নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদায় জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াই

তারেক ফাহিম

অজানাকে জানতে গিয়ে অস্থিরতার বোঝা নিয়ে স্পষ্টতাকে পুড়ে দিয়ে অন্ধকারে বুক পুলাই

তারেক ফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজও মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করছে বজরা শাহী মসজিদ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৫



অনেক দিন হল ব্লগে পোষ্ট দেওয়া হয় না। পাঠকের পরচিতিটাও এমন ভালো করে ধরে রাখতে পারিনি ব্যস্ততার মাঝে। ঘুরে এলাম নিজ জেলায় মোগল স্পাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শক বজরা শাহী মসজিদ থেকে।
নোয়াখালী মাইজদী প্রধান শহর হতে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ উত্তরে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরানামক স্থানে প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বিখ্যাত এই বজরা শাহী জামে মসজিদ অবস্থিত। নোয়াখালীসহ সমগ্র বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে রয়েছে এর ঐতিহাসিক অবদান। দিল্লীর মোগল সম্রাটগণ অবিভক্ত ভারতবর্ষে ৩০০ বছরের অধিকাল রাজত্ব করেন। এদীর্ঘ সময়কালে মোগল সম্রাটগণ এবং তাদের উচ্চপদস্থ আমলারা বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ইমারত, মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজো স্থাপত্য শিল্পের বিরল ও উজ্জ্বলনির্দশন হিসেবে বিরাজমান। এগুলোর মধ্যে আগ্রার তাজমহল, সেকেন্দ্রা, দেওয়ানে আম, আগ্রার দূর্গ, দিল্লীর লাল কেল্লা ও দিল্লির শাহী জামে মসজিদ অন্যতম। দিল্লীরবিখ্যাত জামে মসজিদের অনুকরণে মোগল জমিদার আমান উল্লাহ খান ১১৫৪ হিজরিসাল, ১১৩৯ বাংলা মোতাবেক ১৭৪১ সালে অর্থাৎ প্রায় তিনশত বছর পূর্বে বজরাশাহী মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও মোগল স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।
নোয়াখালী জেলায় থাকা শর্তেও প্রাচীন অনন্য নিদর্শন মসজিদটি দেখতে আমার বড্ড দেরি হয়ে গেল। আজও যেতে পারতাম না যদি, তারানা সাঁয় না দিত। তারানার বাড়ী একই উপজেলায় হওয়ায় তাকে বাড়ীতে এগিয়ে দিয়ে আসতে মসজিদটিতে আচরের নামায পড়ার সৌভাগ্য হল।
মসজিদের পাশ্ববর্তী গ্রামে আমার এক স্কুল বন্ধু ছিল হায়দার। তার সাথে গত দুই মাস পূর্বে দেখা হয়ে কৈশর সম্পর্কটি আরো জোড়ালো হল। বিদেশে ফেরত বন্ধু হায়দারের নাম্বারটি তখনি সংগ্রহ করা হল। তারানাকে নামিয়ে দিয়ে মসজিদের কাছাকাছি এসে হায়দারকে ফোন করি। আমি ওদের এলাকাতে আসছি শুনে সে সত্যি বিস্মিত হল। মসজিদের কাছা-কাছি স্থানে আছি বলা মাত্রই আমাকে দশ মিনিট দাঁড়াতে বলল। দশ মিনিট বললেও সাত মিনিটের মাথায় সে চলে আসলো। তখন আচরের নামাযের আযান দেয়। বললাম চল আজ তোদের প্রাচীন মসজিদেই নামাজ পড়ি সেও রাজি হল। নামাজ শেষ করে নিজ হ্যান্ড সেটেই প্রাচীন অনণ্য নিদর্শন মসজিদটি ও মসজিদের আশে পাশের কিছু ছবি তুললাম যা মোটেও ভালো হয়নি তাও দিলাম


মসজিদে প্রবশের প্রধান দরজা



মসজিদের প্রবেশ পথের উপর রয়েছে কয়েকটি গম্বুজ





৩টি ধনুকাকৃতি দরজার মধ্যে ১টি



দিঘীর একাংশতে ঘাট মুসল্লিদের জন্য ওযু ও গোসলের ঘাট


ফসলের মাঠ হলেও এটি কিন্তু দিঘী যা বর্ষা মৌসুমে প্রকাশ পায়



বাহির থেকে মসজিদের একাংশ



সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে সূর্যি মামা নিভু নিভু অবস্থায় আরো একটি ছবি।

মসজিদ থেকে নামায শেষ করে ছবি তোলার পাশাপাশি নামাজ পড়তে আগত মুসল্লিদের উক্ত মসজিদটি নিয়ে কথা তুলি কিছু জানার চেষ্টা করি, তাদের ভাস্য মতে, এ মসজিদে কিছু মানত করলে তাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় যে, দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পাওয়ার আশায় অগণিত মহিলা ও পুরুষ প্রতিদিন এ মসজিদে টাকা পয়সা সিন্নি দান করেন। এছাড়া বহু দূর- দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ঐতিহাসিক মসজিদখানার ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং দুর্লভ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, দিল্লীর বিখ্যাত জামে মসজিদের অনুকরণে মোগল জমিদার আমান উল্লাহ খান
১৭৪১ সালে অর্থাৎ প্রায় তিনশত বছর পূর্বে বজরাশাহী মসজিদ নির্মাণ করেন। জমিদার আমান উল্যাহ্ তাঁর বাড়ীর সম্মুখে ৩০ একর জমির উপর উঁচু পাড় যুক্ত একটি বিশাল দীঘি খনন করেন। এ দিঘীর পশ্চিম পাড়ে মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় তোরণ বিশিষ্ট প্রায় ১১৬ ফুট দৈর্ঘ্য ৭৪ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ২০ ফুট উঁচু ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট এ ঐতিহাসিক মসজিদ খানা নির্মাণ করেন। এ মসজিদকে মজবুত করার জন্য মাটির প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ভীত তৈরী করা হয়। সুদৃশ্য মার্বেল পাথর দ্বারা গম্বুজগুলো সুশোভিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৩টি ধনুকাকৃতি দরজা। মসজিদের প্রবেশ পথের উপর রয়েছে কয়েকটি গম্বুজ। কেবলা দেওয়ালে ৩টি কারুকার্য খচিত মিহরাব আছে।
মোগলসম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরীফের বাসিন্দাতৎকালীন অন্যতম বুজুর্গ আলেম হযরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দিকী এ ঐতিহাসিকমসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োজিত হন। তাঁর বংশধরগণ যোগ্যতা অনুসারে আজো এ মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে প্রথম ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হাসান সিদ্দিকী উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।



ব্লগার রাজিব নুর তার ব্লগে প্রায় লোকাল বাস সম্পর্কে বলেন, আমি তারানাকে নিয়ে বাসে যেতে এই রকম একটি অভিজ্ঞতা হয়। যা অন্য একদিন বলব বলে আশা রাখি।

কিভাবে যাওয়া যায়:
নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যে কোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বজরা হাসপাতালের সম্মুখে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছা যাবেন।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ফাহিম ভাই?

কতদিন পর পোস্ট দিলেন মনে আছে??

প্রায় দুই মাস!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, আসলে আপনারা তাড়া না দিলে হয়ত আজও হতো না।
আমি এমনিই দেরি হলেই তাড়া দিবেন।

কাজের বেলায় কিন্তু তাড়া দেওয়া লাগে না।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দারুণ ছবি।

সুন্দর মসজিদ।

+++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।
প্লাসে অনেক প্রেরণা দিলেন।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার ছবি গুলো তে বেশ একটা ধারনা পাওয়া গেলো মসজিদের ,বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো ভালবেই সংস্কার করা হয়।
কী চমৎকার দীঘি !!
অনেক ভালোলাগা লেখায়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আনন্দিত মনিরাপু।
আপনি ঠিক বলছেন মসজিদটি অনেকটা ভালোভাবেই সংস্কার করা হয়।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দু:খের বিষয় যে, মোগলদের বেশীরভাগ স্হাপনাই বাংলার বাহিরে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: সেদিক থেকে আমাদেরতো সৌভাগ্য।

ধন্যবাদ গাজী ভাই।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এরকম প্রাচীন আর সুন্দর একটি মসজিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবিগুলোও ভাল হয়েছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মুল্যয়ন করার জন্য।
পাঠ, মন্তব্য ও লাইকে কৃতজ্ঞ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! ফাইন।চমৎকার লাগলো এ রকম একটি প্রাচীন মসজিদকে দেখতে ও জানতে পেরে।ফাহিম ভাই এরকম আরো পোষ্ট দিয়েন।
শুভেচ্ছা রইল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: চৌধুরী ভাই।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আরেকবার পড়লাম।

দারুন বর্ননা করেছেন। সময় করে একদিন ঘুরে আসবো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ জানবেন।
ঘুরে আসতে পারেন ৩০০ বছরের প্রাচীন এক অনন্য মসজিদ।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: মসজিদের ছবি এবং বর্ননা খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামনিক ভাই।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ !!



সময় করে একদিন ঘুরে আসার ইচ্ছা রাখলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: ঘুরে আসতে পারেন।
আসার আগে আমাকে নক দিয়েন। আপনার সাক্ষাত লাভের আশায় আছি।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ কবীর ভাই।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি এবার বর্ণনা দুটোই সুন্দর, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ তারেক ভাই।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

সনেট কবি বলেছেন: একবার ঘুরে আসতে পারলে ভালো হতো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ঘুরে আসতে পারেন শ্রদ্ধেয়।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

উচ্ছল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ উচ্ছল ভাই।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম পোষ্ট আমার ভীষন প্রিয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই।

আপনার ভালোলাগা জেনে অামারও ভালো লাগলো।

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

123456789happy বলেছেন: তারেক ভাই সালাম নিবেন, আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্যই মূলত লগ-ইন করলাম, এমনিতেই ব্লগসহ পুরো দেশের পরিস্থিতিই ভালো না, সব ধর্মীয় আর রাজনৈতিক ক্যাচাল!!! ব্লগারদের পোষ্টগুলো চুপিসারেই দেখা হয়, মন্তব্য করা হয় না খুব এক্টা। উক্ত মসজিদখানা নিয়ে আমার এক্টা মধুর স্মৃতি আছে, একদিন চৌমুহনী থেকে এস,এ কলেজ হয়ে নরোত্তমপুর এলাকা দিয়ে আমার এলাকা চাটখিলের দিকে যাচ্ছিলাম, ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই আমি ঐ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি কিন্তু, কখনো বজরার শাহী মসজিদে যাওয়া হয় নি বা আমি ঐ এলাকার রাস্তাঘাট ও চিনতাম না, নাম শুনেছি বহুবার!! তো হয়েছে কি আমি পথভুলে একটা সরু পাকা রাস্তাদিয়ে সমনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম, পথটা খানিক পরিচিত আবার খানিক অপরিচিত লাগছিল। আমি দ্বিধা-দন্দের মাঝে পড়ে গেলাম, আমি আরো ভেতের যেতে থাকলাম, কাউকে কিছু জিজ্ঞেস ও করছি না, আনমনে বাইক চালাতে থাকলাম। দু-তিন মিনিট পর আমার দ্বৈত চোখ জোড়া আটকে গেল একটি শানবাধানো দিঘী, অতি প্রাচীন মসজিদ এবং মসজিদের ঠিক পিছনের পুরোনো আমলের কিছু নির্মাণ শৈলির দিকে, দেহ-মন জুড়িয়ে গেল আমার। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি তখনো জানিনা এটিই বজরার শাহী জামে মসজিদ!!!! অথচ পূর্বে বহুবার মসজিদ টির নাম শুনেছি এবং দেখার ইচ্ছে ছিল সেই সাথে নামায পড়ার। মনের অজান্তেই স্ব-বাইক নেমে আনমনে মসজিদের দিকে এক পা দু পা করে এগুতে থাকলাম। অসম্ভব এক আত্বতৃপ্তি আর ভাললাগা কাজ করছিল। ওযু করে আসরের নামায আদায় করলাম, নামায শেষে পুলকিত নয়ন যুগলে চারপাশটা সামান্য ঘুরে দেখলাম!! সময়ের অভাবে পুরোটা দেখা হয়নি, আল্লাহ্ চাহেতো আবারো যাবো ইন্ -শা -আল্লাহ্। পরিশেষে ধন্যবাদ পোষ্টদাতাকে নোয়াখালীর এ ঐতিহ্য ওনার ব্লগবাড়িতে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন নিরন্তর

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমিও আপনার মত যাবো যাবো বলে সময় হয় না, শেষ চলেই গেলাম।
খুবই বিস্মিত হলাম মনের ভাবটি ব্লগে ভালো করে ফুটে তুলতে পারি নাই।

সামু ব্লগে নিজ জেলার নিক অাছে শুনে সত্যি আনন্দিত। ব্লগারদের ব্লগ পড়ি কখনো দেখি নি। আমি মাইজদীতেই থাকি, আপনার স্বাক্ষাতকার কামনা করছি।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০২

123456789happy বলেছেন: সালাম জানবেন ভাই, গতকালই গিয়েছিলাম মাইজদী কোর্টে আমার এক আত্বীয়ের জায়গা জমি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল.......... এছাড়াও প্রায়ই চৌমুহনীতে যাওয়া হয় ব্যাবসার কাজে। আমি ও আপনার সক্ষাত কামণা করছি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: তাহলেতো হলই, আসার আগে আমার নক দিলেই হবে।

আবার ধন্যবাদ জানবেন।
আচ্ছা আপনাকে কী ১২৩৪৫৬৭৮৯ হ্যাপি বলেই ডাকবো? B-)

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অসাধারণ ছবি। বর্ণনাও ছিলো চমেৎকার।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ শাহাদাৎ ভাই্।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
+।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০০

তারেক ফাহিম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৭৭ বছর আগে নির্মিত হলেও মসজিদটি সুসংরক্ষিত বলে মনে হচ্ছে। পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

তারেক ফাহিম বলেছেন: হ্যাঁ শ্রদ্ধেয়, প্রাচিন মসজিদ হিসেবে মসজিদটির সংস্কার কমতি নাই।

ধন্যবাদ।

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুঁকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।

................শুভ নববর্ষ।
...................আমার ব্লগে স্বাগতম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ইলিশের চাহিদা পুঁটিতে ;)

বৈশাখকে কেন্দ্র করে যে ইলিশ নিয়ে রাজনীতিতে আমাদের জন্য পুঁটি-টা ইলিশ #:-S

ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রতিত্ত্যরে লেট হওয়াতে স্যরি ভাই।

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

তারেক ফাহিম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাইয়া আমার নতুন গল্প
Click

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: সময় করে অবশ্যই ঘুরে আসবো।

২৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হমম মসজিদটা সুন্দর

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেশী আপনার ভাবী বলে, বুড়িয়া বেডা এটা কে? আপনার প্রপিক চেঞ্জ করা দরকার।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: হা হা ভাবিকে দেখান।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

এভো বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ঠিং দিয়েছেন ভাই , ভালো লাগলো সব কিছুই , ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: অাপনাকেও ধন্যবাদ।

২৬| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

এজাজ ফারিয়া বলেছেন: বিষয়গুলো জানতে পেরে ভালো লাগলো। ভালো একটি লেখা পড়লাম :)

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ ফারিয়া ভাই।

ব্লগটি মুল্যয়ন করার জন্য।

২৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

জসীম অসীম বলেছেন: লেখাটি পড়লাম। ভালো লাগলো। ছবিগুলোই লেখার প্রাণশক্তি বাড়িয়েছে। মোগলদের মতো বিশাল সাম্রাজ্যও একদিন এই ভারতবর্ষ থেকে শেষ হয়ে যাবে, কখনো কি কেউ তখন ভাবতে পেরেছিল? অথচ একদিন এই দেশের মানুষ শাসক ইংরেজদেরও তাড়াতে সক্ষম হয়। মোগল এই নিদর্শনটি উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। এটি আমাদের গর্বিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের কলামে পেয়ে পুলকিত হলাম।

এটি আমাদের গর্বিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যত্ন নিলে আরও যুগ যুগ পার হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.