টিভিতে বউ ও শ্বাশুড়ীর সিরিয়াল চলে না, এখন বউ ও শ্বাশুড়ীর সিরিয়াল দেশে অনেক পরিবারে চলে।।
শাহরিয়ার কবীরের মন্তব্যের সাথে সহমত।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামণিক ভাইকে আমার ব্লগে পেয়েছি বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইসলাম আরবের মানুষকে বিচক্ত করে দিয়েছে: ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান, পাকিস্তানে শিয়া শ্বাশুড়ির সুন্নী বধুমাতা নেই; সুতরাং বুঝতে পারছেন অবস্হা কি রকম !