নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুসলিম বাঙালী.... যে কিনা স্বপ্ন দেখে একটি সংঘাতহীন নতুন পৃথিবীর।

মুসলিম বাঙালী

একজন মুসলিম বাঙালী! যে কিনা স্বপ্ন দেখে একটি সংঘাতহীন সুন্দর পৃথিবীর।

মুসলিম বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু ক্ষোভ, কিছু হতাশা, কিছু আশা!

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

সেদিন আমার একজন বন্ধুপ্রিতম ভাই তার লেখাতে
নিজদেশের মানুষের "ভারতীয় সিরিয়াল প্রীতির"
বিষয়টি নিয়ে অনেক আক্ষেপ করেছিলেন, আমি
বলেছিলাম এর দায়ভার,ব্যর্থতাটা সরকার এবং
বিরোধীদলের উপরই বর্তায়! তখন সে অনেকটা
আক্ষেপ করেই বলেছিলো "সরকার-
বিরোধীদল কি বাংলাদেশের মানুষকে ভারতীয়
সিরিয়াল দেখতে বলেছে নাকি"? আমি বলেছিলাম
উত্তরটা পুরোপুরিভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
.
অনেকেই বলে বাংলাদেশে ভারতীয়
সিরিয়ালগুলো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রধান
কারন হচ্ছে, দেশিয় অনুষ্ঠানমালার মাঝে লম্বা লম্বা
বিরতি দেওয়া! যাকিনা একজন দর্শককে অধৈর্য করে
তুলে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশের টিভি-চ্যানেলগুল
ো অনুষ্ঠানের মাঝে এতো লম্বা বিরতি দেওয়ার
কারন কি?
.
আমার ধারনা অনুযায়ী; ছোট ছোট কারনগুলোর
মধ্যে প্রথম কারন হচ্ছে, হ-য-ব-র-ল অনুষ্ঠানসূচি!
আমাদের দেশে এখনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের
জন্য আলাদা আলাদা চ্যানেল তৈরী হয়নি, যার কারনে
অনেক অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকের অভাব হয়না
আবার অনেক অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক খুঁজেই
পাওয়া যায়না, এর কারনেই অনেক প্রযোজক এবং
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভালো অনুষ্ঠান তৈরীর উৎসাহ
হারিয়ে ফেলে! অথচ ভারতে প্রতিটা বিষয়ের জন্য
যেমন, খেলা-ধুলা, সিনেমা, কার্টুন, খবর, নাটকসহ
সবকিছুর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা চ্যানেল।
.
আর সবচাইতে প্রধান সমস্যাটা হচ্ছে, স্যাটেলাইট
এবং ডিজিটাল ডিশ কানেকশনের সমস্যা(!), ভারতের
নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যাবস্থা থাকার কারনে এমনিতেই
উপমহাদেশের উপর একটা প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে!
যার কারনে আমাদের দেশের টিভি-চ্যানেলগুল
োকে যেই পরিমান টেক্স সরকারকে দেওয়া
লাগে, তার অর্ধেক টেক্সও ভারতীয় টিভি-
চ্যানেলগুলো তাদের সরকারকে দেওয়া লাগেনা!
কারন মাত্র একটাই আমাদের স্যাটেলাইট ব্যাবস্থা
এখনো ভাড়াকৃত! তার পরেও এই ভাড়াকৃত স্যাটেলাইট
দিয়েই আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম,
যদি আমাদের সরকার এবং বিরোধীদল ভারতকে
পূঁজা না করে নিজেদের অধিকার আদায়ে কিছুটা
সোচ্চার হতো!
১৯৯২ সালে দেশে প্রথম স্যাটেলাইট চালু হওয়ার
পর কোন সরকার কতটুকু নিজস্ব স্যাটেলাইট
তৈরীতে সত্যিকারের আগ্রহী ছিলো এবং
কোন বিরোধীদল কতটুকু নিজস্ব স্যাটেলাইটের
জন্য আন্দোলন করেছে শুধু তারাই বলতে
পারবে!
.
তারপরেও যখন শুনি ২০১৭ সাল নাগাদ আমাদের নিজস্ব
স্যাটেলাইট হবে তখন আশায় বুক বাঁধতেই পারি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.