নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদায় জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াই

তারেক ফাহিম

অজানাকে জানতে গিয়ে অস্থিরতার বোঝা নিয়ে স্পষ্টতাকে পুড়ে দিয়ে অন্ধকারে বুক পুলাই

তারেক ফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঞ্চলিক ভাষায় ভৌতিক গল্প

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাইতকার খানা খাই হবে কদ্দুরা হুইতলাম, তন হুট করি খবর অাইছে অাঁর বৌ’র মার অসুখ, মানে অাঁর হরি নাকি অসুখে হড়ি আছে। হেতনের মাইয়ারে চাইতো কইছে।এই খবর হুনিতো বৌ অাঁর কাইদতে কাইদতে শেষ। হেতিরে মেলা করি বুঝাইয়ো বুঝ দিতাম হারিনো। হেতিরে কই- তোর যাওন লাইগদোনো, তুই বেইন্না যাইস, অাঁই যাই চাই আই হেতন কেক্কান আছে। অবস্থা বেশি খারাপ অইলে দরকার অইলে তোরে লই যামু। নাহ হেতি হুইনতোনো, যাইবোই যাইবো। তন ধরেন রাইতের ১১টা বাজে।এ সময় কোনাই হামু গরু আর ঘোড়ার গাড়ি, নিজের দুই চাকার সাইকেল এক্কানেই ভরসা। কি আর করার হেতিরে সাইকেলের হিছে লই আল্লার নাম লই চাঁদের আলোতে রওনা দিলাম।
অাঁর হোরের বাড়ী আঙ্গো বাড়ীর তুন ৪ কিলোর ভিত্তে। কাঁচা রাস্তা। হাইজ রাইতে ঝড়ি কদ্দুরা অই কাচা রাস্তা কদ্দুরা ভিজে গেছে। তার হরেও আস্তে আস্তে হেতিরে লই সাইকেল চালাই যাইয়ের। যাইতে যাইতে প্রায় এক কিলোমিটার আইবার হরে বড় অজ্ঞা মেহগনি গাছের বাগান হরে। বাগানের ভিত্তে দি চিকন কাঁচা রাস্তা হারি যাওন লাইগবো। মেহগনি গাছের বাগানের কাছে আইতেই গেলনি সাইকেলের চেইনটা হড়ি! হেতিরে সাইকেলের তুন নামাই অাঁর হিচে খাড়াইতাম কই সাইকেলের চেইন উডাইয়ের। খেয়াল কইচ্ছি অাঁর গার লগে বাজি কালা বিলাই অজ্ঞা চলি গেল।ধ্যাত যাইলে যাক, অাঁর কিছে, তাড়াতাড়ি চেইনটা লাগাই বৌরে সাইকেলের হিছে বইয়াই আবার যাইতে শুরু কইচ্ছি। কদ্দুরা আইতে না আইতে মেহগনির বাগানের ভিত্তে থাইকতে আবার সাইকেলের চেইন হড়ি যায়! ইশঃ ছোত্তার চেইন! খালি হড়ি যা! হেতিরে আবার নামাই, আবার চেইন তোলার সময় খেয়াল কইরলাম, কালা বিলাই হিগা অাবার অাঁর পাশ দি চলি গেল! এবার কদ্দুরা ভয় হাই গেলাম। বুঝি হালাইছি এটা কোন স্বাভাবিক কিছু ন। ইয়ানে কোন কিন্তু আছে। চেইনগা ঠিক করি সাইকেলে উঠুম ঠিক এই সময় খেয়াল কইচ্ছি। জোরে জোরে হাওয়া আইয়ের মেহগনি গাছের বাগানে। বাতাসের এত জোর সামনে আগাইতামই হারি না। এক আতে বৌরে ধরি আরেক আতে সাইকেলরে কোনমতে ঠেলি ঠেলি বাগান শেষ কইত্তে না কইত্তে চোখ হড়ে মেহগনি গাছের ডাইলের উপর। চাইদেন সাদা কাফন হিন্দাত মানুষের মত কিয়া অজ্ঞা ঢাইলে বই আছে। মানুষের মত অইলেও হেটার মাতা নাই। ডরে কইলজা শুকাই যার। বৌর চোখে এটা হরেনো। চিন্তা করি চাইলাম বৌ যদি এটা চায়, মেলা ভয় হাইবো। তাই অাঁই বৌকে পিছনের তুন সামনে আনি কোলের ভিত্তে শক্ত করে জড়াই ধরে কই- তুই চোখ বন্ধ করি বই থাক, অাঁই না কন অযন্ত চুখ খুলিস না।কিল্লাই, আরে চোখ বন্ধ কইত্তাম কইছি, বন্ধ কর, বাঁইচতো অইলে চোখ বন্ধ করি থাক। হেতি অাঁরে আগেরতুনও ডরাইতো, চেচানির লগে চোখ বন্ধ করি হালাইছে। কতা ইয়ান কই কোন রকমে সাইকেলকান ঠেলতে ঠেলতে রাস্তা দিয়ে দৌড়াইতে থাকি। চোত্তার মেগুনি বাগান অনো শেষ অয়নো। দৌড়াই দৌড়াই মেহগনি বাগান শেষ, এবার খোলা মাঠের মধ্য দি রাস্তা। সাইকেল নিয়ে বৌরে ঝাপাই ধরি দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি। ঠিক তন চাই যেন- সামনে হুরা রাস্তা জুড়ি সাদা কাফন হিন্ধি লাশ অজ্ঞা হুতি আছে। ইয়ান দেইতো অাঁর কইলজাত হানি এক্কারে শেষ। মেলা ভয় হাইছি। চিন্তা করিয়ের অাঁরতো ভয় হাইলে চইলতোনো। বৌরে আবার কই- বৌ আমি না কন অযন্ত চোখ খুইলবা না। তারপর লক্ষ কইচ্ছি লাশগার পাশে দি কদ্দুরা জায়গা আছে, যিয়ান দি সাইকেল চালিয়ে কোন রকম চলি যান যাইবো। সাহস করি সাইকেলে উডি লাশের পাশ দিয়ে জোরে জোরে সাইকেল চালাই যাইতে প্রচন্ত হচা গন্ধ পাই। বৌগাও গন্ধ পেয়ে জিগায়- কিয়ের গন্ধ? আরে কিছু না, তুই চোখ খুলিস না, চোখ খুইলবিনা কইছি অাঁই না কন অর্যন্ত।সাইকেল চালাই লাশ হালাই আইতেই হিচনের তুন আঙ্গো শেফালির গলার আওয়াজ হুনা যায়। শেফালী অইলো আঙ্গো ৩ বছরের মাইয়া, হিগারে ঘরে হোতাই দি, আইছি। এত রাইত হিগার নানার বাইত যাইয়ের হুইনলে হিগারেও নিতে অইবো,তাই হিগারে ঘরে হোতাই দি আইছি। হিগা ইয়ানে কতুন আইবো, নাহ অন্য কিছু।মাইয়ার ডাক হুনি মাইয়ার মা কয়- শেফালী বোলারতো হিগা কতুন আইছে এত রাইত এদ্দুরা দূরে। আরে তুমি চোখ বন্ধ করি রাখ। এটা শেফালী না। অন্য কিছু, তুমি চোখ খুলিও না। চোখ খুলিও না কইছি অাঁই না কওয়া অর্যন্ত।
খুব জোরে জোরে সাইকেল চালাই হোর বাড়ীর গেরামের হতে চলি আইলাম। হোরেগো বাঁশ বাগানের কাছে আইতে দেখি, বাঁশ বাগানের মাথার উপরের তুন মাথা কাডা হে লাশ ইগা আতের ইশারায় অাঁরে ডাকের। ইয়ান দেই আরো জোরে জোরে সাইকেল চালাই হোর বাড়ীর দজাত আই, হোর মিয়ারে হেতাগো ঘাডার আগাত দেই, বৌরে কইলাম চোখ খুল। তোয়্যার আব্বারে সালাম দেও। হর মিয়ারে দেই হরানে হানি আইছে। দ্রুত হর বাড়ী গিয়া দেখি অাঁর হাওড়ী অনো চুলার দুয়ারে.......... !!!!!!!!! কিয়াগো আম্নের না অসুখ? কিল্লাই এত রাইত খবর দিলেন? আরে বাবা মাইয়াগারে চাইতাম মনে চাইছে, চান্দের আলো আছে হিয়াল্লাই তোগরে আইতাম কইছি। আর হেটা ছাড়াও কুলসুমের শখের খাসি ছাগলগা মরি যার দেই জবা দিসি। হিয়াল্লাই হিগারে রাখি কি খাওন যায়? তো বাবা হতে অাইতে কোন সমস্যা অয়নোতো??

বিঃদ্র : আঞ্চলিক ভাষা হওয়াতে কিছু কিছু বানান ভুল বলা যেতে পারে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ ,বেশ ভালো লাগলো ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:




ভুতের বাংলা?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভুতের বাংলা? ;)

নাহ বাংলার ভূউউউউত ;)

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: পড়তে যেমন তেমন লিখতে যে আপনার প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি। ভুতের গল্প রাতের বেলা পড়তে ভয় ভয় ভালো লাগলো।
+

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: পড়তে যেমন তেমন লিখতে যে আপনার প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে
মন্দ বলেননি B-)

আঞ্চলিক ভাষায় লিখার কারনে ভয় কিছুটা কম হয়েছে মনে হয়।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞ।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
আঞ্চলিক ভাষায় লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলো । কুলসুমের
মা সরলমনা ঠিক আছে, তার চেয়েও ভালো মেয়ের জামাই।
ভূতের ভয় অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত এসেছে ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষায় লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলো ।

আমারও ভালো লাগলো শুনে।
কুলসুমের
মা সরলমনা ঠিক আছে, তার চেয়েও ভালো মেয়ের জামাই।


একটু ভিতু টাইপোও বটে :P

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইডা রয়েল ডিস্টিকের ভাষা নি বাইসাব?
ভিন্ন ধারার লেখার জন্য ধন্যবাদ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

তারেক ফাহিম বলেছেন: ইডা রয়েল ডিস্টিকের ভাষা নি বাইসাব?

ঠিক ধইত্তে হাইচ্ছেন।
ইয়ান রয়্যাল ডিস্টিকের হরানের ভাষা।

আম্নেরেও ধন্যবাদ হড়ার লাই।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার আকছে চলতি ভাষাই ভালো লাগে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: চলতি ভাষা আমার কাছেও ভালো লাগে।

পোষ্টটি চলতি ভাষায়ও দিতে পারতাম।

আমাদের রয়্যাল ডিস্ট্রিক পেজের জন্য আঞ্চলিক ভাষায় গল্পটি।
অনেক দিন পোষ্ট দেয়া হয় না ব্লগে তাই এটা দিলাম।

মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ফাহিম ভাই,
রয়্যাল ডিস্টিকের হরানের ভাষা পড়ার চেষ্টা করলাম। আমি লজ্জিত। এই ভাষা আমি বুঝিনি। কিছুটা পড়ার পর হাল ছেড়ে দিয়েছি।
শুদ্ধ ভাষায় দিলে আবার পড়বো।
ঢাকার বইমেলায় ঘুরে এসেছিলেন নাকি?
শুভ কামনা রইলো।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার,
আশা করছি ভালো আছেন।
আমাদের আরডিএন (রয়্যাল ডিস্ট্রিক নোয়াখালী) পেজের জন্য গল্পটি আঞ্চলিক ভাষায় লিখলাম।
শুদ্ধ ভাষায় দেয়ার চেষ্টা করবো।

ঢাকার বই মেলায় এখনো যাওয়া হয়নি।
সময় করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আঞ্চলিক ভাষা লেখা কষ্টসাধ্য তাও আবার নোয়াখীর।

অনেক কষ্ট করে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছো ফাহিম। আঞ্চলিক শব্দ পড়ে হাসতে হাসতে জান শেষ । ভূতের গল্পটা ভালই লেগেছে তবে মোবাইলে লেখার (জন্য্‌া ) এ ধরনের টাইপো হওয়ায় বিরক্ত লেগেছে পড়তে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষা লেখা কষ্টসাধ্য তাও আবার নোয়াখীর

ভিন্ন মাত্রায় লিখার চেষ্টা করলাম স্যার।

ফোনে অবসরে লিখলাম।

গল্প ভালো লাগছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.