নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদায় জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াই

তারেক ফাহিম

অজানাকে জানতে গিয়ে অস্থিরতার বোঝা নিয়ে স্পষ্টতাকে পুড়ে দিয়ে অন্ধকারে বুক পুলাই

তারেক ফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৈশরী পাকনামি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০



পরিবার শিক্ষা শেষ করে প্রাথমিক গন্ডির মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা, মনে পড়লে আজও ভয়ে শিউঁরে উঠি, আজও লজ্যা দেয়।
সময়টি ছিল বর্ষার মাঝামাঝি্। তখন আমি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। বড় আপুর বিয়ে ঠিক হল। ঐ বছর বণ্যার পানিতে আমাদের গ্রামের রাস্তা ঘাট প্রায় ডুবে যায়। বর পক্ষকে বিয়ে পিছানোর জন্য বললেও তারা বিয়ে না পিছিয়ে বর্ষাতেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করল। আমার কোন চাচা কিংবা বড় ভাই না থাকায় সব কাজ বাবা একাই করতে হয়। বিয়েতেও করল।ছোট দেখে অামায় কেউ কোন কাজের দায়িত্ব দেয়না। আমার খারাপ লাগার চেয়ে কাজে দায়িত্ব পাওয়ার কৌতুহল ছিল বেশি। এটি ছিল আমার দেখা পরিবারের প্রথম বিয়ে। বিয়ের এক সপ্তাহ আগ থেকে মেহমান আশা শুরু করল। পাকা রাস্তা থেকে এক কিঃমিঃ কাচা রাস্তা পার হয়ে আমাদের বাড়ীতে আসতে হত। বর্ষায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় সবাই মোটামুটি নৌকা দিয়েই পারাপার হয়। বর্ষার স্থায়ীত্ব তিন মাসের বেশি হওয়ায় গ্রামের সবাই ছোট ছোট নৌকা কিনে পারাপার হয়। শুধু অামাদের নৌকা ছিলনা। বাড়ীর অন্যদের দুটি নৌকা ছিল। ঐটাই আমরা ব্যবহার করতাম। বিয়েতে মেহমানরা আসলে আগে থেকে খবর দিতো, আব্বু কিংবা বাড়ীর অন্যলোক থাকলে তাদের নিয়ে আসতো।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসলো। ঘটনাটি ঘটল বিয়ের দু দিন আগে সন্ধ্যায়। আব্বু গঞ্জের হাটে গেলো বিয়ের বাজার করতে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বৃষ্টি আসবে আসবে বলে গর্জন সংকেত দিচ্ছিলো। আমি ঘরের পেছনে টিউভ ওয়েলের পানিতে হাত-মুখ ধৌত করছিলাম। প্রত্যেক বিকেলে বাড়ীতে সমবয়সীদের সাথে খেলা-ধুলা করে নিয়ম করে সন্ধ্যার আগ মহুর্তে সবাই হাত-মুখ ধৌত করে পড়ার টেবিলে বসার নিয়ম ছিল। বাবা না থাকলেও সেটা পালন করতে হত। মা রান্না ঘরে ব্যস্ত থাকায় তিনিও তাড়া দেননি আজ। তাই টিউভ ওয়েলের দুয়ারে বসেও দুষ্টমি চলছে। হঠাৎ করে খলিল চাচা বাবার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে বলে তোদের মেহমান আসছে। রাস্তার মাথায় বসে আছে, বৃষ্টি আসছে তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়, আমার নৌকা ভর্তি হওয়াতে আমি আনতে পারি নাই। তখন আমার বয়সী সবাই নৌকা চালাতে পারতো, আমিও পারতাম তবে এক কিলো কখনো চালাইনি। আম্মু রান্না ঘরের ব্যস্ততায় শুনতে পায়নি, খলিল কাকা কি বলল। আমি ভাবলাম খলিল কাকা আমাকে বলছে মেহমানদের নিয়ে আসতে। আমি কাউকে কিছু না বলে নৌকার লগি নিয়ে মেহমানদের আনতে রওনা হলাম। তখনো বৃষ্টি শুরু হয়নি।

তখনকার গ্রামের বিয়েগুলোতে অনেক পুরাতন কিংবা আত্মিয়ের আত্মিয়দেরও দাওয়াত দেওয়ার প্রচলন ছিল। মেহমান যাদের আনতে গেলাম তারা ছিল তিন জন, সাথে ছিল, দুধের বাচ্চা (৭ মাস) একজন মহিলা তিনজন পুরুষ। মহিলা ছিল আমার আম্মুর খালতো বোন, পুরুষ দু’জনের মধ্যে একজন ছিল, আম্মুর খালতো বোনের স্বামী আর একজন ছিল আম্মুর খালাতো বোনের, বোনের ছেলে। আম্মুর খালাতোবোনকে প্রথমে চিনলাম, বাকিদের পরে চিনেছি। উনিও আমায় চিনেছে। উনারা এ প্রথম আমাদের বাড়ী আসতেছে। নতুন মেহমান হিসেবে ঐ সময়ে বিয়েতে যা আনার তার কোন কমতি তারা রাখেনি। বিশেষ করে মিষ্টি, আপু এবং আপুর বরের জন্য আংটি।

আমি তাদের নেওয়ার জন্য যে নৌকাটি আনলাম ঐ নৌকায় করে পাঁচ জন একসাথে বহন করতে দেখেছি। সেখানে আমরা ছিলাম ৪ জন, আমিসহ। এখানে আমি শুধু জন-ই হিসাব করছি, কিন্তু তাদের সাইজ হিসাব করিনি। পুরুষ দু’জনিই ছিল নৌকা চালাতে অজ্ঞ। তারা জেলা শহরে থাকে। তারাও খুব কম নৌকায় ছড়েছে।

বৃষ্টি আসার আগে আগে পৌছাতে হবে। তাই তারা তাড়াহুড়ো করে নৌকায় উঠে পড়ল। প্রথমে খালা উঠলেন উনার কোলে দুধের বাচ্চা। তারপর উনার হাসব্যান্ড হাতে মিষ্টির বাক্স, তারপরের জনের হাতে আরও একটি বড় বাজারের ব্যাগ ছিল। তিনি উঠতেই নৌকা প্রায় পানির সাথে 5 আংগুলের পার্থক্য। উনারা ভাবলো আমি নৌকা ভালো চালাতে পারি। তাই তারাও প্রথমে এত ভয় পায়নি, শুধু খালা একটু ভয় পাচ্ছিল।
অামি আস্তে আস্তে লগি মেরে আগাচ্ছিলাম, খালা ভয় পায় দেখে, খালার হাত থেকে বাচ্চাটিকে খালু নিয়ে উনাকে নৌকার দুই পাশে দুই হাত দিয়ে বসতে বললেন। বাচ্চটি তাদের প্রথম সন্তান তখন বাচ্চার বয়স ছিল মাত্র সাত মাস। অপর জন হাতে লাইট। নৌকাতে বসার জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় সবাই উরু হয়ে বসেছিল। নৌকায় উরু হয়ে বেশিক্ষন বসা যায় না। খালা এদিক ওদিক করতে লাগলো ভয়ে। হঠাৎ করে নৌকার এক পাশ একটু ডুবে কিছু পানি ঢুকল। খালা বড় বড় করে দোয়া-দুরুদ পড়তে লাগল। এদিকে বৃষ্টিও শুরু হল। নৌকায় পানি বাড়তে থাকলো। খালু বাচ্চা বুকে নিয়ে দোয়া পড়তেছে, খালা ভয়ে চিৎকার দিচ্ছিল, অপরজন বাটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে নৌকার একপাশ ডুবাইয়া আরও একটু পানি ঢুকাইল। এখন নৌকা থেকে না নামলে নিশ্চিত বাকিটাও ঢুবে যাবে। অামরা কি করব বুঝতে পারছি না। হুট করে আমি লাফ মেরে নেমে পড়ি।আমি জানতাম না আমি পানিতে ঠায় পাব কিনা। ভাগ্যিস আমার গলা সমান পানি ছিল। আমি লাফ মেরে নামতে আরও পানি ঢুকে নৌকা ডুবে যাচ্ছিল। আমি লগি রেখে দুই হাত দিয়ে নৌকা উঠাই ধরেছি। খালু বাচ্চাটিকে আন্টির কাছে দিয়ে উনিও নেমে পড়লেন, পরে বাকিজনও নামলেন। খালা ও তার বাচ্চাকে নৌকায় রেখে আমরা সবাই নেমে বাটি দিয়ে পানি কিছু নিষ্কাশন করেছি।তারপর আমি নৌকার সামনে দিয়ে ধরে আর বাকি দুজন নৌকার পিছনে ধরে ধরে সামনে এগুতে লাগলাম। সামনে এক যায়গায় পানি কম থাকাতে পুরুষ দুইজনকে ঐ যায়গায় রেখে আমি খালা ও তার বাচ্চাকে অনেক সতর্কভাবে বাড়ীতে রেখে নৌকা নিয়ে আবার ওদের আনতে গেলাম। আমি একটু যেতে দেখে উনারা ঢুবে ঢুবে চলে আসতেছিলো। পরে তাদের নৌকায় উঠার জন্য বললে তারা বিড় বিড় করে আমাকে কি কি বলে নৌকায় আর উঠেনি। শুধু বলল আর কদ্দুর বাকি। তোমার খালাকে ঠিকমত নিয়েছো? বাচ্চার কি অবস্থা? আমি বলি সব ঠিক আছে। আপনারা নৌকায় উঠেন। উনারা আর নৌকায় উঠলো না। অপরজন বলে ঐ যায়গাটাতে গিয়ে দেখো কিছু আছে কিনা সবতো ঢুবে গেলো। পরে আমি যাইয়া দেখি সব মিষ্টি পানিতে ভাসে, একেকটা একেক স্থানে। উনাদের কথায় এগুলো উঠাই নিলাম। পরে উনাদেরও উঠিয়ে বাড়ী ফিরলাম।

তারপর আরকি বাবার হাতে যা উত্তম মাধ্যম পাওয়ার তা পাইলাম পাকনামির জন্য।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

ঢাকার লোক বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা ! ভাগ্য ভাল পানি গলা পর্যন্ত ছিল !! সাঁতার জানতেন নিশ্চয় ?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, দারুন অভিজ্ঞতা। মনে পড়লে আমি আজও ভয় পাই।

জ্বি, ভাই সাঁতার জানা ছিল।

মন্তব্যে কৃত্জ্ঞ।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।

মন্তব্যে প্রেরনা আসলো।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভাগ্য ভালো ছিলো। পানি বেশি থাকলে বা ঝড়তুফান শুরু হলে বড় বিপদ হতে পারতো।

লেখাটি পড়তে পড়তে মামার বাড়ির পুরানো কিছু স্মৃতিতে হারিয়ে গেছিলাম। আমাদের মামার বাড়িও ভাটি অঞ্চলে। তখন বর্ষা এলে তাদের এলাকায় নৌকাই ছিলো চলাফেরার অন্যতম মাধ্যম। পাকা রাস্তা থেকে মামাদের বাড়ির দুরত্ব প্রায় মাইল দুয়েক হবে। পুকুর ঘাট থেকে ঐ পাকারাস্তার মোড় দেখা যেতো। আমরা বর্ষায় মামাদের বাড়ি গেলে ওখানে থেকে ছোটমামার নাম ধরে হাক দিতাম। মামা-খালারা কেউ না শুনলেও আশেপাশের বাড়ির কেউ না কেউ শুনতো। পরে তারা নৌকা নিয়ে বা মামাদের ডেকে বলতো। মাঝেমধ্যে মায়ে পড়শি ভাই বা ছোটছোট বোন, ভাতিজারা আমাদের নিয়ে আসতো। একবার মেঝখালার বিয়ের সময় প্রচুর পানি ছিলো। ওয়ালিমার দিন আমরা এক নৌকায় অনেক মানুষ ওঠেছিলাম। নৌকা চলতে চলতে হঠাৎ মাঝপথে ডুবে পিছনের ডানদিকটা কাত হয়ে ডুবে গেলো। ভাগ্যিস সবাই সাতার জানতো। আমাকে একজন কুলে করে বাড়ি পৌছে দিয়েছিলো।

তবে ওয়ালিমায় যাওয়া মিস হয় নাই। অনেকেই আর যায় নাই, তবে আমি কান্নাকাটি করে গিয়েছিলাম।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি , ভাই ভাগ্য ভালোছিল।

বর্ষার প্রকৃত রূপ গ্রামেই ফুটে উঠে।
বর্ষায় গ্রামের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।

মামার বাড়ীর অভিজ্ঞতা শেয়ারে ধন্যবাদ।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শৈশব-কৈশোরের দুরন্তপনা আর ডানপিটে জীবন যাপন আমার মত প্রতিটি মানুষের ফ্ল্যাশ ব্যাক জীবন। আমরা যারা শরীর থেকে সেই ছোট গ্রামের কাঁদা আর ধূলা মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে দিতে বিদেশী পারফিউম ব্যবহার করে আধুনিক হবার জন্য ব্যস্ত থাকি, তাঁরা কেউ বলতে পারবো ছোট বেলা খড়কুটো দিয়ে বল বানিয়ে বাড়ির উঠানে সাথীদের নিয়ে ফুটবল খেলেনি? আমরা কী বলতে পারবো ঘরের কোণায় পরে থাকা কাঠের টুকরো দিয়ে ব্যাট বানিয়ে টেনিস বল দিয়ে বাড়ির উঠানের ছোট জায়গাটায় মাঠ বানিয়ে খেলিনি?

আমরা কি বলতে পারবো নবান্নের উৎসবে কৃষাণের সাথে রাত জেগে বাড়ির উঠানে গরু দিয়ে ধান মাড়ার দৃশ্য দেখিনি? যাদের শৈশব আর কৈশোরটা গ্রামে কেটেছে, তাদের জীবনের এই দৃশ্য গুলি চোখের দূরমিনে সাজানো আছে মহামূল্যবান স্মৃতির এলবাম হয়ে ।

আজকের আমাদের এই দ্রুততর জীবনে একটু যদি অবসরে বসে যাই, তাহলে আমাদের চোখের সামনে প্রথমেই যে ছবিটা ভেসে উঠে সেটা হল শৈশব আর কৈশোরের চিত্র। আমরা চোখ বন্ধ করে মুহূর্তে দেখে নেই স্মৃতির এ্যালবাম। মনের উঠানে দৌড়াদৌড়ি করে ছেলে বেলার দৃশ্য। দল বেঁধে সকালে মক্তবে যাওয়া, স্কুলের ক্লাস শুরুর আগে এলোমেলো দৌড়ঝাঁপ, গোল্লাছুট, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, কানামাছি, বৌছি খেলার দিন গুলি। স্কুল থেকে ফিরে খাবারটা খেয়েই বিকালে মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা। কখনো স্কুল ফাঁকি, জাল দিয়ে মাছ ধরা। নারার ভুরে বড় বড় গর্ত করে গোবর দিয়ে বাঁশের চোঙ্গা লাগিয়ে ইট বাট্টা বানিয়ে দুয়া দেওয়া খেলার সেই সব দিন কী করে ভুলি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: আহ্ শৈশব স্মৃতি।

আপনার মন্তব্য পড়তে পড়তে কিছু সময়ের জন্য শৈশবে হারিয়ে গেছিূ।

আপনার শৈশব গ্রামে কেটেছে জেনে ভালোলাগল।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ, প্রিয় কাওসার ভাই।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: খালু বাচ্চা বুকে নিয়ে দোয়া পড়তেছে, খালা ভয়ে চিৎকার দিচ্ছিল, অপরজন বাটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে নৌকার একপাশ ডুবাইয়া আরও একটু পানি ঢুকাইল। -- ভয়ঙ্কর ব্যাপার।

যাক শেষমেষ ভালোই ভালোই ফিরে এসেছেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, অনেক ভয়ে কাটলো।

ঐ রাত্রে আর ঘুম হয়নি।
একেতো বাবার উত্তম মাধ্যম। অন্যদিকে নতুন মেহমানদের সামনে যেতে লজ্যা।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ প্রিয় লেখক।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

রাকু হাসান বলেছেন: খুব বড় রকমের বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন বলে শুকরিয়া ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি, ভাইয়া। আল্লাহর দরবারে হাজার হাজার শুকরিয়া। বিশেষ করে বাচ্চাটির জন্য।

অনেক বড় ধরনের বিপদের আশংকা ছিল।

বর্ষাতে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ায় আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম।

মন্তব্যে আসাতে কৃতজ্ঞ, প্রিয় লেখক।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতার দারুণ অভিজ্ঞতা। খুব ভালো লাগল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রামনিক ভাইয়া,


হঁ্যা বাস্তব অভিজ্ঞতা।
ভয়টি ছিল অনেক।

মন্তব্যে আসাতে কৃতজ্ঞ প্রিয় ছড়াকার।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলার সৃতি গুলো খুব সুন্দর।
আমার নিজেরও অনেক সৃতি আছে। ভাবছি লিখব।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, শৈশ্ববের স্মৃতিগুলো অনেক সুন্দর।


আপনার স্মৃতিগুলো শেয়ার করেন।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

ওমেরা বলেছেন: পাকনামি একটু বেশী হয়ে গিয়েছে !! ভাগ্য ভাল ছিল বলেই এখন বেঁচে আছেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি. ওমেরাপু।
পাকনামি একটু বেশিই হল।

জ্বি আপনাদের দোয়ায় এখনও আছি।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমারও নৌকা ডুবির কথা মনে পড়ল। পরে পোস্ট দিব।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: দিয়ে দেন স্যার।

আমরাও আপনার অভিজ্ঞতাটুকু জানি।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জনাব।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: নৌকা নিয়ে এরকম বিপদে আমিও পড়েছিলাম। ধন্যবাদ ছোট বেলার স্মৃতিচারণের জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

আপনার স্মৃতিটাও শেয়ার করেন, আমরাও শুনি।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতা।
গ্রামের ছেলেদের হয়ত অধিকাংশেরই এরকম কিছু অভিজ্ঞতা থাকে, আমারও আছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

আপনার অভিজ্ঞতাটাও শেয়ার করুন। আমরাও শুনি।

১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো লাগলো।।। সুন্দর ঘটনা।। আমার ছোট বেলার কাহিনী মনে এসে গেলো।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার ভালোলাগা জেনে আমারও ভালোলাগল।

শৈশব স্মৃতি সবসময় মজার হয়।

১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন: তারেক ভাই! কেমন আছেন ? আমি ভালো আছি । নতুন পোস্ট কই । নতুন পোস্ট দেন পড়ি । :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: রাকু ভাই, কুশল জানতে চাওয়ায় ভালোলাগা।

আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো অাছি।

আমার ভাবনা ভোতা হয়েছে :(
লিখার কৌশন শিখতে হবে আগে। তাছাড়া অাপনাদের এত সুন্দর সুন্দর ব্লগ পড়তে পড়তে আমার এ ভোতা মগজ লজ্জিত :((

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনার কিছু হয়নি, ভাগ্য ভালো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগত।

জ্বি আল্লাহর রহমনে অামার কিছু হয়নি।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জানবেন।

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, অনেকের মন খারাপ হয়েছিলো

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

তারেক ফাহিম বলেছেন: জ্বি, অনেক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

এখনও মনে পড়লে শিউরে উঠি।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জনাব।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

তারেক ফাহিম বলেছেন: পুণরায় মন্তব্যের কলামে পেয়ে ভালো লাগলো।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

নজসু বলেছেন: উরু হয়ে বসাটা কি? নৌকার ধার দিয়ে বসা?

বলতে গেলে আল্লাহ রহমত করেছেন। পানি বেশি হলে বিপদ হতো।

ছোটদের মাতাব্বরী কখনও কখনও বিপদ ডেকে আনলেও অনেক সময় উপকারও হয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: উরু হয়ে বসাটা কি? নৌকার ধার দিয়ে বসা?

দু পায়ে ভর দিয়ে বসাকে বুঝিয়েছিলাম।

পানি কম ছিল, তবে আমার জন্য বেশি ছিল।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জনাব।


১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

হাবিব বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।

মন্তব্যে প্রেরণা আসলো।

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাবাশ! পাকনামো হলেও শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা করতে পেরেছিলেন!
পিতার হাতে বা লাঠিতে উত্তম মধ্যম খাওয়া কোন ব্যাপার না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: উত্তম মাধ্যম খেয়েছি ঠিকি, পরক্ষনে যে ভালোবাসা দেখাইছে।

বিশেষ করে দাদু, আহ কি যত্ন আমার। রাগ করে কিছু্ খাচ্ছিলাম না, দাদি রাত্রে জোর করে উঠিয়ে খাইয়েছে।
আরও কত কত বড় হলে আমায় এটা সেটা বিশেষ করে মটর সাইকেল কিনে দিবে।

তার বছর দু-এক পরই উনি মারা গেলেন।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জনাব।

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে উপকারের উপকার
সাথে ফ্রি মাইর ;)

হা হা হা

সেই সব এডভেঞ্চারের অনুভূতির তুলনা হয়না।
কোথায় হারিয়ে গেল সেই সোনালী সময় - - - -

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০

তারেক ফাহিম বলেছেন: বেশ অভিমানি ছিলাম তখন, একটুতে অভিমান করে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিতাম। দাদির দু-একবার তোষামদেও কমতো না। এক অভিমানে পরের দিন স্কুলে যাওয়ার আগে দাদির কাছ থেকে ২-৫ টাকা বোনাস পেতাম।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ জনাব।

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫২

বলেছেন: অনেক এডভেঞ্চার!!!



ভালো লাগলো।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: কৈশরের এডভেঞ্চারগুলা কষ্টকর হলেও সুখময় হয় ;)

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভয়ংকর অভিজ্ঞতা!
সুন্দর উপস্থাপন। ভালো লাগলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: সৌরভ ভাই,

হুঁম, ঘটনাটি সত্যি ভয়ংকর।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.